বিজিবির হিলি সিপি ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মো. আলতাফ হোসেন জানান, গতকাল মঙ্গলবার থেকে বিএসএফ সদস্যরা হিলি সীমান্তের ভারতীয় অংশে বেশি বেশি টহল দিচ্ছে। তাদের সদস্য সংখ্যাও বেশি মনে হয়েছে। চেকপোস্ট গেটে যাত্রীদের তল্লাশি করতে দেখা গেছে।
এ ব্যাপারে ভারতের হিলি বিএসএফ ক্যাম্পের এক কর্মকর্তার কাছে জানতে চাইলে তিনি ইউএনবিকে বলেন, ১৫ আগস্ট ভারতের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সীমান্তে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। সম্প্রতি কাশ্মির ইস্যু এবং পশ্চিমবঙ্গ সহ বিভিন্ন জায়গায় জঙ্গী আটকের ঘটনায় স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে সম্ভাব্য নাশকতা বা হামলার আশঙ্কায় ভারতের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এই বিশেষ সতর্কতা জারি করেছে।
তিনি আরও বলেন, কঠোর নজরদারির মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে হিলি সীমান্ত এলাকা। বাড়ানো হয়েছে বিএসএফের সদস্য সংখ্যাও। এছাড়া হিলি চেকপোস্টে ক্লোজসার্কিট ক্যামেরার মাধ্যমেও দুদেশের মধ্যে যাতায়াতকারী পাসপোর্ট যাত্রীদের গতিবিধি ও লাগেজ তল্লাশি করা হচ্ছে।
ভারতের দক্ষিণ দিনাজপুরের বাসিন্দারা বলেন, স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এই ধরনের কার্যক্রমে সীমান্তবাসীরা অনেক সময় ভয়ে থাকেন। কিন্তু তারপরেও শান্তি বজায় রাখার লক্ষে এবং নাশকতা ঠেকাতে এই পদক্ষেপ ঠিক আছে।
হিলি চেকপোস্ট দিয়ে ভারত থেকে আসা বাংলাদেশি পাসপোর্ট যাত্রীরা বলেন, কলকাতার শিয়ালদহ ও হাওড়া রেলস্টেশনে, ধর্মতলা বাস টার্মিনালে প্রবেশে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। এরপর বালুরঘাট থেকে হিলি চেকপোস্টে আসতে প্রায় ৩০ কিলোমিটার রাস্তার কয়েকটি স্থানে পুলিশ ও বিএসএফ মেটাল ডিটেকটর ও ডগস্কোয়াড দিয়ে তল্লাশি করছে।