বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেছেন, বাংলাদেশ প্রচুর সৌর, বায়ু এবং জোয়ার-ভাটা,সমতল সম্পদে সমৃদ্ধ এবং প্রচুর বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে।
তিনি বলেন, 'বাংলাদেশকে 'সোনার বাংলা' স্বপ্ন বাস্তবায়নে সহায়তা করার জন্য চীন তার অভিজ্ঞতা, প্রযুক্তি বিনিময় এবং 'চায়না সলিউশন' সরবরাহ করতে প্রস্তুত। এর মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে কৌশলগত অংশীদারিত্ব একটি নতুন স্তরে নিয়ে আসবে।
বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) রাষ্ট্রদূত ইয়াও কক্সবাজার বায়ু বিদ্যুত প্রকল্পের 'সফল' কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. হাবিবুর রহমান এবং চীনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. জসিম উদ্দিন।
রাষ্ট্রদূত ইয়াও বলেন, চীন-বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সহযোগিতার মূল খাত হচ্ছে নতুন জ্বালানি।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু রেল সংযোগ চীনের বিআরআই’র আওতায় একটি যুগান্তকারী প্রকল্প: রাষ্ট্রদূত ইয়াও
গত ২৩ আগস্ট জোহানেসবার্গে ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
উভয় নেতা প্রতিশ্রুতি দেন যে তারা উচ্চমানের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভকে আরও এগিয়ে নেবেন। দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক পরিপূরকতার সুবিধাগুলেতে পূর্ণ ভূমিকা রাখবেন এবং নতুন জ্বালানি খাতে সহযোগিতা জোরদার করবেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘বাংলাদেশে চীনা প্রতিষ্ঠানগুলোর বায়ু বিদ্যুতের ঐতিহাসিক প্রবর্তন নতুন জ্বালানি খাতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার একটি মাইলফলক।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশি থিংক ট্যাংক প্রতিনিধি দলের চীন সফর
রাষ্ট্রদূত ইয়াও উল্লেখ করেন যে একটি সম্পূর্ণ শিল্প শৃঙ্খল, সমৃদ্ধ নির্মাণ এবং অপারেশন অভিজ্ঞতা এবং প্রযুক্তি, মূলধন এবং প্রতিভায় উল্লেখযোগ্য সুবিধা রয়েছে চীনের।
চীনা উদোক্তাদের বিনিয়োগে কক্সবাজার বায়ু বিদ্যুত প্রকল্পটি বাংলাদেশে প্রথম বৃহৎ আকারে কেন্দ্রীভূত বায়ু বিদ্যুত কেন্দ্র।
প্রকল্পটি একবা চালু হলে বছরে ১৪৫ গিগাওয়াট ঘণ্টা বিদ্যুৎ উৎপাদিত হবে এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানির অনুপাত বৃদ্ধি এবং বাংলাদেশে নতুন জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
আরও পড়ুন: নির্দিষ্ট একটি দেশ নিজেকে বাংলাদেশের বন্ধু দাবি করলেও ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেয় : চীনা রাষ্ট্রদূত