তিনি বলেন, ‘তথ্যপ্রযুক্তির অপব্যবহার করে একটি মহল অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে ভুয়া ও মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে সমাজে অস্থিরতা সৃষ্টির প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বিষয়ের গভীরে না গিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক প্ল্যাটফর্মে অনেকেই দেশ, প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির বিরুদ্ধে অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে।’
বৃহস্পতিবার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অধীন ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সির উদ্যোগে তিন মাসব্যাপী ‘আসল চিনি’ ক্যাম্পেইনের সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে অনলাইনে সংযুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
গুজবের বিরুদ্ধে সকলকে সজাগ ও তৎপর থাকতে হবে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ডিজিটাল প্রযুক্তির শক্তি ও সোশ্যাল মিডিয়ার পজেটিভ ব্যবহারকে উৎসাহিত করতে শিক্ষক ও অভিভাবকদের আরও সচেতন হতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘দেশে গত ১১ বছরে প্রযুক্তির যে উন্নয়ন হয়েছে তার সুফল পেতে এবং কুফল থেকে রক্ষা পেতে ২০১৮ সালে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন করা হয়েছে। সাইবার ক্রিমিনাল আইডেন্টিফাই করতে ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সি ও কম্পিউটার ইন্সিডেন্স রেসপন্স টিম গঠন করা হয়েছে।’
পলক আরও বলেন, ‘চারটি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যকে সামনে রেখে চারটি আলাদা আলাদা ধাপে সাজানো হয় আসল চিনি ক্যাম্পেইন। প্রথমত, মিথ্যা ও গুজব সম্পর্কে মানুষকে জানানো। দ্বিতীয়ত মানুষকে শিক্ষিত করে তোলা। তৃতীয়ত মানুষকে সম্পৃক্ত করা এবং মিথ্যা আর গুজবের উৎস বের করে রিপোর্ট করতে অনুপ্রাণিত করা।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, নিরাপদ বাংলাদেশ গড়তে সন্তানদের মানবিক ও গুণগত শিক্ষায় শিক্ষিত করতে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকসহ সমাজের সকলকে সচেতন থাকতে হবে।
পরে প্রতিমন্ত্রী সমাপনী অনুষ্ঠানে ‘আসল চিনি’ ক্যাম্পেইনের বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেন।