জুনাইদ আহমেদ পলক
রিমান্ডে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি পলক
রিমান্ডে অসুস্থ হয়ে পড়ায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
ঢামেক হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) চিকিৎসা নিচ্ছেন রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার একটি হত্যা মামলায় রিমান্ডে থাকা পলক।
আরও পড়ুন: হত্যা মামলায় রিমান্ড শেষে কারাগারে মেনন, ইনু ও পলক
ঢামেক পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ ফারুক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, হেফাজতে থাকা অবস্থায় স্বাস্থ্যগত জটিলতা দেখা দিলে শনিবার রাত ৯টার দিকে তাকে হাসপাতালে আনা হয়।
গত ১৪ আগস্ট রাজধানীর নিকুঞ্জ আবাসিক এলাকা থেকে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলককে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। পরদিন রাজধানীর পল্টনে কামাল মিয়া নামে এক রিকশাচালক হত্যা মামলায় প্রথমবারের মতো তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। এরপর অন্য মামলায়গুলোতেও তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: আরও ২ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের ৪ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী
১ সপ্তাহ আগে
মোবাইল ইন্টারনেট চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত রবিবার
মোবাইল ইন্টারনেট ফোরজি চালুর জন্য রবিবার (২৮ জুলাই) মোবাইল অপারেটরদের সঙ্গে বৈঠক করা হবে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
শনিবার( ২৭ জুলাই) আগারগাঁওয়ে ডাকভবনে সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫৪তম জন্মদিন উপলক্ষে সারাদেশে এক লাখ গাছের চারা রোপণে ‘শান্তির জন্য বৃক্ষ’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগামীকাল রবিবার মোবাইল ফোন অপারেটরদের সঙ্গে বৈঠক করে মোবাইল ইন্টারনেট চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা আজ রাতেই পুরোপুরি চালু হতে পারে: পলক
কবে ইন্টারনেট চালু হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, শিগগরিই মোবাইল ইন্টারনেট খুলে দেওয়া হবে। আগামীকাল সকাল ৯টায় আমরা এমটবের সঙ্গে বৈঠক করব। বৈঠকে সন্তুষ্ট হলে রবিবার-সোমবার মোবাইলের ফোরজি নেটওয়ার্ক খুলে দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, আমরা ইন্টারনেট শাটডাউন করিনি। ইন্টারনেট বন্ধ হয়েছিল তিনটি ডেটা সেন্টার ও শত শত কিলোমিটার তার পুড়িয়ে দেওয়ার জন্য। এজন্য শুধু টেলিকম খাতে ৫০০ কোটি টাকা এবং সব মিলিয়ে শত শত কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
তিনি বলেন, ঢাক বিভাগের ১৭টি জায়গায় হামলা হয়েছে। মহাখালীতে তিনটি ডেটা সেন্টারে ১৮টি আইআইজির সিস্টেম রয়েছে। সেখানে থাকা আইএসপির ৭০ শতাংশ সার্ভার থাকে। তাই ইন্টারনেট একা একাই বন্ধ হয়েছে। আমরা বন্ধ করিনি।
পলক বলেন, পরিকল্পিত নাশকতা ছিল। ১৮ জুলাইয়ের মোবাইল অপারেটরদের তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ঢাকার উত্তরা, রামপুরা, মোহাম্মাদপুর, যাত্রাবাড়ী ও গাজীপুরে ৫০ হাজার থেকে এক লাখ নতুন সিম কার্ড ব্যবহার করা হয়েছে।
বিটিআরসি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, টেলিযোগাযোগ খাতে আঘাত আসায় এখনো কিছু ক্যাশ সার্ভার মেরামতের কাজ চলছে। হয়তো দুই চার দিনের মধ্যে টেলিযোগাযোগ পুরোপুরি আগের অবস্থায় ফিরে আসবে। দেশে থাকা চার হাজারের ওপর ক্যাশ সার্ভার ঠিক হতে সময় লাগবে। গুগলের সব ক্যাশ সার্ভার পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা হবে।
আইএসপিএবি সভাপতি ইমদাদুল হক বলেন, ইন্টারনেট এখন আমাদের মৌলিক অধিকার। কিন্তু দুর্বৃত্তদের হামলায় মহাখালীতে সার্ভার ও তার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ইন্টারনেট বিচ্ছিন্ন ছিল। এই সেবা এখন ধীরে ধীরে চালু হচ্ছে। শিগগিরই ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা আগের অবস্থায় ফিরে আসবে। ৯০ শতাংশ সমস্যা সমাধান (রিস্টোর) করা হয়েছে। বাকিটা নির্ভর করছে ট্রান্সমিশনের ওপর।
ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক তরুণ কান্তি সিকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তথ্যপ্রযুক্তি সচিব মো. সামসুল আরেফিন, ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব ড. মুশফিকুর রহমান ও বিটিআরসি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মহিউদ্দিন আহমেদ।
আরও পড়ুন: অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে সাময়িকভাবে মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ: পলক
৩ মাস আগে
ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা আজ রাতেই পুরোপুরি চালু হতে পারে: পলক
বুধবার দিবাগত রাতের মধ্যে সারাদেশে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা পুরোপুরি চালু করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
বুধবার (২৪ জুলাই) বিটিআরসি ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আজ রাতের মধ্যে সারা দেশে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা পুরোপুরি চালুর জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছি।’
আরও পড়ুন: দেশে ডেটা সেন্টার করতে ফেসবুক-ইউটিউব-টিকটককে বাধ্য করা হবে: পলক
মোবাইল ইন্টারনেট সেবার বিষয়ে জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, মোবাইল অপারেটরদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশের (অ্যামটব) সঙ্গে শুক্রবার অথবা শনিবার একটি বৈঠক হবে। আগামী রবিবারের (২৮ জুলাই) মধ্যে এই সেবা পুনরায় চালু করার চেষ্টা করা হবে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোর বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে পলক বলেন, এগুলোর ব্যবহার পুনরায় চালু করার বিষয়ে ফেসবুক, ইউটিউব ও টিকটক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করা হবে।
একই কথা জানিয়েছে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি)। তারা জানায়, আজ রাতের মধ্যে ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা চালু করা হবে।
আইএসপিএবি সভাপতি এমদাদুল হক ইউএনবিকে বলেন, তারা আজ রাতের মধ্যে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা পুরোপুরি চালু করার লক্ষ্যে কাজ করছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এটা নিয়ে কাজ করছি; আশা করছি অন্তত ৭৯-৮০ শতাংশ এলাকায় ইন্টারনেট সেবা চালু হবে।’
মঙ্গলবার রাতে কিছু এলাকায় ইন্টারনেট পরিষেবা স্বাভাবিক করা হয়েছে। সরকারি প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক, গ্যাস ও বিদ্যুৎ সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানসহ গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলোতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা চালু করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে সাময়িকভাবে মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ: পলক
মোবাইল অপারেটরদের কাছে পাওনা টাকা শিগগিরই আদায় করা হবে: পলক
৩ মাস আগে
টেন মিনিট স্কুলে ৫ কোটি টাকা বিনিয়োগের প্রস্তাব বাতিল করেছে স্টার্টআপ বাংলাদেশ
দেশের সবচেয়ে বড় এডটেক প্ল্যাটফর্ম টেন মিনিট স্কুলের জন্য প্রস্তাবিত পাঁচ কোটি টাকার বিনিয়োগ বাতিল করেছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের ফ্ল্যাগশিপ ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফান্ড স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) স্টার্টআপ বাংলাদেশের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এই সিদ্ধান্ত জানিয়ে একটি পোস্ট দেওয়া হয়। পরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ওই পোস্টটি শেয়ার করেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
পলক তার পোস্টে লেখেন, ‘স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড টেন মিনিট স্কুলের জন্য পাঁচ কোটি টাকার বিনিয়োগের প্রস্তাব বাতিল করেছে।’
উল্লেখ্য, সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে চলমান আন্দোলনে সমর্থন জানিয়েছেন টেন মিনিট স্কুলের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আয়মান সাদিক। সাদিক তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে লেখেন, ‘আমরা কোটা সংস্কারের দাবি জানাচ্ছি। মেধা সবচেয়ে বড় কোটা হওয়া উচিত।’
তারপরই বিনিয়োগ প্রস্তাব বাতিলের এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
৪ মাস আগে
১৫ বছরে চলনবিল অঞ্চলের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে: পলক
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, গত ১৫ বছরে চলনবিল অঞ্চলের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে।
তিনি বলেন, এক সময় চলনবিল অঞ্চলের মানুষের স্লোগান ছিল ‘শুকনায় পাও (পা) আর বর্ষায় নাও (নৌকা)।’ এখন আর সেই চলনবিল নেই।
আরও পড়ুন: বুয়েটে ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে অত্যাধুনিক ন্যানো ল্যাব স্থাপনের ঘোষণা প্রতিমন্ত্রী পলকের
শনিবার (১৫ জুন) সিংড়া উপজেলার ডাহিয়া ইউনিয়নের সাতপুকুড়িয়া এলাকায় মুজিব কেল্লার ভিত্তি স্থাপন শেষে তিনি এ কথা বলেন।
পলক বলেন, চলনবিল অঞ্চলের দুর্গম এলাকায় পৌঁছে গেছে বিদ্যুৎ। তৈরি হয়েছে পাকা সড়ক। গভীর বিল এলাকাতেও তৈরি করা হয়েছে বন্যা উপযোগী কমিউনিটি ক্লিনিক।
তিনি আরও বলেন, মানুষ এখন সহজে ফসল পরিবহণ করতে পারে। গ্রাম থেকে ফসল বিক্রি করতে পারে।
এজন্য তিনি যেকোনো অপশক্তির দ্বারা বিভ্রান্ত না হয়ে, আওয়ামী লীগের প্রতি আস্থা রাখতে বিলাঞ্চলের মানুষের প্রতি আহ্বান জানান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ৬ কোটি ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে ৯ হাজার ৩০০ বর্গফুট আয়োতনের তিনতলা মুজিব কেল্লাটি নির্মাণ করছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।
এছাড়া এই কেল্লার মাধ্যমে বন্যাসহ দুর্যোগকালীন চলনবিলের ৮১৫ জন মানুষ ও ১ হাজার ৬০০ গবাদি পশু আশ্রয় নিতে পারবে বলে জানান জুনাইদ আহমেদ পলক।
এদিকে কেল্লার দুই হাজার বর্গফুট কমিউনিটি স্পেসে বন্যার সময় হাট বাজার বসতে পারবে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী পলক।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, বিএডিসির নির্বাহী প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেন ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হা-মীম তাবাসসুম প্রভা।
আরও পড়ুন: ঈদুল আজহা উপলক্ষে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে ৭ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
ঈদুল আজহা উপলক্ষে সোনামসজিদ স্থলবন্দরে টানা ৭ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
৫ মাস আগে
টেলিযোগাযোগ আইন সময়োপযোগী ও বিনিয়োগবান্ধব হবে: টিআরএনবির সেমিনারে প্রতিমন্ত্রী
নাগরিকদের কল্যাণ নিশ্চিতে সরকার সময়োপযোগী, ব্যবসা ও বিনিয়োগবান্ধব টেলিযোগাযোগ আইন প্রণয়ন করতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
বুধবার (৫ জুন) টিআরএনবি (টেলিকম অ্যান্ড টেকনোলজি রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক, বাংলাদেশ) আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে এ তথ্য জানান তিনি।
‘রিফরম অব দ্য টেলিকমিউনিকেশন ল, ২০০১’ শিরোনামে এ বৈঠকে যৌথ আয়োজক ছিল অ্যামটব (অ্যাসোসিয়েসন অব মোবাইল অপারেটরস অব বাংলাদেশ)।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের প্রস্তুত করা খসড়ায় প্রয়োজনীয় সংশোধনী এনে চূড়ান্ত আইন প্রণয়ন করা হবে বলে জানান পলক।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) পূর্ণ স্বাধীনভাবে দায়িত্ব পালনের প্রয়োজন আছে। একইসঙ্গে তাদেরও মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কাজ করতে হবে।’
খসড়া আইনের যেসব বিষয় ব্যবসা ও বিনিয়োগবান্ধব হবে না, সেগুলো সংশোধনের আশ্বাস দেন প্রতিমন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, ‘কোনো অংশীজন ও দেশের জনসাধারণের জন্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে, এমন যা কিছু এই খসড়া আইনে আছে, তা অপসারণ করার উদ্যোগ নেব। এক্ষেত্রে ভারত ও ভিয়েতনামের আইসিটি আইন আমরা অনুসরণ করতে পারি। দেশে ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টিতে একটি সময়োপযোগী আইন করা হবে যা স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সহায়ক হবে।’
তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী সেমিনারে আলোচকদের প্রস্তাব অনুযায়ী খসড়া আইনের ২টি ধারা বাদ দেওয়ার প্রস্তাব করেন। এ দুটি ধারা হচ্ছে ৭(৩) ও ২৬(ঙ)।
৭(৩) ধারায় বিটিআরসির কমিশনারদের অপসারণের ক্ষমতা মন্ত্রণালয়কে দেওয়া হয়েছে এবং ২৬(ঙ) ধারায় সোশ্যাল মিডিয়া ও অনলাইন প্লাটফর্ম পরিচালনার জন্য বিটিআরসি থেকেও লাইসেন্স নেওয়ার বাধ্যবাধকতা দেওয়া হয়েছে।
সেমিনারে ৭(৩) ধারার সমালোচনা করে বক্তারা বলেন, এ ধারার মাধ্যমে বিটিআরসির স্বাধীনভাবে দায়িত্ব পালন চরমভাবে ব্যাহত হবে। অন্যদিকে ২৬(ঙ) ধারা দেশে অনলাইনভিত্তিক ব্যবসা ও অন্যান্য উদ্ভাবনকে জটিলতায় ফেলবে।
একই সঙ্গে টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক পরিচালনায় গঠিত বিটিআরসির কাজ ডিজিটাল সার্ভিসের ক্ষেত্রে বিস্তৃত করা হলে বিটিআরসির স্বাভাবিক দায়িত্ব পালনেও বড় ধরনের জটিলতার সৃষ্টি হবে বলে মনে করেন বক্তারা।
এ দুটি সমালোচনাকে ইতিবাচক উল্লেখ করে দুটি ধারাই বাদ দেওয়ার ঘোষণা দেন প্রতিমন্ত্রী।
খসড়া আইন নিয়ে বিশিষ্ট অংশীজনদের সুপারিশ করা খসড়া পর্যালোচনার জন্য তাৎক্ষণিকভাবে ৭ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি তৈরি করেন প্রতিমন্ত্রী। কমিটিকে আগামী ৭ দিনের মধ্যে সুপারিশ জমা দিতে বলেন। এই কমিটির সুপারিশ গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনারও আশ্বাস দেন প্রতিমন্ত্রী।
সেমিনারে বিটিআরসির চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘নতুন আইনের কারণে কেউ যেন কোনো সমস্যায় না পড়ে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।’
বেসরকারি মোবাইল অপারেটরদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমরা চাই আপনাদের সার্ভিসটা হবে কম টাকায় সর্বোচ্চ সার্ভিস।’
আলোচনায় বক্তারা বলেন, প্রস্তাবিত টেলিযোগাযোগ আইনের খসড়ার কিছু দিক নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে নেতিবাচক মনোভাব তৈরি হয়েছে। বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য দেশে ২০০১ সালে প্রণীত একটি পৃথক আইন থাকা সত্ত্বেও নতুন আইনের খসড়ায় এ সংক্রান্ত ধারা সন্নিবেশিত করা হয়েছে যা সমস্যা তৈরি করবে। খসড়ায় সর্বোচ্চ ৩০০ কোটি টাকাসহ উচ্চ জরিমানার বিধান রয়েছে যা অনেক বেশি বলেও উল্লেখ করেন বক্তারা।
বৈঠকে খাতসংশ্লিষ্টরা বলেন, প্রশাসনিক জরিমানাই এক ধরনের শাস্তি, এর ওপরে অতিরিক্ত ক্ষতিপূরণের প্রস্তাব করা হয়েছে খসড়ায় যা ব্যবসাবান্ধব নয়। এতে এই খাতের সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর অপরাধকে জামিন অযোগ্য অপরাধ বলে বিবেচনা করা হয়েছে। অন্যদিকে সরকার বা কমিশনের কোনো পদক্ষেপের ওপর কোনো দেওয়ানী আদালতের এখতিয়ার থাকবে না বলে বলা হয়েছে। এ ধরনের বিধানকে সাংবিধানের মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী উল্লেখ করেন বক্তারা।
আলোচকরা আরও বলেন, দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকে নিরুৎসাহিত করে এমন কোনো ধারা আইনে থাকা উচিত নয়। সরকারের কাছে খাতসংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন একটি আইন প্রণয়নের অনুরোধ করেন তারা।
গোলটেবিল আলোচনায় দুটি মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিটিআরসির ভাইস চেয়ারম্যান আমিনুল হক এবং রবির চিফ কর্পোরেট ও রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স শাহেদ আলম।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন টিআরএনবির সাধারণ সম্পাদক মাসুদুজ্জামান রবিন।
টিআরএনবি সভাপতি রাশেদ মেহেদীর সভাপতিত্বে এই গোলটেবিল আলোচনায় আরও অংশ নেন- অ্যামটব সভাপতি ও গ্রামীণ ফোনের সিইও ইয়াসির আজমান, বাংলালিংকের ভারপ্রাপ্ত সিইও তৈমুর রহমান, টেলিটকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নূরুল মাবুদ চৌধুরী (অতিরিক্ত দায়িত্ব), গ্রামীণফোনের চিফ কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার হ্যান্স মার্টিন হেনরিকসন, এমটব মহাসচিব লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ জুলফিকার (অব), ই-ডটকোর কান্ট্রি ম্যানেজিং ডিরেক্টর সুনিল আইজ্যাক, মোবাইল ফোন ইন্ডাস্ট্রি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট জাকারিয়া শহীদ, ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারস অ্যাসোসিয়েশনের (আইএসপিএবি) সভাপতি ইমদাদুল হক, সামিট কমিউনিকেশনের চিফ নেটওয়ার্ক আর্কিটেক্ট ফারুক ইমতিয়াজ, ফাইবার অ্যাট হোমের পরিচালক(কমিউনিকেশন) আব্বাস ফারুক এবং ব্রাক ইউনিভার্সিটির স্কুল অব ল’র শিক্ষক সাইমুম রেজা তালুকদার।
৫ মাস আগে
টেলিকম খাতের বৃদ্ধির জন্য স্মার্ট ট্যাক্সেশন পলিসি জরুরি: প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী
আগামী ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য বিদ্যমান ট্যাক্সেশন পলিসি উন্নয়ন করা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
তিনি বলেন, ‘স্মার্ট ট্যাক্সেশন পলিসি ছাড়া আমাদের টেলিকম সেক্টরে কাঙ্ক্ষিত বৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হবে।’
রবিবার (৭ এপ্রিল) রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে টেলিকম খাতের কর পলিসি নিয়ে টিআরএনবি ও এমটব আয়োজিত ‘টেলিকম ট্যাক্সেশন ফর স্মার্ট বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিটিআরসির চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. মহিউদ্দিন আহমেদ।
আরও পড়ুন: ঈদ উপলক্ষে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সমিতির খাদ্যসামগ্রী বিতরণ
পলক বলেন, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট সরকার ব্যবস্থা, স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট সমাজ ব্যবস্থা গড়তে গেলে নীতিমালার উন্নয়ন করা দরকার।’
টেলিকম খাতের সংশ্লিষ্টরা এই খাতের বড় বাধা হিসেবে করপোরেট ট্যাক্স এবং অন্যান্য ট্যাক্স কমানোর প্রস্তাব করেন। জবাবে প্রতিমন্ত্রী পলক, যৌক্তিক পর্যায়ে যাতে করপোরেট ট্যাক্স থাকে সেটির জন্য এবং টেলিকম খাতের ট্যাক্সেশন নিয়ে অর্থমন্ত্রী ও এনবিআরের সঙ্গে আলোচনা করবেন বলে জানান।
তিনি বলেন, এই সেক্টরে দেড় লক্ষ কোটি টাকা বিনিয়োগ হয়েছে। এখান থেকে প্রায় দেড় লক্ষ কোটি টাকার ট্যাক্স পেয়েছিল। গত বছর গ্রামীণফোন ১২ হাজার কোটি টাকা ট্যাক্স দিয়েছে। রাজস্ব আয়ের প্রধান উৎস হচ্ছে টেলিকম সেক্টর। এটা কিন্তু আমরা অস্বীকার করছি না।
পলক বলেন, মানুষ এখন আর সরকারি অফিসে যেতে চায় না, এখন কেউ দোকানে গিয়েও শপিং করতে চায় না, এমনকি বাড়ির কাছে ব্যাংক বা সরকারি দপ্তরে যেতে চায় না। সবকিছু যেন তার হাতের মুঠোয়, একেবারে মোবাইল ফোনের ভিতর। মোবাইল ফোনই এখন সবকছিুর সোর্স। সংবাদ, বিনোদন, অফিস সবকিছুই।
টেলিকম প্রতিমন্ত্রী অপারেটরদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমি একথা সব সময়ই বলি বিটিআরসি যেন নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা থেকে উদ্ভাবনী সংস্থায় আবির্ভূত হয়। একইভাবে এখন আমাদের সময়ের দাবি যে এনবিআরকেও রাজস্ব আহরণের পাশাপাশি আরও নতুন নতুন রাজস্বের উৎস তৈরি করা একটা প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে হবে। এনবিআরকে একটা স্মার্ট প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে হবে।
সেমিনারে টেলিকম খাতের ট্যাক্সেশন নিয়ে এই খাতের প্রতিবন্ধকতা তুলে ধরেন এমটব মহাসচিব লে কর্নেল (অব.) মোহাম্মদ জুলফিকার।
আরও পড়ুন: মে মাসের মধ্যে ৫০০টি ডাকঘরকে স্মার্ট সার্ভিস পয়েন্টে রূপান্তর করা হবে: পলক
বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডের (বিএসসিএল) চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. শাহজাহান মাহমুদ, এফআইসিসিআই’র নির্বাহী পরিচালক টিআইএম নুরুল কবির, গ্রামীণফোনের সিইও ইয়াসির আজমান, রবি’র চিফ কর্পোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার সাহেদ আলম, বাংলালিংকের ভারপ্রাপ্ত সিইও তৈমুর রহমান, টেলিকম বিশেষজ্ঞ সুমন আহমেদ সাবির, টিআরএনবি সভাপতি রাশেদ মেহেদী ও সাধারণ সম্পাদক মাসুদুজ্জামান রবিনসহ মোবাইল অপারেটরের কর্মকর্তারা বক্তব্য দেন।
৭ মাস আগে
অবৈধ ভিওআইপির সঙ্গে জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না: তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী
অবৈধ ভয়েস ওভার ইন্টারনেট প্রটোকল (ভিওআইপি) কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িতদের কোনোভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ার করেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
তিনি বলেন, ‘অবৈধ ভিওআইপি কার্যক্রম কোনোভাবেই চলতে দেওয়া হবে না। বিটিআরসির উদ্যোগে এনটিএমসি ও র্যাবের সহযোগিতায় অভিযান চলছে ও চলবে। কোনো মোবাইল অপারেটর কিংবা তাদের পরিবেশকরাও যদি এ অপরাধের সঙ্গে যোগসাজস করে থাকে তাদেরও ছাড় দেওয়া হবে না।’
রবিবার গাজীপুরের টঙ্গিতে জব্দ করা ভিওআইপি কাজে ব্যবহৃত সাড়ে ১১ হাজার অবৈধ সিমসহ বিপুল যন্ত্রপাতি পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন তিনি।
৭ মাস আগে
স্মার্ট ডাক সেবার যুগে ভাসানচর
নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার দূর্গম উপকূলীয় অঞ্চল ভাসানচরকে স্মার্ট ডাকসেবার আওতায় আনা হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে ১৩ হাজার একরের ভূখণ্ডটি ডাক সেবার আওতাভুক্ত হলো।
রবিবার ভাসানচর সাব পোস্ট অফিস উদ্বোধন করেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
এর আগে গত ১ মার্চ প্রতিমন্ত্রী ভাসানচর সফরকালে সেখানে কর্মরত সরকারি ও বেসরকারি সংস্থায় কর্মচারী–কর্মকর্তা ও স্থানীয় জনগণের স্মার্ট ডাক ও কুরিয়ার সেবার প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি বিবেচনা করে একটি সাব পোস্ট অফিস প্রতিষ্ঠার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন। এরই ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে ১৭ মার্চ থেকে ভাসানচরে আনুষ্ঠানিকভাবে স্মার্ট ডাক সেবার যাত্রা শুরু হয়।
আরও পড়ুন: ইন্টারনেটের ঝুলন্ত তার মাটির তলদেশে নিতে আইএসপি উদ্যোক্তাদের প্রতি পলকের আহ্বান
এ উপলক্ষে স্মার্ট প্লাটফর্মে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘ভাসানচরের মানুষের স্মার্ট নাগরিক জীবনযাপন নিশ্চিত করতে টেলিটক ও অপর তিনটি মোবাইল অপারেটর এবং বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট -১ এর মাধ্যমে আধুনিক টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট সেবা নিশ্চিত করার পাশাপাশি স্মার্ট ডাক সেবা চালু করার মাধ্যমে চরবাসীর জন্য ডিজিটাল বৈষম্য দূর করতে পেরেছি বলে আমার বিশ্বাস।’
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ডাকঘরের বিস্তীর্ণ নেটওয়ার্ক, বিশাল অবকাঠামো ও জনবল ব্যবহার করে প্রত্যন্ত এলাকাসহ দেশের প্রতিটি মানুষের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দেওয়া আমাদের লক্ষ্য।
অনুষ্ঠানে ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক তরুণ কান্তি সিকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে পূর্বাঞ্চল. চট্রগ্রামের পোস্ট মাস্টার জেনারেল সালেহ আহমেদ, শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনের অতিরিক্ত কমিশনার মাহফুজার রহমান এবং সম্মুখ ঘাঁটি ভাসানচরের নির্বাহী কর্মকর্তা লে. কমান্ডার মেহেদী হাসান বক্তৃতা করেন।
আরও পড়ুন: ‘জীবন’ হবে বিটিসিএলের লাইফ লাইন: পলক
৮ মাস আগে
কলিং অ্যাপ ‘আলাপ’কে জনপ্রিয় করে তুলতে টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রীর নির্দেশ
বিটিসিএলের কলিং সেবা অ্যাপ ‘আলাপ’কে গ্রাহকদের কাছে জনপ্রিয় করে তুলতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
এক সঙ্গে ২০ লাখ গ্রাহক যাতে একসঙ্গে ভিডিও কল করতে পারে এবং আইডি ছাড়াই মোবাইল নম্বরের মাধ্যমে হোয়াটস অ্যাপের মতো সহজে ব্যবহার করা যায় সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে বলেন তিনি।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সচিবালয়ের ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সম্মেলনকক্ষে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি পর্যালোচনা সভায় এই নির্দেশনা দেন প্রতিমন্ত্রী।
অ্যাপটি ডাউনলোড করার উপযোগী করা এবং বিদ্যমান ল্যান্ড ফোনের নম্বর হিসেবে অ্যাপটিতে ইনকামিং ও আউটগোয়িং কল করা ও কল গ্রহণের সুবিধা নিশ্চিত করতে বলেন পলক।
এছাড়াও চলতি অর্থবছরে এডিপি বাস্তবায়নের অগ্রগতিতে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগকে জাতীয় অগ্রগতির ক্রম তালিকায় সর্বোচ্চ স্থান অর্জনের করণীয় বিষয়ে পরামর্শ দেন তিনি।
সভায় টেলিযোগাযোগ বিভাগের চলতি অর্থবছরে গৃহীত প্রকল্পসমূহের বাস্তবায়ন অগ্রগতি তুলে ধরা হয়।
বৈঠকে বিটিসিএল, টেশিসসহ ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের বিভিন্ন সংস্থার অব্যবহৃত সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন প্রতিমন্ত্রী।
পলক বলেন, সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানগুলোর আয় বৃদ্ধি করার সুযোগ রয়েছে।
৮ মাস আগে