শনিবার বিকালে শাহবাগের কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরিতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উৎসবের উদ্বোধন করেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
চিলড্রেন’স ফিল্ম সোসাইটি বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও স্বনামধন্য চলচ্চিত্র নির্মাতা মোরশেদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ।
আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ঢাকায় সাত দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হবে এই উৎসব।
আরও পড়ুন: অনলাইনে শুরু হতে যাচ্ছে ধারাবাহিক চলচ্চিত্র প্রদর্শনী
বিকৃত ইতিহাস মোকাবিলায় মুক্তিযুদ্ধের ওপর মানসম্পন্ন চলচ্চিত্র নির্মাণ করুন: প্রধানমন্ত্রী
এবারের উৎসবে ঢাকার মোট তিন ভেন্যুতে ৩৭ দেশের ১৭৯টি শিশুতোষ চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পরদিন থেকে শাহবাগের কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরির শওকত ওসমান মিলনায়তনে ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এবং জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তন ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে ৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বেলা ১১টা, দুপুর ২টা, বিকাল ৪টা ও সন্ধ্যা ৬টায় মোট চারবার চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে।
প্রতিটি প্রদর্শনীতে একাধিক শিশুতোষ চলচ্চিত্র দেখানো হবে। উৎসবের সকল প্রদর্শনী অভিভাবক, শিশু-কিশোরসহ সবার জন্য উন্মুক্ত। সিনেমা দেখার জন্য কোনো ধরনের প্রবেশমূল্য না থাকলেও এ বছর মাস্ক পরিধানকে চলচ্চিত্র উৎসবের টিকিট হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। পুরো উৎসবটি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় প্রদত্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরিচালনা করা হবে।
উৎসবের অন্যতম আকর্ষণীয় বিভাগ হিসেবে থাকছে বাংলাদেশি শিশুদের নির্মিত প্রতিযোগিতা বিভাগ। এই বিভাগে ৬১টি চলচ্চিত্রের মধ্যে নির্বাচিত ১৯টি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে এবং তার মধ্যে পাঁচটি পুরস্কার পাবে। পুরস্কারের জন্য গঠিত পাঁচ সদস্যের জুরি বোর্ডের সবাই শিশু-কিশোর। অর্থাৎ ছোটদের নির্মিত শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রগুলো বাছাই করবে ছোটরাই।
‘ইয়ং বাংলাদেশি ট্যালেন্ট’ শীর্ষক বিভাগে ১৯ থেকে ২৫ বছর বয়সী তরুণ নির্মাতারা অংশ নিয়েছেন। আর মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে রয়েছে ‘মুক্তির চলচ্চিত্র’ শিরোনামে বিশেষ আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র প্রদর্শনী বিভাগ।
আরও পড়ুন: জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার বিতরণ করলেন প্রধানমন্ত্রী
ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব শুরু
কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে ‘নোনা জলের কাব্য’র নেটপ্যাক অ্যাওয়ার্ড জয়
একই সাথে রয়েছে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা বিভাগ, এ বিভাগে জমা পড়েছিল ৮১ দেশের ১১১৬টি চলচ্চিত্র, যার মধ্যে উৎসব কমিটির দ্বারা প্রদর্শনী ও প্রতিযোগিতার জন্য নির্বাচিত হয়েছে বাংলাদেশসহ অন্যান্য ৩৭ দেশের মোট ১১৬টি চলচ্চিত্র।
গত বছরের ধারাবাহিকতায় এবারও বিভিন্ন দেশের শিশুদের বানানো চলচ্চিত্র নিয়ে থাকছে প্রতিযোগিতা বিভাগ, যেখান থেকে একটি চলচ্চিত্রকে পুরস্কার দেয়া হবে।
বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে নতুন একটি সামাজিক চলচ্চিত্র প্রতিযোগিতা বিভাগ রাখা হয়েছে ‘নিউ নরমাল’ শিরোনামে।
উৎসবে প্রতিনিধিদের জন্য বিভিন্ন কর্মশালা ও সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছে। এবার মোট চারটি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হবে। ডিরেকশন ও সিনেমাটোগ্রাফির ওপর কর্মশালা নেবেন অমিতাভ রেজা চৌধুরী ও তাহসিন রহমান, স্ক্রিপ্টরাইটিংয়ের ওপর কর্মশালা নেবেন সাদিয়া খালিদ রীতি, প্রোডাকশন ডিজাইনের ওপর কর্মশালা নেবেন রঞ্জন রাব্বানী এবং ফেস্টিভ্যাল সার্কিট সম্পর্কে কর্মশালা নেবেন আবু শাহেদ ইমন।