কুড়িগ্রামে চলমান তাপপ্রবাহে পোল্ট্রি খামার শিল্পে চরম সংকট দেখা দিয়েছে। প্রতিদিনই হিটস্ট্রোকে ব্রয়লার মুরগি মারা যাচ্ছে এবং খামারিরা লোকসান মেটাতে হিমশিম খাচ্ছেন।
তারা দাবি করছে, বৈদ্যুতিক পাখা দিয়ে উচ্চ তাপমাত্রা জনিত পরিস্থিতি মোকাবিলার সর্বোত্তম প্রচেষ্টা সত্ত্বেও, অবিরাম বিদ্যুৎ বিভ্রাট তাদের অকেজো করে দিয়েছে।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার বেলগাছা ইউনিয়নের একটি খামারে গত চার দিনে হিটস্ট্রোকে অন্তত ৩০টি মুরগির মৃত্যু হয়েছে।
খামারি শাহিনুর রহমান বর্তমানে এক হাজার ব্রয়লার মুরগি পালন করছেন এবং এক সপ্তাহের মধ্যে বাজারজাত করার কথা রয়েছে। তবে প্রতিদিন মুরগি মারা যাওয়ায় ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন তিনি।
অন্যান্য কৃষকদের কাছ থেকেও একই রকম খবর এসেছে। সদরের হরিশ্বর কালোয়া গ্রামের খামারি মেহেদী হাসান জানান, গত দুই দিনে তার খামারে হিট স্ট্রোকে ১৫টি মুরগি মারা গেছে।
তিনি বলেন, লোডশেডিংয়ের কারণে ফ্যানগুলো কাজ করছে না, মুরগি সংরক্ষণ করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
খামারিরা বলছেন, শুধু হিটস্ট্রোকই নয়, গরমের কারণে ব্রয়লার মুরগির ডায়রিয়া হয়েছে এবং তাদের মৃত্যু হচ্ছে।
ওষুধ দিলেও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানান তারা।
হিটস্ট্রোক প্রতিরোধে খামারের ছাদ ভেজাতে কৃষকদের পরামর্শ দিয়েছে প্রাণিসম্পদ বিভাগ।
তবে গ্রীষ্মে হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়লেও কৃষকরা এখনো এ ধরনের সমস্যার বিষয়ে অধিদপ্তরের দ্বারস্থ হননি। কীভাবে হিটস্ট্রোক এড়ানো যায় সে বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে বিভাগটি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি প্রচারণা চালাচ্ছে।
জেলা প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলার ৯টি উপজেলায় ১,৪৩২টি লেয়ার, ব্রয়লার ও সোনালী মুরগির খামার রয়েছে, যার মধ্যে ১৭৪টি নিবন্ধিত ব্রয়লার মুরগির খামার এবং এক হাজার ১৯টি অনিবন্ধিত খামার রয়েছে।