আমলাদের সন্তানের জন্য আলাদা বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের চিন্তা সরকার করছে না বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
রবিবার সচিবালয়ে ইউএনবির সাথে আলাপকালে এ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
গত ৩ মার্চ শুরু হওয়া জেলা প্রশাসক সম্মেলনে ডিসিরা আমলাদের সন্তানদের জন্য আলাদা বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের প্রস্তাব দেন। এটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচন নিয়ে একজন ডিসি এ কথা বলতে পারেন না: ফরহাদ হোসেন
আমলাদের সন্তানের জন্য আলাদা বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের যে আলোচনা চলছে, এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে জনপ্রশাসনমন্ত্রী বলেন, ‘আমার যতদূর মনে পড়ে ওখানে (ডিসি সম্মলনে) অনেকগুলো বিষয় এসেছিল। প্রধানমন্ত্রীর সামনে যখন ডিসি মহোদয়রা আসেন, তখন তারা দেশের নির্বাহী প্রধানদের সঙ্গে কথা বলার সুযোগটা পান। এটা তাদের জন্য একটা বড় সুযোগ। অনেক বিষয় সেখানে আসে; অনেক চাওয়া, পাওয়া ও প্রত্যাশার বিষয় উঠে আসে। সেখানে বিভিন্নজন বিভিন্ন রকম প্রশ্ন করেছেন, অনেক বিষয়ে জানতে চেয়েছেন। ডিসিরাও তাদের বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরেছেন।’
তিনি বলেন, ‘স্পেশাল কারো জন্য একটা ইউনিভার্সিটি..। হ্যাঁ, আর্মিরা ইউনিভার্সিটি পরিচালনা করছে বা অন্যরা করছেন, সেটি বিবেচনায় রেখে তারা হয়তো বলেছেন। তবে আপাতত আমাদের আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ আছে, সেগুলো আমরা করছি।’
ফারহাদ হোসেন বলেন, ‘আমরা সব প্রস্তাবকেই স্বাগত জানাই। তারা প্রস্তাব দিয়েছেন, যখন সময়-সুযোগ হবে, তখন এটি বিবেচনা করা হবে। আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রয়েছে যেগুলো আমাদের করতে হবে। এই মুহূর্তে এটা নিয়ে আমরা চিন্তা করছি না।’
মন্ত্রী বলেন, ‘ভবিষ্যতে যদি এমন একটা ইউনিভার্সিটি হয় সেটা সবার জন্য হবে। শুধু সরকারি কর্মচারীদের জন্য আলাদাভাবে এই কনসেপ্টটা আমরা নিতে পারছি না। যখন ইউনিভার্সিটি হবে, সেটি সকলের ইউনিভার্সিটি হবে; সেখানে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে একজন শিক্ষার্থীকে পড়াশোনার সুযোগ নিতে হবে- আমরা বিষয়টাকে এভাবেই দেখি।’
তিনি আরও বলেন, ‘সরকারি কর্মচারীদের জন্য সরকারি কর্মচারী হাসপাতাল রয়েছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে বিশ্বজনীন, ইউনিভার্সাল থেকে ইউনিভার্সিটি। ইউনিভার্সিটি হচ্ছে মুক্ত একটা জায়গা যেখানে মানুষ জ্ঞান অর্জন করবে, মুক্ত চিন্তাভাবনা করবে। মনের বিকাশটা এখানে এসে ঘটবে, সক্ষম নাগরিক হিসেবে তৈরি হবে- সেই রকম একটা জায়গা হল ইউনিভার্সিটি। সব ধরনের মানুষ এখানে থাকতে হবে। মেধাবীদের জায়গা হচ্ছে ইউনিভার্সিটি।’