বাগেরহাটে পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে পশুর হাটগুলো জমে উঠেছে। প্রতিটি হাটে ক্রেতা-বিক্রেতাদের ভিড় থাকলেও বিক্রি কম। দাম নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে রয়েছে মিশ্র প্রত্রিক্রিয়া।
ক্রেতারা বলছেন, গেল বছরের থেকে প্রতিটি গরুর দাম বৃদ্ধি পেয়েছে ১০ থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত।
খামারি ও বিক্রেতারা বলছেন, গোখাদ্যের দাম বেশি থাকায় অতিরিক্ত দামে গরু বিক্রি করতে হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে বেশি দামে ক্রয় করার পরেও ক্ষতি হচ্ছে বলে দাবি খামারিদের।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) বিকালে জেলার রামপাল উপজেলার ফয়লাহাট পশুর হাটে শতাধিক গরু ও ক্রেতা-বিক্রেতাদের ভিড় দেখা যায়। তবে বিক্রি ছিল অপেক্ষাকৃত কম। ক্রেতারা অপেক্ষা করছেন শেষ সময়ের জন্য।
দিগরাজ থেকে আসা মোহাম্মাদ মল্লিক বলেন, ‘গরু ক্রয় করতে এসেছি। কিন্তু দাম ও পছন্দের সঙ্গে মিলছে না। আরও ২-৩ দিন রয়েছে, দেখি পছন্দ করে একটি কিনে নেব।’
চাকশ্রী এলাকা থেকে আসা রশীদ ফকির বলেন, ‘অনেক গরু এসেছে। দেখছি, পছন্দ হলে কিনব।’
গরু কিনে নিয়ে যাওয়ার সময় মহিবুল হক নামের এক ব্যক্তি বলেন, ২ লাখ ২০ হাজার টাকা দিয়ে লাল রংয়ের একটি বড় গরু কিনলাম। কিন্তু মনে হচ্ছে, গেল বারের থেকে দাম অনেক বেশি।
আরও পড়ুন: হাটের বর্জ্য ও কোরবানি পশুর বর্জ্য পৃথক ব্যবস্থাপনায় সরানো হবে: মেয়র তাপস