তবে মিসাইলগুলো কী ধরণের- তা শনাক্ত করা যায়নি বলে জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। খবর বিবিসি বাংলা’র।
এক বিবৃতিতে বলা হয়, দক্ষিণ হুয়াংহে অঞ্চল থেকে উপদ্বীপ পার করে পূর্বে সমুদ্রের দিকে উৎক্ষেপণ করা হয় মিসাইলগুলো।
যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, তারা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে এবং জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে আলোচনা করছে।
উত্তর কোরিয়ার পক্ষ থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে সোমবার শুরু হওয়া যুক্তরাষ্ট্র-দক্ষিণ কোরিয়া যৌথ সামরিক মহড়ার বিষয়ে উষ্মা প্রকাশ করা হয়।
মূল মহড়া ১১ই অগাস্ট থেকে শুরু হওয়ার কথা থাকলেও আপাতত ছোট পরিসরে মহড়া চলছে।
উত্তর কোরিয়া এর আগে দাবি করেছে যে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জে-ইনের মধ্যে হওয়া সমঝোতার লঙ্ঘন করে এই সামরিক মহড়া।
মঙ্গলবার প্রকাশিত হওয়া এক বিবৃতিতে উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে অভিযোগ করা হয়েছে যে, যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে 'কূটকৌশলের মাধ্যমে' দু'দেশের সামরিক মহড়াকে গ্রহণযোগ্যতা দেয়ার চেষ্টা করছে।
যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে সম্প্রতি হয়ে যাওয়া আলোচনার সমঝোতার 'সরাসরি অস্বীকৃতি এবং ঘোরতর লঙ্ঘন' হিসেবে আখ্যা দিয়ে এই সামরিক মহড়ার সমালোচনা করা হয় বিবৃতিতে।
বিবৃতিতে সতর্কবার্তা দিয়ে বলা হয়, ‘আমরা এরই মধ্যে একাধিকবার সতর্ক করেছি যে, উত্তর কোরিয়া-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে যৌথ সামরিক মহড়া দুই কোরিয়ার মধ্যে সম্পর্কে অবনতি ঘটাবে। এর ফলে আগে আমরা যেসব বড় পদক্ষেপ নিয়েছি, সেগুলোও পুনর্বিবেচনা করার মত পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।’
পিয়ংইয়ংয়ের পরমাণু অস্ত্র তৈরি এবং একের পর এক মিসাইল পরীক্ষার কারণে যুক্তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক পক্ষগুলোর কাছ থেকে বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা রয়েছে উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে।