ক্ষেপণাস্ত্র
উত্তর কোরিয়ার হাইপারসনিক মিসাইল বিস্ফোরণের সন্দেহ দক্ষিণ কোরিয়ার
দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ত্রিদেশীয় সামরিক মহড়া প্রস্তুতির আগে উত্তর কোরিয়ায় একটি হাইপারসনিক মিসাইল বিস্ফোরিত হয়েছে বলে সন্দেহ প্রকাশ করেছে দক্ষিণ কোরিয়া।
বুধবার (২৬ জুন) মিসাইলটি উৎক্ষেপণের সময় বিস্ফোরিত হয় বলে জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী।
দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেছেন, বুধবার স্থানীয় সময় ভোর সাড়ে ৫টার দিকে উত্তর কোরিয়ার রাজধানী এলাকা থেকে একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করা হয়। মিসাইলটি উত্তর-পূর্ব জলসীমার দিকে নিক্ষেপ করা হয়েছিল, তবে উৎক্ষেপণের পরপরই তা বিস্ফোরিত হয়।
তিনি বলেন, ক্ষেপণাস্ত্রটি উত্তর-পূর্ব উপকূলীয় ওনসান শহরের পানির ওপর দিয়ে উড়ে যাওয়ার সময় বিস্ফোরিত হয়। উৎক্ষেপণের স্থান থেকে ২৫০ কিলোমিটার দূরে সমুদ্রের পানিতে ক্ষেপণাস্ত্রের টুকরোগুলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল।
তবে তাৎক্ষণিকভাবে এ ঘটনায় কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর দিতে পারেননি তিনি।
আরও পড়ুন: ফের ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়ে বিরোধীদের উদ্দেশে হুঁশিয়ারি উ. কোরিয়ার
তার সন্দেহ, ক্ষেপণাস্ত্রটি একটি পূর্ণ-জ্বালানির হাইপারসনিক মিসাইল। ইঞ্জিনের ত্রুটির কারণেই সেটি সাধারণ উৎক্ষেপণের চেয়ে বেশি পরিমাণে ধোঁয়া ছড়ায়।
এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ইন্দো-প্যাসিফিক কমান্ড বলেছে, মার্কিন অঞ্চল বা তার মিত্রদের জন্য তাৎক্ষণিকভাবে হুমকি সৃষ্টি না করলেও উত্তর কোরিয়ার এমন কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানায় যুক্তরাষ্ট্র।
দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের প্রতিরক্ষায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতি অটল বলেও এসময় জানানো হয়।
বুধবার উত্তর কোরিয়ার এই ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ও শনাক্ত করেছে বলে জানিয়েছে।
৪ মাস আগে
সিরিয়ার আলেপ্পো বিমানবন্দরে ফের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল
সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশ আলেপ্পোর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর শনিবার (১৪ অক্টোবর) রাতে ফের ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় আঘাত হেনেছে। যার ফলে সম্প্রতি মেরামত করা রানওয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় টিভি সানা এ তথ্য জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাজধানী দামেস্ক ও আলেপ্পোর বিমানবন্দরে ইসরায়েলি হামলার তিন দিনের মধ্যে আলেপ্পো বিমানবন্দরে এটি দ্বিতীয় আঘাত।
সিরিয়ার সিভিল এভিয়েশনের প্রধান বাসেম মনসুরের মতে, হামলার কারণে সাময়িকভাবে বিমানবন্দরের কার্যক্রম বন্ধ গয়ে গেছে। কারণ এতে আবার রানওয়ের ক্ষতি হয়েছে।
আগের হামলার ক্ষতি মেরামত করার পর শনিবার থেকে বিমানবন্দরটি পুনরায় পরিষেবা শুরু করেছিল।
ইসরায়েল ও হামাস মারাত্মক সংঘাতে লিপ্ত হওয়ায় এই অঞ্চলে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে বারবার হামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: গাজায় ‘আকাশ, সমুদ্র ও স্থল’ হামলার প্রস্তুতি চলছে: ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী
ইসরায়েল সফরে সাহায্য বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর
গাজার বাসিন্দাদের স্থানান্তর অত্যন্ত বিপজ্জনক: জাতিসংঘ মহাসচিব
১ বছর আগে
দক্ষিণ লেবাননের গ্রামগুলোর উদ্দেশে ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়েছে ইসরায়েল
লেবাননের দক্ষিণের গ্রাম নাকোরা এবং আশেপাশের এলাকায় দুটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) সকালে দেশটির জাতীয় সংবাদ সংস্থা (এনএনএ) এ তথ্য জানিয়েছে।
এনএনএ আরও জানিয়েছে, ব্লু লাইন সংলগ্ন লেবাননের গ্রামগুলোতে ইসরায়েল রাতে বোমা নিক্ষেপ করেছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর রিকনেসান্স বিমান ব্লু লাইনসংলগ্ন গ্রামগুলোর উপর দিয়ে চক্কর দিয়েছে।
সংস্থাটি উল্লেখ করেছে, ব্লু লাইনের কাছাকাছি বেশিরভাগ বাসিন্দারা নিরাপদ এলাকায় সরে গেছে। একই সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রীর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সরকারি-বেসরকারি স্কুলগুলো বন্ধ রাখা হয়েছে।
২০০০ সালে জাতিসংঘের প্রতিষ্ঠিত ব্লু লাইন ১২০ কিলোমিটার বিস্তৃত এবং লেবাননের দক্ষিণাঞ্চল থেকে ইসরায়েলি বাহিনী প্রত্যাহার করে। আনুষ্ঠানিকভাবে দুই দেশের স্থল সীমানা প্রতিষ্ঠা না করা পর্যন্ত এটি তাদের একটি অস্থায়ী সীমারেখা এটি।
আরও পড়ুন: ইসরায়েলি বিমান হামলায় ১৩ জিম্মি নিহত: আল-কাসাম ব্রিগেড
গত ৭ অক্টোবর হামাসের নেতৃত্বে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে একটি বড় আকারের আক্রমণ শুরু করেছিল। হামাস একে অপারেশন ‘আল-আকসা ফ্লাড’ নামে অভিহিত করেছিল।
এরপর ৮ অক্টোবর হিজবুল্লাহ হামাসের হামলার সমর্থনে শেবা ফার্মের সামরিক সাইটগুলোর দিকে দশটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের পরে লেবানিজ-ইসরায়েল সীমান্তের পরিস্থিতি দ্রুত উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
ওইদিনই ইসরায়েলি বাহিনী দক্ষিণ-পূর্ব লেবাননের বেশ কয়েকটি এলাকা লক্ষ্য করে ভারী কামান নিক্ষেপ করে জবাব দেয়।
বৃহস্পতিবার লেবানিজ কর্মকর্তারা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন এবং লেবানিজ-ইসরায়েল সীমান্তে ইসরায়েলের উস্কানি বন্ধ করতে চাপ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: সিরিয়ার বিমানবন্দরে ইসরায়েলি হামলা ‘অত্যন্ত উদ্বেগজনক’: জাতিসংঘের মুখপাত্র
গাজার উত্তরাঞ্চলের ১ মিলিয়ন মানুষকে সরে যাওয়ার নির্দেশ ইসরায়েলের
১ বছর আগে
ফের ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়ে বিরোধীদের উদ্দেশে হুঁশিয়ারি উ. কোরিয়ার
পূর্বদিকের জলসীমা অভিমুখে ফের একটি দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়েছে উত্তর কোরিয়া। বুধবার দেশটির প্রতিবেশি দক্ষিণ কোরিয়া এ তথ্য জানায়।
এর আগে গত দুদিন আগে উত্তর কোরিয়া এক হুঁশিয়ারি দিয়ে জানায়, তার দেশের সীমান্তের কাছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উসকানিমূলক গোয়েন্দা কর্মকাণ্ডের জন্য ‘চরম’ মূল্য দিতে হবে।
দ.কোরিয়ার জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ এক বিবৃতিতে বলেছে, আজ সকাল ১০টায় সামরিক বাহিনী উত্তরের রাজধানী অঞ্চল থেকে একটি দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ শনাক্ত করেছে।
তিনি আরও বলেন, মার্কিন বাহিনীর সঙ্গে মিলে দ. কোরিয়ার সামরিক বাহিনী নজরদারি বাড়িয়েছে এবং যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় তারা তৎপর রয়েছে।
জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইয়াসুকাজু হামাদা সাংবাদিকদের বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্রটি অনেক উঁচু দিয়ে কোণ বরাবর জাপান সাগরে ছোঁড়া হয়েছে। দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের সময় প্রতিবেশী দেশগুলোকে এড়াতে উ. কোরিয়া এই কৌশল ব্যবহার করে।
হামাদা বলেন, ক্ষেপণাস্ত্রটি জাপানের একচ্ছত্র অর্থনৈতিক অঞ্চলের বাইরে কোরিয়ান উপদ্বীপের উপকূলের প্রায় ৫৫০ কিলোমিটার পূর্বে সমুদ্রে পড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
২০১৭ সাল থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডকে লক্ষ্য করে উ. কোরিয়া দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি চালাচ্ছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শহরগুলোতে আঘাত হানতে সক্ষম পারমাণবিক অস্ত্র উদ্ভাবনের অংশ হিসেবে বেশ কয়েকটি আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে উত্তর কোরিয়া।
আরও পড়ুন: আবারও ব্যালিস্টিক মিসাইল নিক্ষেপ করল উত্তর কোরিয়া
বুধবারের উৎক্ষেপণের আগে, গত এপ্রিল মাসে উত্তর কোরিয়া তার সর্বশেষ দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছিল।
চলতি সপ্তাহের শুরুতে তাদের ব্যাপারে গুপ্তচরবৃত্তি করতে একটি মার্কিন সামরিক বিমান উড়ানোর অভিযোগে একাধিক বিবৃতি দেয় উ. কোরিয়া।
এর প্রায় একমাস পর বুধবার দুরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রটি নিক্ষেপ করে উ. কোরিয়া।
যদিও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া বরাবরই উত্তরের এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে এবং সংঘাত সৃষ্টি করে এমন কোনো কাজ বা বাগাড়ম্বর থেকে উ. কোরিয়াকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে।
গত সোমবার রাতে এক বিবৃতিতে উ. কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উনের বোন কিম ইয়ো জং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করেছিলেন।
এসময় তিনি দাবি করেছিলেন, মার্কিন গুপ্তচর বিমানটি উত্তর কোরিয়ার পূর্বাঞ্চলে আটবার প্রদক্ষিণ করেছে।
মঙ্গলবার আরেক বিবৃতিতে কিম ইয়ো জং বলেছেন, মার্কিন সামরিক বাহিনী যদি তার দেশের আকাশপথে অবৈধ গুপ্তচরবৃত্তি কার্যক্রম চালিয়ে যায়, তবে তারা ‘চরম ফল’ ভোগ করবে।
এছাড়াও উ. কোরিয়ার সামরিক বাহিনীও মার্কিন গুপ্তচর বিমানগুলোকে গুলি করে ভূপাতিত করার হুমকি দিয়েছে।
আরও পড়ুন: উত্তর কোরিয়ার দূরপাল্লার মিসাইল পরীক্ষা
করোনাভাইরাস: উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ, সমালোচনায় দ. কোরিয়া
১ বছর আগে
উ.কোরিয়া ফের সমুদ্রের দিকে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে: দ. কোরিয়া
দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়ার রাজধানী পিয়ংইয়ং থেকে শনিবার ফের সমুদ্রের দিকে একটি সন্দেহভাজন দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। দ.কোরিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ সামরিক মহড়ার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার হুমকি দেয়ার একদিন পরেই উ.কোরিয়া এই ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে।
সিউলের জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ জানিয়েছেন, এদিন বিকাল ৫টা ২২ মিনিটে পিয়ংইয়ং এর সুনান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকা থেকে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রটি নিক্ষেপ করা হয়েছিল। তবে অস্ত্রটি কোথায় পড়েছে তা তাৎক্ষণিকভাবে বলা হয়নি।
উ.কোরিয়ার ক্রমবর্ধমান হুমকির বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া হিসেবে দ.কোরিয়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মিলে একাধিক পরিকল্পিত সামরিক মহড়া ঘোষণা করে।
এরপর উ.কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শুক্রবার তার প্রতিদ্বন্দ্বীদের বিরুদ্ধে ‘অভূতপূর্ব’ শক্তিশালী পদক্ষেপের হুমকি দিয়েছে।
উ.কোরিয়া চলতি বছরের ১ জানুয়ারি পরীক্ষামূলকভাবে প্রথম একটি স্বল্প-পাল্লার অস্ত্রের পরীক্ষা চালায়। এবছর উত্তর কোরিয়া ৭০টিরও বেশি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে অস্ত্র প্রদর্শনে রেকর্ড করেছে। যার মধ্যে মার্কিন মূল ভূখণ্ডে পৌঁছানোর সম্ভাব্য সক্ষমতাসহ আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রও রয়েছে।
উ.কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষাগুলো মূলত দ.কোরিয়া বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে পারমাণবিক হামলার হুমকি।
আরও পড়ুন: আবারও ব্যালিস্টিক মিসাইল নিক্ষেপ করল উত্তর কোরিয়া
উ.কোরিয়ার নেতা কিম জং উন ২০২৩ সালে তার পরমাণু কর্মকাণ্ড দ্বিগুণ বাড়িয়ে দিয়েছেন।
তিনি দেশটির পারমাণবিক ওয়ারহেডগুলো ‘উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি’ ও ‘শত্রু’ দ.কোরিয়াকে লক্ষ্য করে যুদ্ধক্ষেত্রের কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যাপক উৎপাদন এবং আরও উন্নত আইসিবিএমগুলো বিকাশের আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি গত সপ্তাহে রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ে একটি বিশাল সামরিক কুচকাওয়াজের সময় এক ডজনেরও বেশি আইসিবিএম প্রদর্শন করেন।
সীমিত সম্পদ থাকা সত্ত্বেও বিপুল সংখ্যক ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে কিম তার দেশের সামরিক সক্ষমতা সম্প্রসারণের ধারাবাহিকতার ওপর জোর দিয়ে আসছেন।
অন্যদিকে, ওয়াশিংটনের সঙ্গে আলোচনায় অচলাবস্থা বজায় রয়েছে।
শুক্রবার উ.কোরিয়া এক বিবৃতিতে এই বছর ওয়াশিংটন ও সিউলকে ২০ রাউন্ডের বেশি সামরিক মহড়ার পরিকল্পনা করার জন্য অভিযুক্ত করেছে। যার মধ্যে বড় আকারের মহড়াও রয়েছে এবং তার প্রতিদ্বন্দ্বীরা আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতাকে ইচ্ছাকৃতভাবে ব্যাহত করছে’ বলে বর্ণনা করেছে।
দ.কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের আইনপ্রণেতা কর্মকর্তারা বলেছিলেন যে সিউল ও ওয়াশিংটন মার্চের মাঝামাঝি সময়ে একটি বার্ষিক কম্পিউটার-সিমুলেটেড সম্মিলিত প্রশিক্ষণের আয়োজন করবে।
দ.কোরিয়ার জাতীয় প্রতিরক্ষা নীতির উপমন্ত্রী হিও তাই-কেউনের মতে, ১১ দিনের প্রশিক্ষণ উ. কোরিয়ার পারমাণবিক হুমকির পাশাপাশি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধসহ বিভিন্ন অনির্দিষ্ট লক্ষ্য প্রতিফলিত করবে।
হিও বলেন, দুই দেশ মার্চের মাঝামাঝি সময়ে যৌথ মহড়াও পরিচালনা করবে, যা বিগত কয়েক বছরে অনুষ্ঠিত হওয়া মহড়ার তুলনায় বড় হবে।
আরও পড়ুন: উত্তর কোরিয়ার দূরপাল্লার মিসাইল পরীক্ষা
শিগগিরই নতুন ‘কৌশলগত অস্ত্র’ প্রদর্শন করবে উত্তর কোরিয়া: কিম
১ বছর আগে
ড্রোন নিয়ে উত্তেজনার মধ্যেই ফের ৩টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ উ. কোরিয়ার
উ.কোরিয়া তার সামরিক সক্ষমতা প্রদর্শনে শনিবার ফের তার পূর্ব জলসীমার দিকে তিনটি স্বল্প-পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। প্রতিদ্বন্দ্বী দ. কোরিয়া উত্তরের দিকে নজরদারি বাড়ানোর অংশ হিসেবে একটি রকেট নিক্ষেপ করার একদিন পরেই উ. কোরিয়া এই ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করলো।
প্রতিদ্বন্দ্বী দুই কোরিয়ার মধ্যে উত্তেজনা এই সপ্তাহের শুরুতে বেড়েছে। কেননা চলতি সপ্তাহে দ. কোরিয়া পাঁচ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো উ. কোরিয়ার বিরুদ্ধে বিরোধপূর্ণ সীমান্ত জুড়ে পাঁচটি ড্রোন উড়ানোর অভিযোগ করে এবং উত্তরের দিকে নিজস্ব ড্রোন পাঠিয়ে প্রতিক্রিয়া জানায়।
দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ এক বিবৃতিতে বলেছে, তারা শনিবার সকালে উ. কোরিয়ার রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ের দক্ষিণে একটি অন্তর্দেশীয় এলাকা থেকে তিনটি ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ শনাক্ত করেছে।
এতে বলা হয়েছে, তিনটি ক্ষেপণাস্ত্র কোরীয় উপদ্বীপ ও জাপানের মধ্যবর্তী জলসীমায় অবতরণ করার আগে প্রায় ৩৫০ কিলোমিটার (২২০ মাইল) ভ্রমণ করেছে। আনুমানিক পরিসীমা দেখে বোঝা যায় যে দক্ষিণ কোরিয়াকে লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: উ. কোরিয়ার ড্রোন সীমান্ত অতিক্রমের পর দ. কোরিয়ার সতর্কীকরণ গুলি
জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ এই উৎক্ষেপণকে ‘গুরুতর উস্কানি’ বলে অভিহিত করেছেন, যা আন্তর্জাতিক শান্তিকে ক্ষুণ্ন করে।
এতে বলা হয়েছে, দ. কোরিয়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমন্বয় করে উ. কোরিয়ার গতিবিধি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করে এবং উ. কোরিয়ার যেকোনো উসকানিকে ‘অপ্রতিরোধ্যভাবে’ প্রতিরোধ করার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।
ইউএস ইন্দো-প্যাসিফিক কমান্ড বলেছে, এইসব ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়ার মধ্য দিয়ে বেআইনিভাবে উ. কোরিয়ার অস্ত্র কর্মসূচির ‘অস্থিতিশীল প্রভাব’ ফুটে উঠেছে এবং এতে দ. কোরিয়া ও জাপানের নিরাপত্তা রক্ষায় মার্কিন প্রতিশ্রুতি ‘আরও দৃঢ় করেছে।’
এর আগে শনিবার জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ও উ. কোরিয়ার সন্দেহভাজন ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের কথা জানিয়েছে।
দ.কোরিয়া কর্তৃপক্ষ উ. কোরিয়ার ড্রোনগুলো শনাক্ত করারর পাঁচদিন পরেই এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো নিক্ষেপ করা হয়।
সোমবার দ.কোরিয়ার সামরিক বাহিনী বেশ কিছু যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টার পাঠায়, তবে তারা উ. কোরিয়ার কোনও ড্রোনকে গুলি করতে ব্যর্থ হয়।
এসময় উ. কোরিয়ার একটি ড্রোন উত্তর সিউল পর্যন্ত চলে আসে। এতে দ. কোরিয়ার জনগণের মধ্যে নিরাপত্তা শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছিল, যেজন্য মঙ্গলবার সামরিক বাহিনী জনসাধারণের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেছিল।
উ.কোরিয়ার উস্কানির বিরুদ্ধে উপযুক্ত জবাব দিতে দ.কোরিয়া সোমবার সীমান্তজুড়ে তিনটি নজরদারি ড্রোন উড়িয়েছে।
এছাড়া দ. কোরিয়া বৃহস্পতিবার ড্রোন ভূপাতিত করার অনুকরণে বড় আকারের সামরিক মহড়া করেছে।
দ. কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল তার দেশের বিমান প্রতিরক্ষা নেটওয়ার্ক বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন এবং উ. কোরিয়ার উস্কানিকে কঠোরভাবে মোকাবিলা করার অঙ্গীকার করেছেন।
আরও পড়ুন: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও দ. কোরিয়া মহড়ার পর ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ উ. কোরিয়ার
মে মাসে দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে ইউনের সরকার উ. কোরিয়ার ক্রমবর্ধমান পারমাণবিক হুমকির মুখে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নিয়মিত সামরিক মহড়া বৃদ্ধি করেছে।
উ.কোরিয়া তার প্রতিদ্বন্দ্বীদের মধ্যে এই ধরনের মহড়াকে আক্রমণের মহড়া বলে অভিহিত করেছে এবং যুক্তি দিয়েছে যে তার সাম্প্রতিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা প্রতিদ্বন্দ্বীদের কর্মকাণ্ডের পাল্টা প্রতিক্রিয়া।
তবে কিছু বিশেষজ্ঞ বলছেন, উ.কোরিয়া ব্যবহার করছে দ.কোরিয়া-ইউএস প্রশিক্ষণ ও অস্ত্রাগারের আধুনিকীকরণকে অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করছে। উ.কোরিয়া মূলত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভবিষ্যতের লেনদেনে এর পরিসর বাড়াতে চাইছে।
শনিবারের ঘটনার আগে চলতি বছর উ. কোরিয়া ইতোমধ্যে ৭০টিরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছে। তাদের মধ্যে অনেকগুলি ছিল পরমাণু-সক্ষম অস্ত্র, যা মার্কিন মূল ভূখণ্ড এবং তার মিত্র দ. কোরিয়া ও জাপানকে আক্রমণ করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছিল।
শুক্রবার দক্ষিণ কোরিয়া একটি সলিড-ফুয়েলড রকেট উৎক্ষেপণ করেছে। এটি আগামীতে দ. কোরিয়ার প্রথম গুপ্তচর উপগ্রহটিকে কক্ষপথে স্থাপনে ব্যবহার করার পরিকল্পনা রয়েছে।
২০২২ সালের মার্চ মাসে দ.কোরিয়া একটি সলিড-ফুয়েলড রকেটের প্রথম সফল উৎক্ষেপণ করে এবং দেশটির প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা বলেছিলেন যে শুক্রবারের উৎক্ষেপণটি আগের উৎক্ষেপণের ফলোআপ পরীক্ষা ছিল।
দ. কোরিয়ার বর্তমানে নিজস্ব কোনো সামরিক পর্যবেক্ষক উপগ্রহ নেই এবং তারা উ. কোরিয়ার কৌশলগত অবস্থান পর্যবেক্ষণের জন্য মার্কিন গুপ্তচর উপগ্রহের ওপর নির্ভর করে।
উ. কোরিয়াও তার প্রথম সামরিক নজরদারি উপগ্রহ অর্জনের জন্য জোর দিচ্ছে।
এই মাসের শুরুর দিকে উ. কোরিয়া বলেছিল যে এটি একটি ক্যামেরা এবং একটি গুপ্তচর উপগ্রহের জন্য প্রয়োজনীয় অন্যান্য সিস্টেমগুলো পরীক্ষা করার জন্য মহাকাশ উৎক্ষেপণের যান হিসেবে দুটি পুরানো ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে এবং পরে দ. কোরিয়ার শহরগুলো দেখানো কম-রেজোলিউশন স্যাটেলাইট ছবি প্রকাশ করেছে।
আরও পড়ুন: সিউলে হ্যালোইন উৎসবে পদদলিত হয়ে নিহত অন্তত ১৫১
১ বছর আগে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও দ. কোরিয়া মহড়ার পর ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ উ. কোরিয়ার
উত্তর কোরিয়া শুক্রবার তার পূর্ব জলসীমার দিকে দুটি স্বল্প-পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ যুদ্ধবিমান মহড়ার পর এটিই উ. কোরিয়ার সর্বশেষ শক্তি প্রদর্শন।
দ. কোরিয়ার সামরিক বাহিনী শুক্রবার বিকাল ৪টা ৩২ মিনিটে উত্তর কোরিয়ার রাজধানী থেকে দুটি ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ শনাক্ত করেছে।
উত্তর কোরিয়া এই বছর অনেক বেশি সংখ্যক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে। কিছু বিশেষজ্ঞ এটিকে ভবিষ্যতে নিষেধাজ্ঞা (উ. কোরিয়ার ওপর থেকে) তুলে নেয়ার জন্য তার প্রতিদ্বন্দ্বীদের চাপ দেয়ার জন্য তার অস্ত্রের সক্ষমতা বাড়ানোর প্রচেষ্টা বলে অভিহিত করেছেন।
সম্প্রতি উ. কোরিয়া তার প্রথম ‘গুপ্তচর উপগ্রহ’ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডে পৌঁছাতে সক্ষম আরও ভ্রম্যমাণ আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র অর্জনের জন্য প্রয়োজনীয় বড় পরীক্ষাগুলো করার দাবি করেছে।
শুক্রবার, জাপান বলেছে যে তারা উত্তর কোরিয়ার অন্তত একটি ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের বিষয়টি নিশ্চিত হতে পেরেছে।
আরও পড়ুন: উত্তর কোরিয়ার দূরপাল্লার মিসাইল পরীক্ষা
তবে উত্তর কোরিয়া ঠিক কী ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে তা তাৎক্ষণিকভাবে স্পষ্ট নয়।
দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী জানিয়েছে যে ক্ষেপণাস্ত্রগুলো কোরীয় উপদ্বীপ এবং জাপানের মধ্যবর্তী জলসীমায় পড়ার আগে যথাক্রমে প্রায় ২৫০ কিলোমিটার (১৫৫ মাইল) এবং ৩৫০ কিলোমিটার (২২০ মাইল) অতিক্রম করেছে।
জাপানের উপপ্রতিরক্ষা মন্ত্রী তোশিরো ইনো বলেছেন যে জাপানের শনাক্ত করা ক্ষেপণাস্ত্রটি সর্বোচ্চ ৫০ কিলোমিটার (৩০ মাইল) উচ্চতা দিয়ে ৩০০ কিলোমিটার (180 মাইল) পথ পাড়ি দিয়েছে।
তিনি বলেন, ক্ষেপণাস্ত্রটিতে একটি ‘অনিয়মিত’ আবিস্কার সম্পর্কে জানাতে পারে। এটি উ. কোরিয়ার ইল্লেখিত অত্যন্ত দ্রুতগতিসম্পন্ন পারমাণবিক সক্ষম কেএন-২৩ হতে পারে, যা রাশিয়ার ‘ইস্কান্দার’ ক্ষেপণাস্ত্রের আদলে তৈরি করা হয়েছিল।
দ.কোরিয়ার সামরিক বাহিনী এই উৎক্ষেপণকে ‘একটি গুরুতর উস্কানি’ বলে অভিহিত করেছে যা আন্তর্জাতিক শান্তিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
দ.কোরিয়ার সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, দক্ষিণ কোরিয়া সর্বোচ্চ প্রস্তুতি বজায় রাখবে এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমন্বয় করে উ. কোরিয়ার পদক্ষেপ নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবে।
ইনো উত্তর কোরিয়াকে বারবার অস্ত্র পরীক্ষার মাধ্যমে উল্লেখযোগ্যভাবে উত্তেজনা বাড়ানোর ব্যাপারে অভিযুক্ত করেছে।
এই ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ গত মঙ্গলবার কোরীয় উপদ্বীপের কাছে মার্কিন-দ. কোরিয়ার বিমান সামরিক মহড়ার প্রতিক্রিয়া হতে পারে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্র ও দ. কোরিয়ার বিরুদ্ধে পরমাণু ব্যবহারের হুমকি কিমের
কারণ উ. কোরিয়া এর আগেও বলেছে যে গত মাসগুলোতে তার পরীক্ষামূলক কার্যক্রম মূলত তার প্রতিদ্বন্দ্বীদের তার আগে করা সম্মিলিত মহড়ার সতর্কতা হিসাবে করা হয়েছিল।
যদিও ওয়াশিংটন ও সিউল বলেছে যে তাদের মহড়াগুলো প্রতিরক্ষামূলক প্রকৃতির, কিন্তু উত্তর কোরিয়া সেগুলোকে আক্রমণের অনুশীলন বলে অভিযুক্ত করে।
সর্বশেষ মার্কিন-দক্ষিণ কোরিয়ার মহড়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বি-৫২ পারমাণবিক-সক্ষম বোমারু বিমান এবং এফ-২২ স্টিলথ ফাইটার জেট এবং দ. কোরিয়ার অন্যান্য উন্নত যুদ্ধবিমান ড্র করা হয়েছে।
দ.কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, পারমাণবিকসহ সমস্ত সম্ভাব্য সামরিক সক্ষমতা নিয়ে তার এশিয়ান মিত্রকে রক্ষা করার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতি বাড়ানোর বিষয়ে একটি দ্বিপক্ষীয় চুক্তির অংশ ছিল এই প্রশিক্ষণ।
দ.কোরিয়ার প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা বলেছেন, দ. কোরিয়ার বিমান বাহিনীর সঙ্গে এই সপ্তাহে আরও যৌথ মহড়ার জন্য এফ-২২ জেটগুলো দক্ষিণ কোরিয়ায় থাকার কথা ছিল।
তারা আরও জানিয়েছে, কিন্তু মার্কিন বিমানগুরো অবশেষে আবহাওয়ার কারণে জাপানে তাদের ঘাঁটিতে ফিরে এসেছে।
অন্যদিকে উ.কোরিয়া বলেছে যে সামরিক শক্তি শনাক্তকারী তার প্রথম উপগ্রহ স্থাপনের জন্য রবিবার ক্যামেরা ও অন্যান্য সিস্টেম পরীক্ষা করার জন্য উৎক্ষেপণ বাহন হিসেবে তার পুরানো ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করার পরে এই বিমান মহড়া করেছে তারা (মার্কিন-দ.কোরিয়া)।
উ. কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় মিডিয়া মহাকাশ থেকে দেখা দক্ষিণ কোরিয়ার শহরগুলোর কম-রেজোলিউশনের ছবিও প্রকাশ করেছে।
উ. প্রধান কিম ইয়ো জং দ. কোরিয়ার মূল্যায়নকে উপহাস করে বলেছেন, উ. কোরিয়ার এখনও জীবিত।
এর আগে দ. কোরিযা বলেছিল আইসিবিএম অর্জনে উ. কোরিয়ার এখনও প্রযুক্তিগত বাধা রয়েছে।
আরও পড়ুন: আবারও ব্যালিস্টিক মিসাইল নিক্ষেপ করল উত্তর কোরিয়া
১ বছর আগে
জাপানের ওপর দিয়ে ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়লো উ. কোরিয়া
উত্তর কোরিয়া পাঁচ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো জাপানের ওপর দিয়ে একটি দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে।
মঙ্গলবার পারমাণবিক সক্ষমতার অস্ত্র উৎক্ষেপণের সময় জাপানকে নোটিশ দিয়ে ট্রেন স্থগিত করতে বাধ্য করেছে উত্তর কোরিয়া। ক্ষেপণাস্ত্রটি মার্কিন অঞ্চল গুয়াম এমনকি তার বাইরেও পৌঁছাতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চলতি বছর উত্তর কোরিয়ার সবচেয়ে উত্তেজক অস্ত্রের প্রদর্শনী। কারণ দেশটি একটি পূর্ণাঙ্গ পারমাণবিক অস্ত্র ভাণ্ডার তৈরি করতে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালাচ্ছে এবং এই উৎক্ষেপণের মাধ্যমে মার্কিন ভূমি ও এর মিত্রদের কার্যকরভাবে ছাড় না দেয়ার হুমকি দেয়া হয়েছে।
ক্ষেপণাস্ত্রটির আনুমানিক সাড়ে চার হাজার কিলোমিটার (২৮০০ মাইল) উড্ডয়নের ক্ষমতাসম্পন্ন ক্ষেপণাস্ত্রটি উত্তর কোরিয়ার অন্য কোনও ক্ষেপণাস্ত্রের চেয়ে দীর্ঘতম পাল্লার। যদিও এর আগে উত্তর কোরিয়া প্রতিবেশী দেশগুলোকে পিছনে ফেলে কার্যকর দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে।
জাপানের ওপর দিয়ে উত্তর কোরিয়ার ‘দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র’ উৎক্ষেপণের সিদ্ধান্তকে ‘বিপজ্জনক এবং বেপরোয়া সিদ্ধান্ত’ হিসাবে বর্ণনা করে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
দেশটির ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের মুখপাত্র অ্যাড্রিয়েন ওয়াটসন এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র তার নিষিদ্ধ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং গণবিধ্বংসী কর্মসূচি, মিত্র ও জাতিসংঘের অংশীদারদের সঙ্গে এগিয়ে যাওয়ার জন্য (উত্তর কোরিয়ার) ক্ষমতা সীমিত করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে।’
বিশেষজ্ঞরা আরও বলছেন, এর আগে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল বলেছিলেন যে ক্ষেপণাস্ত্রটির একটি মধ্যবর্তী পাল্লা রয়েছে। অন্যদিকে জাপানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়াসুকাজু হামাদা বলেছিলেন যে এটি একটি মধ্যবর্তী পাল্লা বা তার বেশি বলে মনে করা হচ্ছে। যদি মঙ্গলবারের উৎক্ষেপণ একটি দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র জড়িত থাকে, তবে এটি মার্কিন ভূমিকে লক্ষ্য করে একটি অস্ত্রের পরীক্ষা হতে পারে।
২০১৭ সালের পর প্রথম ‘জে-অ্যালার্ট’-এ জাপানি কর্তৃপক্ষ উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের বাসিন্দাদের আশ্রয়কেন্দ্রে সরে যেতে সতর্ক করেছিল, যখন উত্তর কোরিয়া দ্রুতগতিসম্পন্ন ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছিল। সে সময় উত্তর কোরিয়া কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে জাপানের ওপর দিয়ে দুই বার মধ্যম পাল্লার হোয়াসং-১২ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছিল।
মঙ্গলবার উৎক্ষেপণ করা উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রশান্ত মহাসাগরে পতিত হয়েছে। তাই সরকার পরবর্তী নোটিশ জারি না করা পর্যন্ত হোক্কাইডো এবং আওমোরি অঞ্চলে ট্রেন চলাচল স্থগিত করা হয়েছিল। সাপ্পোরো শহরে জাপানের উত্তরতম প্রধান দ্বীপ হোক্কাইডোর প্রিফেকচারাল রাজধানী, সাবওয়েগুলোও অস্থায়ীভাবে স্থগিত করা হয়েছিল, স্টেশনগুলো সকালের যাত্রীদের দ্বারা পরিপূর্ণ ছিল।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা সাংবাদিকদের বলেন, সর্বশেষ উৎক্ষেপণ একটি বেপরোয়া কাজ এবং আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই।
দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার অন্তর্দেশীয় উত্তর থেকে ক্ষেপণাস্ত্রটি ছোঁড়া হয়েছিল। এটি সতর্ক করে দিয়েছে যে উত্তরের বারবার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ তার আন্তর্জাতিক বিচ্ছিন্নতাকে আরও বাড়াবে এবং সিউল ও ওয়াশিংটনকে তাদের প্রতিরোধ ক্ষমতা জোরদার করতে প্ররোচিত করবে।
ইউন বলেন যে উত্তর কোরিয়ার ‘বেপরোয়া পারমাণবিক উস্কানি’ দক্ষিণ এবং বৃহত্তর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কঠোর প্রতিক্রিয়ার মুখোমুখি হবে।
দক্ষিণ কোরিয়ান এবং জাপান ধারণা করছে, ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রায় সাড়ে চার হাজার থেকে চার হাজার ৬শ’ কিলোমিটার সর্বোচ্চ ৯৭০ থেকে ১০০০ কিলোমিটার পর্যন্ত উড়ে যায়।
হামাদা বলেছে যে এটি উত্তর জাপানি উপকূল থেকে প্রায় তিন হাজার ২০০ কিলোমিটার (এক হাজার ৯৯০ মাইল) দূরে প্রশান্ত মহাসাগরে অবতরণ করেছে। এ সময় জাপানি বিমান এবং জাহাজের কোনও ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়ার ছোঁড়া অন্য যে কোনো অস্ত্রের চেয়ে ক্ষেপণাস্ত্রটি অনেক বেশি দূরে উড়েছে। মঙ্গলবার উৎক্ষেপণের আগে, ২০১৭ সালে হোয়সং-১২-এর ৩৭০০-কিলোমিটার (২৩০০ মাইল) দীর্ঘ ফ্লাইটটি ছিল উত্তর কোরিয়ার দীর্ঘতম। এটি পূর্বে খাড়া কোণে আন্তমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছে যাতে তারা অল্প দূরত্বে উড়ে যায়।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলছে, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান তার দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপানি মিত্রদের সঙ্গে তাদের উপযুক্ত এবং শক্তিশালী প্রতিক্রিয়ার বিষয়ে পরামর্শ করেছেন। দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপান উভয়ই পৃথকভাবে তাদের নিজস্ব জরুরি জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক আহ্বান করেছে।
ক্ষেপণাস্ত্রের উড়ে যাওয়ার পাল্লায় দেখা যায় যে এটি মার্কিন প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল গুয়ামে আঘাত হানতে যথেষ্ট সক্ষমতা রয়েছে। যেখানে মার্কিন সামরিক ঘাঁটি রয়েছে যা উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে অতীতের উত্তেজনার শক্তি প্রদর্শনে কোরীয় উপদ্বীপে উন্নত যুদ্ধবিমান পাঠিয়েছিল।
২০১৭ সালে উত্তর কোরিয়া তৎকালীন ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান শত্রুতার মধ্যে গুয়ামের কাছে হোয়াসং-১২ ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ‘একটি এনভেলপিং ফায়ার’ করার হুমকি দিয়েছিল।
২ বছর আগে
ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ৫ সিরীয় সেনা নিহত: সানা
সিরিয়ার রাজধানীর দক্ষিণের দামেস্ক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও পাশ্ববর্তী সেনা চৌকিতে ইসরায়েলি হামলায় পাঁচ সেনা নিহত হয়েছে। শনিবার সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম সিরিয়ান আরব নিউজ এজেন্সি (সানা) এ তথ্য জানিয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সামরিক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে সানা জানায়, শুক্রবার মধ্যরাতের পরে ওই হামলা করা হয়। এর ফলে সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
বার্তা সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, কিছু ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র লক্ষ্যবস্তুতে পৌঁছানোর আগেই গুলি করে ভূপাতিত করা হয়।
আরও পড়ুন: গাজায় ইসরায়েলি হামলায় শীর্ষ জঙ্গী নিহত
ব্রিটেন ভিত্তিক বিরোধী যুদ্ধ পর্যবেক্ষক সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, হামলায় পাঁচ সিরীয় সৈন্য এবং ইরান সমর্থিত গ্রুপের দুই সদস্য নিহত হয়।
এ বিষয়ে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। তারা বলেছে, ‘বিদেশি প্রতিবেদনের’ ব্যাপারে তাদের কোনো প্রতিক্রিয়া নেই।
ইসরায়েল সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলের আলেপ্পো বিমানবন্দরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর ১০ দিন পর দামেস্ক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হামলা চালিয়েছে।
১০ জুন দামেস্ক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইসরায়েলি বিমান হামলার ফলে অবকাঠামো ও রানওয়ের উল্লেখযোগ্য ক্ষতি হয় এবং মূল রানওয়েটি ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ে। সংস্কার কাজ শেষে দুই সপ্তাহ পর বিমানবন্দরটি চালু করা হয়।
আরও পড়ুন: ‘ভুল’ করে পাকিস্তানে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ: ভারতীয় বিমানবাহিনীর ৩ কর্মকর্তা বরখাস্ত
ইসরায়েল সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সিরিয়ার সরকার নিয়ন্ত্রিত অংশগুলোকে লক্ষ্য করে শত শত হামলা চালিয়েছে। তবে তারা খুব কম হামলার কথা স্বীকার করেছে।
ইসরায়েল অবশ্য স্বীকার করেছে যে তারা লেবাননের হিজবুল্লাহর মতো ইরান-মিত্র জঙ্গি গোষ্ঠীর ঘাঁটিগুলোকে লক্ষ্য করে হামলা চালায়। যারা সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আসাদের বাহিনীকে সমর্থন করে হাজার হাজার যোদ্ধা পাঠিয়েছে।
ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে বৃহত্তর ছায়াযুদ্ধের মধ্যেই এই হামলার এই ঘটনা ঘটেছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে,ইরানি অস্ত্র সিরিয়ায় প্রবেশ করার কারণেই দামেস্ক ও আলেপ্পোর বিমানবন্দরে হামলা চালানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় আল-কায়েদা প্রধান আয়মান আল-জাওয়াহিরি নিহত
২ বছর আগে
ক্ষেপণাস্ত্র কোম্পানির তথ্যচুরি খতিয়ে দেখছে ন্যাটো
উচ্চ পর্যায়ের গোপনীয় সামরিক কিছু নথি একটি হ্যাকার চক্র হ্যাক করে হাতিয়ে নেয়ার ঘটনা ঘটেছে। দলটি ওই নথিগুলোর তথ্য বিক্রির বিজ্ঞাপনও দিয়েছে। পুরো বিষয়টির প্রভাব কী হতে পারে তা উত্তর আটলান্টিক নিরাপত্তা জোট (ন্যাটো) খতিয়ে দেখছে।
নথিগুলোর মধ্যে ইউক্রেন যুদ্ধে ন্যাটো মিত্রদের মাধ্যমে ব্যবহৃত অস্ত্রের নীলনকশাও রয়েছে।
অপরাধী হ্যাকাররা নথিগুলো বিক্রি করছে, একটি প্রধান ইউরোপীয় অস্ত্র প্রস্তুতকারকের সাথে যুক্ত ডেটা চুরি করার পরে।
ইউরোপীয় এক অস্ত্র প্রস্তুতকারী কোম্পানি এমবিডিএ মিসাইল সিস্টেমের গুরুত্বপূর্ণ একটি লিংক হাতিয়ে নেয়ার পর থেকেই নথিগুলো বিক্রি শুরু করেছে উক্ত হ্যাকার চক্র।
এমবিডিএ স্বীকার করেছে যে, ওই লিংকে নথিগুলো ছিল। তবে গোপনীয় কোনো নথিই তাদের সাথে সম্পর্ক যুক্ত নয়।
কোম্পানিটির সদরদপ্তর ফ্রান্সে অবস্থিত। তারা জানায়, এই তথ্যচুরির ঘটনা একটি তথ্য সংরক্ষণ করার এক্সটার্নাল হার্ড ড্রাইভ থেকে হয়েছে। তারা আরও বলেন, কোম্পনিটি ইতালিতে অবস্থিত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সহযোগিতা করছিল। যেখানে ঘটনাটি ঘটে।
এটি বোঝা যাচ্ছে তদন্তের বিষয়টি ঘটছে এমবিডিএর সরবরাহকারীদেরকে ঘিরে।
আরও পড়ুন: ন্যাটো: আমেরিকার নেতৃত্বে এ সামরিক জোট কি এখনো প্রয়োজন?
এক বিবৃতিতে ন্যাটোর একজন মুখপাত্র বলেন, এমবিডিএ থেকে চুরি যাওয়া তথ্যের অভিযোগ নিয়ে আমরা খতিয়ে দেখছি। ন্যাটোর কোনো নেটওয়ার্কে কোনোধরনের প্রবেশের ইঙ্গিত আমরা এখনও পাইনি।
রুশ ও ইংরেজি নানা ফোরাম থেকে অপরাধী চক্র তাদের কাজ চালাচ্ছে। ১৫ বিটকয়েনের বিনিময়ে ৮০ গিগাবাইট সমপরিমাণ তথ্য বিক্রির বিজ্ঞাপন দেখাচ্ছে তারা। যার মূল্য দাঁড়ায় প্রায় দুই লাখ ৭৩ হাজার ব্রিটিশ পাউন্ড। তারা এও দাবি করছে, ইতোমধ্যে একজন তাদের থেকে তথ্য কিনেছে।
বিবিসি ৫০ মেগাবাইটের বিনামূল্যের নমুনা তথ্য দেখেছে। যার নাম দেয়া ছিল, ‘ন্যাটো কনফিডেনিশিয়াল’, ‘ন্যাটো রেস্ট্রিকটেড’ ও ‘আনক্লাসিফাইড কন্ট্রোলড ইনফরমেশন’। পাশাপাশি হ্যাকার চক্রটি মেইলের মাধ্যমে ‘ন্যাটো সিক্রেট’ নামে তথ্য সরবরাহ করেছে।
আরও পড়ুন: ন্যাটো সম্মেলনে বিশ্বকাপ জয় উদযাপন ক্রোয়েশিয়ার প্রেসিডেন্টের
২ বছর আগে