গত মাসে অনুষ্ঠিত হয়েছে মার্কিন নির্বাচন। নির্বাচনের মধ্যে দেশটিতে সবচেয়ে বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হন।
স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা আশঙ্কা করছেন যে সামনে আরও ভয়াবহ পরিস্থিতি অপেক্ষা করছে। থ্যাংকগিভিংয়ের জন্য অনেক আমেরিকান ঘরে থাকতে আগ্রহী নন।
কায়সার ফ্যামেলি ফাউন্ডেশনের বিশ্ব স্বাস্থ্যনীতির সহযোগী পরিচালক জস মিচুয়াদ বলেছেন, ‘সামনে মৃত্যুর হার আরও বাড়বে, এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই।’
জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য মতে, এর আগে গত এপ্রিলে সর্বোচ্চ ৬০ হাজার ৬৯৯ জন প্রাণ হারান। এছাড়া মে মাসেও ৪২ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। তবে অনেক রাজ্যে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ এবং মানুষজনকে ঘরে থাকার নির্দেশ দেয়ার পর জুন মাসে এসে মৃত্যু ২০ হাজারে ঠেকে।
মহামারি করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ বিশ্বজুড়ে চলছে। নতুন রোগী শনাক্তের হার বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি সমানতালে বেড়ে চলেছে প্রাণহানি।
জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় (জেএইচইউ) থেকে প্রকাশিত সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বুধবার সকাল পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে ১২ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। মোট মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ১৪ লাখ ৭৮ হাজার ৯২৩ জনে।
এছাড়া, এই সময়ের মধ্যে প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন প্রায় ৬ লাখ মানুষ। এর মধ্যদিয়ে কোভিড-১৯ আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ৪২১ জনে।
জেএইচইউ’র তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে প্রাণঘাতী এ ভাইরাস থেকে সুস্থ হয়েছেন প্রায় ৫ লাখ মানুষ। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৪ কোটি ৯ লাখ ৫৪ হাজার ৬৩৫ ব্যক্তি।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। চলতি বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে মহামারি ঘোষণা করে। এর আগে ২০ জানুয়ারি জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।
করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ১ কোটি ৩৭ লাখ ৯ হাজার ৯৪১ জন আক্রান্ত এবং ২ লাখ ৭০ হাজার ৫০৯ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।