দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি- কেসিএনএ এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, শুক্রবার দেশটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে নিয়ে শানচন শহরে ওই অনুষ্ঠানে যোগ দেন কিম। এসময় তার বোন কিম ইয়ো জং উপস্থিত ছিলেন, যাকে নিয়ে অনেক বিশ্লেষক ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন যে, যদি তার ভাই হঠাৎ কোনো কারণে শাসন করতে না পারেন তবে তিনি দায়িত্ব গ্রহণ করতে পারেন।
রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত রোডং সিনমুন সংবাদপত্র কিমের বেশ কয়েকটি ছবিও প্রকাশ করেছে, যেখানে তাকে কালো পোশাক পরিহিত অবস্থায় হাসি মুখে কারখানার সম্মুখে লাল রঙের ফিতা কাটতে দেখা যায়। এসময় তার বোনসহ কয়েক হাজার শ্রমিক উপস্থিত ছিলেন যাদের বেশিরভাগই মাস্ক পরা এবং আকাশে বেলুন উড়াচ্ছিলেন।
প্রকাশিত ছবিগুলোতে কিমকে অসুস্থ্য বা তিনি কোনোরকম অস্বস্তিতে ছিলেন বলে প্রতীয়মান হয়নি।
এর আগে গত ১১ এপ্রিল করোনাভাইরাস নিয়ে আলোচনা করতে এবং নিজের বোনকে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির শক্তিশালী সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী রাজনৈতিক ব্যুরোর বিকল্প সদস্য হিসাবে পুনর্নিযুক্ত করার জন্য ক্ষমতাসীন ওয়ার্কার্স পার্টির এক বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কিম। পরে হঠাৎ করেই জনসম্মুখে আসা বন্ধ করে দেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত ১৫ এপ্রিল দেশটির রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিন হিসাবে বিবেচিত কিম জং উনের দাদা কিম ইল সাং এর জন্মদিন উদযাপনেও উপস্থিত ছিলেন না উত্তর কোরীয় এ নেতা। এরপর থেকেই তাকে নিয়ে শুরু হয় নান গুঞ্জন।
কিম জং উন অস্ত্রপচার করে অসুস্থ্য হয়ে পড়েছেন বা তার মৃত্যু হয়েছে বলেও গুজব ছড়িয়ে পড়ে।