উত্তর কোরিয়া
উত্তর কোরিয়ার হাইপারসনিক মিসাইল বিস্ফোরণের সন্দেহ দক্ষিণ কোরিয়ার
দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ত্রিদেশীয় সামরিক মহড়া প্রস্তুতির আগে উত্তর কোরিয়ায় একটি হাইপারসনিক মিসাইল বিস্ফোরিত হয়েছে বলে সন্দেহ প্রকাশ করেছে দক্ষিণ কোরিয়া।
বুধবার (২৬ জুন) মিসাইলটি উৎক্ষেপণের সময় বিস্ফোরিত হয় বলে জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী।
দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেছেন, বুধবার স্থানীয় সময় ভোর সাড়ে ৫টার দিকে উত্তর কোরিয়ার রাজধানী এলাকা থেকে একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করা হয়। মিসাইলটি উত্তর-পূর্ব জলসীমার দিকে নিক্ষেপ করা হয়েছিল, তবে উৎক্ষেপণের পরপরই তা বিস্ফোরিত হয়।
তিনি বলেন, ক্ষেপণাস্ত্রটি উত্তর-পূর্ব উপকূলীয় ওনসান শহরের পানির ওপর দিয়ে উড়ে যাওয়ার সময় বিস্ফোরিত হয়। উৎক্ষেপণের স্থান থেকে ২৫০ কিলোমিটার দূরে সমুদ্রের পানিতে ক্ষেপণাস্ত্রের টুকরোগুলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল।
তবে তাৎক্ষণিকভাবে এ ঘটনায় কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর দিতে পারেননি তিনি।
আরও পড়ুন: ফের ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়ে বিরোধীদের উদ্দেশে হুঁশিয়ারি উ. কোরিয়ার
তার সন্দেহ, ক্ষেপণাস্ত্রটি একটি পূর্ণ-জ্বালানির হাইপারসনিক মিসাইল। ইঞ্জিনের ত্রুটির কারণেই সেটি সাধারণ উৎক্ষেপণের চেয়ে বেশি পরিমাণে ধোঁয়া ছড়ায়।
এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ইন্দো-প্যাসিফিক কমান্ড বলেছে, মার্কিন অঞ্চল বা তার মিত্রদের জন্য তাৎক্ষণিকভাবে হুমকি সৃষ্টি না করলেও উত্তর কোরিয়ার এমন কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানায় যুক্তরাষ্ট্র।
দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের প্রতিরক্ষায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতি অটল বলেও এসময় জানানো হয়।
বুধবার উত্তর কোরিয়ার এই ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ও শনাক্ত করেছে বলে জানিয়েছে।
৫ মাস আগে
উ. কোরিয়ার ড্রোন সীমান্ত অতিক্রমের পর দ. কোরিয়ার সতর্কীকরণ গুলি
উত্তর কোরিয়ার ড্রোন সীমান্ত অতিক্রম করে দক্ষিণ কোরিয়ার আকাশসীমায় প্রবেশ করায় সেগুলোকে তাড়াতে সতর্কীকরণ গুলি চালিয়েছে দেশটির সামরিক বাহিনী।
সোমবার এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানায় দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তারা।
দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তারা বলেছেন, উত্তর তার সর্বশেষ পরীক্ষার কার্যক্রমে দুটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র চালু করার কয়েকদিন পরে এই ঘটনা ঘটলো।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সোমবার সকালে উত্তর কোরিয়ার বেশ কয়েকটি ড্রোন আন্ত-কোরিয়ান সীমান্ত অতিক্রম করলে দক্ষিণের ভূখণ্ডে তা সনাক্ত করা হয়।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়ার ড্রোনগুলোকে গুলি করতে ফাইটার জেট এবং অ্যাটাক হেলিকপ্টার চালু করার আগে দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী সতর্কবার্তা সম্প্রচার করেছে এবং সতর্কীকরণ গুলি করেছে।
তবে গুলি করে ড্রোনগুলো ভূপাতিত করা হয়েছে কিনা তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
প্রথমবারের মতো ২০১৭ সালে উত্তর কোরিয়ার ড্রোন দক্ষিণ কোরিয়ার আকাশসীমায় প্রবেশ করেছিল, যখন একটি সন্দেহভাজন উত্তর কোরিয়ার ড্রোন দক্ষিণ কোরিয়ায় বিধ্বস্ত হয়। দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক কর্মকর্তারা তখন বলেছিলেন যে ড্রোনটি দক্ষিণ কোরিয়ায় মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ছবি তুলেছে।
এর আগে উত্তর কোরিয়া তাদের ড্রোন কর্মসূচির কথা বলেছে এবং দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তারা বলেছেন উত্তরের কাছে প্রায় ৩০০টি ড্রোন রয়েছে। ২০১৪ সালে সীমান্তের দক্ষিণে বেশ কয়েকটি সন্দেহভাজন উত্তর কোরিয়ার ড্রোন পাওয়া গেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলেছিলেন যে ড্রোনগুলো কম প্রযুক্তির কিন্তু একটি সম্ভাব্য নিরাপত্তা হুমকি হিসাবে বিবেচিত হতে পারে।
আরও পড়ুন:তাইওয়ানের পর দ. কোরিয়া গেলেন পেলোসি
দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফস অফ স্টাফের মতে, গত শুক্রবার উত্তর কোরিয়া তার পূর্ব জলসীমার দিকে দুটি স্বল্প-পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। উৎক্ষেপণটিকে দক্ষিণ কোরিয়া-মার্কিন যৌথ বিমান মহড়ার প্রতিবাদ হিসেবে দেখা হয়েছিল যেটিকে উত্তর কোরিয়া আক্রমণের মহড়া হিসেবে দেখে।
অনেক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ বছর উত্তর কোরিয়া একটি অভূতপূর্ব সংখ্যক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা পরিচালনা করেছে যা তাদের অস্ত্র উন্নত করার প্রচেষ্টা এবং ভবিষ্যতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার প্রতিদ্বন্দ্বীদের জন্য চাপ দেয়ার প্রচেষ্টা বলে অভিহিত করছে।
সম্প্রতি, উত্তর তার প্রথম গুপ্তচর উপগ্রহ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডে পৌঁছাতে সক্ষম আরও মোবাইল আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সক্ষমতা অর্জনের জন্য প্রয়োজনীয় বড় পরীক্ষাগুলো চালিয়েছে বলে দাবি করেছে।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন একমাত্র সমাধান: দ. কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত
১ বছর আগে
জাপানের ওপর দিয়ে ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়লো উ. কোরিয়া
উত্তর কোরিয়া পাঁচ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো জাপানের ওপর দিয়ে একটি দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে।
মঙ্গলবার পারমাণবিক সক্ষমতার অস্ত্র উৎক্ষেপণের সময় জাপানকে নোটিশ দিয়ে ট্রেন স্থগিত করতে বাধ্য করেছে উত্তর কোরিয়া। ক্ষেপণাস্ত্রটি মার্কিন অঞ্চল গুয়াম এমনকি তার বাইরেও পৌঁছাতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চলতি বছর উত্তর কোরিয়ার সবচেয়ে উত্তেজক অস্ত্রের প্রদর্শনী। কারণ দেশটি একটি পূর্ণাঙ্গ পারমাণবিক অস্ত্র ভাণ্ডার তৈরি করতে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালাচ্ছে এবং এই উৎক্ষেপণের মাধ্যমে মার্কিন ভূমি ও এর মিত্রদের কার্যকরভাবে ছাড় না দেয়ার হুমকি দেয়া হয়েছে।
ক্ষেপণাস্ত্রটির আনুমানিক সাড়ে চার হাজার কিলোমিটার (২৮০০ মাইল) উড্ডয়নের ক্ষমতাসম্পন্ন ক্ষেপণাস্ত্রটি উত্তর কোরিয়ার অন্য কোনও ক্ষেপণাস্ত্রের চেয়ে দীর্ঘতম পাল্লার। যদিও এর আগে উত্তর কোরিয়া প্রতিবেশী দেশগুলোকে পিছনে ফেলে কার্যকর দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে।
জাপানের ওপর দিয়ে উত্তর কোরিয়ার ‘দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র’ উৎক্ষেপণের সিদ্ধান্তকে ‘বিপজ্জনক এবং বেপরোয়া সিদ্ধান্ত’ হিসাবে বর্ণনা করে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
দেশটির ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের মুখপাত্র অ্যাড্রিয়েন ওয়াটসন এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র তার নিষিদ্ধ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং গণবিধ্বংসী কর্মসূচি, মিত্র ও জাতিসংঘের অংশীদারদের সঙ্গে এগিয়ে যাওয়ার জন্য (উত্তর কোরিয়ার) ক্ষমতা সীমিত করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে।’
বিশেষজ্ঞরা আরও বলছেন, এর আগে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল বলেছিলেন যে ক্ষেপণাস্ত্রটির একটি মধ্যবর্তী পাল্লা রয়েছে। অন্যদিকে জাপানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়াসুকাজু হামাদা বলেছিলেন যে এটি একটি মধ্যবর্তী পাল্লা বা তার বেশি বলে মনে করা হচ্ছে। যদি মঙ্গলবারের উৎক্ষেপণ একটি দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র জড়িত থাকে, তবে এটি মার্কিন ভূমিকে লক্ষ্য করে একটি অস্ত্রের পরীক্ষা হতে পারে।
২০১৭ সালের পর প্রথম ‘জে-অ্যালার্ট’-এ জাপানি কর্তৃপক্ষ উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের বাসিন্দাদের আশ্রয়কেন্দ্রে সরে যেতে সতর্ক করেছিল, যখন উত্তর কোরিয়া দ্রুতগতিসম্পন্ন ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছিল। সে সময় উত্তর কোরিয়া কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে জাপানের ওপর দিয়ে দুই বার মধ্যম পাল্লার হোয়াসং-১২ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছিল।
মঙ্গলবার উৎক্ষেপণ করা উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রশান্ত মহাসাগরে পতিত হয়েছে। তাই সরকার পরবর্তী নোটিশ জারি না করা পর্যন্ত হোক্কাইডো এবং আওমোরি অঞ্চলে ট্রেন চলাচল স্থগিত করা হয়েছিল। সাপ্পোরো শহরে জাপানের উত্তরতম প্রধান দ্বীপ হোক্কাইডোর প্রিফেকচারাল রাজধানী, সাবওয়েগুলোও অস্থায়ীভাবে স্থগিত করা হয়েছিল, স্টেশনগুলো সকালের যাত্রীদের দ্বারা পরিপূর্ণ ছিল।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা সাংবাদিকদের বলেন, সর্বশেষ উৎক্ষেপণ একটি বেপরোয়া কাজ এবং আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই।
দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার অন্তর্দেশীয় উত্তর থেকে ক্ষেপণাস্ত্রটি ছোঁড়া হয়েছিল। এটি সতর্ক করে দিয়েছে যে উত্তরের বারবার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ তার আন্তর্জাতিক বিচ্ছিন্নতাকে আরও বাড়াবে এবং সিউল ও ওয়াশিংটনকে তাদের প্রতিরোধ ক্ষমতা জোরদার করতে প্ররোচিত করবে।
ইউন বলেন যে উত্তর কোরিয়ার ‘বেপরোয়া পারমাণবিক উস্কানি’ দক্ষিণ এবং বৃহত্তর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কঠোর প্রতিক্রিয়ার মুখোমুখি হবে।
দক্ষিণ কোরিয়ান এবং জাপান ধারণা করছে, ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রায় সাড়ে চার হাজার থেকে চার হাজার ৬শ’ কিলোমিটার সর্বোচ্চ ৯৭০ থেকে ১০০০ কিলোমিটার পর্যন্ত উড়ে যায়।
হামাদা বলেছে যে এটি উত্তর জাপানি উপকূল থেকে প্রায় তিন হাজার ২০০ কিলোমিটার (এক হাজার ৯৯০ মাইল) দূরে প্রশান্ত মহাসাগরে অবতরণ করেছে। এ সময় জাপানি বিমান এবং জাহাজের কোনও ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়ার ছোঁড়া অন্য যে কোনো অস্ত্রের চেয়ে ক্ষেপণাস্ত্রটি অনেক বেশি দূরে উড়েছে। মঙ্গলবার উৎক্ষেপণের আগে, ২০১৭ সালে হোয়সং-১২-এর ৩৭০০-কিলোমিটার (২৩০০ মাইল) দীর্ঘ ফ্লাইটটি ছিল উত্তর কোরিয়ার দীর্ঘতম। এটি পূর্বে খাড়া কোণে আন্তমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছে যাতে তারা অল্প দূরত্বে উড়ে যায়।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলছে, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান তার দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপানি মিত্রদের সঙ্গে তাদের উপযুক্ত এবং শক্তিশালী প্রতিক্রিয়ার বিষয়ে পরামর্শ করেছেন। দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপান উভয়ই পৃথকভাবে তাদের নিজস্ব জরুরি জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক আহ্বান করেছে।
ক্ষেপণাস্ত্রের উড়ে যাওয়ার পাল্লায় দেখা যায় যে এটি মার্কিন প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল গুয়ামে আঘাত হানতে যথেষ্ট সক্ষমতা রয়েছে। যেখানে মার্কিন সামরিক ঘাঁটি রয়েছে যা উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে অতীতের উত্তেজনার শক্তি প্রদর্শনে কোরীয় উপদ্বীপে উন্নত যুদ্ধবিমান পাঠিয়েছিল।
২০১৭ সালে উত্তর কোরিয়া তৎকালীন ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান শত্রুতার মধ্যে গুয়ামের কাছে হোয়াসং-১২ ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ‘একটি এনভেলপিং ফায়ার’ করার হুমকি দিয়েছিল।
২ বছর আগে
করোনার প্রাদুর্ভাব: উত্তর কোরিয়ায় আরও ২১ জনের মৃত্যু
উত্তর কোরিয়ায় মহামারি করোনার প্রাদুর্ভাবের মধ্যে জ্বরে আক্রান্ত হয়ে আরও ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। করোনা প্রাদুর্ভাবের স্বীকৃতি দেয়ার দুইদিন পর শনিবার এমন তথ্য জানালো উত্তর কোরিয়া।
এপ্রিলের শেষ থেকে জ্বরের দ্রুত বিস্তারের মধ্যে দেশটিতে করোনা উপসর্গ নিয়ে মোট ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া দেশটিতে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা পাঁচ লাখ ২৪ হাজার ৪৪০ জন।
উত্তর কোরিয়া জানিয়েছে, এ পর্যন্ত দেশটিতে দুই লাখ ৪৩ হাজার ৬৩০ জন সুস্থ হয়েছেন এবং দুই লাখ ৮০ হাজার ৮১০ জন কোয়ারেন্টাইনে আছেন। তবে এর মধ্যে কয়টি কেস করোনা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে তা নিশ্চিত করেনি।
আরও পড়ুন: নিহত সাংবাদিকের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় ইসরায়েলি পুলিশের হামলার অভিযোগ
করোনা সংক্রমণের দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে সংক্রমণ চিহ্নিত না হওয়ার সন্দেহজনক রেকর্ড ভেঙ্গে গেলো বৃহস্পতিবার দেশটি করোনা প্রাদুর্ভাবের স্বীকৃতি দেয়।
উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন শনিবার যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মহামারি স্থিতিশীল করার জন্য সরকার ও জনগণের মধ্যে ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি জানিয়েছেন, পরিস্থিতি মোকাবিলায় তিনি কিছু ব্যক্তিগত ওষুধ সরবরাহ করছেন।
আরও পড়ুন: করোনা প্রাদুর্ভাবের স্বীকৃতি দেয়ার পর উ. কোরিয়ায় ৬ জনের মৃত্যু
২ বছর আগে
করোনা প্রাদুর্ভাবের স্বীকৃতি দেয়ার পর উ. কোরিয়ায় ৬ জনের মৃত্যু
উত্তর কোরিয়ায় ছয়জন মারা গেছেন এবং সাড়ে তিন লাখ মানুষকে জ্বরের চিকিৎসা দেয়া হয়েছে যা দেশটিতে ‘বিস্ফোরকভাবে’ ছড়িয়ে পড়েছে। করোনা প্রাদুর্ভাবের স্বীকৃতি দেয়ার একদিন পর শুক্রবার এমন তথ্য জানালো উত্তর কোরিয়া।
দেশটির রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যম কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি জানায়, এপ্রিলের শেষ থেকে জ্বরে আক্রান্ত সাড়ে তিন লাখ মানুষের মধ্যে এক লাখ ৬২ হাজার ২০০ জন সুস্থ হয়েছেন।
এছাড়া শুধু বৃহস্পতিবার নতুন করে ১৮ হাজার মানুষের মধ্যে জ্বরের লক্ষ্মণ পাওয়া গেছে এবং এক লাখ ৮৭ হাজার মানুষকে চিকিৎসার জন্য আলাদা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: উ. কোরিয়ায় প্রথম করোনা শনাক্ত, দেশব্যাপী কঠোর লকডাউন
কেসিএনএ বলছে, মারা যাওয়া ছয়জনের মধ্যে একজন করোনার ওমিক্রন ধরনে সংক্রমিত হয়েছিলেন তা নিশ্চিত। তবে মোট অসুস্থ মানুষের মধ্যে কতজন করোনা আক্রান্ত তা তাৎক্ষণিকভাবে স্পষ্ট করেনি সংবাদমাধ্যমটি।
মহামারির মধ্যে প্রথমবারের মতো করোনা প্রাদুর্ভাবের কথা স্বীকার করার পর বৃহস্পতিবার উত্তর কোরিয়া দেশব্যাপী লকডাউন আরোপ করে।
২ বছর আগে
আবারও ব্যালিস্টিক মিসাইল নিক্ষেপ করল উত্তর কোরিয়া
উত্তর কোরিয়া আবারও ব্যালিস্টিক মিসাইল নিক্ষেপ করেছে বলে দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপানের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে।
এমন এক সময়ে এই মিসাইল নিক্ষেপ করা হলো যখন পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচিতে সিউলে দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান ও যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা প্রধানদের বৈঠক নিয়ে খবর আসছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চীফ অব স্টাফ জানিয়েছেন, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার উত্তর কোরিয়ার উপকূলীয় এলাকায় এই মিসাইল নিক্ষেপ করা হয়।
এর আগে সেপ্টেরের মাঝামাঝি এবং অক্টোবরের শুরুতে বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালানোর অভিযোগ উঠে উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন: উত্তর কোরিয়ার দূরপাল্লার মিসাইল পরীক্ষা
ইরাক যুদ্ধের অন্যতম পরিকল্পনাকারী কলিন পাওয়েলের মৃত্যু
ভারতে ভারী বৃষ্টিপাত ও ভূমিধসে নিহত ২১
৩ বছর আগে
উত্তর কোরিয়ার দূরপাল্লার মিসাইল পরীক্ষা
পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিরোধের মধ্যেই নতুন একটি বিমান বিধ্বংসী মিসাইলের পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া। এই মিসাইলটি দেড় হাজার কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতেও আঘাত হানতে সক্ষম।
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা দ্য কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, মিসাইলটি তৈরিতে সময় লেগেছে প্রায় দুই বছর।
শনিবার ও রবিবার পরীক্ষা চালানো এই মিসাইলটিকে নিজেদের ‘গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত অস্ত্র’ হিসেবে অভিহিত করেছে উত্তর কোরিয়া।
এর আগে নিজেদের পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচিকে আরও জোরদার করার ঘোষণা দিয়েছিলেন দেশটির নেতা কিম জং উন।
মিসাইল পরীক্ষার ঘোষণার পর উদ্বিগ্ন প্রতিবেশী দেশ দক্ষিণ কোরিয়া জানিয়েছে, নিজেদের ও যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
করোনাভাইরাস মহামারি ও যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার কারণে উত্তর কোরিয়ার অর্থনীতি নাজুক অবস্থার মধ্যে রয়েছে। এরপরেও এ বছরের জানুয়ারিতে ক্ষমতাসীন ওয়ার্কার্স পার্টির সম্মেলনে পরমাণু কর্মসূচি বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছিলেন কিম।
তিনি বলেছেন, ‘আমাদের প্রতিরক্ষা বিজ্ঞানীরা বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী মধ্যম-মাত্রার বিমান বিধ্বংসী মিসাইল তৈরি করছে।‘
তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, মিসাইল পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া আলোচনায় বসার পরোক্ষ বার্তা দিচ্ছে উত্তর কোরিয়া।
এর আগে দেশের নাজুক অর্থনীতির পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে আলোচনায় বসেছিলেন কিম। জো বাইডেন ক্ষমতায় আসার পর এই আলোচনা অনেকটাই থমকে গেছে।
আরও পড়ুন: ইন্দোনেশিয়ার কারাগারে অগ্নিকাণ্ডে নিহত ৪১
আখুন্দের নেতৃত্বে আফগানিস্তানে তালেবান সরকার
৩ বছর আগে
জনসম্মুখে এসে জানান দিলেন তিনি এখনো জীবিত!
পিয়ংইয়ংয়ের কাছে একটি সার কারখানার নির্মাণ কাজের সমাপ্তি উদযাপনের মধ্য দিয়ে অবশেষে সব গুজবের অবসান ঘটিয়ে ২০ দিন পর প্রকাশ্যে এলেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন।
৪ বছর আগে
শিগগিরই নতুন ‘কৌশলগত অস্ত্র’ প্রদর্শন করবে উত্তর কোরিয়া: কিম
যুক্তরাষ্ট্রের সাথে স্থগিত হয়ে যাওয়া পারমাণবিক আলোচনার বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে, এ বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং উন।
৪ বছর আগে