দেশটির কর্মকর্তারা জানান, শুক্রবার অ্যাজিয়ান সাগরে দেশ দুটির উপকূলীয় এলাকায় এ ভূমিকম্প আঘাত হানে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৬।
তুরস্কের দুর্যোগ ও জরুরি ব্যবস্থাপনা সংস্থা (এএফএডি) জানিয়েছে, গ্রিনিচ সময় ১১টা ৫০ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টা ৫০ মিনিট) এই ভূমিকম্পটি আঘাত হানে।
এদিকে ভূমিকম্পে দুই দেশেই আছড়ে পড়েছে ছোট সুনামির ঢেউ। বন্যায় প্লাবিত হয়েছে তুরস্কের ইজমির উপকূলের কিছু অংশ।
দেশটির দুর্যোগ ও জরুরি ব্যবস্থাপনা বিভাগ (এএফএডি) ১৭ জন নিহত হওয়ার খবর জানিয়েছে। এর মধ্যে একজন ডুবে মারা গেছেন। আহত হয়েছেন ৭০৯ জন।
তুরস্ক এবং গ্রিস উভয় দেশই ‘ফল্ট লাইনের’ ওপর অবস্থান করায় ওই অঞ্চলে প্রায়শই ভূকম্পন অনুভূত হয়। তবে এবারের ভূমিকম্পের তীব্রতা অনেক বেশি ছিল বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
গ্রিসের সামোস দ্বীপেও সুনামিতে বন্যা এবং বাড়িঘর ভেঙে পড়ার খবর পাওয়া গেছে। দ্বীপটিতে ৬ .৭ মাত্রার কম্পন অনুভূত হয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
এর আগে ১৯৯৯ সালে তুরস্কের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ৪ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে অন্তত ১৭ হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটে।
ভূমিকম্পে বহু ঘর-বাড়ি বিধ্বস্ত হওয়ায় এবং ধ্বংসস্তুপের নিচে অনেক মানুষ চাপা পড়ায় হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
উদ্ধারকারী দলের সদস্যদের পাশাপাশি জরুরি উদ্ধারকাজে এগিয়ে এসেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।