ভূমিকম্প
রাজধানীতে আবারও ভূমিকম্প অনুভূত, উৎপত্তিস্থল নরসিংদী
ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় আবারও ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা ১৪ মিনিটে এ কম্পন অনুভূত হয়।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, সকাল ৬টা ১৪ মিনিট ৪৫ সেকেন্ডে এই কম্পন অনুভূত হয়। হালকা মাত্রার এই ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল নরসিংদীর শিবপুর, রিখটার স্কেলে যার মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ১।
রাজধানী ঢাকার আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ ও গবেষণাকেন্দ্র থেকে ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থলের দূরত্ব ছিল ৩৮ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
ইউরো-মেডিটেরিয়ান সিসমোলজিক্যাল সেন্টার জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল গাজীপুরের টঙ্গী থেকে ৩৩ কিলোমিটার পূর্ব-উত্তরপূর্বে, আর নরসিংদী থেকে ৩ কিলোমিটার উত্তরে। ভূপৃষ্ঠ থেকে এর গভীরতা ছিল ৩০ কিলোমিটার।
এর আগে, গত শুক্র (২১ নভেম্বর) ও পরদিন শনিবার প্রায় ৩১ ঘণ্টার মধ্যে ঢাকা ও এর আশপাশে চারবার ভূমিকম্প হয়। এর মধ্যে শুক্রবার সকালে ঢাকা থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে রিখটার স্কেলে ৫ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্পটির উৎস ছিল নরসিংদীর মাধবদী। উৎপত্তিস্থলের গভীরতা ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে।
শুক্রবারের ভূমিকম্পে দুই শিশুসহ ১০ জন প্রাণ হারান। এর মধ্যে ঢাকায় চারজন, নরসিংদীতে পাঁচজন ও নারায়ণগঞ্জে একজন নিহত হন। এ ছাড়া বিভিন্ন জেলায় কয়েকশ’ মানুষ আহত হন।
২৩ ঘণ্টা আগে
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ৩.৬ মাত্রার ভূমিকম্প
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ফের ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৩.৬। তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়ক্ষতি ও হতাহতের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ শাহনাজ সুলতানা ইউএনবিকে বলেন, বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) বিকেল ৪টা ১৫ মিনিটে এ কম্পন অনুভূত হয়। এটা স্বল্পমাত্রার ভূমিকম্প ছিল। এর উৎপত্তিস্থল নরসিংদীর ঘোড়াশালে, যা আগারগাঁওয়ের সিসমিক সেন্টার থেকে ২৮ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে।
এর আগে, গত শুক্র (২১ নভেম্বর) ও পরদিন শনিবার প্রায় ৩১ ঘণ্টার মধ্যে ঢাকা ও এর আশপাশে চারবার ভূমিকম্প হয়। এর মধ্যে শুক্রবার সকালে ঢাকা থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে রিখটার স্কেলে ৫ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্পটির উৎস ছিল নরসিংদীর মাধবদী। উৎপত্তিস্থলের গভীরতা ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে।
শুক্রবারের ভূমিকম্পে দুই শিশুসহ ১০ জন প্রাণ হারান। এর মধ্যে ঢাকায় চারজন, নরসিংদীতে পাঁচজন ও নারায়ণগঞ্জে একজন নিহত হন। এ ছাড়া বিভিন্ন জেলায় কয়েকশ’ মানুষ আহত হন।
৭ দিন আগে
চলতি মাসে তৃতীয় বারের মতো ভূমিকম্প অনুভূত, এবার উৎপত্তিস্থল যশোরে
চলতি মাসে তৃতীয়বারের মতো দেশে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। এবার যশোরের মনিরামপুরে মৃদু কম্পন অনুভূত হয়েছে, যার মাত্রা রিখটার স্কেলে ৩.৫।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূমিকম্প প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টা ২৭ মিনিটে ভূমিকম্পটি অনুভূত হয়। উৎপত্তিস্থল ছিল মনিরামপুর, যা ঢাকার আগারগাঁও থেকে দক্ষিণ-পশ্চিমে প্রায় ১৫৭ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
ভূমিকম্পটি মৃদু এবং স্বল্পস্থায়ী হলেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মানুষ তাৎক্ষণিকভাবে পোস্ট দিয়েছেন। তবে এখন পর্যন্ত কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
চলতি মাসে এই ঘটনা ভূমিকম্পের তৃতীয়বারের হিসেবে রেকর্ড হলো। এর আগে ১৪ সেপ্টেম্বর ভারতের আসামে ৫.৮ মাত্রার ভূমিকম্প এবং ২১ সেপ্টেম্বর সিলেট বিভাগের সুনামগঞ্জের ছাতকে ৪ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়।
৬৮ দিন আগে
৮.৮ মাত্রার ভূমিকম্পে রাশিয়া, জাপানে সুনামি; দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলজুড়ে সতর্কতা জারি
রাশিয়ার পূর্বাঞ্চলে বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী একটি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। বুধবার ৮.৮ মাত্রার ওই কম্পনে উত্তর প্রশান্ত মহাসাগরে সুনামির সৃষ্টি হয়। এ ছাড়া আলাস্কা, হাওয়াই ও দক্ষিণে নিউজিল্যান্ড পর্যন্ত উপকূলীয় অঞ্চলগুলোতে সুনামির সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
জাপান ও মার্কিন ভূমিকম্পবিদদের মতে, জাপানের স্থানীয় সময় বুধবার (৩০ জুলাই) সকাল ৮টা ২৫ মিনিটে ভূমিকম্পটির প্রাথমিক মাত্রা ছিল ৮.০। পরে মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) তা সংশোধন করে ৮.৮ করে এবং ভূকম্পনটির গভীরতা ছিল ২০.৭ কিলোমিটার।
ভূমিকম্পটির কেন্দ্র ছিল রাশিয়ার কামচাটকার পেত্রোপাভলোভস্ক-কামচাতস্কি শহর থেকে ১১৯ কিলোমিটার পূর্ব থেকে দক্ষিণ-পূর্বে। ওই শহরটির জনসংখ্যা প্রায় ১ লাখ ৮০ হাজার। সেখানে এ পর্যন্ত ৬.৯ মাত্রার বেশ কয়েকটি ভূমিকম্প-পরবর্তী কম্পনও রেকর্ড করা হয়েছে।
পেত্রোপাভলোভস্ক-কামচাতস্কিতে ভবনের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, রাস্তায় গাড়ি দুলেছে, বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়েছে এবং মোবাইল ফোন সেবাও বন্ধ হয়ে যায়।
রুশ সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, কয়েকজন চিকিৎসা সহায়তা চাইলেও গুরুতর আহতের খবর পাওয়া যায়নি।
২০১১ সালের মার্চে জাপানের উত্তর-পূর্ব উপকূলে আঘাত হানা ৯.০ মাত্রার ভূমিকম্পের পর বিশ্বজুড়ে এটাই সবচেয়ে শক্তিশালী কম্পন। ওই ভূমিকম্পে বিশাল সুনামি হয়েছিল এবং একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে গলন শুরু হয়।
তবে জাপানের প্রশান্ত উপকূলীয় পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোতে বুধবারের ভূমিকম্পের পর কোনো গড়বড় ধরা পড়েনি। টোকিও ইলেকট্রিক পাওয়ার কোম্পানি (টেপকো) জানিয়েছে, ফুকুশিমা দাইইচি কেন্দ্রটিতে প্রায় ৪ হাজার কর্মী উঁচু এলাকায় আশ্রয় নিয়েছেন এবং দূর থেকে কেন্দ্রে নজরদারি চালিয়ে যাচ্ছেন।
১২৮ দিন আগে
জাপানি দ্বীপপুঞ্জে দুই সপ্তাহে ৯ শতাধিক ভূমিকম্প
জাপানের দক্ষিণাঞ্চলের একটি বিচ্ছিন্ন দ্বীপপুঞ্জে গেল দুই সপ্তাহে ৯ শতাধিক ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। এখন সামনে কী ঘটতে যাচ্ছে, সেই আতঙ্কে সেখানকার নাগরিকদের ঘুম পর্যন্ত হারাম হয়ে গেছে। যদিও এসব ভূকম্পে বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর আসেনি।
ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ান এমন খবর দিয়েছে। ভূমিকম্পের এই প্রবণতা কখন থামবে, তা বলতে পারছে না জাপানের আবহাওয়া অধিদপ্তর।
বুধবার (৩ জুলাই) এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির ভূমিকম্প ও সুনামি পর্যবেক্ষণ বিভাগের পরিচালক আয়াতাকা এবিতা বলেন, ‘গেল ২১ জুন থেকে তোকারা দ্বীপপুঞ্জের সমুদ্রে ভূকম্পনীয় তৎপরতা খুবই সক্রিয়।’
দক্ষিণাঞ্চলীয় কিয়ুশু দ্বীপে পাঁচ দশমিক পাঁচ মাত্রার একটি ভূমিকম্প হওয়ার পরই তিনি এই সংবাদ সম্মেলন ডাকেন। এই ভূকম্পবিশারদ বলেন, ‘আজ ৪টা পর্যন্ত ভূমিকম্পের সংখ্যা ৯ শতাধিক ছাড়িয়ে গেছে।’
আরও পড়ুন: নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচন: মুসলমানদের মধ্যে আশা জাগাচ্ছেন মামদানি
অঞ্চলটিতে আরও বড় ধরনের ভূমিকম্প আঘাত হানতে পারে শঙ্কায় বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া উচিত বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
জাপানি সংবাদমাধ্যম দ্য মেইনিচি শিম্পুন জানিয়েছে, মঙ্গলবার পর্যন্ত আগের ১০ দিনে অঞ্চলটিতে ৭৪০টি ভূমিকম্প নথিভুক্ত করা হয়েছে। সাত মাত্রার ভূমিকম্পের তীব্রতার স্কেলে এক বা তার চেয়ে বেশি মাত্রার ছিল এগুলো। জাপানে ভূমিকম্পের কাঁপুনির মাত্রা বোঝাতে এই স্কেল ব্যবহার করা হয়, যেখানে সাত হচ্ছে সবচেয়ে শক্তিশালী মাত্রা।
পাঁচ মাত্রার ভূমিকম্প হলে মানুষকে সতর্ক করার জন্য সেটি যথেষ্ট বলে বিবেচনা করা হয়। কারণ, এই মাত্রার ভূমিকম্পে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়াতে পারে, টাল সামলাতে অবলম্বন হিসেবে কিছু একটা ধরে রাখতে বাধ্য হতে হয়।
নিজেদের ওয়েবসাইটে তোকারা গ্রাম জানিয়েছে, ভূমিকম্পের ভয়ে লোকজন ঘুমাতে না পেরে ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন।
‘মনে হচ্ছে, গ্রামটি সবসময় কাঁপছে। যে কারণে ঘুমাতে গেলে আতঙ্ক তৈরি হয়,’ বললেন একজন বাসিন্দা। কখন এই ভূমিকম্প শেষ হবে, তা স্পষ্ট না বলে মন্তব্য করেন আরেক বাসিন্দা। তিনি বলেন, ‘সন্তানদের নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিতে হবে কিনা; সেটা নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে।’
সরকারি উপাত্ত থেকে জানা যায়, ২৩ জুন একদিনেই ১৮৩টি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। ২৬ জুন এই সংখ্যাটি ছিল ১৫; ২৭ জুন ১৬। কিন্তু পরেরদিন থেকে আবার বাড়তে থাকে ভূকম্পের সংখ্যা। ২৮ জুন ৩৪টি ভূমিকম্প হয়েছে, ২৯ জুন ৯৮টি। আর ৩০ জুন ৬২টি ভূমিকম্প হয়েছে।
এরআগে ২০২৩ সালে তোকারা অঞ্চলে একই ধরনের ভূকম্পনীয় প্রবণতা দেখা গেছে। তখন ৩৪৬টি ভূমিকম্প নথিভুক্ত করা হয়েছে।
বিচ্ছিন্ন তোকারা দ্বীপপুঞ্জের সাতটিতে মানুষ বাস করেন। এসব দ্বীপে সবমিলিয়ে ৭০০ বাসিন্দা রয়েছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তোকারা দ্বীপপুঞ্জের আশপাশের অঞ্চলের ভূতাত্ত্বিক গঠন অস্বাভাবিক হওয়ায় সাগরতলের নিচে গিয়ে চাপ জমা পড়ে সহজভাবে, পরে তা ভূমিকম্পের আকারে বেরিয়ে আসে।
বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ভূকম্পনপ্রবণ দেশগুলোর একটি হচ্ছে জাপান।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে জন্মসূত্রে নাগরিকত্বে আদেশ কার্যকর হচ্ছে
প্রশান্ত মহাসাগরীয় ‘রিং অফ ফায়ারের’ পশ্চিম প্রান্ত বরাবর চারটি বড় টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থলে অবস্থিত জাপান। সাড়ে ১২ কোটি জনসংখ্যার দেশটির বাসিন্দারা বছরে দেড় হাজারের বেশি ভূকম্পের মুখে পড়েন। যা বিশ্বের মোট ভূমিকম্পের আঠারো শতাংশ।
তবে এগুলোর বেশিরভাগই মৃদু হওয়ায় অবস্থান ও ভূমিকম্পের গভীরতার ওপর ভিত্তি করে ক্ষয়ক্ষতি ঘটে।
১৫৪ দিন আগে
রঙে আঁকা ভবিষ্যদ্বাণী: কল্পনার ভূকম্পে বাস্তবিক আতঙ্ক
কাল্পনিক হলেও জাপানের একটি জনপ্রিয় মাঙ্গায় (জাপানি ভাষায় তৈরি গ্রাফিক উপন্যাস বা কমিক বই) ভূমিকম্পের ভবিষ্যদ্বাণী জনসাধারণের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। দেশটির পর্যটন শিল্পেও এর বিরূপ প্রভাব পড়েছে। বিশেষ করে এশীয় কয়েকটি দেশ– দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান ও হংকং থেকে জাপান ভ্রমণের ফ্লাইট বুকিংয়ের হার আশঙ্কাজনকভাবে কমেছে।
ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ান এমন খবর দিয়েছে।
লেখিকা রয় তাতসুকির ‘দ্য ফিউচার আই স্য’ নামের মাঙ্গাটি তার নিজের ভবিষ্যদ্বাণীমূলক স্বপ্নের ওপর ভিত্তি করে লিখেছিলেন। ১৯৯৯ সালে প্রকাশিত মাঙ্গাটির প্রচ্ছদে ২০১১ সালের মার্চে একটি ভয়াবহ দুর্যোগ সংঘটনের ইঙ্গিত ছিল। এ সময়ে দেশটিতে স্মরণকালের বিধ্বংসী ভূমিকম্প ও সুনামি আঘাত হানে।
এতে জাপানে উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ১৮ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হন এবং এর ফলে ফুকুশিমার পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে জনজীবনে বিপর্যয় নেমে আসে।
পরবর্তীতে, মাঙ্গাটির ২০২১ সালে প্রকাশিত নতুন সংস্করণে নির্মাতা তাতসুকি পূর্বাভাস দেন–পরবর্তী ভয়াবহ দুর্যোগটি ২০২৫ সালের ৫ জুলাই ঘটবে।
আরও পড়ুন: গাজায় চিকিৎসক দম্পতির ১০ সন্তানের ৯ জনই নিহত
এই দাবির বৈজ্ঞানিক কোনো ভিত্তি নেই। তবে ২০১১ সালের দুর্যোগ নিয়ে লেখিকার পূর্বাভাস মিলে গিয়েছিল। যে কারণে তার সাম্প্রতিক পূর্বাভাস সামাজিকমাধ্যমে নতুন করে আলোচনায় এসেছে। বিষয়টি অনেকেই গুরুত্বসহকারে নিচ্ছেন। পূর্বাভাসের কারণে উদ্বেগ বাড়ছে সাধারণ মানুষ ও পর্যটকদের মধ্যে।
এর ব্যাপক প্রভাব পড়ছে জাপানের পর্যটন খাতে। বিশেষ করে দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান ও হংকং থেকে জাপানগামী পর্যটকদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য প্রভাব পড়েছে।
বিমান বুকিং বিশ্লেষণকারী সংস্থা ফরোয়ার্ডকিইসের তথ্য ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অর্থনৈতিক গবেষণা ও বাজার বিশ্লেষণকারী সংস্থা ব্লুমবার্গ ইন্টেলিজেন্স জানিয়েছে, হংকং থেকে জাপানগামী ফ্লাইট বুকিং গত বছরের তুলনায় ৫০ শতাংশ কমেছে। চলতি বছরের জুনের শেষ থেকে জুলাইয়ের শুরু পর্যন্ত সময়কালের বুকিং ৮৩ শতাংশ পর্যন্ত কমে গেছে।
হংকংয়ের একটি পর্যটন সংস্থা (ট্রাভেল এজেন্সি) জানিয়েছে, ওই মাঙ্গার প্রভাবেই অনেকেই জাপান সফরের পরিকল্পনা বাতিল করছেন। এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া বসন্তকালীন ছুটির সময়ে জাপানগামী পর্যটক সংখ্যা এরমধ্যেই গত বছরের অর্ধেকে নেমে গেছে।
হংকংভিত্তিক বিমান সংস্থা গ্রেটার বে এয়ারলাইন্স জানিয়েছে, চেরি ফুলের মৌসুম ও ইস্টার ছুটিকে কেন্দ্র করে সাধারণত জাপানে ভ্রমণের চাহিদা বেশি থাকলেও এবার তা আশঙ্কাজনকভাবে কমেছে।
জাপানে সংস্থাটির কান্ট্রি ম্যানেজার হিরোকি ইতো স্থানীয় গণমাধ্যম আসাহি শিম্বুনকে বলেন, ‘আমরা ধারণা করেছিলাম এবারের মৌসুমে বিমানের আসনের প্রায় ৮০ শতাংশ বুক হয়ে যাবে। অথচ বাস্তবে হয়েছে মাত্র ৪০ শতাংশ।’
এ অবস্থায় গ্রেটার বে এয়ারলাইন্স ও হংকং এয়ারলাইন্স জাপানের ফ্লাইটের সংখ্যা কমিয়ে দিয়েছে।
আরও পড়ুন: বানরেরাও অপহরণ করে! বিজ্ঞানীদের অদ্ভুত আবিষ্কার
এদিকে, জাপান সরকার এই গুজব এড়িয়ে চলার আহ্বান জানিয়েছে। দেশটির মিয়াগি প্রদেশের গভর্নর ইয়োশিহিরো মুরাই বলেছেন, ২০১১ সালের ভূমিকম্পে যে তিনটি অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছিল, তার মধ্যে মিয়াগি অন্যতম।
গভর্নর মুরাই এ ধরনের গুজবের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ‘এসব ভিত্তিহীন দাবি পর্যটনে বিরূপ প্রভাব ফেলছে। আমরা সবাইকে অনুরোধ করছি—গুজবে কান না দিয়ে তথ্যভিত্তিক সিদ্ধান্ত নিন।’
কোভিড-১৯ মহামারির পর থেকে জাপানে পর্যটকের সংখ্যা রেকর্ড পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে। এপ্রিল মাসে রেকর্ড ৩৯ লাখ পর্যটক দেশটিতে ভ্রমণ করেছেন। সরকার আশা করছিল, চলতি দশকের শেষে দেশটির বার্ষিক পর্যটক সংখ্যা ৬ কোটি ছাড়িয়ে যাবে।
এদিকে, দেশটির সরকারি সম্প্রচারমাধ্যম এনএইচকে জানিয়েছে, ২০২১ সালে প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে মাঙ্গাটির নতুন সংস্করণের প্রায় ১০ লাখ কপি বিক্রি হয়েছে। এটার ওপর ভিত্তি করে ইউটিউবে ১,৪০০টিরও বেশি ভিডিও ছাড়া (আপলোড) হয়েছে, সেগুলো এরমধ্যেই ১০০ কোটিরও বেশি বার দেখা হয়েছে।
কিছু ভিডিওতে আগ্নেয়গিরির বিস্ফোরণ এমনকি উল্কাপাতের মতো আতঙ্কজনক পূর্বাভাসও দেওয়া হয়েছে। প্রশান্ত মহাসাগরের ‘রিং অফ ফায়ার’ এলাকায় অবস্থিত হওয়ার কারণে জাপান পৃথিবীর অন্যতম ভূমিকম্প প্রবণ দেশ।
রিং অফ ফায়ার’ হলো প্রশান্ত মহাসাগর ঘিরে বিস্তৃত ভূকম্পন ও আগ্নেয়গিরিপ্রবণ একটি অঞ্চল, যেখানে পৃথিবীর অধিকাংশ শক্তিশালী ভূমিকম্প ও আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাত ঘটে।তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভূমিকম্পের সময় ও স্থান সঠিকভাবে পূর্বাভাস দেওয়া সম্ভব নয়।
গেল আগস্টে, ভূকম্পবিদদের প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূলে মেগা ভূমিকম্পের সতর্কবাণীতে দেশটির তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা একটি বিদেশ সফর বাতিল করেছিলেন। চলতি বছরের এপ্রিল মাসে দেশটির একটি সরকারি টাস্কফোর্স আশঙ্কা করেছে, নানকাই ট্রাফ এলাকায় ৯ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানতে পারে।
এতে, প্রায় ২ লাখ ৯৮ হাজার মানুষের প্রাণহানি ও ২০ লাখেরও বেশি স্থাপনা ধ্বংস হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। তাদের মতে, আগামী ৩০ বছরের মধ্যে এমন দুর্যোগ ঘটার সম্ভাবনা প্রায় ৮০ শতাংশ।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ সুদানে এশীয় অভিবাসীদের নির্বাসন-চেষ্টার অভিযোগ যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে
অন্যদিকে, মাঙ্গার নির্মাতা তাতসুকি তার পূর্বাভাসগুলি বিশ্বাস না করার জন্য পাঠকদের সতর্ক করেছেন। দেশটির গণমাধ্যমে দেওয়া সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমার লিখা মানুষকে প্রাকৃতিক দুর্যোগের ব্যাপারে সচেতন করেছে, এটা আনন্দের বিষয়। তবে অপ্রয়োজনীয়ভাবে প্রভাবিত না হয়ে বিশেষজ্ঞদের মতামত শোনা গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেন তিনি।
১৮৯ দিন আগে
গভীর রাতে ঢাকা, সিলেটে ভূকম্পন অনুভূত
সিলেটে মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টা ২৪ মিনিটে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। ঢাকারও বিভিন্ন এলাকায় কম্পন অনুভূত হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে কোথাও কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। গভীর রাতে হওয়ায় অনেক বাসিন্দাই কম্পন টের পাননি।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৫ দশমিক ২। এর উৎপত্তিস্থল ছিল ভারতের মণিপুর রাজ্যের মোইরাং শহরের কাছাকাছি, যা সিলেট থেকে প্রায় ২১৭ কিলোমিটার দূরে। ভূমিকম্পটির গভীরতা ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৪৭ কিলোমিটার।
ভূমিকম্প ও আগ্নেয়গিরি পর্যবেক্ষণ বিষয়ক ওয়েবসাইট ভলকানো ডিসকভারি জানায়, মণিপুরের ইম্ফল শহর থেকে প্রায় ৩৯ কিলোমিটার দূরে শক্তিশালী এই ভূমিকম্প আঘাত হানে। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১টা ৫৪ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় ২টা ২৪ মিনিটে) কম্পনটি অনুভূত হয়।
ভূপৃষ্ঠের কাছাকাছি মাত্র ৪৭ কিলোমিটার গভীরতা থাকায় ভূমিকম্পটি বিস্তৃত এলাকাজুড়ে তুলনামূলকভাবে জোরালোভাবে অনুভূত হয়।
সিলেটের কয়েকজন বাসিন্দা জানিয়েছেন, রাতের নিরবতা ভেঙে হালকা কম্পন অনুভব করেছিলেন তারা। তবে কোথাও বড় ধরনের কোনো ক্ষতির তথ্য পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন স্থানীয় প্রশাসন।
আরও পড়ুন: ভূমিকম্পের উচ্চঝুঁকিতে বাংলাদেশ, নির্দেশনা জারি
১৯১ দিন আগে
সন্তানদের রক্ষায় নিজেরাই ঢাল হয়ে গেল হাতিরা
বিপদ টের পেলে সবার আগে বাচ্চাদের আগলে রাখার চেষ্টা করে মানুষ। নিজেদের প্রাণ গেলেও সন্তানদের রক্ষায় সর্বোচ্চ চেষ্টা করেন তারা। এ এক চিরন্তন মায়া, যার সঙ্গে অন্য কিছুর তুলনা হয় না। এবার মানুষের মতো সন্তানদের প্রতি অদ্ভুত ভালোবাসা দেখিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের একদল হাতি।
ঘটনাটি সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকালের। পাঁচ দশমিক দুই মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের সানদিয়াগো শহর। মাটিতে কম্পন শুরু হওয়ার সাথে সাথে বাচ্চাদের রক্ষায় তৎপর হয়ে ওঠে শহরটির চিড়িয়াখানার সাফারি পার্কের একদল হাতি।
পার্কের বাইরে থেকে তোলা একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, সকালের আলোতে দাঁড়িয়ে ছিল পাঁচটি আফ্রিকান হাতি। হঠাৎ কম্পন শুরু হলে তারা দিগ্বিদিক ছোটাছুটি শুরু করে।
এ সময়ে বয়স্ক তিন হাতি—এনডিলুলা, উমনগানি ও খোসি—সাত বছর বয়সী দুই বাছুর জুলি ও এমখায়াকে ঘিরে বলয় তৈরি করে ফেলে, যাতে কোনো বিপদ এসে তাদের ক্ষতি করতে না পারে। সম্ভাব্য ঝুঁকি থেকে সন্তানদের বাঁচাতে তারা ঢাল হয়ে গেল মুহূর্তেই।
বিপদ কেটে যাওয়ার আগ পর্যন্ত বলয়ের মধ্যে কয়েক মিনিট তারা ঘেঁষাঘেঁষি করে ছিল। তখন বয়স্ক হাতিগুলো বাইরের দিকে তাকিয়ে ছিল, যেকোনো বিপদ মোকাবিলায় তারা যেন প্রস্তুত। তাদের প্রসারিত কান ঝাপটাচ্ছিল তখন।আরও পড়ুন: কর্ণফুলীতে বন্য হাতির তাণ্ডব দমনে ব্যর্থ প্রশাসন, সড়ক অবরোধ
সানদিয়াগো থেকে শুরু করে ১২০ মাইল দূরের লস অ্যাঞ্জেলেস থেকেও অনুভূত হয়েছিল এই ভূকম্পন। এতে সানদিয়াগো কাউন্টির সড়কগুলোতে পাথরের চাঁই আছড়ে পড়ে। ভূমিকম্পের উৎপাত্তিস্থলের কাছের ছোট্ট পাহাড়ি শহর জুলিয়ানে দোকানের তাক থেকে জিনিসপত্র নিচে পড়ে যেতে দেখা গেছে।
যদিও এতে বড় ধরনের হতাহত কিংবা ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। কিন্তু বাচ্চাদের জন্য হলেও আতঙ্কিত হয়ে পড়ে হাতিরা। বিপদ মোকাবিলায় পাশাপাশি দাঁড়িয়ে যায় তারা।
সানদিয়াগো চিড়িয়াখানা সাফারি পার্কের স্তন্যপায়ী প্রাণীর কিউরেটর মিন্ডি অলব্রাইট বলেন, ‘বাছুরগুলোকে ঘিরে বলয় তৈরি করার পর বিপদ কোথা থেকে আসছে, তা উপলব্ধি করতে চেষ্টা করে হাতিরা।’
খুবই বুদ্ধিদীপ্ত ও সামাজিক প্রাণী বলা হয় বৃহত্তর স্থলচর এই প্রাণীকে। পায়ের মাধ্যমে তারা আওয়াজ অনুভব করতে পারে। যখন তারা বিপদ টের পেয়ে যায়, তখন সতর্কতামূলক পরিস্থিতি মোকাবিলায় একটি বৃত্তের মতো তৈরি করে দাঁড়িয়ে যায়। বাচ্চা হাতিরা ওই বলয়ের মাঝে থাকে, আর বিপদ মোকাবিলায় বাইরের দিকে থাকে বড়রা।
সোমবারের ভিডিওতে দেখা যায়, বয়স্ক হাতিদের মধ্যে আশ্রয় খুঁজতে দৌড়াচ্ছিল বাছুরগুলো। এই মা হাতিগুলোই বাচ্চাদের বড় করেছে। কিন্তু নিজের সাহস দেখাতে একমাত্র পুরুষ হাতিটি বৃত্তের কিনারে দাঁড়িয়েছিল। তখন স্ত্রী হাতি খোসি শুঁড় দিয়ে তার পিঠে ও মুখে চাপড় দিয়ে বলতে চাচ্ছিল, ‘সবকিছু ঠিক আছে। কিচ্ছু হবে না। তুমিও বৃত্তের মধ্যে চলে এসো।’
২৩৩ দিন আগে
ঢাকাসহ আশপাশে ভূমিকম্প অনুভূত
ঢাকাসহ রাজধানীর আশপাশের এলাকায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল চার।
শুক্রবার (১১ এপ্রিল) বিকাল ৪টা ৫২ মিনিট ৫৭ সেকেন্ডে এই কম্পন অনুভূত হয় বলে আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূমিকম্প বিষয়ক এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল ঢাকার আগারগাঁওয়ের আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে পূর্ব ও উত্তর-পূর্বে ১০৫ কিলোমিটার দূরে, বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের দিকে।
ভূমিকম্পের মাত্রা ‘মৃদু’ ছিল বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
ইউরোপিয়ান-মেডিটেরানিয়ান সিসমোলজিক্যাল সেন্টারও (ইএমএসসি) এ বিষয়ে নিশ্চিত করেছে।
ইএমএসসির তথ্য বলছে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল কুমিল্লা থেকে ৬৮ কিলোমিটার উত্তরে এবং ভারতের আগরতলা থেকে ২৬ কিলোমিটার উত্তরে দুদেশের সীমান্তের দিকে। ভূগর্ভের ১০ কিলোমিটার গভীরে এই কম্পনটির উৎপত্তি হয়।
ভূমিকম্পটি মৃদু এবং স্বল্পস্থায়ী হলেও এর প্রভাবে বিভিন্ন স্থাপনা কেঁপে ওঠে। এর পরপরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেককে এ বিষয়ে পোস্ট দিতে দেখা যায়। অনেকে তাদের অভিজ্ঞতা জানিয়ে সবাইকে নিরাপদ থাকার জন্য পরামর্শ দেন। তবে তাৎক্ষণিকভাবে কোথাও কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
২৩৭ দিন আগে
ভূমিকম্প: মিয়ানমারে তহবিল সংগ্রহে ‘সিংহ নাচ’
মিয়ানমারে সাম্প্রতিক ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার জন্য ইয়াঙ্গুনের ব্যস্ততম চায়না টাউনের প্রাণকেন্দ্রে ‘সিংহ নাচ’ পরিবেশনের মাধ্যমে তহবিল সংগ্রহ করছেন দেশটির তরুণরা।
ফেং ই ড্রাগন ও লায়ন ড্যান্স অ্যাসোসিয়েশনের ৩০ জনেরও বেশি তরুণের একটি দল চলতি মাসের ৩ থেকে ৮ এপ্রিল পর্যন্ত অভিনব এই অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন।
এ কার্যক্রমে ব্যাপক সাড়া পেয়েছেন বলে জানান তারা। ওই তরুনরা বলেন, অনেক পথচারীই তাদের নাচে আকৃষ্ট হয়েছেন এবং উৎসাহ দিয়েছেন।
এই উদ্যোগের মাধ্যমে দলটি মিয়ানমারেরে মুদ্রায় ৫ মিলিয়ন কিয়াট (প্রায় ২ হাজার ৩৮০ মার্কিন ডলার) সংগ্রহ করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন তারা।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারের ভূমিকম্পের পর ৮৯ আফটারশক অনুভূত
ভূমিকম্পে নিহতদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে দলটির সদস্যরা বলেন, সংগৃহীত অর্থ সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত মান্দালয় ও সাগাইং শহরে বাসিন্দাদের সহায়তায় ব্যবহার করার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।
লায়ন ড্যান্স অ্যাসোসিয়েশনের এক সদস্য মিয়ো মং মং মিন্ট (৩৫) বলেন, ‘তহবিল সংগ্রহ ও জরিপ শেষে বাসিন্দাদের সরাসরি সহায়তা করতে আমরা সেখানে যাবো। তাদের কি ধরনের সহায়তা প্রয়োজন বা কোনটি আগে প্রয়োজন সেটি জানতে আগেই একটি জরিপ করেছি আমরা।’
ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দাদের এই অর্থ দিয়ে সহায়তার পাশাপাশি পুনর্বাসনের পরিকল্পনাও তাদের রয়েছে বলে জানান মিয়ো।
অ্যাসোসিয়েশনের আরেক সদস্য বলেন, ‘এভাবে তহবিল সংগ্রহ করা মোটেই সহজ কাজ নয়। বিশেষত রোদের মধ্যে সিংহ নাচের পোশাক পরে নাচ করা বেশ কঠিন। তবে আমরা এতে অভ্যস্ত।’
২৩৯ দিন আগে