ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি সম্প্রতি ইরানের সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে বিমান হামলার পর ইসরায়েলে পাল্টা হামলার জন্য সামরিক কর্মকর্তাদের প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন।
এর ফলে দুই দেশের মধ্যে চলমান উত্তেজনা আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এর আগের দুই দেশ একাধিকবার পাল্টাপাল্টি হামলা চালিয়েছে।
গত সপ্তাহে ইসরায়েলি বিমানবাহিনী ইরানের বিমান বিধ্বংসী ব্যবস্থা ও রাডার সাইটে হামলা চালিয়ে দাবি করে, এর ফলে তাদের সামরিক সক্ষমতা হ্রাস পেয়েছে। এর প্রতিক্রিয়ায় ইরানি কর্মকর্তারা 'কঠোর' ও 'অকল্পনীয়' প্রতিশোধের কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন।
বিশ্লেষকদের মতে, ইরানের প্রতিক্রিয়া ৫ নভেম্বরের মার্কিন নির্বাচনের পর সময়মতো আসতে পারে। তবে কিছু বিশেষজ্ঞ মনে করেন এটি আরও আগে ঘটতে পারে।
টার্গেট তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে
ইসরায়েলি হামলায় চার ইরানি সেনা নিহত হওয়ার ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের পর খামেনি এ নির্দেশ দেন। ইরান ন্যূনতম প্রভাবের দাবি করলেও খামেনি বলেছিলেন, প্রতিক্রিয়া জানাতে যেকোনো ব্যর্থতা দুর্বলতা হিসেবে দেখা হবে।
আরও পড়ুন: ইসরায়েলকে ইরানে হামলার পরিণতি ভোগ করতে হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
টাইমস অব ইসরায়েলের খবরে বলা হয়েছে, ইরানের সামরিক পরিকল্পনাকারীরা পাল্টা আক্রমণের জন্য ইসরায়েলের সম্ভাব্য লক্ষ্যবস্তুর তালিকা তৈরি করছেন।
ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা বলছে, ইরানি ভূখণ্ডে সরাসরি হামলার ঝুঁকি কমাতে ইরানপন্থি বিদ্রোহীদের ব্যবহার করে ইরানি ভূখণ্ড থেকে প্রতিশোধ নিতে পারে দেশটি।
ইসরায়েলি অভিযান ও উদ্দেশ্য
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জোর দিয়ে বলেন, ইসরায়েল ইরানের অভ্যন্তরে অভূতপূর্ব স্বাধীনতা উপভোগ করছে। সাম্প্রতিক পদক্ষেপগুলো ইরানের বিমান প্রতিরক্ষা ক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে দুর্বল করেছে বলেও দাবি করেছে।
তিনি ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন থেকে বিরত রাখতে ইসরাইলের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন এবং প্রয়োজনে আরও সামরিক অভিযানের জন্য প্রস্তুতির ইঙ্গিত দেন।
নিজের কার্যালয় থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে নেতানিয়াহু বলেন, 'আইডিএফ এবং আমাদের নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর মূল লক্ষ্য হচ্ছে ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন থেকে বিরত রাখা। এটা সবসময়ই আমাদের প্রধান উদ্বেগের বিষয় ছিল।’
তিনি বলেন, ‘আমরা ইরানের দুর্বল পয়েন্টগুলোতে আঘাত হেনেছি। এখন ইরানে আগের চেয়ে ইসরায়েলের বেশি কার্যক্ষমতার স্বাধীনতা রয়েছে- ইরানি নেতাদের দম্ভোক্তি এই বাস্তবতাকে আড়াল করতে পারে না। আমরা যেখানে প্রয়োজন সেখানে কাজ করতে পারি।’
আরও পড়ুন: ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সৌদি আরবে বৈঠক