বিমান হামলা
যুদ্ধবিরতির মধ্যেই লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৫
যুদ্ধবিরতির মধ্যেই শনিবার ইসরায়েলি হামলায় দক্ষিণ লেবাননে পাঁচজন নিহত হয়েছেন।
লেবাননের জাতীয় সংবাদ সংস্থা (এনএনএ) এ তথ্য জানিয়েছে, দক্ষিণ লেবাননের বিনতে জাবেইল জেলার বেইত লিফ গ্রামে ইসরায়েলি বিমান হামলায় চারজন নিহত হয়েছেন। এ হামলায় আরও ছয়জন আহত হয়েছেন।
এছাড়া, দক্ষিণ লেবাননের দেইর সিরিয়ান গ্রামে ইসরায়েলি বিমান হামলায় এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।
এনএনএ আরও জানায়, ২৪ নভেম্বর বৈরুতের বাস্তা এলাকায় একটি আবাসিক ভবন লক্ষ্য করে ইসরায়েলি বিমান হামলায় চার সিরীয় নাগরিক নিহত হন। বেসামরিক প্রতিরক্ষা দলগুলো সেসব লাশ উদ্ধার করে।
ইসরায়েল ও লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর মধ্যে প্রায় ১৪ মাস ধরে চলা যুদ্ধ বন্ধের লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সের মধ্যস্থতায় ২৭ নভেম্বর থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়।
চুক্তির অধীনে, উভয় পক্ষ ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতির বিষয়ে সম্মত হয়েছে। এর মধ্যে ইসরায়েল ধীরে ধীরে দক্ষিণ লেবানন থেকে তার সেনা প্রত্যাহার করবে এবং হিজবুল্লাহ লিতানি নদীর উত্তর দিকে সরে যাবে।
যুদ্ধবিরতি সত্ত্বেও, উভয় পক্ষের বিরুদ্ধেই যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। ফলে চুক্তির স্থায়িত্ব সম্পর্কে উদ্বেগজনক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
২ সপ্তাহ আগে
ইসরায়েলি বিমান হামলায় সিরিয়ায় নিহত ৭
সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের কাছে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ৭ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। এ হামলায় ২০ জন আহত হয়েছেন।
রবিবার বিকেল এ হামলা চালানো হয় বলে জানিয়েছে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে জানানো হয়, স্থানীয় সময় বিকেল ৫টার দিকে (১৪০০ জিএমটি) গোলান মালভূমি থেকে দামেস্কের সায়িদা জয়নাব এলাকার একটি আবাসিক ভবন লক্ষ্য করে ইসরায়েলি বাহিনী বিমান হামলা চালায়।
আরও পড়ুন: গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় ৩০ ফিলিস্তিনি নিহত
বিবৃতিতে বলা হয়, এ হামলায় ব্যক্তিগত মালকানাধীন ওই ভবনের ব্যাপক ক্ষতি হয়।
ব্রিটেনভিত্তিক যুদ্ধ পর্যবেক্ষক সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস এর আগেতাদের প্রতিবেদনে বলে, এই হামলা একটি আবাসিক ভবনের এক ফ্ল্যাটে আঘাত হানে। ভবনটিতে লেবাননের নাগরিক ও হিজবুল্লাহ সদস্যরা বসবাস করছিলেন।
সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের দক্ষিণে শিয়াদের গুরুত্বপূর্ণ মাজার এলাকা সায়িদা জয়নাব। এর আগেও এখানে ইসরায়েল হামলা চালিয়েছে।
সম্প্রতি কয়েক বছরে ইসরায়েল সিরিয়ায় একাধিক বিমান হামলা চালিয়েছে। ইরানি সামরিক সম্পদ ও হিজবুল্লাহর কাছে পাঠানোর জন্য প্রস্তুত অস্ত্র ওই হামলার লক্ষ্য ছিল বলে দাবি করে তারা।
আরও পড়ুন: গাজার উত্তরাঞ্চলে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত ২৫
১ মাস আগে
বিমান হামলার পর ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিশোধের হুঁশিয়ারি খামেনির
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি সম্প্রতি ইরানের সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে বিমান হামলার পর ইসরায়েলে পাল্টা হামলার জন্য সামরিক কর্মকর্তাদের প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন।
এর ফলে দুই দেশের মধ্যে চলমান উত্তেজনা আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এর আগের দুই দেশ একাধিকবার পাল্টাপাল্টি হামলা চালিয়েছে।
গত সপ্তাহে ইসরায়েলি বিমানবাহিনী ইরানের বিমান বিধ্বংসী ব্যবস্থা ও রাডার সাইটে হামলা চালিয়ে দাবি করে, এর ফলে তাদের সামরিক সক্ষমতা হ্রাস পেয়েছে। এর প্রতিক্রিয়ায় ইরানি কর্মকর্তারা 'কঠোর' ও 'অকল্পনীয়' প্রতিশোধের কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন।
বিশ্লেষকদের মতে, ইরানের প্রতিক্রিয়া ৫ নভেম্বরের মার্কিন নির্বাচনের পর সময়মতো আসতে পারে। তবে কিছু বিশেষজ্ঞ মনে করেন এটি আরও আগে ঘটতে পারে।
টার্গেট তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে
ইসরায়েলি হামলায় চার ইরানি সেনা নিহত হওয়ার ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের পর খামেনি এ নির্দেশ দেন। ইরান ন্যূনতম প্রভাবের দাবি করলেও খামেনি বলেছিলেন, প্রতিক্রিয়া জানাতে যেকোনো ব্যর্থতা দুর্বলতা হিসেবে দেখা হবে।
আরও পড়ুন: ইসরায়েলকে ইরানে হামলার পরিণতি ভোগ করতে হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
টাইমস অব ইসরায়েলের খবরে বলা হয়েছে, ইরানের সামরিক পরিকল্পনাকারীরা পাল্টা আক্রমণের জন্য ইসরায়েলের সম্ভাব্য লক্ষ্যবস্তুর তালিকা তৈরি করছেন।
ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা বলছে, ইরানি ভূখণ্ডে সরাসরি হামলার ঝুঁকি কমাতে ইরানপন্থি বিদ্রোহীদের ব্যবহার করে ইরানি ভূখণ্ড থেকে প্রতিশোধ নিতে পারে দেশটি।
ইসরায়েলি অভিযান ও উদ্দেশ্য
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জোর দিয়ে বলেন, ইসরায়েল ইরানের অভ্যন্তরে অভূতপূর্ব স্বাধীনতা উপভোগ করছে। সাম্প্রতিক পদক্ষেপগুলো ইরানের বিমান প্রতিরক্ষা ক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে দুর্বল করেছে বলেও দাবি করেছে।
তিনি ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন থেকে বিরত রাখতে ইসরাইলের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন এবং প্রয়োজনে আরও সামরিক অভিযানের জন্য প্রস্তুতির ইঙ্গিত দেন।
নিজের কার্যালয় থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে নেতানিয়াহু বলেন, 'আইডিএফ এবং আমাদের নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর মূল লক্ষ্য হচ্ছে ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন থেকে বিরত রাখা। এটা সবসময়ই আমাদের প্রধান উদ্বেগের বিষয় ছিল।’
তিনি বলেন, ‘আমরা ইরানের দুর্বল পয়েন্টগুলোতে আঘাত হেনেছি। এখন ইরানে আগের চেয়ে ইসরায়েলের বেশি কার্যক্ষমতার স্বাধীনতা রয়েছে- ইরানি নেতাদের দম্ভোক্তি এই বাস্তবতাকে আড়াল করতে পারে না। আমরা যেখানে প্রয়োজন সেখানে কাজ করতে পারি।’
আরও পড়ুন: ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সৌদি আরবে বৈঠক
১ মাস আগে
পূর্ব লেবাননে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত ৬০
পূর্ব লেবাননের বেকা উপত্যকায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় দুই শিশুসহ অন্তত ৬০ জন নিহত ও ৫৮ জন আহত হয়েছে।
লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সোমবারের এই হামলায় উপত্যকার ১২টি এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার বেশিরভাগই বালবেক অঞ্চলের।
এই হামলাকে লেবানন ও ইসরায়েলের মধ্যে সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে ওই এলাকায় চালানো 'সবচেয়ে সহিংস' হামলা বলে অভিহিত করেছেন বালবেকের গভর্নর বাছির খোদর।
গত ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে হিজবুল্লাহকে লক্ষ্য করে লেবাননে বিমান হামলা জোরদার করেছে ইসরায়েল। সম্প্রতি লেবাননের উত্তর সীমান্তে স্থল অভিযানও শুরু করেছে তারা।
এদিকে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত গাজায় অন্তত ৪৩ হাজার ২০ জন নিহত ও ১ লাখ ১ হাজার ১১০ জন আহত হয়েছে।
এই যুদ্ধে হামাসকে সমর্থন জানিয়ে হিজবুল্লাহ ইসরায়েলের বিরোধিতা শুরুর পর থেকে লেবাননে হিজবুল্লাহর ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালাতে থাকে ইসরায়েল।
১ মাস আগে
লেবাননে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত ৬
লেবাননের সরকারি বার্তাসংস্থা ন্যাশনাল নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, বালবেকের কেন্দ্রস্থলের নবী ইনাম এলাকার ওই বাড়িতে একটি ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। বেসামরিক প্রতিরক্ষা দল নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে। একইসঙ্গে আহতদের নিকটবর্তী হাসপাতালে স্থানান্তর করেছে লেবাননের রেড ক্রস।
আরও পড়ুন: গাজায় ইসরায়েলি বোমা হামলায় ৭৩ ফিলিস্তিনির মৃত্যু
এদিকে, সোমবার এক বিবৃতিতে হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, রোববার সন্ধ্যায় দক্ষিণ লেবাননে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর সঙ্গে গোলাবর্ষণের সময় তারা একটি ইসরায়েলি হার্মিস ৯০০ ড্রোন ভূপাতিত করেছে। ২০২৩ সালের ৮ অক্টোবরের পর দক্ষিণ ও পূর্ব লেবাননে এটি গোষ্ঠীটির নবম ড্রোন ভূপাতিত করার ঘটনা।
পৃথক আরেকটি বিবৃতিতে হিজবুল্লাহ বলেছে, তারা সোমবার ইসরায়েলের বেইত হিলেলের মোশাভে ইসরায়েলি আর্টিলারি অবস্থানসহ একাধিক স্থানে রকেট হামলা চালিয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ৭ অক্টোবর গাজায় হামাস-ইসরায়েল সংঘাতের সমর্থনে ৮ অক্টোবর ইসরায়েলের বিপক্ষে প্রতিরোধ গড়তে থাকে হিজবুল্লাহ। লেবানন-ইসরায়েল সীমান্তে ক্রমাগত সংঘাত বাড়তে থাকায় ওই অঞ্চলে বৃহৎ পরিসরে সংঘাতের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
আরও পড়ুন: গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৩৩ ফিলিস্তিনি নিহত
১ মাস আগে
সিরিয়ার একাধিক স্থানে ইসরায়েলি বিমান হামলা
সিরিয়ার বিভিন্ন এলাকায় বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। বুধবার মধ্যরাতের পর এসব হামলা চালানো হয় বলে জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন।
এসময় শিল্প নগরী হাসিয়ায় একটি কারখানা লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়। তাৎক্ষণিকভাবে একজন আহত এবং ত্রাণ সামগ্রী ও ত্রাণবোঝাই বেশ কয়েকটি গাড়ি ধ্বংস হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
এছাড়াও হামা প্রদেশের মারিন শহরে পৃথক এক হামলায় বড় ধরনের অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। এ হামলায় তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: লেবাননে গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত ৩৬, আহত ১৫০
এদিকে সিরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, স্থানীয় সময় রাত ১টার দিকে ইসরায়েল উত্তর লেবাননের দিক থেকে হোমসের গ্রামাঞ্চলের হাসিয়া শিল্পাঞ্চলের একটি গাড়ি মেরামতের কারখানা এবং হামার একটি সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালায়।
দারা শহরেও বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন।
এছাড়াও দামেস্কের নিকটবর্তী আল-কিসওয়াহ এলাকায় ইরানসংশ্লিষ্ট দলগুলোর সঙ্গে সম্পর্কিত একটি স্থাপনায় হামলার খবর দিয়েছে সৌদি আল-হাদাথ টেলিভিশন।
পরপর একাধিক এলাকায় আঘাত হানার এই হামলাগুলো এই সংঘাতে আরও এক দফা উত্তেজনা বাড়িয়ে দিয়েছে।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ বৈরুতে ইসরায়েলের ব্যাপক বিমান হামলা
২ মাস আগে
লেবাননে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত ৩৭, আহত ১৫১
গত ২৪ ঘণ্টায় লেবাননের বিভিন্ন এলাকায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় ৩৭ জন নিহত এবং ১৫১ জন আহত হয়েছে।
লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, লেবাননের রাজধানী বৈরুতে নয়জন নিহত ও ২৪ জন আহত হয়েছে।
এছাড়াও, মাউন্ট লেবাননে দুজন নিহত ও ১৫ জন আহত এবং বালবেক হারমেল প্রদেশে ৯ জন আহত হয়েছেন।
মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়, বেকা অঞ্চলে দুই জন নিহত এবং ১৪ জন আহত হয়েছে। অন্যদিকে নাবাতিয়েহ প্রদেশে ১৯ জন নিহত এবং ৫২ জন আহত হয়েছে।
এছাড়াও দক্ষিণ প্রদেশে পাঁচজন নিহত ও ৩৭ জন আহত হয়েছে।
গত ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী হিজবুল্লাহর সঙ্গে সংঘাতে লেবাননে নজিরবিহীন টানা বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
এই হামলার নাম দেওয়া হয়েছে 'উত্তরের তীর'।
গত ৭ অক্টোবর গাজা উপত্যকায় হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধে সংহতি জানায় হিজবুল্লাহ। ৮ অক্টোবর থেকে লেবানন-ইসরায়েল সীমান্তে ইসরায়েল-হিজবুল্লাহ সংঘাত শুরু হয় যার তীব্রতা এতই বাড়ছে যে মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে।
২ মাস আগে
ইরাকের পশ্চিমাঞ্চলে মার্কিন বিমান হামলায় নিহত ১৬, আহত ২৫: মুখপাত্র
ইরাক সরকার শনিবার বলেছে, ইরাকের পশ্চিমাঞ্চলে আধাসামরিক হাশদ শাবি বাহিনীর উপর মার্কিন বিমান হামলায় বেসামরিক নাগরিকসহ ১৬ জন নিহত এবং ২৫ জন আহত হয়েছেন।
সরকারের মুখপাত্র বাসিম আল-আওয়াদি এই হামলাকে 'নির্লজ্জ আগ্রাসন' অভিহিত করে ইরাকি নিউজ এজেন্সিকে (আইএনএ) বলেন, ‘মার্কিন প্রশাসন ইরাকের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করেছে। কারণ, তাদের বিমানগুলো আকাশাত ও আল-কাইম এলাকায় আমাদের নিরাপত্তা বাহিনীর অবস্থানের পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী বেসামরিক স্থাপনায় বিমান হামলা চালিয়েছে।’
আইএনএ-র মতে, ‘আল-আওয়াদি বিমান হামলা সম্পর্কে সরকার ও মার্কিন প্রশাসনের মধ্যে সমন্বয় রয়েছে বলে দাবি করা প্রতিবেদনগুলোও অস্বীকার করে বলেন যে এই প্রতিবেদনগুলো ‘আন্তর্জাতিক জনমতকে বিভ্রান্ত করা এবং এই অপরাধের আইনী দায় এড়ানোর লক্ষ্যে একটি মিথ্যা দাবি’।’
আরও পড়ুন: গাজায় ২৪ ঘণ্টায় ১৫০ জন নিহত: স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়
তিনি আরও বলেন, সরকার বিশ্বাস করে যে ইরাকের মাটিতে আন্তর্জাতিক জোট বাহিনীর উপস্থিতি ইরাকের সুরক্ষা ও স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে এবং আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সংঘাতে ইরাককে জড়িত করার ন্যায্যতা হয়ে উঠেছে।
আল-আওয়াদি সতর্ক করে বলেন, সাম্প্রতিক বিমান হামলা ইরাক ও ওই অঞ্চলের নিরাপত্তাকে অতল গহ্বরের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে।
শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইরাক ও সিরিয়ায় ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ডস কর্পস (আইআরজিসি) ও তাদের সহযোগী মিলিশিয়া গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে ৮৫টির বেশি লক্ষ্যবস্তুতে বিমান হামলা চালিয়েছে মার্কিন বাহিনী।
আরও পড়ুন: আফ্রিকার বিরোধপূর্ণ তেলসমৃদ্ধ অঞ্চল আবেইতে সংঘর্ষে নিহত ৫২
চীনে ভূমিধসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩১, এখনও নিখোঁজ অনেক
১০ মাস আগে
ইসরায়েলি বিমান হামলায় ১৩ জিম্মি নিহত: আল-কাসাম ব্রিগেড
গত ২৪ ঘণ্টায় গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় হামাসের হাতে আটক কমপক্ষে ১৩ জিম্মি নিহত হয়েছে। শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) হামাসের সামরিক শাখা আল-কাসাম ব্রিগেড এ তথ্য জানিয়েছে।
এক সংবাদ বিবৃতিতে আল-কাসাম ব্রিগেড জানিয়েছে, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় গাজার উত্তরাঞ্চলে এবং গাজা শহরের অভ্যন্তরে তীব্র ইসরায়েলি হামলার সময় বিদেশি ও ইসরায়েলি নিহত হয়েছে।’
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, উত্তর গাজা উপত্যকায় ছয়জন নিহত হয়েছেন এবং গাজা শহরের পৃথক স্থানে সাতজন নিহত হয়েছেন।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ঘোষণা করেছে, তারা গাজা উপত্যকায় বৃহস্পতিবার রাতে প্রায় ৭৫০টি লক্ষ্যবস্তুতে আক্রমণ করেছে। যার মধ্যে রয়েছে- ভূগর্ভস্থ টানেল, সামরিক কম্পাউন্ড এবং সাইট, কর্মকর্তাদের বাড়ি, অস্ত্রের ডিপো ও যোগাযোগ কক্ষ প্রভৃতি।
আরও পড়ুন: সিরিয়ার দামেস্ক ও আলেপ্পোর বিমানবন্দরে ইসরায়েলের বিমান হামলা
ইসরায়েলি হামলায় ফিলিস্তিনি নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১,০৭৮: স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়
কঠোর লড়াইয়ের পর ইসরায়েলি সৈন্যরা খুঁজে পান ধ্বংসস্তূপ ও শিশু হত্যার চিহ্ন
১ বছর আগে
গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৩২
গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৩২, আহত হয়েছেন আরও ১ হাজার ৬৯৭ জন।
শনিবার গাজায় ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক হালনাগাদ তথ্যে জানানো হয়।
এর আগে ইসলামিক রেজিস্ট্যান্স মুভমেন্টের (হামাস) রকেট হামলার জবাবে এই বিমান হামলা চালানো হয়।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী নিশ্চিত করেছে যে ফিলিস্তিনি জঙ্গিরা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রায় ৩ হাজার রকেট নিক্ষেপ করেছে এবং কয়েক ডজন সশস্ত্র ব্যক্তি দক্ষিণ ইসরায়েলে অনুপ্রবেশ করেছে।
আরও পড়ুন: গাজায় বিমান হামলায় আরেক সশস্ত্র কমান্ডার নিহত হয়েছে: ইসরায়েল
গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী জঙ্গি গোষ্ঠী হামাস দাবি করেছে যে তারা বেশ কয়েকজন ইসরায়েলি কর্মকর্তা ও সৈন্যকে আটক করেছে এবং তাদের ‘নিরাপদ স্থানে’ রাখা হয়েছে।
জবাবে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানায়, তারা উপকূলীয় ছিটমহলের বিভিন্ন অঞ্চলে কয়েক ডজন যুদ্ধবিমান দিয়ে হামাসের স্থাপনা ও সদর দপ্তর লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। ইসরায়েলের জ্বালানিমন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ বলেছেন, হামাসের হামলার পরিপ্রেক্ষিতে তার দেশ ফিলিস্তিনি ছিটমহলের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেবে।
আরও পড়ুন: গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় ৯ জন নিহত
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এক জাতীয় ভাষণে ঘোষণা করেছেন যে ইসরায়েল ‘যুদ্ধের অবস্থায় রয়েছে’ এবং ‘মজুদের পূর্ণ একত্রীকরণের’ নির্দেশ দিয়েছেন।
ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস ইসরায়েলি বাহিনী ও বসতি স্থাপনকারীদের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনি জনগণের আত্মরক্ষার অধিকারের ওপর গুরুত্বারোপ করে গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেছেন।
আরও পড়ুন: গাজায় ইসরাইলি হামলা অব্যাহত, ওআইসির জরুরি বৈঠকে বাংলাদেশের তীব্র নিন্দা
১ বছর আগে