বিমান হামলা
গাজার উত্তরাঞ্চলে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত ১৭
গাজার উত্তরাঞ্চলে ইসরায়েলি বিমান হামলায় আরও ১৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (৪ এপ্রিল) ভোরে চালানো বিমান হামলায় এসব মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
অন্যদিকে ইসরায়েলি বাহিনী ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের উত্তরাঞ্চলের আরও গভীরে প্রবেশ করেছে এবং হামাসের বিরুদ্ধে তাদের অভিযান জোরদার করেছে।
হামাস পরিচালিত গাজার হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিসে বিমান হামলায় অন্তত ১৭ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের অনেকেই একই পরিবারের সদস্য। হামলা চালানোর কয়েক ঘণ্টা পরও ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে জীবিতদের উদ্ধারে অভিযান চালাচ্ছেন উদ্ধারকর্মীরা।
আরও পড়ুন: নতুন যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে হামাসের সম্মতি, পাল্টা প্রস্তাব ইসরায়েলের
এই হামলার মাত্র একদিন আগেই ইসরায়েলি হামলায় শতাধিক ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। ২০২৩ সালের অক্টোবরে হামাসের হাতে জিম্মি হওয়া ইসরায়েলিদের মুক্তি দিতে চাপ সৃষ্টি করতেই ইসরায়েল গাজায় হামলা বাড়িয়েছে। ইসরায়েলি বাহিননীর হামলায় গাজায় গত দুই সপ্তাহেই শত শত লোক মারা গেছেন।
শুক্রবার ইসরায়েল ঘোষণা করেছে, ‘নিরাপত্তা অঞ্চল’ বাড়ানোর জন্য তাদের স্থল বাহিনী গাজার উত্তরাঞ্চলে প্রবেশ করেছে।
স্থল অভিযানের আগে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী উত্তর গাজার কিছু অংশ থেকে খালি করার জন্য বাসিন্দাদের নির্দেশ দিয়েছিল।
গত মাসে হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি ভেঙে যাওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ২ লাখ ৮০ হাজার ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা দপ্তর।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস নেতৃত্বাধীন যোদ্ধারা ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় প্রায় ১ হাজার ২০০ জন ইসরায়েলি নিহত হন। এসময় ২৫১ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যায় হামাস যোদ্ধারা। এরপর যুদ্ধবিরতি চুক্তির মাধ্যমে বেশিরভাগ জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। যদিও ইসরায়েলও অসংখ্য মৃতদেহসহ মুষ্টিমেয় কিছু ব্যক্তিকে উদ্ধার করেছে।
আরও পড়ুন: ফিলিস্তিনিদের ‘মানবঢাল’ হিসেবে ব্যবহার করত ইসরায়েলি বাহিনী
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরাইলি হামলায় ৫০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। মন্ত্রণালয়টির দেওয়া হিসাবে বেসামরিক নাগরিক ও যোদ্ধার আলাদা হিসাব দেওয়া হয়নি। তথ্যমতে, নিহতদের অর্ধেকেরও বেশি নারী ও শিশু। ইসরায়েল প্রায় ২০ হাজার হামাস যোদ্ধাকে হত্যা করার দাবি করলেও এর সমর্থনে কোনো প্রমাণ দিতে পারেনি।
চলমান এই যুদ্ধ গাজাকে ধ্বংস করেছে। বেশিরভাগ অঞ্চল ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। ইসরায়েলি হামলার মাত্রা এতো বেশি যে, ভূখন্ডটির নজনসংখ্যার ৯০ শতাংশ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
১২ দিন আগে
বিমান হামলার পর ইয়েমেন ছেড়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রধান
ইয়েমেনের সানা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় জাতিসংঘের এক কর্মী আহত হওয়ার পর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মহাপরিচালক টেড্রোস আধানম গেব্রিয়েসুস দেশ ছেড়েছেন।
হামলার পর সরিয়ে নেওয়া আহত কর্মীর কথা উল্লেখ করে তেদ্রোস সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে লিখেছেন, ‘আমরা এখন জর্দানে রয়েছি। সেখানে তাকে আরও চিকিৎসা দেওয়া হবে।’
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) টেড্রোস ও জাতিসংঘের অন্য কর্মকর্তারা যখন ইয়েমেন ছাড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, ঠিক তখনই এ বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল।
হুথিদের হাতে আটক জাতিসংঘের ১৩ কর্মীর মুক্তির লক্ষ্যে জাতিসংঘের নেতৃত্বে আলোচনায় অংশ নিতে দেশটিতে যাওয়া টেড্রোস এই হামলার নিন্দা জানিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, সব জায়গায় বেসামরিক নাগরিক ও মানবতাবাদীদের ওপর হামলা অবশ্যই বন্ধ করতে হবে।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য ও পরিচর্যার ক্ষেত্রে বৈশ্বিক সংকটের মূলে লিঙ্গ বৈষম্য: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছে, তারা ইরানি অস্ত্র চোরাচালানে ব্যবহৃত হুথিদের অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে।
হুথি পরিচালিত আল-মাসিরাহ টেলিভিশন বিমান হামলায় হতাহতের কথা জানিয়ে বলেছে, এতে বিমানবন্দর ও অন্যান্য স্থানের উল্লেখযোগ্য ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে ক্ষয়ক্ষতির পুরো পরিমাণ এবং হতাহতের সংখ্যা এখনও স্পষ্ট করতে পারেনি তারা।
১০৯ দিন আগে
যুদ্ধবিরতির মধ্যেই লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৫
যুদ্ধবিরতির মধ্যেই শনিবার ইসরায়েলি হামলায় দক্ষিণ লেবাননে পাঁচজন নিহত হয়েছেন।
লেবাননের জাতীয় সংবাদ সংস্থা (এনএনএ) এ তথ্য জানিয়েছে, দক্ষিণ লেবাননের বিনতে জাবেইল জেলার বেইত লিফ গ্রামে ইসরায়েলি বিমান হামলায় চারজন নিহত হয়েছেন। এ হামলায় আরও ছয়জন আহত হয়েছেন।
এছাড়া, দক্ষিণ লেবাননের দেইর সিরিয়ান গ্রামে ইসরায়েলি বিমান হামলায় এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।
এনএনএ আরও জানায়, ২৪ নভেম্বর বৈরুতের বাস্তা এলাকায় একটি আবাসিক ভবন লক্ষ্য করে ইসরায়েলি বিমান হামলায় চার সিরীয় নাগরিক নিহত হন। বেসামরিক প্রতিরক্ষা দলগুলো সেসব লাশ উদ্ধার করে।
ইসরায়েল ও লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর মধ্যে প্রায় ১৪ মাস ধরে চলা যুদ্ধ বন্ধের লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সের মধ্যস্থতায় ২৭ নভেম্বর থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়।
চুক্তির অধীনে, উভয় পক্ষ ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতির বিষয়ে সম্মত হয়েছে। এর মধ্যে ইসরায়েল ধীরে ধীরে দক্ষিণ লেবানন থেকে তার সেনা প্রত্যাহার করবে এবং হিজবুল্লাহ লিতানি নদীর উত্তর দিকে সরে যাবে।
যুদ্ধবিরতি সত্ত্বেও, উভয় পক্ষের বিরুদ্ধেই যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। ফলে চুক্তির স্থায়িত্ব সম্পর্কে উদ্বেগজনক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
১৩০ দিন আগে
ইসরায়েলি বিমান হামলায় সিরিয়ায় নিহত ৭
সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের কাছে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ৭ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। এ হামলায় ২০ জন আহত হয়েছেন।
রবিবার বিকেল এ হামলা চালানো হয় বলে জানিয়েছে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে জানানো হয়, স্থানীয় সময় বিকেল ৫টার দিকে (১৪০০ জিএমটি) গোলান মালভূমি থেকে দামেস্কের সায়িদা জয়নাব এলাকার একটি আবাসিক ভবন লক্ষ্য করে ইসরায়েলি বাহিনী বিমান হামলা চালায়।
আরও পড়ুন: গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় ৩০ ফিলিস্তিনি নিহত
বিবৃতিতে বলা হয়, এ হামলায় ব্যক্তিগত মালকানাধীন ওই ভবনের ব্যাপক ক্ষতি হয়।
ব্রিটেনভিত্তিক যুদ্ধ পর্যবেক্ষক সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস এর আগেতাদের প্রতিবেদনে বলে, এই হামলা একটি আবাসিক ভবনের এক ফ্ল্যাটে আঘাত হানে। ভবনটিতে লেবাননের নাগরিক ও হিজবুল্লাহ সদস্যরা বসবাস করছিলেন।
সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের দক্ষিণে শিয়াদের গুরুত্বপূর্ণ মাজার এলাকা সায়িদা জয়নাব। এর আগেও এখানে ইসরায়েল হামলা চালিয়েছে।
সম্প্রতি কয়েক বছরে ইসরায়েল সিরিয়ায় একাধিক বিমান হামলা চালিয়েছে। ইরানি সামরিক সম্পদ ও হিজবুল্লাহর কাছে পাঠানোর জন্য প্রস্তুত অস্ত্র ওই হামলার লক্ষ্য ছিল বলে দাবি করে তারা।
আরও পড়ুন: গাজার উত্তরাঞ্চলে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত ২৫
১৫৭ দিন আগে
বিমান হামলার পর ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিশোধের হুঁশিয়ারি খামেনির
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি সম্প্রতি ইরানের সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে বিমান হামলার পর ইসরায়েলে পাল্টা হামলার জন্য সামরিক কর্মকর্তাদের প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন।
এর ফলে দুই দেশের মধ্যে চলমান উত্তেজনা আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এর আগের দুই দেশ একাধিকবার পাল্টাপাল্টি হামলা চালিয়েছে।
গত সপ্তাহে ইসরায়েলি বিমানবাহিনী ইরানের বিমান বিধ্বংসী ব্যবস্থা ও রাডার সাইটে হামলা চালিয়ে দাবি করে, এর ফলে তাদের সামরিক সক্ষমতা হ্রাস পেয়েছে। এর প্রতিক্রিয়ায় ইরানি কর্মকর্তারা 'কঠোর' ও 'অকল্পনীয়' প্রতিশোধের কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন।
বিশ্লেষকদের মতে, ইরানের প্রতিক্রিয়া ৫ নভেম্বরের মার্কিন নির্বাচনের পর সময়মতো আসতে পারে। তবে কিছু বিশেষজ্ঞ মনে করেন এটি আরও আগে ঘটতে পারে।
টার্গেট তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে
ইসরায়েলি হামলায় চার ইরানি সেনা নিহত হওয়ার ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের পর খামেনি এ নির্দেশ দেন। ইরান ন্যূনতম প্রভাবের দাবি করলেও খামেনি বলেছিলেন, প্রতিক্রিয়া জানাতে যেকোনো ব্যর্থতা দুর্বলতা হিসেবে দেখা হবে।
আরও পড়ুন: ইসরায়েলকে ইরানে হামলার পরিণতি ভোগ করতে হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
টাইমস অব ইসরায়েলের খবরে বলা হয়েছে, ইরানের সামরিক পরিকল্পনাকারীরা পাল্টা আক্রমণের জন্য ইসরায়েলের সম্ভাব্য লক্ষ্যবস্তুর তালিকা তৈরি করছেন।
ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা বলছে, ইরানি ভূখণ্ডে সরাসরি হামলার ঝুঁকি কমাতে ইরানপন্থি বিদ্রোহীদের ব্যবহার করে ইরানি ভূখণ্ড থেকে প্রতিশোধ নিতে পারে দেশটি।
ইসরায়েলি অভিযান ও উদ্দেশ্য
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জোর দিয়ে বলেন, ইসরায়েল ইরানের অভ্যন্তরে অভূতপূর্ব স্বাধীনতা উপভোগ করছে। সাম্প্রতিক পদক্ষেপগুলো ইরানের বিমান প্রতিরক্ষা ক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে দুর্বল করেছে বলেও দাবি করেছে।
তিনি ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন থেকে বিরত রাখতে ইসরাইলের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন এবং প্রয়োজনে আরও সামরিক অভিযানের জন্য প্রস্তুতির ইঙ্গিত দেন।
নিজের কার্যালয় থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে নেতানিয়াহু বলেন, 'আইডিএফ এবং আমাদের নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর মূল লক্ষ্য হচ্ছে ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন থেকে বিরত রাখা। এটা সবসময়ই আমাদের প্রধান উদ্বেগের বিষয় ছিল।’
তিনি বলেন, ‘আমরা ইরানের দুর্বল পয়েন্টগুলোতে আঘাত হেনেছি। এখন ইরানে আগের চেয়ে ইসরায়েলের বেশি কার্যক্ষমতার স্বাধীনতা রয়েছে- ইরানি নেতাদের দম্ভোক্তি এই বাস্তবতাকে আড়াল করতে পারে না। আমরা যেখানে প্রয়োজন সেখানে কাজ করতে পারি।’
আরও পড়ুন: ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সৌদি আরবে বৈঠক
১৬৭ দিন আগে
পূর্ব লেবাননে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত ৬০
পূর্ব লেবাননের বেকা উপত্যকায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় দুই শিশুসহ অন্তত ৬০ জন নিহত ও ৫৮ জন আহত হয়েছে।
লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সোমবারের এই হামলায় উপত্যকার ১২টি এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার বেশিরভাগই বালবেক অঞ্চলের।
এই হামলাকে লেবানন ও ইসরায়েলের মধ্যে সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে ওই এলাকায় চালানো 'সবচেয়ে সহিংস' হামলা বলে অভিহিত করেছেন বালবেকের গভর্নর বাছির খোদর।
গত ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে হিজবুল্লাহকে লক্ষ্য করে লেবাননে বিমান হামলা জোরদার করেছে ইসরায়েল। সম্প্রতি লেবাননের উত্তর সীমান্তে স্থল অভিযানও শুরু করেছে তারা।
এদিকে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত গাজায় অন্তত ৪৩ হাজার ২০ জন নিহত ও ১ লাখ ১ হাজার ১১০ জন আহত হয়েছে।
এই যুদ্ধে হামাসকে সমর্থন জানিয়ে হিজবুল্লাহ ইসরায়েলের বিরোধিতা শুরুর পর থেকে লেবাননে হিজবুল্লাহর ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালাতে থাকে ইসরায়েল।
১৭০ দিন আগে
লেবাননে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত ৬
লেবাননের সরকারি বার্তাসংস্থা ন্যাশনাল নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, বালবেকের কেন্দ্রস্থলের নবী ইনাম এলাকার ওই বাড়িতে একটি ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। বেসামরিক প্রতিরক্ষা দল নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে। একইসঙ্গে আহতদের নিকটবর্তী হাসপাতালে স্থানান্তর করেছে লেবাননের রেড ক্রস।
আরও পড়ুন: গাজায় ইসরায়েলি বোমা হামলায় ৭৩ ফিলিস্তিনির মৃত্যু
এদিকে, সোমবার এক বিবৃতিতে হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, রোববার সন্ধ্যায় দক্ষিণ লেবাননে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর সঙ্গে গোলাবর্ষণের সময় তারা একটি ইসরায়েলি হার্মিস ৯০০ ড্রোন ভূপাতিত করেছে। ২০২৩ সালের ৮ অক্টোবরের পর দক্ষিণ ও পূর্ব লেবাননে এটি গোষ্ঠীটির নবম ড্রোন ভূপাতিত করার ঘটনা।
পৃথক আরেকটি বিবৃতিতে হিজবুল্লাহ বলেছে, তারা সোমবার ইসরায়েলের বেইত হিলেলের মোশাভে ইসরায়েলি আর্টিলারি অবস্থানসহ একাধিক স্থানে রকেট হামলা চালিয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ৭ অক্টোবর গাজায় হামাস-ইসরায়েল সংঘাতের সমর্থনে ৮ অক্টোবর ইসরায়েলের বিপক্ষে প্রতিরোধ গড়তে থাকে হিজবুল্লাহ। লেবানন-ইসরায়েল সীমান্তে ক্রমাগত সংঘাত বাড়তে থাকায় ওই অঞ্চলে বৃহৎ পরিসরে সংঘাতের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
আরও পড়ুন: গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৩৩ ফিলিস্তিনি নিহত
১৭৬ দিন আগে
সিরিয়ার একাধিক স্থানে ইসরায়েলি বিমান হামলা
সিরিয়ার বিভিন্ন এলাকায় বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। বুধবার মধ্যরাতের পর এসব হামলা চালানো হয় বলে জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন।
এসময় শিল্প নগরী হাসিয়ায় একটি কারখানা লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়। তাৎক্ষণিকভাবে একজন আহত এবং ত্রাণ সামগ্রী ও ত্রাণবোঝাই বেশ কয়েকটি গাড়ি ধ্বংস হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
এছাড়াও হামা প্রদেশের মারিন শহরে পৃথক এক হামলায় বড় ধরনের অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। এ হামলায় তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: লেবাননে গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত ৩৬, আহত ১৫০
এদিকে সিরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, স্থানীয় সময় রাত ১টার দিকে ইসরায়েল উত্তর লেবাননের দিক থেকে হোমসের গ্রামাঞ্চলের হাসিয়া শিল্পাঞ্চলের একটি গাড়ি মেরামতের কারখানা এবং হামার একটি সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালায়।
দারা শহরেও বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন।
এছাড়াও দামেস্কের নিকটবর্তী আল-কিসওয়াহ এলাকায় ইরানসংশ্লিষ্ট দলগুলোর সঙ্গে সম্পর্কিত একটি স্থাপনায় হামলার খবর দিয়েছে সৌদি আল-হাদাথ টেলিভিশন।
পরপর একাধিক এলাকায় আঘাত হানার এই হামলাগুলো এই সংঘাতে আরও এক দফা উত্তেজনা বাড়িয়ে দিয়েছে।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ বৈরুতে ইসরায়েলের ব্যাপক বিমান হামলা
১৮৯ দিন আগে
লেবাননে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত ৩৭, আহত ১৫১
গত ২৪ ঘণ্টায় লেবাননের বিভিন্ন এলাকায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় ৩৭ জন নিহত এবং ১৫১ জন আহত হয়েছে।
লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, লেবাননের রাজধানী বৈরুতে নয়জন নিহত ও ২৪ জন আহত হয়েছে।
এছাড়াও, মাউন্ট লেবাননে দুজন নিহত ও ১৫ জন আহত এবং বালবেক হারমেল প্রদেশে ৯ জন আহত হয়েছেন।
মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়, বেকা অঞ্চলে দুই জন নিহত এবং ১৪ জন আহত হয়েছে। অন্যদিকে নাবাতিয়েহ প্রদেশে ১৯ জন নিহত এবং ৫২ জন আহত হয়েছে।
এছাড়াও দক্ষিণ প্রদেশে পাঁচজন নিহত ও ৩৭ জন আহত হয়েছে।
গত ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী হিজবুল্লাহর সঙ্গে সংঘাতে লেবাননে নজিরবিহীন টানা বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
এই হামলার নাম দেওয়া হয়েছে 'উত্তরের তীর'।
গত ৭ অক্টোবর গাজা উপত্যকায় হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধে সংহতি জানায় হিজবুল্লাহ। ৮ অক্টোবর থেকে লেবানন-ইসরায়েল সীমান্তে ইসরায়েল-হিজবুল্লাহ সংঘাত শুরু হয় যার তীব্রতা এতই বাড়ছে যে মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে।
১৯৫ দিন আগে
ইরাকের পশ্চিমাঞ্চলে মার্কিন বিমান হামলায় নিহত ১৬, আহত ২৫: মুখপাত্র
ইরাক সরকার শনিবার বলেছে, ইরাকের পশ্চিমাঞ্চলে আধাসামরিক হাশদ শাবি বাহিনীর উপর মার্কিন বিমান হামলায় বেসামরিক নাগরিকসহ ১৬ জন নিহত এবং ২৫ জন আহত হয়েছেন।
সরকারের মুখপাত্র বাসিম আল-আওয়াদি এই হামলাকে 'নির্লজ্জ আগ্রাসন' অভিহিত করে ইরাকি নিউজ এজেন্সিকে (আইএনএ) বলেন, ‘মার্কিন প্রশাসন ইরাকের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করেছে। কারণ, তাদের বিমানগুলো আকাশাত ও আল-কাইম এলাকায় আমাদের নিরাপত্তা বাহিনীর অবস্থানের পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী বেসামরিক স্থাপনায় বিমান হামলা চালিয়েছে।’
আইএনএ-র মতে, ‘আল-আওয়াদি বিমান হামলা সম্পর্কে সরকার ও মার্কিন প্রশাসনের মধ্যে সমন্বয় রয়েছে বলে দাবি করা প্রতিবেদনগুলোও অস্বীকার করে বলেন যে এই প্রতিবেদনগুলো ‘আন্তর্জাতিক জনমতকে বিভ্রান্ত করা এবং এই অপরাধের আইনী দায় এড়ানোর লক্ষ্যে একটি মিথ্যা দাবি’।’
আরও পড়ুন: গাজায় ২৪ ঘণ্টায় ১৫০ জন নিহত: স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়
তিনি আরও বলেন, সরকার বিশ্বাস করে যে ইরাকের মাটিতে আন্তর্জাতিক জোট বাহিনীর উপস্থিতি ইরাকের সুরক্ষা ও স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে এবং আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সংঘাতে ইরাককে জড়িত করার ন্যায্যতা হয়ে উঠেছে।
আল-আওয়াদি সতর্ক করে বলেন, সাম্প্রতিক বিমান হামলা ইরাক ও ওই অঞ্চলের নিরাপত্তাকে অতল গহ্বরের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে।
শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইরাক ও সিরিয়ায় ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ডস কর্পস (আইআরজিসি) ও তাদের সহযোগী মিলিশিয়া গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে ৮৫টির বেশি লক্ষ্যবস্তুতে বিমান হামলা চালিয়েছে মার্কিন বাহিনী।
আরও পড়ুন: আফ্রিকার বিরোধপূর্ণ তেলসমৃদ্ধ অঞ্চল আবেইতে সংঘর্ষে নিহত ৫২
চীনে ভূমিধসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩১, এখনও নিখোঁজ অনেক
৪৩৮ দিন আগে