এদিকে, মাদুরো যুক্তরাষ্ট্রের মানবিক সাহায্য দেয়ার একটি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন। ভেনিজুয়েলার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে তিনি সেনাদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমরা ভিক্ষুক নই।’
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ঘোষণা দেয়ার জন্য রবিবার পর্যন্ত বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে মাদুরো কোনো পদক্ষেপ না নেয়ায় স্পেন, জার্মানি, ফ্রান্স ও ব্রিটেন প্রকাশ্যে গুয়াইদোকে সমর্থন জানিয়ে মাদুরোর শাসনের প্রতি কূটনৈতিক আঘাত হানে। পরে সুইডেন, ডেনমার্ক, অস্ট্রিয়া, নেদারল্যান্ড, লিথুনিয়া, ফিনল্যান্ড, এস্তোনিয়া, লাটভিয়া, চেক প্রজাতন্ত্র, লুক্সেমবার্গ, পোল্যান্ড ও পর্তুগাল গুয়াইদোর পেছনে এসে দাঁড়ায়।
গুয়াইদো গত মাসে যুক্তরাষ্ট্র ও অনেক ল্যাটিন আমেরিকান দেশের সমর্থন নিয়ে নিজেকে ভেনিজুয়েলার অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করেন।
গুয়াইদোকে ভেনিজুয়েলার ন্যায়সঙ্গত নেতা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিয়েছে পশ্চিম গোলার্ধের দেশগুলো। এসব ১৩টি দেশের সংগঠন লিমা গ্রুপের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা মাদুরোর ওপর চাপ প্রয়োগে আরও পদক্ষেপ নিয়ে কানাডার রাজধানীতে আলোচনা করেছেন।
রুদ্ধদ্বার বৈঠকের আগে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ক্ষমতায় আঁকড়ে থাকতে ‘শক্তি ও ভয় ব্যবহারের একনায়কতন্ত্রী ইচ্ছার’ নিন্দা জানান। সেই সাথে তিনি ভেনিজুয়েলার জনগণকে সহায়তা দিতে ৫ কোটি ৩০ লাখ ডলারের মানবিক সাহায্যের ঘোষণা দেন।