দক্ষিণ গাজার রাফা শহরে ইসরায়েলি গোলাবর্ষণ ও বিমান হামলায় কমপক্ষে ৩৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। নিহতদের বেশিরভাগই তাঁবুতে থাকা শরণার্থী বলে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী, জরুরি পরিষেবাকর্মী ও হাসপাতালের কর্মকর্তাদের তথ্যানুসারে, গত রবিবার বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের শিবিরে ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। ওই ঘটনায় ৪৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়। একই এলাকায় ফের হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী।
শরণার্থী শিবেরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ব্যাপক বৈশ্বিক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ইসরায়েলের কিছু ঘনিষ্ঠ মিত্রও ওই হামলার নিন্দা জানিয়েছে। এ ঘটনার পর স্পেন, নরওয়ে ও আয়ারল্যান্ড ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এসব কিছু বিশ্ব মঞ্চ থেকে ইসরায়েলের আস্তে আস্তে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়াকে নির্দেশ করছে।
আরও পড়ুন: আমাদের কিছুই নেই: হামলায় খাদ্যের সন্ধানে থাকা ফিলিস্তিনিরা
তবে রবিবারের অগ্নিকাণ্ডে নিজেদের পক্ষে সাফাই গেয়ে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর দাবি, ফিলিস্তিনি জঙ্গিদের (হামাসের) সামরিক অস্ত্র (বিস্ফোরক) থেকে গৌণ বিস্ফোরণের ফলেও ওই আগুন ধরতে পারে।
অগ্নিকাণ্ডের বিষয়ে মঙ্গলবার ইসরায়েলের প্রাথমিক তদন্তের ফলাফল জানানো হয়েছে। তাতে ইসরায়েলের সামরিক মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি বলেছেন, ওই অগ্নিকাণ্ডে ইসরায়েলি হামলার সংযোগ ছিল। সেখানে হামাসের জ্যেষ্ঠ নেতারা অবস্থান করছিল- এমন তথ্য পেয়েই হামলা চালানো হয়।
তবে পাওয়া তথ্যের উৎস খুব বেশি বড় ছিল না বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার তিন দেশের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়
হামলার পর তাঁবুতে থাকা জ্বালানি তেল, রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার বা অন্য কোনো দাহ্য উপকরণের কারণেও আগুন অত বেশি ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে মত তার।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ঘটনাটিকে ‘দুর্ঘটনা’ বলে উল্লেখ করেছেন।