সেই সাথে ১০০ টাকার স্বর্ণ ও রৌপ্য মুদ্রা ছাড়বে কেন্দীয় ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, ঐতিহাসিক এ মুহুর্তকে স্মরণীয় করে রাখতে বাংলাদেশ ব্যাংক এ উদ্যোগ নিয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম ইউএনবিকে বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর স্মরণে এ উদ্যোগ নিয়েছি।
এ উপলক্ষে প্রথমবারের মতো ২০০ টাকা মূল্যমানের নোট বাজারে ছাড়া হবে। তবে, কী পরিমান নোট ছাড়া হবে তা এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি, বলেন সিরাজুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ১০০ টাকার স্মারক নোটের এক হাজার ৫০টি স্বর্ণ মুদ্রা ও সমমুল্যের পাঁচ হাজারটি রৌপ্য মুদ্রা স্মারক ছাড়া হবে।
তবে, সিরাজুল ইসলাম নতুন স্মারক নোটের বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি।
বর্তমানে ১, ২, ৫, ১০, ২০, ৫০, ১০০, ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাজারে প্রচলিত আছে। অতীতে বিভিন্ন অনুষ্ঠান উপলক্ষে বাজারে নতুন ধরনের নোট ছাড়া হতো। পরবর্তীতে এসকল নোটের নকশা বিভিন্ন সময়ে পরিবর্তিত হয়েছে।
এর আগে, ২০১১ সালে ৪০তম বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে ৪০ টাকা মূল্যমানের নোট প্রকাশ করেছিলো বাংলাদেশে ব্যাংক।
৪০ টাকা মূল্যমানের ওই নোটে সামনের দিকে জাতির পিতার প্রতিচ্ছবি এবং সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধের ছবি এবং পিছনে ছয়জন সশস্ত্র লোককের প্রতিচ্ছবি সম্বলিত করা হয়েছিল।
বাংলাদেশ ব্যাংক ২০১২ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি জাতীয় অভ্যুত্থানের হীরক জয়ন্তীতে ৬০ টাকার নোট চালু করেছিল এবং ২০১৩ সালের ২৬ জানুয়ারি সিকিউরিটি প্রিন্টিং করপোরেশন (বাংলাদেশ) লিমিটেডের রজত জয়ন্তীতে ২৫ টাকার নোট প্রকাশ করেছিল।
এছাড়াও ২০১৩ সালের ৮ জুলাই জাতীয় জাদুঘর প্রতিষ্ঠার শতবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ ব্যাংক ১০০ টাকার নোট প্রকাশ করেছিল।