বাংলাদেশ ব্যাংক
মার্চের ১৯ দিনে ২২৫ কোটি ডলার রেমিট্যান্স, নতুন রেকর্ডের সম্ভাবনা
মার্চ মাসের প্রথম ১৯ দিনে দেশের ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসী আয় এসেছে ২২৫ কোটি মার্কিন ডলার, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৭৮ দশমিক ৪ শতাংশ বেশি। যে হারে রেমিট্যান্স আসছে, তাতে করে মার্চে রেমিট্যান্সের নতুন রেকর্ড গড়বে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ তথ্য অনুসারে, ঈদ সামনে রেখে প্রবাসীরা ব্যাপক রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন। গত বছরের তুলনায় এই রেমিট্যান্সের প্রবাহ অনেক বেশি।
গত বছর মার্চের প্রথম ১৯ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১২৬ কোটি ডলার। সে হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে অনেকাংশে।আরও পড়ুন: ১৫ দিনে ১৩১ কোটি ২২ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এলো দেশে
ইতোমধ্যে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে জুলাই থেকে ১৯ মার্চ পর্যন্ত মোট রেমিট্যান্সের প্রবাহ দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ৭৫ কোটি ডলার, যা গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ছিল এক হাজার ৬৩৪ কোটি ডলার।
বর্তমান অর্থবছরে গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে প্রায় ২৭ শতাংশ।
এর আগে মার্চের প্রথম ১৫ দিনে দেশে ১৬৬ কোটি ডলার রেমিট্যান্স আসে। সে হিসাবে গত চার দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ৫৯ কোটি ডলার। শুধু ১৯ মার্চই মোট রেমিট্যান্স এসেছে ১৩ কোটি ২০ লাখ ডলার।
রেমিট্যান্সের ধারা এভাবে অব্যাহত থাকলে মাস শেষে মোট রেমিট্যান্স ৩০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা। এতে করে রেমিট্যান্স অর্জনে নতুন মাইলফলক অর্জনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
দেশে মাসিক হিসাবে ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে সর্বোচ্চ ২৬৪ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চে আছে চলতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসে অর্জিত ২৫৪ কোটি ডলার। যে হারে রেমিট্যান্স আসছে তাতে করে ঈদকে সামনে রেখে মার্চে ৩০০ কোটি ডলার।
২৮ দিন আগে
এমএলএম ব্যবসা নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সতর্কবার্তা
দেশের জনগণকে পিরামিড বা পঞ্জি স্কিম মাল্টি লেভেল মার্কেটিং (এমএলএম) ব্যবসা থেকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
সোমবার (১০ মার্চ) এ সম্পর্কে সবার উদ্দেশ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের যোগাযোগ ও প্রকাশনা বিভাগ থেকে একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিগত সময়ে দেশে কিছু প্রতিষ্ঠান বিধিবহির্ভূতভাবে গ্রাহকের আমানত বা বিনিয়োগ সংগ্রহ, রেফারেলের ভিত্তিতে কমিশন প্রদান এবং অস্বাভাবিক ও অযৌক্তিক হারে উচ্চ মুনাফা প্রদানের নামে প্রতারণা করেছে (যেমন যুবক, ডেসটিনি ইত্যাদি)।
এছাড়া, অস্বাভাবিক মূল্যছাড়/ডিসকাউন্টে বিভিন্ন ই-কমার্সে পণ্য বিক্রির নামে জনগণকে প্রতাড়িত করেছে (যেমন: ইভ্যালি)।
আরও পড়ুন: সামষ্টিক অর্থনীতি স্থিতিশীল রয়েছে: বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর
এ ধরনের অস্বাভাবিক ও অযৌক্তিক হারে উচ্চ মুনাফা প্রদান এবং রেফারেলের ভিত্তিতে কমিশন প্রদান করা পিরামিড বা পঞ্জি স্কিমের বা মাল্টি লেভেল মার্কেটিংয়ের অন্যতম বৈশিষ্ট্য, যা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ ও এতে গ্রাহকের বিনিয়োগ হারানোর নজির রয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে সতর্ক করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, এসব প্রতারণামূলক ব্যবসায় লাভ থেকে যে মুনাফা পাওয়া যায়; তা ওই গ্রাহককে দেওয়া হয় না । বরং একদল গ্রাহকের বিনিয়োগের অর্থ থেকে আরেক দল গ্রাহককে তথাকথিত মুনাফা দেওয়া হয়।
এ ধরনের প্রতারণা মানি লন্ডারিংয়ের আওতাভুক্ত অপরাধ হওয়ায় অতীতে এর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এ ছাড়াও বাংলাদেশ ব্যাংকের দেওয়া লাইসেন্স ব্যতীত আমানত সংগ্রহ তথা ব্যাংক ব্যবসা পরিচালনা ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১–এর ৩১ (১) ধারায় প্রদত্ত নির্দেশনার লঙ্ঘন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ৩ হাজার কোটি টাকার 'সুকুক' বন্ড ছাড়বে বাংলাদেশ ব্যাংক
সাম্প্রতিক সময়েও একই ধরনের প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ড পরিলক্ষিত হওয়ায় তা অনুসন্ধানের আওতায় আনা হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ পরিস্থিতিতে গ্রাহকের স্বার্থ সুরক্ষা বিবেচনায় দেশের জনসাধারণকে এই ধরনের প্রতিষ্ঠানসমূহের সঙ্গে লেনদেন করার ক্ষেত্রে নিরুৎসাহিত ও বিশেষভাবে সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
৩৮ দিন আগে
জুনের মধ্যে সব হিসাবরক্ষণ অফিসে চালু হবে এভিএস সিস্টেম
সরকারি লেনদেন ক্যাশলেশ করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের (বিবি) মাধ্যমে গ্রাহকের ব্যাংক হিসাব যাচাই করতে অ্যাকাউন্ট ভেরিফিকেশন সিস্টেম (এভিএস) চালু করা হয়েছে। আগামী জুনের মধ্যে দেশের প্রতিটি হিসাবরক্ষণ অফিসে এই ব্যবস্থা চালু করা হবে।
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) মিরপুরে বাংলাদেশ ব্যাংক ট্রেনিং একাডেমিতে এক কর্মশালায় বাংলাদেশ ব্যাংক ও অর্থ বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এমন তথ্য দিয়েছেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সিস্টেমগুলোর সাথে আইবাস++ সিস্টেমের ইন্ট্রিগেশন স্থাপন, গ্রাহকদের একাউন্ট ভেরিফিকেশন সিস্টেম পাইলটিং পরবর্তী সব পর্যায়ে বাস্তবায়ন রূপরেখা প্রণয়নে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, নতুন এই ব্যবস্থা সরকারি ব্যয় ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করবে এবং একই সঙ্গে জালিয়াতি ও অর্থ অপচয় রোধে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
আরও পড়ুন: মুক্তিযোদ্ধা কোটায় এমবিবিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ১৯৩ শিক্ষার্থী
কর্মশালায় জানানো হয়, গেল ২৬ জানুয়ারি থেকে চিফ একাউন্টস এন্ড ফাইন্যান্স অফিসে (সিএএফও) পরীক্ষামূলকভাবে চারটি এভিএস সিস্টেম চালু করেছে। এর মধ্যে রয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগ, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, জননিরাপত্তা বিভাগ ও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। চলতি বছরের জুনের মধ্যে দেশের প্রতিটি হিসাবরক্ষণ অফিসে এভিএস সিস্টেম বাস্তবায়ন করা হবে বলেও জানানো হয়েছে।
কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের ডেপুটি গভর্নর ড. হাবিবুর রহমান। সভাপতিত্ব করেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বিলকিস জাহান রিমি।
৫৪ দিন আগে
৩ হাজার কোটি টাকার 'সুকুক' বন্ড ছাড়বে বাংলাদেশ ব্যাংক
গুরুত্বপূর্ণ পল্লী সেতু নির্মাণ প্রকল্পের দ্বিতীয় ধাপে অর্থায়নের পদক্ষেপ হিসেবে তিন হাজার কোটি টাকার ইসলামিক বন্ড বা 'সুকুক' ইস্যুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) অনুষ্ঠিত শরীয়াহ উপদেষ্টা কমিটির প্রথম সভায় এ সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়।
সাত বছর মেয়াদি এই সুকুক ইস্তিসনা ও ইজারার ইসলামী ব্যাংকিং নীতিমালার আওতায় ইস্যু করা হবে। সামাজিক উন্নয়নকে প্রাধান্য দিয়ে এর নাম দেওয়া হয়েছে 'সোশ্যাল ইমপ্যাক্ট সুকুক'।
আরও পড়ুন: আমদানি ব্যয় মেটানোর সময়সীমা বাড়াল বাংলাদেশ ব্যাংক
বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর কবির আহমেদের নেতৃত্বে দেশের আট বিভাগের ৫৮টি উপজেলায় ৮২টি সেতু নির্মাণে অর্থায়ন করা হবে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) প্রকল্পটিতে ১৭ হাজার ৬৯৭ মিটার সেতু, ৩৮ হাজার ৮০০ মিটার সংযোগ সড়ক এবং ৪ হাজার ২৩০ মিটার নদীশাসন কাজ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেছেন, এই সুকুক ইস্যু প্রকল্পটি সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নে সহায়তা করবে।
উন্নত গ্রামীণ সড়ক নেটওয়ার্ক প্রকল্প এলাকার আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন, কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি, কৃষি ও অকৃষি পণ্য পরিবহন সহজতর করবে, ব্যয় কমাবে এবং স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি উভয় কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ব্যাংকের লকার খুলতে দুদকের অভিযান
৬৩ দিন আগে
বাংলাদেশ ব্যাংকের লকার খুলতে দুদকের অভিযান
বাংলাদেশ ব্যাকের কর্মকর্তাদের লকার খুলতে কেন্দ্রিয় ব্যংকে প্রবেশ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কেন্দ্রিয় ব্যাংকে প্রবেশ করে দুদকের এই প্রতিনিধি দল। দুদকের পরিচালক সায়েমুজ্জামানের নেতৃত্বে ২০ সদস্যের একটি দল সেখানে গিয়েছে।
এরআগে গেল ২ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের নিরাপত্তা ভল্টে রক্ষিত লকারে কর্মকর্তাদের রাখা অর্থসম্পদ সাময়িক সময়ের জন্য ফ্রিজ করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে গভর্নরকে অনুরোধ জানিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
কেউ যেন লকার খুলে রক্ষিত মালামাল নিতে না পারেন, তা নিশ্চিত করার জন্য পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ করা হয়েছে চিঠিতে।
এতে বলা হয়, গত ২৬ জানুয়ারি আদালতের অনুমতি নিয়ে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে দুদকের একটি দল বাংলাদেশ ব্যাংকের কয়েন ভল্টে রক্ষিত সাবেক ডেপুটি গভর্নর সিতাংশু কুমার সুর চৌধুরীর ‘সেফ ডিপোজিট’ তল্লাশি করে। সেখানে তিনটি সিলগালা কৌটা খুলে ৫৫ হাজার ইউরো, এক লাখ ৬৯ হাজার ৩০০ মার্কিন ডলার, এক কেজি ৫ দশমিক ৪ গ্রাম সোনা এবং ৭০ লাখ টাকার এফডিআর পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ব্যাংকের লকারে কর্মকর্তাদের অর্থ ফ্রিজ করতে দুদকের চিঠি
‘তল্লাশিকালে রেজিস্ট্রার পরীক্ষা করে দেখা গেছে, সেখানে বাংলাদেশ ব্যাংকের অন্য কয়েকজন কর্মকর্তাও সিলগালা করে অর্থসম্পদ রেখেছেন। এসব সিলগালা কোটায়ও অপ্রদর্শিত সম্পদ থাকতে পারে বলে মনে করছে দুদক।’
এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারসহ বিভিন্ন অভিযোগে অনুসন্ধান চলমান থাকার কথা চিঠিতে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। এমন অবস্থায় কর্মকর্তাদের লকারে থাকা অর্থসম্পদ স্থগিত (ফ্রিজ) করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে দুদক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে রক্ষিত সম্পদ নিয়ে গত ৩০ জানুয়ারি অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে দুদক চেয়ারম্যানের আলোচনা হয়েছে উল্লেখ করে চিঠিতে বলা হয়, অর্থ উপদেষ্টা ওই ভল্টে রক্ষিত সম্পদ সাময়িক স্থগিত করার (ফ্রিজ) সম্মতি দিয়েছেন।
৬৭ দিন আগে
বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেনকে ব্যাংকটির নতুন মুখপাত্র হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বর্তমান মুখপাত্র হুসনে আরা শিখার স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন তিনি।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মানবসম্পদ বিভাগের পরিচালক জবদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক নির্দেশনায় এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে।
পাশাপাশি আরিফ হোসেন খানকে সার্বিক সহযোগিতা করার জন্য ব্যাংকিং প্রবিধি এবং নীতি বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ শাহরিয়ার সিদ্দিকী এবং কমিউনিকেশন্স অ্যান্ড পাবলিকেশন্স বিভাগের পরিচালক সাঈদা খানমকে সহকারী মুখপাত্র হিসাবে মনোনীত করা হয়েছে।
নতুন মুখপাত্র আরিফ হোসেন ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকে সহকারী পরিচালক হিসাবে যোগদান করেন। শিক্ষাজীবনে তিনি মোহাম্মদপুর সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং নটরডেম কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেছেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ব্যাংকের লকারে কর্মকর্তাদের অর্থ ফ্রিজ করতে দুদকের চিঠি
বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগ থেকে স্নাতক এবং একই বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। পরবর্তীতে নিউপোর্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ঢাকা ক্যাম্পাস থেকে এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি।
এর আগে ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র হন ব্যাংকটির নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা শিখা। তিনি প্রায় সাড়ে চার মাস ধরে মুখপাত্রের দায়িত্ব পালন করেছেন।
৭১ দিন আগে
বাংলাদেশ ব্যাংকের লকারে কর্মকর্তাদের অর্থ ফ্রিজ করতে দুদকের চিঠি
বাংলাদেশ ব্যাংকের নিরাপত্তা ভল্টে রক্ষিত লকারে কর্মকর্তাদের রাখা অর্থসম্পদ সাময়িক সময়ের জন্য ফ্রিজ করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে গভর্নরকে অনুরোধ জানিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে এ সংক্রান্ত চিঠি দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সেটি প্রকাশ করা হয়েছে।
কেউ যেন লকার খুলে রক্ষিত মালামাল নিতে না পারেন, তা নিশ্চিত করার জন্য পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ করা হয়েছে চিঠিতে।
এতে বলা হয়, গত ২৬ জানুয়ারি আদালতের অনুমতি নিয়ে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে দুদকের একটি দল বাংলাদেশ ব্যাংকের কয়েন ভল্টে রক্ষিত সাবেক ডেপুটি গভর্নর সিতাংশু কুমার সুর চৌধুরীর ‘সেফ ডিপোজিট’ তল্লাশি করে। সেখানে তিনটি সিলগালা কৌটা খুলে ৫৫ হাজার ইউরো, এক লাখ ৬৯ হাজার ৩০০ মার্কিন ডলার, এক কেজি ৫ দশমিক ৪ গ্রাম সোনা এবং ৭০ লাখ টাকার এফডিআর পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: সাবেক এমপি আলাউদ্দিনের হাজার কোটি টাকা পাচারের শাস্তি চেয়ে দুদকে আবেদন
‘তল্লাশিকালে রেজিস্ট্রার পরীক্ষা করে দেখা গেছে, সেখানে বাংলাদেশ ব্যাংকের অন্য কয়েকজন কর্মকর্তাও সিলগালা করে অর্থসম্পদ রেখেছেন। এসব সিলগালা কোটায়ও অপ্রদর্শিত সম্পদ থাকতে পারে বলে মনে করছে দুদক।’
এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারসহ বিভিন্ন অভিযোগে অনুসন্ধান চলমান থাকার কথা চিঠিতে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। এমন অবস্থায় কর্মকর্তাদের লকারে থাকা অর্থসম্পদ স্থগিত (ফ্রিজ) করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে দুদক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে রক্ষিত সম্পদ নিয়ে গত ৩০ জানুয়ারি অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে দুদক চেয়ারম্যানের আলোচনা হয়েছে উল্লেখ করে চিঠিতে বলা হয়, অর্থ উপদেষ্টা ওই ভল্টে রক্ষিত সম্পদ সাময়িক স্থগিত করার (ফ্রিজ) সম্মতি দিয়েছেন।
৭২ দিন আগে
ক্ষতিগ্রস্ত ঋণগ্রহীতাদের পুনর্গঠন ও ঋণ আদায় নিশ্চিতে সুপারিশ কমিটি
নিয়ন্ত্রণবহির্ভূত কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ঋণগ্রহীতাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুনর্গঠনে প্রয়োজনীয় নীতি সহায়তা দিতে পাঁচ সদস্যের একটি বাছাই কমিটি গঠন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমন তথ্য দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এতে বলা হয়, করোনা মহামারি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক নিম্ন প্রবৃদ্ধি, বন্যা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক পরিস্থিতির অভিঘাত মোকাবিলা করে দেশের অর্থনীতি সচল রাখতে এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, নিয়ন্ত্রণবহির্ভূত কারণে ঋণগ্রহীতা প্রকৃতই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কিনা এবং সমস্যাসংকুল প্রতিষ্ঠানের পুনর্গঠন ও প্রতিষ্ঠানকে নীতি সহায়তা দেওয়ার মাধ্যমে ব্যবসায় ফিরিয়ে আনার সুযোগ রয়েছে কিনা; তা যাচাই-বাছাই করে সুপারিশ করবে এই কমিটি।এতে বাংলাদেশ ব্যাংক ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ছাড়াও ব্যবসায়ী প্রতিনিধিসহ অভিজ্ঞ ব্যাংকাররা রয়েছেন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কমিটির কার্যপরিধিতে ৫০কোটি ও তার চেয়েও বড় অংকের যেসব ঋণ নিয়ন্ত্রণবহির্ভূত কারণে শ্রেণিকৃত হয়েছে, সেগুলো এখানে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র হুসনে আর শিখা বলেন, পাঁচ সদস্যের কমিটিতে রয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের অফ-সাইট সুপারভিশন বিভাগের নির্বাহী পরিচালক (ইডি) মেজবাহ-উল-হক, অর্থ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ড. দেলোয়ার হোসেন, অর্থনীতিবিদ মামুন রশীদ, হক বে থেকে বাণিজ্য প্রতিনিধি আবদুল হক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সৈয়দ শাহরিয়ার আহসান।
কাজটি শেষ করার ক্ষেত্রে কোনো সময় নির্ধারণ করে দেওয়া হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, মাসে সর্বোচ্চ দুবার বৈঠকের জন্য তাদের পারিতোষিক দেওয়া হবে।
৭৭ দিন আগে
খেলাপি ঋণের ধকল কাটাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নতুন নিয়ম কতটা কার্যকর
খেলাপি ঋণের কারণে নির্দিষ্ট কিছু ব্যাংকে সৃষ্ট মারাত্মক তারল্য সংকট ও দেউলিয়া হওয়ার আশঙ্কা সামাল দিতে ব্যাংকের শ্রেণিকৃত ঋণের বিপরীতে নিরাপত্তা অর্থ, অর্থাৎ প্রভিশনিংয়ে আন্তর্জাতিক ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টি স্ট্যান্ডার্ড (আইএফআরএস-৯) মানার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর শিল্পগোষ্ঠী এস আলম-সংশ্লিষ্ট ছয় শরিয়াভিত্তিক ব্যাংক, শিকদার গ্রুপ-সংশ্লিষ্ট ন্যাশনাল ব্যাংক এবং বেক্সিমকো-এস আলমের ঋণখেলাপির ফাঁদে রাষ্ট্রায়ত্ত জনতা ব্যাংক তারল্য সংকটে নাস্তানাবুদ হয়ে পড়ে।
সর্বশেষ গত সেপ্টেম্বর মাসের হিসাব অনুযায়ী, দেশের দশ ব্যাংকের প্রভিশন ঘাটতি ৫০ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। ঘাটতিতে থাকা ব্যাংকগুলোর মোট প্রভিশন ঘাটতির ৬৫ শতাংশের ওপর শুধু জনতা ও ন্যাশনাল ব্যাংকে।
তারল্য সংকটের পাশাপাশি বিপুল পরিমাণ খেলাপি ঋণের বিপরীতে যথেষ্ট প্রভিশন না থাকায় এসব ব্যাংক রক্ষা করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকও রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছে।
গত নভেম্বরে দুর্বল ব্যাংকগুলো বাঁচাতে ঋণের বিপরীতে প্রভিশন ব্যবস্থা ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে এবং আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের শর্তানুযায়ী, ২০২৭ সালের মধ্যে ব্যাংক খাতের প্রভিশন ব্যবস্থা পুরোপুরি আইএফআরএস-৯ এর এক্সপেক্টেড ক্রেডিট লস (ইসিএল) মডেল অনুযায়ী সাজানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আন্তর্জাতিক অ্যাকাউন্টিং স্ট্যান্ডার্ড বোর্ড (আইএএসবি) ২০১৪ সালের জুলাই মাসে আইএফআরএস-৯ এর আওতায় বর্তমান ইসিএল মডেল চালু করে।
আরও পড়ুন: ব্যাংক শেয়ারের মালিকানা হস্তান্তরে বাংলাদেশ ব্যাংকে ক্ষমতা দিতে হচ্ছে নতুন আইন
গতানুগতিক রীতি অনুযায়ী, ঋণের খেলাপি না হওয়া পর্যন্ত কিংবা প্রদেয় ঋণ শ্রেণিকরণের আগ পর্যন্ত সেটিকে চিহ্নিত করা ব্যাংকগুলোর জন্য কঠিন। এ ক্ষেত্রে ইসিএল মডেলে শুরু থেকেই প্রদেয় ঋণ সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা লাভ করা সম্ভব। এই মডেলের আওতায় একটি ঋণের অতীত ইতিহাস, বর্তমান পারফরম্যান্স ও ভবিষ্যতে ঋণের দিকনির্দেশনা সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। এতে করে হঠাৎ খেলাপি হওয়ার মতো ঘটনা বা ব্যাংকগুলো চাইলেই খেলাপির তথ্য লুকানোর মতো কাজ করতে পারে না।
ব্যাংকিং খাতে ইসিএল মডেলের রোডম্যাপ
সম্প্রতি ঋণ প্রভিশনে ইসিএল মডেল বাস্তবায়নে দিকনির্দেশনা দিয়ে দেশের সব ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীদের চিঠি পাঠিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
চিঠিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, এতদিন ঋণের প্রভিশন রাখার ক্ষেত্রে নিয়মতান্ত্রিক খরচ ও ক্ষতির ওপর ভিত্তি করে অ্যাকাউন্টিং মডেল মানা হলেও ২০২৭ সালের মধ্যে এ মডেল থেকে বের হয়ে ইসিএল মডেল মানা হবে।
এই মডেলের মাধ্যমে কোনো ঋণ পুরোপুরি খেলাপি হওয়ার আগেই এর প্রভিশন নিশ্চিত থাকবে। এতে করে কোনো কারণে ঋণখেলাপি হলেও ব্যাংকগুলোকে বড় রকমের তারল্য সংকটের মুখোমুখি হতে হবে না। এমনকি ঋণখেলাপির কারণে ব্যাংক দেউলিয়া হওয়ার সম্ভাবনাও অনেকাংশে কমে আসবে।
আগামী দুই বছরের মধ্যে তিন ধাপে আইএফআরএস-৯ মডেল দেশের সবকটি ব্যাংকের প্রভিশন প্রক্রিয়ায় কার্যকর করার রোডম্যাপ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
প্রকাশিত রোডম্যাপ অনুযায়ী, প্রতিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কিংবা প্রধান নির্বাহীকে নতুন মডেল বাস্তবায়নে নিজ নিজ ব্যাংকে আলাদা ওয়ার্কিং টিম গঠন করতে হবে। এই ওয়ার্কিং টিমে ব্যাংকের অন্যান্য অভিজ্ঞ কর্মকর্তাদের পাশাপাশি প্রধান রিস্ক অফিসার (সিআরও) এবং প্রধান ফাইনান্সিয়াল অফিসারের (সিএফও) অন্তর্ভুক্তি বাধ্যতামূলক করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এসব টিমকে কর্ম বণ্টন ও সময় বেঁধে দিয়ে ব্যাংকগুলোকে পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদনসহ চলতি বছরের ১৫ এপ্রিলের মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে অবগত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি ব্যাংকের নির্দিষ্ট ওয়ার্কিং টিম চলতি বছরের মধ্যে প্রয়োজনীয় নথিপত্র সংগ্রহ ও যাচাই-বাছাই করে নতুন মডেলে ব্যাংকের প্রভিশন কার্যক্রম স্থানন্তর করতে পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি নেবে।
আরও পড়ুন: বছর শেষে ব্যাংকগুলোর প্রবৃদ্ধি স্থিতিশীল, ঘুরে দাঁড়িয়েছে পুঁজিবাজার
রোডম্যাপ অনুযায়ী, প্রতিটি ব্যাংকের নির্ধারিত টিম চলতি বছর জুলাই ও অক্টোবরে দুই মেয়াদে বাংলাদেশ ব্যাংককে নিজেদের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে অবগত করবে।
বিশেষ করে ইসিএল মডেলের অটোমেশন বাস্তবায়নে ব্যাংকের আইটি খাতকে ঢেলে সাজানোর ওপর আলাদাভাবে জোর দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এমনকি প্রয়োজন হলে ব্যাংকগুলো তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমেও অটোমেশন করতে পারবে। ২০২৬ সালের জানুয়ারিতে নিজেদের কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সবশেষ ও পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।
২০২৬ সালের জানুয়ারি মাসে বাংলাদেশ ব্যাংক ইসিএল মডেলের পূর্ণাঙ্গ গাইডলাইন প্রকাশ করবে এবং সে অনুযায়ী ব্যাংকগুলোর এতদিনের কর্মযজ্ঞ নির্ধারিত কাঠামোতে সাজিয়ে ওই বছরের জুলাই মাসে বাংলাদেশ ব্যাংককে প্রস্তুতি ও সক্ষমতার সর্বশেষ প্রতিবেদন জমা দেবে।
এরপর আগামী বছরের সেপ্টেম্বর মাস থেকে পরীক্ষামূলকভাবে ২৫ শতাংশ ঋণের পোর্টফোলিও অটোমেশনের মাধ্যমে ইসিএল মডেলেও আওতাভুক্ত করা হবে। ধাপে ধাপে ২০২৭ সালের জুন মাসের মধ্যে এ পোর্টফোলিও ৭৫ শতাংশে উন্নীত করতে হবে এবং ২০২৭ সালের ডিসেম্বরে দেশের ব্যাংকখাতে ঋণের প্রভিশন ব্যবস্থা শতভাগ আইএফআরএস-৯ অনুমোদিত ইসিএল মডেলের আওতাভুক্ত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে প্রয়োজনীয়তা
ঋণ প্রভিশনের ক্ষেত্রে ইসিএল মডেল বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে সুফল নিয়ে আসবে বলে প্রত্যাশা খাতসংশ্লিষ্টদের। বিগত সময়ে খেলাপি হবে জেনেও ঋণ দেওয়া এবং খেলাপি হওয়ার পরেও তথ্য গোপনের মতো ঘটনা আগামীতে যেন না ঘটে, সেজন্য এ মডেলের বাস্তবায়ন ভালো সিদ্ধান্ত বলে মনে করেন তারা।
এ বিষয়ে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামি ব্যাংকের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মান্নান ইউএনবিকে বলেন, ‘নব্বইয়ের দশকে প্রায় এমন একটি মডেল দেশের ব্যাংক খাতে প্রয়োগ করা হয়েছিল। মডেলটি বাস্তবায়নের পর দেখা গেল—যেসব ব্যাংক নিজেদের শক্তিশালী দাবি করে, তাদের অনেকের অবস্থাই নাজুক। ব্যাংকগুলো নিজেদের নাজুক অবস্থা লুকিয়ে রেখেছিল, যা এ মডেলের মাধ্যমে তখন প্রকাশিত হয়।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে এমন একটি মডেলের বাস্তবায়ন ভালো একটি উদ্যোগ। তবে শুধু এই মডেল দিয়ে খেলাপি ঋণ বন্ধ করা যাবে না। বিগত সময়ের বেশিরভাগ খেলাপি ঋণের পেছনে সুশাসনের অভাব সরাসরি জড়িত ছিল।’
তাই আগামী দিনে এমন একটি মডেল কার্যকর করতে ব্যাংকখাতে সুশাসন নিশ্চিতের ওপর জোর দেন আবদুল মান্নান।
আরও পড়ুন: বিনিময় হার স্থিতিশীল করতে পদক্ষেপ নিল বাংলাদেশ ব্যাংক
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা ইউএনবিকে বলেন, ‘প্রথমত এই মডেলটি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত, অন্যদিকে এই মডেলের প্রতিটি নথি যুক্ত হবে অটোমেশনের মাধ্যমে। এখানে তথ্য গোপন বা ম্যানিপুলেশনের (অপব্যবহার) কোনো সুযোগ থাকবে না। এতে করে দেশের প্রতিটি ব্যাংকের বাস্তবিক অবস্থা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে পরিষ্কার থাকবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে সক্ষম হবে।’
দুই বছরে মধ্যে এই মডেল বাস্তবায়ন করতে চাইলে ব্যাংকগুলোর প্রযুক্তি খাতকে বর্তমানের তুলনায় আরও শক্তিশালী করতে হবে। এছাড়া প্রতিটি ব্যাংকের গঠিত ওয়ার্কিং কমিটির সক্ষমতা যাচাইয়ের ওপর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আলাদা জোর দেয়া আবশ্যক বলেও মনে করেন খাতসংশ্লিষ্টরা।
৮২ দিন আগে
আমদানি ব্যয় মেটানোর সময়সীমা বাড়াল বাংলাদেশ ব্যাংক
আমদানি করা কাঁচামাল ও কৃষি উপকরণের জন্য দায় পরিশোধের সময়সীমা ১৮০ দিন থেকে বাড়িয়ে ৩৬০ দিন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
ডলার সংরক্ষণ ও সরবরাহ চেইন বজায় রাখতে সোমবার (২০ জানুয়ারি) একটি সার্কুলার জারি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
সার্কুলারে বলা হয়েছে, ধারাবাহিকভাবে আমদানি, কৃষি উপকরণ ও রাসায়নিক সারসহ শিল্পের কাঁচামাল আমদানিতে বিলম্বিত ঋণ পরিশোধের সীমা ১৮০ দিন থেকে বাড়িয়ে ৩৬০ দিন করা হয়েছে।
ফলে চলমান ডলার সংকটকালে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সংরক্ষণে আমদানি বিলম্বিত অর্থ পরিশোধের অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত এ নিয়ম বহাল থাকবে।
আরও পড়ুন: ব্যাংক শেয়ারের মালিকানা হস্তান্তরে বাংলাদেশ ব্যাংকে ক্ষমতা দিতে হচ্ছে নতুন আইন
তবে রপ্তানি উন্নয়ন তহবিলের (ইডিএফ) ঋণের আওতায় আমদানির ক্ষেত্রে এ সুবিধা প্রযোজ্য হবে না বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।
এর আগে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক গত বছরের ৩০ জুন একটি সার্কুলার জারি করেছে। তাতে এই আমদানির জন্য বিলম্বিত পরিশোধের সীমা বাড়িয়ে ৩৬০ দিন করেছিল। ওই সিদ্ধান্তের মেয়াদ গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর শেষ হয়েছে।
নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, গ্রাহক নির্দিষ্ট সময়ের বেশি বৈদেশিক মুদ্রার দায় পরিশোধের সময়সীমা বাড়াতে পারবেন না।
খাতসংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, আমদানি পরিশোধের সময়সীমা বাড়ানো হলে বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে স্বস্তি মিলবে।
আরও পড়ুন: শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টায় দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির
৮৭ দিন আগে