গণমাধ্যমে পাঠানো এক শোক বার্তায় ঐক্যফ্রন্ট নেতারা বলেন, মুক্তিযুদ্ধসহ বাংলাদেশের সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ভূমিকা রাখা মোহাম্মদ নাসিম স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।
ঐক্যফ্রন্ট নেতারা মরহুম নাসিমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকার্ত পরিবার, গুণগ্রাহী ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক ড. রেজা কিবরিয়া, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী ও অধ্যাপক ড. নূরুল আমিন বেপারী যৌথ বিবৃতিতে নাসিমের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেন।
মোহাম্মাদ নাসিম শনিবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাজধানীর একটি হাসপাতালে মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭২ বছর।
গত ২ জুন মোহাম্মাদ নাসিমের নমুনা পরীক্ষায় করোনাভাইরাস পজেটিভ আসে এবং পরবর্তীতে আবার নেগেটিভ এসেছিল।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাবেক মন্ত্রী নাসিম ১৯৯৬ সালে স্বরাষ্ট্র, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
মোহাম্মদ নাসিমের জন্ম ১৯৪৮ সালের ২ এপ্রিল সিরাজগঞ্জ জেলার কাজীপুর উপজেলায়।
১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর কারাগারে নিহত জাতীয় চার নেতার একজন এম মনসুর আলীর ছেলে নাসিম সংসদে পঞ্চমবারের মতো সিরাজগঞ্জের মানুষের প্রতিনিধিত্ব করছিলেন।
১৯৮৬, ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন নাসিম। পরবর্তীতে ২০১৪ সালেও তিনি সিরাজগঞ্জ-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন এবং ওই বছরের ১২ জানুয়ারি মন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন।
পারিবারিক জীবনে নাসিম বিবাহিত এবং তিন সন্তানের জনক। তার স্ত্রীর নাম লায়লা আরজুমান্দ।