বৃহস্পতিবার এমপি রানার পক্ষে তার আইনজীবীরা আদালতে জামিনের আবেদন করলে শুনানি শেষে তা নামঞ্জুর করেন টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মাকসুদা খানম।
এদিন আরো তিনজন সাক্ষী এমপি রানার উপস্থিতিতে আদালতে সাক্ষ্যপ্রদান করেন। পরে আদালত আগামী ২২ নভেম্বর এই মামলার পরবর্তী সাক্ষীর জন্য দিন ধার্য করেন।
আদালত সূত্র জানায়, গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মাইক্রোবাসযোগে এই হত্যা মামলার প্রধান আসামি
রানাকে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে আদালতে আনা হয়। এর ১৫ মিনিট পর টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মাকসুদা খানম এ মামলার কার্যক্রম শুরু করেন।
এদিন মামলার সাক্ষী ফারুক হাসান ভূইঞা ওরফে সনি, সোলয়মান হোসেন ও আনোয়ার হোসেনের সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা সম্পন্ন হয়। সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা শেষে এমপি রানার আইনজীবীরা তার পক্ষে জামিন শুনানিতে অংশ নেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা জামিনের বিরোধীতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে জামিন আবেদন ফের নামঞ্জুর করেন বিচারক। পরে আদালত আগামী ২২ নভেম্বর এই মামলার পরবর্তী সাক্ষীর জন্য দিন ধার্য করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন বিশেষ পিপি মনিরুল ইসলাম খান। বাদীপক্ষে তার সাথে শুনানিতে অংশ নেন অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম। আসামিপক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুল বাকী মিয়া ও অ্যাডভোকেট আরফান আলী মোল্লা। এদিনের বিচারিক কার্যক্রম শেষে এমপি রানাকে কড়া পুলিশ প্রহরায় আবার কাশিমপুর কারাগারের নিয়ে যাওয়া হয়।
এদিন টাঙ্গাইল জেলহাজতে থাকা তিন আসামি মোহাম্মদ আলী, আনিছুর রহমান রাজা ও সমিরকে আদালতে হাজির করা হয়। এছাড়া জামিনে থাকা আসামি নাসির উদ্দিন নুরু, মাসুদুর রহমান মাসুদ ও ফরিদ আহম্মেদ আদালতে হাজিরা দেন।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি রাতে জেলা আওয়ামী লীগের অন্যতম নেতা ফারুক আহমেদকে গুলি করে হত্যা করা হয়। পরবর্তীতে এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীতে এমপি রানা ও তার তিন ভাই সহিদুর রহমান খান মুক্তি, জাহিদুর রহমান খান কাকন ও সানিয়াত খান বাপ্পার জড়িত থাকার চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসে।