সংসদ ভেঙে দিয়ে বিচারিক ক্ষমতাসহ সেনাবাহিনীর অধীনে নির্বাচন চেয়ে আপিল বিভাগে মামলা দায়ের করেছে ইনসানিয়াত বিপ্লব বাংলাদেশ।
মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) দলটি এই মামলা দায়ের করে।
মামলায় বলা হয়, মানবতাভিত্তিক রাজনৈতিক দল ইনসানিয়াত বিপ্লব মনে করে, ক্ষমতাসীন দলের অবৈধ প্রভাব ও জালিয়াতিমুক্ত নির্বাচন ও স্বাধীন ভোটাধিকারের প্রধান বাধা হলো সংসদ বহাল রেখে নির্বাচন অনুষ্ঠান করা।
দলটির চেয়ারম্যান ইমাম হায়াত বলেন, বিগত নির্বাচনে আমরা দেখেছি ক্ষমতাসীন সংসদ সদস্যরা নিজ নিজ আসনে সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রশাসন, পুলিশ ও নিজেদের সশস্ত্র লোকদের ব্যবহার করে ভোটকেন্দ্র দখল ও অন্যদের ভোটদানে বাধার সৃষ্টি করেছে।
তিনি বলেন, ‘সংসদ বহাল রেখে জালিয়াতিমুক্ত নির্বাচন অসম্ভব। প্রহসনমুক্ত নির্বাচনের মাধ্যমে দেশ ও গণতন্ত্র রক্ষায় সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্বাচনকালীন অন্তর্বর্তী সরকারের মাধ্যমে সেনাবাহিনীর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে নির্বাচনের আদেশ চেয়ে আমরা ইনসানিয়াত বিপ্লব হাইকোর্টে রিট আবেদন করেছি।’
আরও পড়ুন: নিবন্ধন সার্টিফিকেট গ্রহণ করল ইনসানিয়াত বিপ্লব বাংলাদেশ
ইমাম হায়াত বলেন, ক্ষমতাসীন দলীয় সংসদ সদস্যদের পর সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রধান বাধা নিরাপত্তা। বিগত নির্বাচনে অংশ নিয়ে আমরা দেখেছি প্রায় প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে জীবন হানিকর আতঙ্কজনক পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছিল। ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্যদের প্রশ্রয়ে পুলিশ ও প্রশাসনের সহযোগিতায় সশস্ত্র ব্যক্তিরা অস্ত্র ও গুলি-বোমা ইত্যাদি ব্যবহার করেছে।
তিনি বলেন, বুথ থেকে গণনা পর্যন্ত আস্থাশীল সেনাবাহিনীর সরাসরি তত্ত্বাবধানে নির্বাচন ব্যতীত নিরাপদ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন সম্পূর্ণ অসম্ভব।
ইমাম হায়াত বলেন, জালিয়াতিমুক্ত, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন ছাড়া যেকোনো প্রকার প্রহসনের নির্বাচন জনগণের নাগরিকত্ব ও রাষ্ট্রীয় মালিকানা অস্বীকার এবং রাষ্ট্রের নৈতিক ভিত্তি ধ্বংসাত্মক এবং গণতন্ত্রের উৎখাতের শামিল।
আরও পড়ুন: নির্বাচন নিয়ে ইনসানিয়াত বিপ্লবের করা রিটের শুনানি বুধবার
ইমাম হায়াত বলেন, দেশ রক্ষা ও গণতন্ত্র রক্ষা ও জনগণের অধিকার এবং মালিকানার স্বার্থে আমরা ইনসানিয়াত বিপ্লব সংসদ ভেঙে ও সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে বিশ্বাসযোগ্য ও নিরাপদ নির্বাচনের আদেশ চেয়ে এবং সংসদ না ভাঙা পর্যন্ত ঘোষিত তফসিল স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেছিলাম।
গত বছরের ২০ ডিসেম্বর বিচারপতি ইকবাল কবীর ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের আদালতে রিটটি খারিজ করা হয়।
পরে ইসিসহ অন্যদের লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়ে পুণরায় মামলা দায়ের করে দলটি। পরে একই বছরের ২৭ ডিসেম্বর একই আদালত মামলাটির শুনানি করতে অপারগতা প্রকাশ করে। ফলে আজ উচ্চ আদালতে মামলা দায়ের করল দলটি।
আরও পড়ুন: সংসদ ভেঙে সেনাবাহিনীর অধীনে নির্বাচন চেয়ে পুনরায় রিট ইনসানিয়াতের