শনিবার রাতে এক ভার্চুয়াল বৈঠকে বিএনপির নীতিনির্ধারকরা সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ হত্যা এবং বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে শিগগিরই একটি সংবাদ সম্মেলন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে রবিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা বলছেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক বিচারবহির্ভূত হত্যা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে।
পুলিশের গুলিতে কক্সবাজারের টেকনাফে সাবেক সেনা কর্মকর্তা সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ হত্যার ঘটনায় এবং গত পাঁচ বছরে পুলিশ হেফাজতে থাকা অন্য লোকের মৃত্যুর বিষয়েও তারা উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
বিএনপির নীতিনির্ধারকরা অভিযোগ করছেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ব্যবহার করে মিথ্যা মামলা দায়ের, গ্রেপ্তার করা ও হয়রানির ঘটনা বেড়েই চলেছে।
তারা আরও জানায়, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটি বাকস্বাধীনতা, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং ভিন্ন মত দমনের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে।
বিএনপি নেতারা বলেন, ‘বর্তমান অবৈধ সরকার ক্ষমতায় থেকে যাওয়া এবং অগণতান্ত্রিক উপায়ে একদলীয় সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার ষড়যন্ত্র করছে।’
তারা দেশের বর্তমান করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা করেন এবং ভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ‘ব্যর্থতার’ জন্য সরকারকে দায়ী করেন।
বিএনপি নেতারা বলেন, সরকারের ‘অবহেলা ও উদাসীনতার’ কারণে মানুষ এই মহামারি ভাইরাস সংক্রমণ থেকে রক্ষা পাচ্ছেনা।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা দলের ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী আবদুল মান্নানের মৃত্যু এবং করোনাভাইরাসে অন্য নেতাদের মৃত্যুর জন্য গভীর শোক প্রকাশ করেন।
দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, জামির উদ্দিন সরকার, রফিকুল ইসলাম মিয়া, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মইন খান, নজরুল ইসলাম খান, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বেগম সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বৈঠকে সংযুক্ত ছিলেন।