ইজতেমার মুরুব্বি মাওলানা সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম জানান, বিশ্ববাসীর শান্তি ও কল্যাণ কামনা করে দিল্লির মাওলানা জমশেদ আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন। বেলা ১২ টার পর এটি শেষ হয়।
মোনাজাতে দেশ-বিদেশের লাখো মুসল্লি অংশ নেন। আখেরি মোনাজাত উপলক্ষে মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে মুসল্লিদের নিরাপত্তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেয় গাজীপুর মহানগর পুলিশ।
টঙ্গীর রেলওয়ে স্টেশনের কর্মকর্তা জানান, আখেরি মোনাজাত উপলক্ষে রেলওয়ে আখাউড়া, কুমিল্লা ও ময়মনসিংহসহ বিভিন্ন রুটে বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করেছে কর্তৃপক্ষ। ইজতেমায় আগত যাত্রীদের কথা বিবেচনায় রেখে টঙ্গী রেলওয়ে জংশনে অতিরিক্ত টয়লেট ও বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে। সকল আন্তনগর ট্রেন টঙ্গী স্টেশনে যাত্রা বিরতি করবে। এছাড়া ১৬টি বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা থাকছে।
এদিকে অসুস্থ্য ও বার্ধক্যজনিত কারণে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বে ৫ জন মুসল্লির মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে শুক্রবার ভোরে শুরু হয় হজের পর মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম জমায়েত বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব। ফজরের নামাজের পর ভারতের মাওলানা মুহাম্মদ ওসমানের আম বয়ানের মধ্য দিয়ে ৫৫তম ইজতেমার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়া তাবলীগ জামাতের মাওলানা সাদ কান্ধলভির অনুসারী তাবলীগের সদস্যরা এ পর্বে অংশ নেয়।
বিশ্ব ইজতেমার এবারের পর্বে ভারতের নিজামুদ্দিন মারকাজের শীর্ষ মুরব্বি মাওলানা সাদ কান্ধলভি যোগদান না করলেও তার পক্ষে তাবলীগের শীর্ষ মুরব্বি ও আলেমসহ ৩২ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল অংশ নেন।
বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বে বাংলাদেশের মাওলানা জোবায়ের অনুসারীরা অংশ নেন।