জানা গেছে, উপজেলার কান্দাপাড়া গ্রামের মো. মনিরুজ্জামানের মেয়ে আফিয়া জামান রীমার সাথে ধামরাইয়ের বালিথা গ্রামের মো. জিন্নত আলীর ছেলে মো. জাকির হোসেনের বিয়ে ঠিক হয়। এ বিয়ের অনুষ্ঠানে দাওয়াতী অতিথি ছিলেন ১ হাজার ৫০০ জন। বুধবার ছিল গায়ে হলুদ। বৃহস্পতিবার ছিল বিয়ে। বর পক্ষের দাওয়াতী ছিল ৩৫০ জন।
কান্দাপাড়া গ্রামে বিয়ের অনুষ্ঠানের খবর পেয়ে সাটুরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আশরাফুল আলম বুধবার রাতে পুলিশ নিয়ে গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেন এবং উভয়পক্ষের ২০ জনকে নিয়ে বিয়ের কাজ শেষ করার অনুমতি দেন।
ইউএনওর নির্দেশনা পালন করা হচ্ছে কিনা তা তদন্তে বৃহস্পতিবার পাঠানো হয় সহকারী কমিশনার (ভূমি) কর্মকর্তা সাবিহা ফাতেমাতুজ জহুরাকে। তিনি গিয়ে দেখেন প্রায় আড়াইশ লোকের মুরগীর খাবার রান্না করা হচ্ছে। এ খবর ইউএনওকে জানালে পরে ওই বিয়ের কার্যক্রম উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে ২০ জন লোকের উপস্থিতিতে করানোর নির্দেশ দেয়া হয়।
কনের বাবা মো. মনিরুজ্জামান জানান, বরপক্ষসহ ১৫০০ লোককে দাওয়াত করা হয়। তাদের জন্য খরচ করা হয় ১০ লাখ টাকা। রবিবার হরগজ হাট থেকে একটি গরু কেনা হয় প্রায় ২ লাখ টাকা দিয়ে। সেই গরু বৃহস্পতিবার কালামপুর হাটে ২০ হাজার টাকা লোকসানে বিক্রি করে দেয়া হয়েছে। করোনাভাইরাসের কারণে ও দেশের স্বার্থে বিয়ের অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। আগে থেকে যেসব আত্মীয় বাড়িতে এসেছিল তাদের নিজ নিজ বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
সাটুরিয়ার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল আলম বলেন, প্রশাসনের নির্দেশ না মানায় ওই বিয়ের অনুষ্ঠান মসজিদে উভয়পক্ষের ১০ জন করে ২০ জন লোকের উপস্থিতিতেই সম্পন্ন করা হয়।