করোনার সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে খুলনায় মসজিদে মসজিদে ঈদুল ফিতরের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত বছরের ন্যায় এবারও করোনা ভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কায় উন্মুক্ত স্থানে বা মাঠে কোন ঈদের জামাত হয়নি।
অধিকাংশ মুসল্লি মুখে মাস্ক পরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে নামাজ আদায় করেন। মসজিদের ভেতর জায়গা না হওয়ায় অনেকে মসজিদের বাইরে ঈদের নামাজ আদায় করেন। নামাজ শেষে সবাই কোলাকুলি করা থেকে বিরত ছিলেন।
আরও পড়ুন: খুলনায় কর্মজীবী নারীদের ঘরে নেই ঈদ আনন্দ!
ঈদের নামাজ শেষে করোনা মহামারি থেকে রক্ষা পেতে ও নিপীড়িত ফিলিস্তিনিদের জন্য মহান রাব্বুল আলামিনের দরবারে দোয়া চাওয়া হয়। একই সাথে দেশ ও জাতির শান্তি কামনা করা হয়।
শুক্রবার খুলনায় ঈদ-উল-ফিতরের প্রধান ও প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল আটটায় টাউন জামে মসজিদে।
প্রধান জামাতে ইমামতি করেন টাউন জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মোহাম্মদ সালেহ। একই স্থানে দ্বিতীয় জামাত সকাল নয়টায় এবং তৃতীয় ও শেষ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: খুলনার বেসরকারি ১৭ পাটকল বন্ধ হওয়ার উপক্রম
ঈদের প্রধান জামাতে অংশগ্রহণ করেন খুলনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মাদ হেলাল হোসেন, খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু, জেলা বিএনপির সভাপতি এস এম শফিকুল আলম মনাসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
এছাড়া কোর্ট জামে মসজিদে সকাল সাড়ে আটটায় একটি ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। খুলনা সিটি কর্পোরেশন পরিচালিত বায়তুন নূর জামে মসজিদ কমপ্লেক্স-এ পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের দু’টি জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ৮টায় ১ম জামায়াতে ইমামতি করেন মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা ইমরান উল্লাহ এবং সকাল ৯টায় ২য় জামায়াতে ইমামতি করেন মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা আব্দুল গফুর।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজের জামাত বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে সকাল সাড়ে সাতটায় অনুষ্ঠিত হয়।
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এর জামাত সকাল ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়। সোনাডাঙ্গা আল-আকসা জামে মসজিদ ও সোনাডাঙ্গা নাছির সড়ক বায়ইতুস সালাম জামে মসজিদ ঈদের নামাজ সকাল ৮টায়, ময়লাপোতা মোড়স্থ বায়তুল আমান জামে মসজিদে ঈদের প্রথম জামাত সকাল ৮টায় ও ২য় জামাত ৯টায়, ইকবাল নগর জামে মসজিদ, খানজাহান আলী জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৭টায়, রায়পাড়ায় মসজিদে মিনায় ঈদের প্রথম জামাত সকাল ৮টায় ও দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে, বাংলাদেশ ব্যাংক কোয়ার্টার জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৭টায়, তারের পুকুর আল-হেরা জামে মসজিদে প্রথম জামাত ৭টায়, ২য় জামাত ৮টায়, শিববাড়ি মোড়স্থ ইব্রাহীম সড়ক মিয়াবাগ গোরস্থান জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: করোনা হাসপাতাল: খুলনায় আরও ২০টি আইসিইউ বেড সংযোজন হচ্ছে
নূরনগর জামে মসজিদ, নূরনগর গণপূর্ত ভবন জামে মসজিদ ও জোড়াগেট সিএন্ডবি কলোনী জামে মসজিদে সকাল ৮টায় ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। লবনচরা হাজী আব্দুল মালেক জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৭টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
দৌলতপুরের কৃষি কলেজ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৭টায়, শাহী জামে মসজিদে প্রথম জামাত সকাল ৭টায় ও দ্বিতীয় জামাত ৮টায়, ফায়ার সার্ভিস জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৮টায়, দেয়ানা উত্তরপাড়া জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৮টায়, মোল্লাপাড়া জামে মসজিদে সকাল ৮টায়, বায়তুল কোবা জামে মসজিদ সকাল সাড়ে ৮টায়, বায়তুল মামুর জামে মসজিদ সকাল সাড়ে ৮টায়, দেয়ানা মোহাম্মাদীয়া মাদ্রাসা জামে মসজিদ সকাল সাড়ে ৮ টায়, বায়তুল আল আকসা জামে মসজিদ সকাল সাড়ে ৮টায়, ফাইতুল ফালাহ জামে মসজিদ সকাল সাড়ে ৮টায়, সুলতানিয়া জামে মসজিদে সকাল ৮টায়, মুহসীন মোড় জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৭টায়, প্রান্তিকা জামে মসজিদে সকাল সাড়ে টায় এবং সকাল সাড়ে আটটায় আঞ্জুমান কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৮টায়, দৌলতপুর বাজার জামে মসজিদে সকাল ৮টায়, সরকারি বিএল কলেজ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে সকাল ৮টায়, পাবলা বায়তুল রহমত জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৭টায়, নতুন রাস্তা জামে মসজিদে প্রথম জামাত সকাল সাড়ে ৭টায় ও দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায়, মধ্যডাঙ্গা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে সকাল ৮টায়, ইস্পাহানী কোলনী জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৮ টায়, ইসলামবাগ জামে মসজিদ সকাল সাড়ে ৮টায়, জেএমসি জামে মসজিদ সকাল সোয়া ৮টায়, রেলিগেট কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
এছাড়া খুলনা সিটি কর্পোরেশনের ৩১টি ওয়ার্ডের বিভিন্ন মসজিদে সিটি কর্পোরেশনের সহায়তায় ও ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের তত্ত্বাবধানে পৃথকভাবে নিজেদের সময় অনুযায়ী মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। অনুরূপভাবে জেলার সকল উপজেলা সমূহের মসজিদে ঈদ-উল-ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।