কর্তৃপক্ষের নজরদারির অভাবে খুচরা ও পাইকারি বাজারে আলু বেশি দামে কিনতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ক্রেতারা। নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সেখানে ৪৫ টাকা দরে আলু বিক্রি হচ্ছে। তবে একটু নিম্নমানের আলু ৪০ টাকাও বিক্রি করছেন কোনো কোনো বিক্রেতা।
আলু ব্যবসায়ী ও বাজার সংশ্লিষ্টরা জানান, সরবরাহ কম থাকায় চলতি মাসের প্রথম থেকে আলুর দাম দ্বিগুণ বেড়ে গিয়ে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। পরে সরকার আলুর দাম নিয়ন্ত্রণ করতে খুচরা বাজারে সর্বোচ্চ কেজি প্রতি ৩৫ টাকা বেঁধে দিলেও বাস্তবে তা দেখা যাচ্ছে না। তবে আগের চেয়ে আলুর দাম কিছুটা কমেছে। এখন পর্যন্ত খুচরা বাজারে সরকারের বেঁধে দেয়া দামের চেয়ে বেশি দরে আলু বিক্রি হচ্ছে।
পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত তিন-চার দিনের ব্যবধানে আলুর দাম কেজি প্রতি ৮ থেকে ১০ টাকা কমেছে। এখন সরবরাহ ভালো। এ ধারা অব্যাহত থাকলে দাম আরও কমবে।
পাইকারি ব্যবসায়ীরা দাবি করছেন যে তারা সরকার নির্ধারিত ৩০ টাকা দরেই আলু বিক্রি করছেন।
পাইকারি ব্যবসায়ী আনিসুর রহমান বলেন, ‘সরবরাহ কম থাকায় হঠাৎ করেই বেড়ে যায় আলুর দাম। পরে সরকার দাম নির্ধারণ করে দেয়ার পর গত দুই দিনে সরবরাহও বেড়েছে। দামও আগে থেকে কমেছে।’
অন্যদিকে, নগরীর খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন যে সরকার আলুর দাম নির্ধারণ করে দিলেও বাস্তবে তা কমেনি। তাই এখনও বাড়তি দামেই আলু বিক্রি করছেন তারা। তবে দাম আগের তুলনায় কিছুটা কমেছে। এখন মান ভেদে কেজি প্রতি ৪০ থেকে ৪৫ টাকা দরে আলু বিক্রি করছেন তারা।
বাজারে আলু কিনতে আসা মাহবুব হোসেন নামে এক ক্রেতা বলেন, ‘সরকার নির্ধারিত মূল্যে আলু পাওয়া যাচ্ছে না। খুচরা পর্যায়ে দাম বেশি। কোনো বাজার মনিটরিং না থাকায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।’