প্রকৃত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রকাশের অংশ হিসেবে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) সুপারিশ বহির্ভূত বেসামরিক গেজেট আকারে প্রকাশিত ব্যক্তিরা উক্ত যাচাই-বাছাই কমিটির সামনে উপস্থিত হবেন।
আরও পড়ুন: মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহালের দাবিতে শাহবাগে অবস্থান
যাদের নাম ভারতীয় তালিকা বা লাল মুক্তিবার্তায় অন্তর্ভুক্ত আছ তারা যাচাই-বাছাইয়ের আওতার বাইরে থাকবেন। মহানগরী এলাকার মুক্তিযোদ্ধারা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জেলা যাচাই-বাছাই কমিটির কাছে এবং উপজেলা পর্যায়ের মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই বাছাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হবে।
গেজেটভুক্ত বেসামরিক মুক্তিযোদ্ধা যারা ভাতা পাচ্ছেন তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছেন মুজিব বাহিনীর আঞ্চলিক প্রধান ও সাবেক সংসদ সদস্য স ম বাবর আলী, সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সোহরাব আলী সানা, পাইকগাছার জিন্নাত আলী হাওলাদার, সরদার আব্দুল মাজেদ, জিল্লুর রহমান, ডুমুরিয়ার অহেদুর রহমান, কায়সেদ শেখ, দুলাল চন্দ্র পাল, কয়রার আবু হায়দার, মমতাজ উদ্দিন সানা, খুলনার সাবেক মেয়র মো. মনিরুজ্জামান মনি, নাগরিক নেতা শেখ আব্দুল কাইয়ুম, নগর সিপিবি নেতা অ্যাডভোকেট ফিরোজ আহমেদ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মো. আবু জাফর, এ এম এম মাহবুবুর রহমান, ইস্কান্দার কবির বাচ্চু, শামছুজ্জামান টিপু, নগর জাসদের সাবেক সভাপতি মো. কায়কোবাদ আলী, ক্রিড়া সংগঠক হাসান রুমী, অ্যাডভোকেট আ ব ম নূরুল আলম প্রমুখ।
আরও পড়ুন: বিজয় দিবসে মুক্তিযোদ্ধাদের ফল ও মিষ্টি পাঠালেন প্রধানমন্ত্রী
বেসামরিক গেজেটভুক্ত মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে মহানগরী এলাকায় ৬০ জন, তেরখাদা উপজেলায় ৮৩ জন, পাইকগাছা উপজেলায় ৪৯ জন, বটিয়াঘাটা উপজেলায় ৪৪ জন, দাকোপ উপজেলায় ৩৭ জন, দিঘলিয়া ও ডুমুরিয়া উপজেলায় ৩৫ জন করে, কয়রা উপজেলায় ২৫ জন এবং ফুলতলা উপজেলায় ৯ জন।
সমাজ সেবা অধিদপ্তর, খুলনার উপ পরিচালক খান মোতাহার হোসেন জানান, গেজেটভুক্ত বেসামরিক মুক্তিযোদ্ধা যারা ভাতা পাচ্ছেন তারাই যাচাই-বাছাই কমিটির সামনে উপস্থিত হবেন।
আরও পড়ুন: মুক্তিযোদ্ধাদের কাফের বলা ব্যক্তিদের পরবর্তী প্রজন্মই ভাস্কর্যবিরোধী: তথ্যমন্ত্রী
গত ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের এক অনুষ্ঠানে স ম বাবর আলী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস রচিত না হওয়ায় বিভিন্ন তথ্য নিয়ে বিভ্রান্ত হচ্ছে। স্বাধীনতার পর পরই মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা হলে আজকে যাচাই-বাছাই প্রয়োজন হত না। তিনি যাচাই-বাছাই কমিটির সামনে উপস্থিত হবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মো. আবু জাফর বলেন, দলীয় বিবেচনায় যাচাই-বাছাই হলে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা অনেকেই বাদ পড়তে পারেন।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র চালু করল আইওএম