ঘুর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে আজ রবিবার (২৬ মে) সকাল থেকে সাতক্ষীরায় গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি শুরু হয়েছে। দুর্যোগপূর্ণ আকাশ দেখা গেছে। এছাড়া, সুন্দরবন সংলগ্ন নদ-নদীতে স্বাভাবিকের চেয়ে ৩ থেকে ৪ ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।
এদিকে শ্যামনগর ও আশাশুনি উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মানুষদের সরিয়ে নিতে ১৮৭টি সাইক্লোন শেলটার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ৮ শতাধিক স্কুল, কলেজ, মাদরাসাকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
স্থানীয় বন বিভাগের পক্ষ থেকে বিশেষ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি জেলেদের দ্রুত নিরাপদ স্থানে ফিরে আসতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
পূর্ব সতর্কতা থাকায় পাশ্ববর্তী খোলপেটুয়া, মালঞ্চ, আড়পাঙ্গাশিয়া নদীগুলোর জেলেরা শনিবার থেকে মাছ ধরতে নামেননি। এছাড়া সাগর ও সুন্দরবনে অবস্থান করা জেলেরা এলাকায় ফিরতে শুরু করেছেন।
পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক এ কে এম ইকবাল হোসাইন চৌধুরী বলেন, সাতক্ষীরা রেঞ্জের ৪টি স্টেশনসহ সব টহল ফাঁড়িতে অবস্থান করা বনকর্মীদের সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া সুন্দরবন ও সাগরে মাছ শিকারে যাওয়া জেলেদের লোকালয়ে ফিরতে পরামর্শ দিয়ে তাদের উদ্ধারে বনকর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় রেমাল: চট্টগ্রামে ৫০০ আশ্রয়কেন্দ্র ও ২৯০ মেডিকেল টিমের প্রস্তুতি