ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা থেকে আসা এক নারী গর্ভকালীন জটিলতা নিয়ে ১৪ এপ্রিল হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডে ভর্তি হন। ১৭ এপ্রিল তার জ্বর ও শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। পরে তার নমুনা সংগ্রহ করে রংপুর মেডিকেল কলেজের (রমেক) পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়। ১৯ এপ্রিল ওই নারী হাসপাতাল ছেড়ে চলে যান ও শহরের এক চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করে তার কাছে চিকিৎসা নেন। ওই চিকিৎসক তাকে বিভিন্ন টেস্টের পরামর্শ দিলে সেই রাতেই তিনি আবার হাসপাতালে আসেন ও চিকিৎসা নিয়ে শহরের বাড়িতে ফিরে যান।
২১ এপ্রিল জানা যায় ওই নারী করোনায় আক্রান্ত। পরে স্থানীয় প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের লোকজন সন্ধ্যায় তার ঠিকানায় ছুটে যান। এরমধ্যে তারা লকডাউন উপেক্ষা করে পঞ্চগড়ে চাকলাহাট গ্রামে ওই নারীর বাবার বাড়ি চলে যান।
বিষয়টি পঞ্চগড়ের প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের লোকজনকে জানালে তাকে খুঁজে মঙ্গলবার রাতেই রংপুরে করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য আইসোলেশনে পাঠিয়ে দেয়া হয়।
এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. নাদিরুল আজিজ চপল জানান, ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ড জীবাণুমুক্ত করার জন্য রোগীদের সার্জারি ওয়ার্ডে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। গাইনি ওয়ার্ডের দুই চিকিৎসক, ৯ জন নার্স ও ওই নারীর সংস্পর্শে আসা মেডিসিন বিভাগের দুই চিকিৎসককে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। করোনা পরীক্ষার জন্য তাদের সবার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
এদিকে পঞ্চগড় জেলা প্রশাসনও ওই নারীর সংস্পর্শে আসা ডাক্তার, টেকনিশিয়ানসহ সকলকে শনাক্ত করে কোয়ারেন্টাইনে পাঠিয়েছে।