তিনি বলেন, ‘পদোন্নতি না হওয়ার বিভিন্ন কারণ ছিল। চাকরিতে পদোন্নতি কারও আগে হয়, কারও পরে হয়, এটি একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া, আইনি প্রক্রিয়া।’
রাজধানীর আদাবরে হাসপাতাল কর্মচারীদের মারধরে নিহত এএসপি আনিসুলের পরিবারকে সমবেদনা জানাতে শুক্রবার গাজীপুরে তাদের বাড়িতে গিয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
ডিআইজি হাবিবুর বলেন, ‘মানসিক সমস্যা হওয়ায় তাকে প্রথমে সরকারি মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে নেয়া হয়েছিল। সেখানে পরিবেশ-পরিস্থিতি মানসম্মত মনে না হওয়ায় ভালো মানের প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসার প্রত্যাশায় ওই হাসপাতালে গিয়েছিল। সেখানে নেয়ার পরের বাস্তবতা ভিডিওতে দেখা গেছে, সবাই তা জানেন।’
পরিবারটির পাশে দাঁড়ানোর বিষয়ে তিনি বলেন, ‘তার স্ত্রীকে যাতে সম্মানজনক পেশা বা কর্মের সঙ্গে নিয়োজিত করা যায় সে বিষয়ে পুলিশের আইজিপি চিন্তা করেছেন এবং আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন।’
এর আগে, তিনি নিহতের স্ত্রী শারমিন সুলতানা, বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফাইজ উদ্দিন আহমেদসহ পরিবারের সদস্যদের বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে সমবেদনা ও সহমর্মিতা জানান।
প্রসঙ্গত, ৩১তম বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে পুলিশ বিভাগে যোগ দেন কাপাসিয়া উপজেলার আড়াল গ্রামের কৃতি সন্তান আনিসুল। তিনি বরিশাল মহানগর ট্রাফিক পুলিশের সহকারী কমিশনার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। সেখানে কর্মরত থাকা অবস্থায় তিনি মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন। তাকে চিকিৎসা দিতে নেয়া হয়েছিল রাজধানীর মাইন্ড এইড হাসপাতালে। সেখানে হাসপাতাল কর্মীদের মারধরে নিহত হন তিনি।