আইনের ৪ ধারায় বলা হয়েছে, আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইনে যা কিছুই থাকুক না কেন, ইটভাটা যে জেলায় অবস্থিত সেই জেলার জেলা প্রশাসকের নিকট হতে লাইসেন্স গ্রহণ ব্যতিরেকে কোনো ব্যক্তি ইটভাটায় ইট প্রস্তুত করতে পারবেন না।
পরিবেশ অধিদপ্তর খুলনা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, খুলনা জেলায় ১৭৫টি ইটভাটা রয়েছে। যার মধ্যে রূপসা ও ডুমুরিয়া উপজেলায় এর সংখ্যা বেশি। ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩ অনুযায়ী ১৩০টি ইটভাটা চলতি অর্থ বছরে ইট উৎপাদনের জন্য লাইসেন্স নবায়ন করেছেন। বাকি ৪৫টি ইটভাটা নবায়ন করেননি। নবায়নকৃত ইটভাটার মধ্যে সবগুলোই আধুনিক পদ্ধতি অনুসরণ করলেও তিনটি ইটভাটা এখনও এই পদ্ধতি অনুসরণ করেনি। ইটভাটার লাইসেন্স নবায়ন করতে খরচ হয় সাড়ে ১২ হাজার টাকা।
ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩ এর ৬ ধারা অনুযায়ী আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোনো ব্যক্তি ইটভাটায় ইট পোড়ানোর কাজে জ্বালানি হিসেবে কোনো জ্বালানি কাঠ ব্যবহার করতে পারবেন না। আর ৭ ধারা অনুযায়ী আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোনো ব্যক্তি ইটভাটায় ইট পোড়ানোর কাজে নির্ধারিত মানমাত্রার অতিরিক্ত সালফার, অ্যাশ, মারকারি বা অনুরূপ উপাদান সম্বলিত কয়লা জ্বালানি হিসাবে ব্যবহার করতে পারবেন না।
অভিযোগ রয়েছে, ইটভাটাগুলো কোনো ধরনের নিয়মনীতি না মেনে ইট উৎপাদন করে। জ্বালানি কাঠ ও কয়লা ব্যবহারের আইনও ঠিকমতে অনুসরণ করেন না। পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে তেমন কোনো কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় এমন অবস্থা বিরাজ করে বলেও জানা গেছে। এদিকে নবায়ন না করানো ইটভাটাগুলো সামনের মৌসুমে ইট উৎপাদনের প্রস্তুতি শুরু করেছে।
পরিবেশ অধিদপ্তর খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সরদার শরিফুল ইসলাম বলেন, নবায়ন না করা ইটভাটা ইট উৎপাদন করতে পারবে না। নবায়ন করে ইট উৎপাদনে যেতে হবে। নবায়ন ছাড়া ইট উৎপাদনে গেলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পরিবেশ অধিদপ্তর খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক হাবিবুল হক খান বলেন, যে সকল ইটভাটা নবায়ন করেনি সেগুলো পুরোনো পদ্ধতি অনুসরণ করে। তারা নবায়ন পাবেও না। নবায়ন করতে হলে তাদের আধুনিক পদ্ধতিতে ইটভাটা করতে হবে। এছাড়া জনবলের ঘাটতির কারণে কাজের কিছুটা বিঘ্ন ঘটে। তবে সামর্থ অনুযায়ী তারা এ সকল ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।