মঙ্গলবার সকালে বিপদসীমার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হওয়ায় জোয়ারের পানিতে ভেঙে যাওয়া বাঁধ দিয়ে ভোলার পূর্ব ইলিশা ইউনিয়নের ১২টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে জলাবদ্ধতার মধ্যে রয়েছেন প্রায় ২০ হাজার মানুষ। পানিবন্দি মানুষের মাঝে দেখা দিয়েছে পানিবাহিত নানা রোগ বালাই।
স্থানীয়রা জানান, অস্বাভাবিক জোয়ারের পানির উচ্চতা ও স্রোতের আঘাতে গত বৃহস্পতিবার রাতে ভোলার পূর্ব ইলিশা ইউনিয়নের সাজিকান্দি গ্রামে পানি উন্ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে যায়। এতে করে ইলিশার ১২টি গ্রাম প্লাবিত হয়ে প্রায় ৪ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়ে। প্রায় ১ হাজার হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়ে যায়। এখনো ডুবে আছে কৃষকের ধান। ভেসে গেছে অসংখ্যা পুকুরর মাছ। নষ্ট হয়ে গেছে গ্রামীণ সড়ক।
পানি উন্নয়ন বোর্ড দিন রাত বাঁধ মেরামতের চেষ্টা চালায়। সোমবার সন্ধ্যায় পাইলিং করে জিও ব্যাগ ও জিও টিউব দিয়ে মেরামত প্রায় সম্পন্ন করলেও জোয়ারে পানির আঘাতে দ্বিতীয় দফায় প্রায় ১০ মিটার বাঁধ ভেঙে দেবে যায়। এতে করে মঙ্গলাবার আবার ভেঙে যাওয়া বাঁধ দিয়ে পানি প্রবেশ করে ১২ গ্রাম প্লাবিত হয়। বহু ঘর বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে।
ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ড-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হাসানুজ্জামান জানান, পানির চাপ বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার কারণে তাদের বেড়িবাঁধ মেরামত কাজের অগ্রগতি ব্যাহত হচ্ছে। শিগগিরই ভেঙে যাওয়া বাঁধ মেরামত কো সম্ভব হবে। বাঁধটি আরও ৩ ফুট উঁচু করা হবে।