গণপরিবহন বন্ধ থাকায় নতুন করে আসেনি কোনো যাত্রীবাহী বাস কিংবা ব্যক্তিগত গাড়ি। তবে গত কয়েকদিন ধরে আটকে থাকা পণ্যবোঝাই ট্রাকের দীর্ঘ লাইন পড়ে যায়। ঘাট কর্তৃপক্ষ ওইসব পণ্যবোঝাই ট্রাকগুলো পার করছেন। দিনভর তিন শতাধিক পণ্যবোঝাই ট্রাক পার করলেও সন্ধ্যা ৬টায় আরও দুই শতাধিক ট্রাক ঘাটে আটকে থাকতে দেখা গেছে।
বিআইডব্লিউটিসি আরিচা ঘাট কর্তৃপক্ষ জানায়, করোনা প্রতিরোধে সরকারি নির্দেশে বৃহস্পতিবার থেকে সব ধরনের গণপরিবহন বন্ধের ঘোষণা রয়েছে। এতে গত বুধবার পাটুরিয়াঘাটে গণপরিবহনের উপচেপড়া ভিড় শুরু হয়। আগে থেকেই লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকায় লঞ্চ পারাপারের যাত্রীরাও ফেরিতে পার হতে হয়। এতে করে বুধবার দিনভর যাত্রী ও যাত্রীবাহী যানবাহন পারাপারে হিমশিমে পড়তে হয় ঘাট কর্তৃপক্ষকে।
বুধবার শুধুমাত্র যাত্রী ও যাত্রীবাহী যানবাহনগুলো পারাপার করায় আটকে থাকতে হয় পণ্যবোঝাই ট্রাক ও কাভার্ডভ্যানকে। এতে ঘাট এলাকা ও মহাসড়কে আটকে পড়ে প্রায় ছয়শ পণ্যবাহী ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত যাত্রী ও যাত্রীবাহী যানবাহন পার করা হয়েছে। ৯টার পর আর কোনো যাত্রীবাহী বাস আসেনি। এর পর থেকে আটকে পড়া ট্রাক পারাপার শুরু করা হয়, বলেন তিনি।
ঘাটে আটকে থাকা ট্রাকের চালক ও হেলপাররা তাদের নানা দুর্ভোগের কথা জানান। তারা বলেন, ঘাটে কোনো ধরনের হোটেল কিংবা খাবার দোকান খোলা নেই। তাদের অনেককেই না খেয়ে থাকতে হচ্ছে। আবার কেউ কেউ নিজেরা রান্না করে খাচ্ছেন। ফেরি পার না হতে পারলে তাদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হবে।
পাটুরিয়াঘাট পুলিশ কন্ট্রোল রুমের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর সিদ্দিকুর রহমান জানান, ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের উথলী ও পাটুরিয়াঘাট এলাকায় ছয় শতাধিক গাড়ি ফেরি পারের অপেক্ষায় আটকে ছিল। এরমধ্যে তিন শতাধিক ট্রাক পারাপার করা হয়েছে। বাকীগুলো পার করানোর কাজ চলছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থা (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) জিল্লুর রহমান বলেন, সাতটি বড় ও ছয়টি ছোট ফেরি চালু আছে। রাত ৯টার মধ্যে আটকে থাকা বাকী ট্রাকগুলো পার করা সম্ভব হবে বলে আশা করেন তিনি।