ফেরিঘাট
পাঁচ দিনেও চালু হয়নি দৌলতদিয়ার ৭ নম্বর ফেরিঘাট
পাঁচ দিনেও চালু হয়নি ঘূর্ণিঝড় রিমালে ক্ষতিগ্রস্ত রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়ার ৭ নম্বর ফেরিঘাট।
রবিবার ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে ৭ নম্বর ফেরিঘাট সংযোগ সড়কের মাথা ধসে তলিয়ে র্যামসহ পন্টুনটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এ কারণেই রবিবার থেকে ঘাটটি এখনো বন্ধ রয়েছে।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ফেরিঘাটে স্বস্তির ঈদ যাত্রা
ফেরিঘাট সংযোগ সড়ক বা ঘাট তদারকির দায়িত্ব বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) এবং র্যামসহ পন্টুনের দায়িত্ব বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি)।
শুক্রবার (৩১ মে) সকালে দৌলতদিয়ার ৭ নম্বর ঘাটে দেখা যায়, বিআইডব্লিউটিএর তিন থেকে চারজন শ্রমিক ইটের আদলা বস্তা ভর্তি করে সংযোগ সড়কের মাথায় ফেলছেন। ক্ষতিগ্রস্ত পন্টুন এক পাশে কাত হয়ে আছে। ফলে ঘাট দিয়ে কোনো যানবাহন পারাপার করা যাচ্ছে না। ৩ ও ৪ নম্বর ঘাট দিয়ে ফেরিতে গাড়ি উঠানামা করছে। দৌলতদিয়ার ৭টির মধ্যে মাত্র দুটি ঘাট চালু থাকায় যানবাহন পারাপার কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে।
বিআইডব্লিউটিএর দাবি, পন্টুনটি সরিয়ে ফেলা হলে তিন দিনের মধ্যে ঘাটটি সম্পূর্ণ প্রস্তুত করা সম্ভব। বর্তমানে ৩ ও ৪ নম্বর এই দুটি ঘাট দিয়ে যানবাহন পারাপার করছে।
অপেক্ষমাণ ঢাকাগামী জামান পরিবহনের দৌলতদিয়া ঘাট তত্বাবধায়ক মনির হোসেন বলেন, আগে যখন অনেক গাড়ির চাপ ছিল তখন সব সময় চার থেকে পাঁচটি ঘাট চালু থাকত। এখন আগের মতো গাড়ির চাপ না থাকলেও নিয়মিত অন্তত তিনটি ঘাট সচল থাকা দরকার। সেখানে মাত্র দুটি ঘাট সচল রয়েছে। যে কারণে দূরপাল্লার যাত্রীবাহী পরিবহনসহ অন্যান্য গাড়ি নদী পাড়ি দিতে ঘাটে এসে অপেক্ষা করতে হয়।
স্থানীয় হোটেল ব্যবসায়ী খোরশেদ মন্ডল বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের আগের দিন রাতে ঘাট বন্ধ হয়। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত চালু না হওয়ায় আমরা বেকার বসে আছি। গাড়ি বা যাত্রী পারাপার না হওয়ায় কোনো দোকানে বেচাকেনা নেই। যে কারণে ঘাটের প্রায় ২০টি দোকানের সবাই বেকার বসে আছি।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক মো. সালাহ উদ্দিন বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে ৭ নম্বর ঘাটের সংযোগ সড়কসহ পন্টুন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা বিআইডব্লিউটিএকে ঘাটটি দ্রুত প্রস্তুত করে দিতে অনুরোধ করেছি। ঘাট প্রস্তুত হলেই যানবাহন পারাপার শুরু হবে। তবে আমাদের পন্টুন সরাতে কিছু সময় লাগছে।
বিআইডব্লিউটিএর দায়িত্বপ্রাপ্ত উপসহকারী প্রকৌশলী মো. সহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা ইটের আদলা ও বালুভর্তি জিওব্যাগ ফেলে সংযোগ সড়ক অনেকটা প্রস্তুত করেছি। পন্টুনটি না সরানোর কারণে অবশিষ্ট কাজ করতে বিলম্ব হচ্ছে। বিআইডব্লিউটিসি তাদের পন্টুনটি সরিয়ে ফেললে মাত্র তিন দিনের মধ্যে আমরা ঘাটটি প্রস্তুত করতে পারব।
আরও পড়ুন: পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায় যানবাহন নিয়ে ফেরিডুবি, চালক নিখোঁজ
মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ফেরিঘাটে ট্রাকচাপায় পথচারী নিহত
৬ মাস আগে
পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায় যানবাহন নিয়ে ফেরিডুবি, চালক নিখোঁজ
মানিকগঞ্জের পাটুরিয়ায় ৫নং ফেরিগাট এলাকায় একটি ফেরি ডুবে গেছে। ফেরিটি দৌলতদিয়া ঘাট থেকে পাটুরিয়ায় যাচ্ছিল। এতে ৭টি পিকআপ ও ২টি ট্রাক ছিল।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের গুদাম পরিদর্শক আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, সকাল ৮টা ১৬ মিনিটের দিকে পিকআপ ও কাভার্ডভ্যানসহ রজনীগন্ধা নামের ফেরিটি নদীতে ডুবে যায়।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে ছয়জনকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
তিনি আরও বলেন, আরিচা ফায়ার স্টেশনের ডুবুরি ইউনিট কাজ করছে। সিদ্দিক বাজার ফায়ার স্টেশন থেকে ডুবুরি ইউনিট ঘটনাস্থলের উদ্দেশে যাচ্ছে। এখন পর্যন্ত ৬ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
ফেরিটি উল্টে গিয়ে এর বেশকিছু অংশ পানির উপরে ভাসমান অবস্থায় ছিল।
ফেরির সেকেন্ড ড্রাইভার হুমায়ূন কবির (৩৯) নিখোঁজ রয়েছেন। ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধার কার্যক্রম চলমান।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) বলেছে, উদ্ধার অভিযানে যোগ দিয়েছে নৌবাহিনীর ডুবুরি দল।
ফেরিডুবির কারণ এখনও স্পষ্ট হয়নি।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ফেরিঘাটে ট্রাকচাপায় পথচারী নিহত
মোবাইলে কথা বলার সময় ফেরি থেকে নদীতে পড়ে নিখোঁজ বৃদ্ধ
১১ মাস আগে
ফেরিঘাটে ভাঙন, নদীগর্ভে বিলীন বসতভিটা
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়ার তিন নম্বর ফেরি ঘাট এলাকায় বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে হঠাৎ ভাঙন দেখা দেয়। ভাঙনে মুহুর্তের মধ্যে একটি পরিবারের বসতভিটা বিলীন হয়ে যায়।
এছাড়া আতঙ্কে আরও চারটি পরিবার অন্যত্র সরে গেছে।
প্রায় ১০০ মিটার এলাকায় ভাঙনের কারণে তিন ও চার নম্বর ফেরি ঘাট বন্ধ হয়ে গেছে। এর আগে ভাঙনে ছয় সেপ্টেম্বর থেকে পাঁচ নম্বর ফেরি ঘাট বন্ধ রয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বুধবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে দৌলতদিয়ার তিন নম্বর ফেরি ঘাট এলাকায় ভাঙন দেখা দেয়।
আড়াইটার দিকে ভাঙনের মাত্রা বেড়ে গেলে নদী পাড়ে সিদ্দিক কাজী পাড়ার সালাম বেপারীর বসতভিটা বিলীন হয়ে যায়।
আতঙ্কে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের ঘরের জিনিসপত্র অন্যত্র সরিয়ে নেয়। এসময় স্থানীয় বাসিন্দাদের মাঝে ভাঙন আতঙ্ক দেখা দেয়।
রাতেই সালাম বেপারীসহ আব্দুর রহিম বেপারী, হান্নান কাজী, মকাই মোল্লা ও একেন বেপারীর পরিবার ঘর ভেঙে অন্যত্র সরিয়ে ফেলে।
আরও পড়ুন: ঢাকামুখী মানুষদের দৌলদিয়া ফেরিঘাট ব্যবহার করার অনুরোধ নৌপ্রতিমন্ত্রীর
এই পাঁচটি পরিবার ফেরি ঘাটের অদূরে নিয়ে ঘরের চালাসহ জিনিসপত্র রেখেছেন।
এদিকে খবর পেয়ে রাতে বিআইডব্লিউটিসি আরিচা কার্যালয়ের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (মেরিন) আব্দুস সাত্তার রাত আড়াইটার দিকে সরেজমিন এসে তিন নম্বর ফেরি ঘাট বন্ধ করে দেন।
বিআইডব্লিউটিসির কর্মকর্তা আব্দুস সাত্তার বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে মুঠোফোনে বলেন, বুধবার রাত আড়াইটার দিকে তিন নম্বর ফেরি ঘাট এলাকায় ভাঙনের খবর পেয়ে রাতেই ঘাট পরিদর্শনে আসেন। পরিস্থিতি খারাপ দেখে তখন থেকে তিন নম্বর ঘাটটি বন্ধ করে দেন।
প্রায় ১০০ মিটারের মতো জায়গায় ভাঙন দেখা দেয়ায় পাশের চার নম্বর ঘাট ভাঙনের মুখে পড়ে। ফলে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে চার নম্বর ঘাটটিও বন্ধ করে দেয়া হয়।
তিনি বলেন, চার নম্বর ঘাটের পন্টুনের মেরামত কাজ চলায় আপাতত বন্ধ রয়েছে। কাজ শেষে রাতের মধ্যে ঘাটটি চালু করা যাবে বলে আশা করছি। এর আগে ছয় সেপ্টেম্বর প্রায় ১০০ মিটারের মতো জায়গা ভাঙন দেখা দেয়ায় পাঁচ নম্বর ঘাট বন্ধ রয়েছে।
ভাঙনে তিন, চার ও পাঁচ নম্বর তিনটি ফেরি ঘাট বন্ধ থাকায় দৌলতদিয়া ঘাট দিয়ে যানবাহন পারাপার ব্যাহত হচ্ছে। বর্তমানে ছয় ও সাত নম্বর ঘাট চালু রয়েছে।
ভাঙন প্রতিরোধে বিআইডব্লিউটিসিকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সঙ্গে দ্রুত সময়ের মধ্যে তিন ও পাঁচ নম্বর ঘাট চালু করতে অনুরোধ জানানো হয়েছে। বর্তমানে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া রুটে ১০টি ফেরি চলাচল করছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
ক্ষতিগ্রস্ত সালাম বেপারীর ছেলে আশিক বেপারী বলেন, আমাদের মতো শতাধিক পরিবার ফেরিঘাট সংলগ্ন সিদ্দিক কাজী পাড়ায় বাস করছি। বুধবার রাত দুইটার পর তিন নম্বর ফেরি ঘাট এলাকায় হঠাৎ পানির শব্দ বেড়ে যায়। শব্দের ভয়ে আমাদের ঘুম ভেঙে যায়। দেখতে দেখতে চোখের পলকে আমাদের একটি ঘরের ভিটা বিলীন হয়ে যায়।
তাৎক্ষণিকভাবে অন্যান্য ঘরের জিনিসপত্র দ্রুত সরিয়ে নেই। এ সময় স্থানীয় আব্দুর রহিম বেপারী, হান্নান কাজী, মকাই মোল্লা ও একেন বেপারীর ঘর ভেঙে দ্রুত সরিয়ে ফেলে। যাওয়ার কোন জায়গা না থাকায় আমরা কোথায় যাব সেই চিন্তা করছি। রাত দুইটার পর থেকে ভাঙন শুরু হলেও বৃহস্পতিবার সকাল সাতটার দিকে বালুর বস্তা ফেলা শুরু করেছে।
এছাড়া এখন পর্যন্ত এলাকার মেম্বার, চেয়ারম্যান কেউ খোঁজও নিতে আসেনি।
ভাঙন এলাকা পরিদর্শন শেষে বিআইডব্লিউটিসি আরিচা কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, নতুন করে পানি বাড়তে থাকায় নদীতে প্রচন্ড স্রোতের দেখা দিয়েছে। স্রোতের তীব্রতায় তিন নম্বর ফেরি ঘাট এলাকার প্রায় ১০০ মিটারের মতো ভাঙন দেখা দিয়েছে। খবর পেয়ে বালুভর্তি জিওব্যাগ ফেলার নির্দেশনা দিয়েছি।
বৃহস্পতিবার সকাল ছয়টা থেকে তিন ও চার নম্বর ঘাট এলাকা বালুভর্তি জিওব্যাগ ফেলা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা আশা করছি আজকের মধ্যে তিন নম্বর ঘাট এলাকায় বালুভর্তি জিওব্যাগ ফেলার কাজ শেষ হবে। তবে ঘাটটি চালু হতে কয়েকদিন সময় লাগবে।
এছাড়া ৬ সেপ্টেম্বর ভাঙনে বন্ধ হওয়া পাঁচ নম্বর ঘাটটি চালু করতে পানি কমার অপেক্ষা করছিলাম। কিন্তু নতুন করে পানি বাড়ায় আপাতত চালু করা সম্ভব হচ্ছেনা।
আরও পড়ুন: তীব্র স্রোতে দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায় ভাঙন, ৫ নম্বর ঘাট বন্ধ
পাটুরিয়া ফেরিঘাটে ঘরমুখো যাত্রী ও যানবাহনের চাপ
২ বছর আগে
পাটুরিয়া ফেরিঘাটে ঘরমুখো যাত্রী ও যানবাহনের চাপ
মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ফেরিঘাটে ঈদে ঘরমুখো যাত্রীর চাপ ও যানবাহনের সংখ্যা বেড়েছে। তবে উপচেপড়া ভিড় নেই।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ফেরিতে যাত্রী ও যানবাহনের সঙ্গে সীমিত আকারে মোটরসাইকেলও পার করা হচ্ছে। বিড়ম্বনা ছাড়া ফেরিতে পার হতে পারায় স্বস্তি পাচ্ছেন যাত্রীরা। এছাড়া লঞ্চ কতৃপক্ষ ধারণক্ষমতার বেশি যাত্রী যেন লঞ্চে না ওঠে সেই চেষ্টা করছেন।
বিআইডব্লিউটিসি আরিচা অঞ্চলের ডিজিএম শাহ খালেদ নেওয়াজ বলেন, শুক্রবার ভোর থেকে ঈদে ঘরমুখো দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের যাত্রী ও যানবাহনের চাপ শুরু হয়েছে। যাত্রীবাহী বাস ও ব্যক্তিগত গাড়ির প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাসগুলো অনায়াসেই ফেরিতে উঠতে পরাচ্ছে।
আরও পড়ুন: শিমুলিয়া-মাঝিরকান্দি নৌপথে ৭ ঘণ্টা পর ফেরি চলাচল শুরু
তিনি বলেন,অন্য ঈদের সময় তিনদিন আগে থেকে পণ্যবাহী ট্রাক পারাপার বন্ধ রাখা হলেও এবার গাড়ির চাপ কম থাকায় পন্যবাহী ট্রাকগুলো পারা করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে আগে বাস ও পরে ট্রাক পার করছি। ঘাটে সকাল থেকে বাস, ব্যক্তিগত গাড়ি ও পণ্যবাহী ট্রাকের সামান্য লাইন রয়েছে।
বর্তমানে ২১ টি ফেরির মধ্যে ২০টি দিয়ে পারাপার করা হচ্ছে ।
সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘন্টায় প্রায় সাত হাজার যানবাহন পারাপার করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩৬০০টি মোটরসাইকেল বলে জানান এই বিআইডব্লিউটিসি কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: চাহিদা অনুযায়ী ফেরি চলবে: নৌপ্রতিমন্ত্রী
পুলিশ সুপার গোলাম আজাদ খান জানান, ঘাটের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও ছিনতাইরোধে ঘাট এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন ও সিসি ক্যামেরার আওতায় রাখা হয়েছে।
২ বছর আগে
ঢাকামুখী মানুষদের দৌলদিয়া ফেরিঘাট ব্যবহার করার অনুরোধ নৌপ্রতিমন্ত্রীর
শিমুলিয়া ঘাটে সীমিত ফেরি ব্যবস্থা থাকায় ঢাকামুখী মানুষদের দৌলদিয়া ফেরিঘাট ব্যবহার করার অনুরোধ জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, এবারের ঈদ যাত্রা খুব ভালভাবেই করতে পেরেছি। আল্লাহর রহমতে সারাদেশের মানুষ আনন্দের সঙ্গে ঈদ করতে পেরেছে। স্বাচ্ছন্দের সঙ্গে ঈদের সময়ে মানুষ বাড়ি যেতে পেরেছে। তাই ঢাকামুখো মানুষদের স্বাচ্ছন্দ্যে ফিরতে দৌলদিয়া ঘাট ব্যবহারের অনুরোধ জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ে ঈদ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে প্রতিমন্ত্রী মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ কর্মকর্তদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, শিমুলিয়া ফেরি বাড়ানোর কোন ব্যবস্থা নেয়া হবে কিনা জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা বার বার অনুরোধ করেছিলাম পাটুরিয়া ঘাট ব্যবহার করার জন্য। কারণ পদ্মা সেতুর সার্বিক নিরাপত্তার জন্য সীমিত ফেরির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। কিন্তু এতো সুন্দর রাস্তা ও পদ্মা সেতু দেখার লোভ থামানো যায় নি। এখানে অতিরিক্ত ব্যক্তিগত গাড়ি গেছে এ রুটে। আমি আবারও অনুরোধ জানাবো শিমুলিয়া ঘাটে সীমিত ফেরি ব্যবস্থা রয়েছে তাই দৌলদিয়া ফেরিঘাট ব্যবহার করলে অনেক স্বাচ্ছন্দ্যে আসতে পারবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানবে ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’
মানুষ ঘরে ফিরতে পেরেছে ভালোভাবে তবে কর্মক্ষেত্রে আসাটা কেমন হবে জানতে চাইলে খালিদ মাহমুদ বলেন, যাওয়ার মতো ফেরার পথেও একই ধরনের ব্যবস্থাপনা করেছি। আমাদের নজরদারিও আছে। আইনশৃংখলা রক্ষাকারীবাহিনীসহ দায়িত্বরত অন্যরা তাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করছে। ঈদের আগেই ঘরে ফেরা এবং ঢাকায় আসা নিয়ে আলোচনা করেছি। আমরা মনে করি ফেরারটাও স্বাচ্ছন্দ্যে মানুষ আসতে পারবে।
প্রতি ঈদে নৌ দুর্ঘটনা ঘটে। এবার এধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি এ বিষয় সম্পর্কে জানতে চাইলে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, মানুষ যতো সচেতন এধরনের ঘটনা কমে আসবে। মানুষ আরও সচেতন হচ্ছে। যারা এ কাজগুলোর দায়িত্ব পালন করেন তারাও আর দায়িত্ববান হচ্ছেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা মানের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। আগে মানুষ পেট ভরে খেতে পারত না। এখন মানুষ খাওয়ার মান নিয়ে চিন্তা করে। আমরা সে দিকে এগিয়ে যাচ্ছি৷ আশা করছি সামনে এধরনের দুর্ঘটনা আরো কমে যাবে। আসরা সেভাবেই দেশ পরিচালনা করছি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে।
আরও পড়ুন: ঈদের ছুটিতে জাফলংয়ে পর্যটকের স্রোত
ঘূর্ণিঝড় অশানি নিয়ে নৌখাতের নিরাপত্তায় কি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে-জানতে চাইলে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের প্রস্তুতি আছে, নির্দেশনাও দেয়া আছে। ১নং ২নং,৩নং সিগনালে কি ধরনের পদক্ষেপ নিতে হবে এগুলো আমাদের বলা আছে। লঞ্চসহ সকল নৌযান এবিষয়ে জানে এবং আমরাও প্রচার করছি। বাংলাদেশে বৈশাখ জৈষ্ঠ্যমাসে কালবৈশাখী ঝড় হবেই৷ এগুলো আমাদের নিত্যদিনের সঙ্গি। এগুলো মেনেই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সারাদেশে আনন্দঘন পরিবেশ বিরাজ করছে, এটা আমাদের অনেক বড় প্রাপ্তি। রোজাকে সামনে রেখে অনেকেই ভীতিকর পরিস্থিতির কথা বলেছিল। কিন্তু আল্লাহর রহমতে এবং সরকারের পদক্ষেপের কারণে কোনো কিছু হয়নি। মানুষ ভালমত ঈদ ও নামাজ আদায় করতে পেরেছে৷ সার্বিকভাবেই মানুষ ভালোভাবেই ঈদ উদযাপন করেছে।
আরও পড়ুন: ঈদের ছুটি শেষে সরকারি অফিস খুলেছে
২ বছর আগে
নরসিংহপুর ফেরিঘাটে পারাপারের অপেক্ষায় ৫ শতাধিক ট্রাক
শরীয়তপুর-চাঁদপুর নৌপথের নরসিংহপুর ফেরিঘাটে পণ্যবাহী ট্রাকের তীব্র জট সৃষ্টি হয়েছে। শনিবার বেলা ১০টায় ঘাটটিতে পার হওয়ার জন্য ফেরির অপেক্ষায় পাঁচ শতাধিক ট্রাক সড়কে অপেক্ষা করছে।
বিআইডাব্লিউটিসি সূত্রে জানা গেছে, শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলায় শরীয়তপুর-চাঁদপুর নৌপথের নরসিংহপুর ফেরিঘাট। অন্যদিকে চাঁদপুর প্রান্তে সদর উপজেলার হরিণায় আরেকটি ঘাট।এ নৌপথের দুটি ঘাট ব্যবহার করে চট্টগ্রাম বিভাগের সঙ্গে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার পণ্য ও যাত্রীবাহী গাড়ি চলাচল করে। বাংলাবাজার-শিমুলিয়া, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে যাত্রীবাহী বাস ও পণ্যবাহী ট্রাক পারাপার বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। তাই নরসিংহপুর ফেরিঘাটে চাপ বেড়ে যায়।
আরও জানা যায়, এই নৌপথটিতে পণ্য ও যাত্রীবাহী গাড়ি পারাপারের জন্য সাতটি ফেরি চলাচল করে। গত সোমবার দুটি ফেরি বিকল হয়ে পড়ে। পরে তা মেরামতের জন্য ডগে পাঠানো হয়। মেরামত শেষ করে ওই দুটি ফেরি শুক্রবার সকাল থেকে নৌপথে চলাচল করছে।
আরও পড়ুন: পাটুয়ারিয়া ঘাটে ৩ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট
খুলনা থেকে আসা পণ্যবাহী ট্রাকচালক জালাল হোসেন বলেন, ‘আমাদের ভোগান্তির শেষ নেই। গতকাল ঘাটে এসেছি এখনো বসা রয়েছি। কবে যে যাইতে পারবো বলতে পারিনা। অতিরিক্ত খাওয়ার খরচ, গোসলের কষ্ট, টয়লেটের কষ্ট হচ্ছে, কী আর করব।’
ট্রাফিক বিভাগের পরিদর্শক মো. খোরশেদ আলম বলেন, ‘ফেরীর সঙ্কট; তার ভেতরে আবার কামিনি ফেরিটি নষ্ট হয়ে গেছে, তাই একটু যানজট সৃষ্টি হয়েছে। দুটি ফেরি বাড়িয়ে দিলে আর এই সমস্যা থাকবেনা। আমরা বিআইডাব্লিউটিসি কে বিষয়টি জানিয়েছি।’
এবিষয়ে শরীয়তপুর-চাঁদপুর নৌপথের নরসিংহপুর ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক আব্দুল মোমেন বলেন, ‘ঈদে যাত্রীদের দুর্ভোগ কমাতে তিনটি নৌপথে পণ্যবাহী ট্রাক পারাপার বন্ধ রয়েছে। তাই এ ঘাটে ট্রাকের চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ছাড়া ফেরি বিকল ছিল। তাই অপেক্ষারত ট্রাকগুলো পারাপার করাতে কিছুটা সময় লাগবে।’
আরও পড়ুন: ঈদযাত্রায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানজটের শঙ্কা
ঈদে যানজট এড়াতে সিরাজগঞ্জে নলকা সেতু খুলে দেয়া হবে
২ বছর আগে
শিমুলিয়া ফেরিঘাটে ঘরমুখো মানুষের ঢল
ঈদুল ফিতরের পাঁচদিন বাকি থাকতেই পদ্মা নদী পার হওয়ার জন্য শিমুলিয়া ফেরিঘাটে কয়েক হাজার মানুষ ভিড় করেছেন। বুধবার প্রচণ্ড গরমের মধ্যেও অনেক মানুষকে ফেরিঘাটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে দেখা যায়।
ফেরি টার্মিনালের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ঘরমুখো মানুষের এই বিশাল ঢল সামলাতে গিয়ে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছেন। কারণ বর্তমানে প্রতিদিন ১৮-২১টির পরিবর্তে মাত্র সাতটি ফেরি চলছে।
ইউএনবি’র সঙ্গে আলাপকালে কয়েকজন যাত্রী জানান, গত বছরের তুলনায় এ বছর ফেরির সংখ্যা কম থাকায় ভিড় এড়াতে তারা আগেই বাড়ি যাচ্ছেন।
শিমুলিয়া ঘাটের বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) পরিদর্শক মো. সোলেমান জানান, ফেরির সংখ্যা অপর্যাপ্ত হওয়ায় বর্তমানে ১৫৩টি স্পিডবোট ও ৮৩টি লঞ্চ চলাচল করছে।
আরও পড়ুন: ঢাকা-পাটুরিয়া রুটে ঈদে ঘরমুখো মানুষের ভোগান্তি
২ বছর আগে
দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে কাভার্ডভ্যান চাপায় স্ত্রীর মৃত্যু, স্বামী আহত
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে কাভার্ডভ্যান চাপায় এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। এসময় ওই নারীর স্বামী আহত হন। শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার দৌলতদিয়ার ৩নম্বর ফেরিঘাটে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত মর্জিনা বেগম (৪০) ফরিদপুর শহরের কোতোয়ালী থানার চর কমলাপুর মহল্লার মো. ইমারত উদ্দিন মোল্লার স্ত্রী।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রায় এক মাস আগে ইমারত-মর্জিনা দম্পতির ১২ বছর বয়সী ছেলে রাগ করে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। কয়েকদিন আগে তারা জানতে পারে তাদের ছেলে মানিকগঞ্জের আরিচা ঘাট এলাকায় রয়েছে। ছেলের সন্ধানে শনিবার দুপুরে স্বামী-স্ত্রী দুজনে মিলে মানিকগঞ্জ যান। সেখান থেকে কাজ শেষ করে স্বামীকে সঙ্গে করে মর্জিনা বেগম ফরিদপুর শহরের বাড়িতে ফিরছিলেন। শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে পাটুরিয়া ঘাট থেকে একটি ডাম্প ফেরিতে করে নদী পাড়ি দিয়ে মর্জিনা বেগম তার স্বামীর সাথে দৌলতদিয়ার ৩নম্বর ঘাটে ভিড়ে ফেরি থেকে নেমে সংযোগ সড়কে উঠছিল। এসময় ফেরি থেকে নেমে আসা দ্রুত গতির একটি কাভার্ডভ্যান ফেরিঘাট সড়কের ওপরে ওঠার সময় পিছন থেকে আঘাত করলে গাড়ির নিচে পরে পিছনের চাকার নিচে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলে মর্জিনা বেগমের মৃত্যু হয়। গাড়ির আঘাতে তার স্বামী ইমারত উদ্দিন মোল্লাও আহত হন।
এসময় স্থানীয় জনতা কাভার্ডভ্যান চালক সাইফুল ইসলাম (৩৫) ও কাভার্ডভ্যান আটক করে।
দৌলতদিয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ জাকির হোসেন জানান, নিহত মর্জিনা বেগম ডাম্প (টানা) ফেরিতে এসে দৌলতদিয়ার ৩নম্বর ঘাটে নামে। এসময় একটি কাভার্ডভ্যান ফেরি থেকে নেমে ঘাটের অ্যাপ্রোচ সড়কের ওপরে উঠার সময় পিছন থেকে আঘাত করলে চাকার নিচে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলে ওই নারীর মৃত্যু হয়।
তিনি আরও জানান, ঘাতক কাভার্ডভ্যানসহ চালক সাইফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। লাশের ময়না তদন্তের জন্য শনিবার রাতেই রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় রাতেই নিহতের স্বামী ইমারত মোল্লা বাদী হয়ে চালককে আসামি করে একটি মামলা করেছেন।
২ বছর আগে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাঁশ দিয়ে ফেরিঘাটের রাস্তা নির্মাণ!
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের মনতলা-সিতারামপুর ঘাটে ফেরি চলাচলের জন্য সম্প্রতি খনন কাজ চলছে। এরই প্রেক্ষিতে দুই পারে ফেরিঘাট নির্মাণের জন্য বাঁশ দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করা হচ্ছে। এই নিয়ে জনমনে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
জেলা সদরে যাতায়াতের জন্য স্থানীয় এমপি এবাদুল করিম বুলবুলের প্রচেষ্টায় মনতলা-সিতারামপুর ফেরি স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। কিন্তু বাঁশ দিয়ে় রাস্তা নির্মাণের ফলে অল্প কিছুদিনের মধ্যেই ফেরি চলাচল ব্যাহত হবে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয় তাজুল ইসলাম বলেন, এভাবে রাস্ত নির্মাণ করলে মাস দুয়েকের মধ্যেই ভেঙে যাবে। আমরা চাই কাজগুলো যেন আরও ভালো ভাবে হয়।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রলারডুবির ঘটনায় মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে ২৩
স্থানীয় ব্যবসায়ী আবুল হোসেন বলেন, দুপারের রাস্তা আরো উঁচু করতে হবে। অন্যথায় রাস্তা় টেকসই হবে না। ঢালাই এর মাধ্যমে রাস্তাটি করলে এলাকাবাসী উপকৃত হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একরামুল ছিদ্দিকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, তদন্ত করে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রাক চাপায় ভ্যান চালক নিহত
এদিকে বিআইডব্লিউটিএ’র সহকারী প্রকৌশলী রবিউল আলম জানান, নদী পাড়ে আরসিসি ঢালাই করা যায় না, অথবা করাও সম্ভব না। সারাদেশে নদীর পাড়ে় বিআইডব্লিউটিএ যত ফেরিঘাট নির্মাণ করে, তা বালি দিয়ে় ডেস দিয়ে় এভাবে কাজ করা হয়। মূলত নরম মাটিতে বাঁশ গুলো ব্যবহার করলে অতিরিক্ত লোড নিতে পারে। অর্থাৎ রডের মত কাজ করে। এভাবেই নদীর পাড়ে ফেরিঘাট এর কাজগুলো সম্পন্ন করা হয়।
৩ বছর আগে
ভোলায় ফেরিঘাটে ঢাকামুখী মানুষের ভিড়
গার্মেন্টসসহ শিল্প কলকারখানা খুলে দেয়ার ঘোষণার পর কঠোর বিধি নিষেধ উপেক্ষা করে হাজার হাজার মানুষ ঢাকা, চট্টগ্রামের দিকে ছুটছে। শনিবার সকাল থেকে কর্মস্থলের উদ্দেশ্যে যাত্রা করার জন্য ভোলা- লক্ষ্মীপুর নৌরুটের ইলিশা ফেরিঘাটে শ্রমজীবী মানুষদের ভিড় করতে দেখা যায়।
এ সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয়। ফেরিতে ছিলনা কোন স্বাস্থ্যবিধির বালাই। প্রচণ্ড গরমে অনেক যাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ে।
আরও পড়ুনঃ পাটুরিয়াঘাট দিয়ে ঢাকায় ছুটছে মানুষ
অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করে ভোলা থেকে লক্ষ্মীপুরের উদ্দেশ্যে প্রথম ফেরি ছেড়ে গেলেও কয়েক হাজার যাত্রী কর্মস্থলে যাওয়ার জন্য ইলিশা ফেরিঘাটে অপেক্ষা করে পরের ফেরির অপেক্ষায়।
কর্মস্থলে ফেরা শ্রমজীবীদের একজন জানান, হঠাৎ করে গার্মেন্টস শিল্প কলকারখানা খুলে দেয়ায় তারা চরম বিপাকে পড়েছেন। তাদের অফিস থেকে আগামীকাল কাজে যোগ দিতে বলা হয়েছে। অথচ লঞ্চ থেকে শুরু করে সকল গণপরিবহন বন্ধ। একদিন কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকলে তাদের ১০ দিনের বেতন কাটা হয়। তাই বিপাকে পড়ে চরম দুর্ভোগ মাথায় নিয়ে পদে পদে বাধা উপেক্ষা করে নিয়ে তারা কর্মস্থলের উদ্দেশ্যে দ্বীপ জেলা ভোলা থেকে রওনা দিয়েছেন।
আরও পড়ুনঃ লকডাউন: বিনা বাধায় ফেরিতে যাত্রী আসছে পাটুরিয়াঘাটে
তাদের অভিযোগ ৫ আগষ্ট পর্যন্ত লকডাউন ছিল। তারপর গণপরিবহন খুলে দেয়ার পর কল-কারখানা গার্মেন্টস খোলা হলে তাদের এই ভোগান্তি পোহাতে হতো না।
এদিকে ফেরিতে উঠতে না পেরে অনেকে আবার উত্তাল মেঘনা পাড়ি দিয়ে ট্রলারে লক্ষ্মীপুর যাওয়ার চেষ্টা করে। তবে কোস্টগার্ড ও পুলিশের বাধার মুখে পড়ে যাত্রীরা। এ সময় কয়েকটি যাত্রীবাহী ট্রলার আটক করা হয়।
৩ বছর আগে