গাজীপুর ফায়ার সার্ভিস বিভাগের উপ-সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ জানান, শুক্রবার সকাল ৭টার দিকে আগুনের সূত্রপাত হয়। দুপুর সোয়া ১টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে দমকল বাহিনীর ১৫টি ইউনিট। কীভাবে আগুনের সূত্রপাত বা ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেননি তিনি।
ঘটনা তদন্তে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ছয় সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগুন লাগার খবর পেয়ে সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য বেগম শামসুন্নাহার ভূঁইয়া, গাজীপুর সিটি মেয়র অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম, জেলা প্রশাসক এস এম তরিকুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
গাজীপুর ফায়ার সার্ভিস বিভাগের উপ-সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ জানান, জয়দেবপুর টঙ্গী, উত্তরা, পূর্বাচল, কালিয়াকৈর, শ্রীপুর ফায়ার সার্ভিসের দমকলকর্মীরা আগুন নেভানোর কাজে অংশ নেন। ছয়তলা বিশিষ্ট কারখানা ভবনটির ছয়তলার গোডাউনে আগুনের সূত্রপাত হয়।
আগুন নেভাতে এত বেশি সময় লাগার বিষয়ে তিনি জানান, দাহ্য পদার্থ থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে বেগ পেতে হয়েছে। এছাড়া আগুন নিয়ন্ত্রণে পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা ও নিজস্ব লোকবল নেই কারখানাটিতে। পাশের মার্কওয়্যার লিমিটেড কারখানার পুকুর থেকে পানি সংগ্রহ করে আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে হয়েছে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে কল-কারখানা অধিদপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক মো. মোতালেব মিয়া সাংবাদিকদের বলেন, ছয়তলার ওপরে গুদাম রাখার নিয়ম নেই। তাছাড়া কারখানাটিতে অগ্নিনির্বাপণের মহড়া হতো না।
মিনিস্টার হাইটেক পার্ক লিমিটেডে উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. রফিকুল ইসলাম জানান, প্রায় দুই হাজার কর্মী এখানে কাজ করেন। উৎপাদিত পণ্য মাইক্রো ওভেন, আয়রন, রাইস কুকার, এলইডি টিভি ইত্যাদি সামগ্রী কারখানা ভবনের ছয়তলায় মজুদ রাখা ছিল।
কারখানা পরিদর্শনের সময় গাজীপুর সিটি মেয়র অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম বলেন, অনেক কারখানায় অগ্নিনির্বাপনের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে এই কারখানারও আগুন নিয়ন্ত্রণের জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা ছিল না।
গাজীপুরের জেলা প্রশাসক এসএম তরিকুল ইসলাম জানান, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শাহিনুর ইসলামকে প্রধান করে ৬ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই কমিটিকে আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রকৃত কারণ উদঘাটন করে প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।