ফারুক হোসেন শহরের তাঁতীপাড়ার আব্দুল লতিফ বিশ্বাসের ছেলে।
সোমবার বিকালে মেহেরপুর আদালতে হাজির করা হলে সে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।
মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ দারা খাঁন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সদর থানা পুলিশের একটি দল রবিবার মধ্য রাতে ঢাকার বনানী এলাকার একটি বাসা থেকে ফারুক হোসেনকে আটক করে। সে প্রাথমিকভাবে পুলিশের কাছে হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে। সোমবার বিকালে তাকে মেহেরপুর আদালতে হাজির করা হলে সে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।
তিনি আরও জানান, শহর সমাজসেবার মাঠকর্মী ফারুক আহমেদের সাথে আসামি ফারুক হোসেনের বন্ধুত্ব ছিল। প্রবাসে থাকাকালে ফারুক হোসেন সমাজসেবার মাঠকর্মী ফারুক আহমেদের মাধ্যমে স্ত্রীর কাছে টাকা পাঠাত। এ থেকে ফারুক আহমেদ ও ফারুক হোসেনের স্ত্রীর মধ্যে পরকীয়ার সম্পর্ক তৈরি হয়। দেড় বছর পর ফারুক হোসেন বিদেশ থেকে দেশে ফিরে স্ত্রীর আচরণে পরিবর্তন লক্ষ্য করেন এবং তাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে নানা কারণে দ্বন্দ্ব চলতে থাকে। এরই মধ্যে ফারুক হোসেন সিকিউরিটি গার্ডের (নিরাপত্তা প্রহরী) চাকরি নিয়ে ঢাকায় যান।
ফারুক আহমেদের সাথে স্ত্রীর পরকীয়ার বিষয়টি পরিষ্কার হলে স্বামী-স্ত্রীর দ্বন্দ্বে ফারুক হোসেনের স্ত্রী মেহেরপুর ছেড়ে বাবার বাড়ি চলে যায়। এরপর সমাজসেবার মাঠকর্মী ফারুক আহমেদ ও ফারুক হোসেন দুজনের মধ্যে বিরোধ তুঙ্গে ওঠে। এরই জের ধরে ফারুক আহমেদকে হত্যার পরিকল্পনা করে ফারুক হোসেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী ফারুক আহমেদকে হত্যা করে ও পুনরায় ঢাকায় ফিরে যায়।
হত্যাকাণ্ডে আরও কয়েকজন জড়িত রয়েছে বলে ওসি জানান।
প্রসঙ্গত, ২২ অক্টোবর রাত সাড়ে ১১টার দিকে শহরের তাঁতীপাড়ায় মেহেরপুর শহর সমাজসেবা অধিদপ্তরের মাঠকর্মী ফারুক আহমেদকে (৩৯) কুপিয়ে ফেলে রেখে যায় সন্ত্রাসীরা। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। পরদিন তার স্ত্রী নাজমা খাতুন বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।