শনিবার অনুষ্ঠিত করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ সংক্রান্ত জেলা কমিটির সভায় শিগগিরই এ বিমানবন্দরে একটি মেডিকেল টিম নিয়োজিত করতে দরকারি ব্যবস্থা নিতে সিভিল সার্জনকে দায়িত্ব দেয়া হয়।
ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলে দরকারি ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন সভায় সিভিল সার্জন।
সাধারণ ছুটি শেষে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট ও সৈয়দপুর এয়ারপোর্ট ব্যবহার করে বিমান চলাচল করছে।
জানা যায়, যাত্রীদের মধ্যে কোনো সন্দেহভাজন করোনা রোগী রয়েছেন কিনা তা যাচাই করার সুযোগ না থাকায় এখনো চালু হয়নি দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল একমাত্র যশোর বিমানবন্দরটি।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালে নির্মিত প্রাচীন এ এয়ারপোর্টটি সাময়িক বন্ধ হওয়ার আগে প্রতিদিন সরকারি-বেসরকারি মিলে ১২টি ফ্লাইট চলতো। এরমধ্যে ইউএস-বাংলার ছয়টি, নভোএয়ারের পাঁচটি এবং বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইট যাত্রী নিয়ে ঢাকা থেকে আসা-যাওয়া করতো।
যশোরের এয়ারপোর্ট ম্যানেজার মো. মাসুদুল হক শনিবার দুপুরে বলেন, 'এই এয়ারপোর্টে যে মেডিকেল টিম লাগবে, তা প্রায় দুই মাস আগে আমাদের হেড কোয়ার্টার থেকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে অবহিত করা হয়। কিন্তু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সাড়া মেলেনি।
গতকাল যশোরের সিভিল সার্জনের সাথে যোগাযোগ করেলে তিনি জানান, এয়ারপোর্টে মেডিকেল টিম দেয়ার কোনো নির্দেশনা তার ঊর্ধ্বতন মহল এখনো দেননি।’
ম্যানেজার মো. মাসুদুল হক জানান, যশোর বিমানবন্দরে এখন শুধু কার্গো ও রোগী বহনকারী হেলিকপ্টার চলছে। মেডিকেল টিম নিযুক্ত করা হলে এ এয়ারপোর্ট থেকে নিয়মিত ফ্লাইট পরিচালনা করতে আর কোনো সমস্যা থাকবে না।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে যশোরের সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন বলেন, ‘এয়ারপোর্টে মেডিকেল টিম নিযুক্ত করতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। কর্তৃপক্ষের নির্দেশনাসাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের তরফেও থেকে বিষয়টি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়েছে বলেও নিশ্চিত করেন, সিভিল সার্জন।
যশোরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আরিফ বলেন, করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ সংক্রান্ত জেলা কমিটির সভায় এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এয়ারপোর্টে মেডিকেল টিম নিযুক্ত করতে হবে। সিভিল সার্জন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।