বুধবার দুপুর ১২টার দিকে পিবিআই’র তদন্ত দলের কর্মকর্তারা বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে প্রবেশ করেন।
এদিকে, ময়নাতদন্তের জন্য রায়হানের মরদেহ কবর থেকে তোলা হবে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন পিবিআই’র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ খালেদুজ্জামান।
তিনি বলেন, পুনরায় ময়নাতদন্তের জন্য রায়হানের মরদেহ কবর থেকে তোলার অনুমতি দিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
এর আগে, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিলেট মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক বাতেন পুনরায় ময়নাতদন্তের জন্য রায়হানের মরদেহ কবর থেকে তোলার অনুমতি চেয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করেন।
রায়হানের মৃত্যুর ঘটনায় হওয়া মামলা মঙ্গলবার সকালে পিবিআইতে স্থানান্তরের নির্দেশ দেয় পুলিশ সদরদপ্তর। এ দিন রাতেই মামলার নথি আনুষ্ঠানিকভাবে পিবিআইতে হস্তান্তর করে মহানগর পুলিশ।
গত রবিবার সকালে রায়হান আহমদ (৩৪) নামে সিলেট নগরীর আখালিয়ার ওই যুবক নিহত হন।
পুলিশের পক্ষ থেকে প্রথমে বলা হয়, ছিনতাইয়ের দায়ে নগরীর কাষ্টঘর এলাকায় গণপিটুনিতে নিহত হন রায়হান। তবে পরিবারের বক্তব্য পাওয়ার পর ঘটনা মোড় নেয় অন্যদিকে।
পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, বন্দরবাজার ফাঁড়িতে পুলিশের নির্যাতনে নিহত হন রায়হান। পরে রবিবার রাতেই পুলিশকে অভিযুক্ত করে কোতোয়ালি থানায় আসামিদের অজ্ঞাত রেখে মামলা করেন নিহতের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নি।
পরদিন এ ঘটনায় সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (উত্তর) শাহরিয়ার আল মামুনকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্তে নেমে পুলিশ হেফাজতে রায়হানের মৃত্যু ও নির্যাতনের প্রাথমিক সত্যতাও পায় তদন্ত কমিটি।
তদন্ত কমিটি জানতে পারে, রবিবার ভোররাত ৩টার দিকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে রায়হানকে আনা হয় বন্দরবাজার ফাঁড়িতে। সেখানে ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়ার নেতৃত্বে তার ওপর শারীরিক নির্যাতন চালানো হয়। নির্যাতনের ফলে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে সকাল সাড়ে ৬টার দিকে রায়হানকে ওসমানী মেডিকলে কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে সকাল ৭টার দিকে মারা যান তিনি।
রায়হান নগরীর আখালিয়ার নেহারিপাড়া এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে। তিনি স্টেডিয়াম মার্কেট এলাকায় এক চিকিৎসকের চেম্বারে সহকারী হিসেবে কাজ করতেন।