পিবিআই
আবু সাঈদ হত্যা মামলা পিবিআইতে
রংপুরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে পুলিশের গুলিতে নিহত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যা মামলা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনে (পিবিআই) স্থানান্তর করা হয়েছে।
পুলিশ হেডকোয়ার্টারের নির্দেশে সোমবার মামলাটি পিবিআইয়ে স্থানান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন: ক্রিকেটারদের রাজনীতিতে আসতে নিরুৎসাহিত করলেন গাজী আশরাফ
রংপুর জেলা পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার এবিএম জাকির হোসেন বলেন, ‘পুলিশ হেডকোয়ার্টারের নির্দেশে মামলাটি তাজহাট থানা থেকে পিবিআইয়ে স্থানান্তর করা হয়েছে। এখন মামলার তদন্ত করবে পিবিআই।’
রংপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গত ১৬ জুলাই বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে পার্ক মোড় এলাকায় পুলিশ ও ছাত্রলীগ-যুবলীগের সঙ্গে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এদিন পুলিশের গুলিতে আবু সাঈদের মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় ১৭ জুলাই তাজহাট থানায় মামলা করা হয়। মামলার বাদী ওই থানার উপপরিদর্শক ও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বিভূতি ভূষণ রায়।
আরও পড়ুন: আবু সাঈদ সবার হৃদয়ে রয়েছেন: অধ্যাপক ইউনূস
আবু সাঈদ হত্যা মামলায় ১৬ বছরের কিশোরের জামিন
৪ মাস আগে
নরসিংদীতে 'অটোরিকশার জন্যে খুন', গ্রেপ্তার ৭
নরসিংদীর শিবপুরের অটোরিকশাচালক রবিউল ইসলাম রবিকে হত্যায় অভিযুক্ত সাত জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
বুধবার (৩ জুলাই) ধানমন্ডিতে পিবিআই সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান নরসিংদী পিবিআইয়ের সুপার এনায়েত হোসেন মান্নান।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে অমি, নেহাল ও হাসিব নামে তিনজনকে প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে চিহ্নিত করে সাতজনকে আটক করা হয়েছে।
এর আগে গত বছরের ৩০ অক্টোবর মামলা দায়ের করেন রবির মা নাজমা বেগম।
সংবাদ সম্মেলনে এনায়েত হোসেন বলেন, ‘সম্ভবত অটোরিকশাটির জন্যই এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। চুরি ও বিক্রি সহজ হবে ভেবে রবির গাড়িটিকে টার্গেট করে মাদক ও অনলাইন জুয়ার সঙ্গে জড়িত অভিযুক্তরা।
তিনি আরও জানান, ‘অপরাধীরা ভেবেছিল তারা সহজেই রবির থেকে অটোরিকশাটি ছিনতাই করে বিক্রি করে দেবে। রবিকে গলা কেটে হত্যা করেছে তারা।
এনায়েত হোসেন বলেন, ‘মালিকের বর্ণনার ভিত্তিতে অটোরিকশাটি উদ্ধার করা হয়। গাড়ির রং বদলে ফেলা হলেও রাস্তার সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে ও তদন্তের মাধ্যমে অভিযুক্তদের ধরা সম্ভব হয়।
নিহত রবির মা নাজমা বেগম দুঃখ প্রকাশ করে বলেন,‘শুধুমাত্র অটোরিকশার জন্য ওরা আমার ছেলেকে মেরেছে। রাত ৩টা পর্যন্ত ছেলেকে খুঁজে বেরিয়েও তার সন্ধান পাইনি। পরদিন ২৯ অক্টোবর সকাল ১০টার দিকে খবর পাই শিবপুরের সাতপিকা এলাকায় একটি লাশ পাওয়া গেছে।’
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে চালককে আহত করে অটোরিকশা ছিনতাই, গ্রেপ্তার ৩
৫ মাস আগে
চট্টগ্রামে পুত্রবধুকে নিয়ে হাসানের মাথার খোঁজে পিবিআই
চট্টগ্রামে লাগেজ ভর্তি খণ্ডিত লাশ উদ্ধারের ঘটনায় নিহত হাসানের মাথার সন্ধানে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত এলাকায় তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
সোমবার (২ অক্টোবর) হাসানের পুত্রবধূ আনারকলিকে নিয়ে দ্বিতীয় দিনের মতো তল্লাশি চালায় পিবিআই টিম। তবে আনারকলির দেখানো মতে সাগর পাড়ে বড় বড় পাথরের ফাঁকে তন্নতন্ন করে খুঁজেও ভুক্তভোগীর কাটা মাথার সন্ধান পাওয়া যায়নি।
মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা ও পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রো ইউনিটের পরিদর্শক মো. ইলিয়াস খান জানান, আনারকলিকে কক্সবাজারের মহেশখালী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন শনিবার আদালতে হাজির করলে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ৮ টুকরো লাশের রহস্য উদঘাটন
তিনি বলেন, আনারকলি হাসান হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত নয়। তবে তিনি হত্যার আলামত গোপনে সহযোগী। প্রথমে তাকে নিয়ে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ধারালো দা উদ্ধার করা হয়। এরপর রবিবার ও সোমবার তাকে নিয়ে ভুক্তভোগী হাসানের কাটা মাথা উদ্ধারে অভিযানে যাই। কিন্তু এখনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
মো. ইলিয়াস খান জানান, পতেঙ্গায় টানেলের প্রবেশমুখে একটি পুলিশ বক্স আছে। এর পেছনে পাথরের ব্লকের ভেতরে খণ্ডিত মাথাটি আছে বলে আনারকলি আমাদের দেখিয়ে দেন। আমরা কয়েকঘণ্টা তল্লাশি চালিয়েছি। সেখানে লাশ পচা দুর্গন্ধও পেয়েছি, কিন্তু জোয়ার চলে আসার কারণে মাথাটি পাওয়া যায়নি। আমাদের ধারণা, ব্লকের ভেতরে মাথাটি এখনও আটকে আছে। আগামীকাল (মঙ্গলবার) ভোরে ভাটার সময় আবারও তল্লাশি চালানো হবে।
খুনের শিকার মো. হাসান চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার কাথারিয়া ইউনিয়নের বড়ইতলী গ্রামের সাহাব মিয়ার ছেলে। সম্পত্তির ভাগভাটোয়ারা নিয়ে বিরোধের জেরে মা ছেনোয়ারা বেগমের সহযোগিতায় বড় ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান বাবাকে হত্যা করেছে বলে পুলিশ জানায়।
গত ২১ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় নগরীর পতেঙ্গা বোট ক্লাবের অদূরে ১২ নম্বর গেইটে একটি ট্রলিব্যাগ পাওয়া যায়। কফি রঙের ট্রলিব্যাগে ছিল মানব শরীরের দুই হাত, দুই পা, কনুই থেকে কাঁধ এবং হাঁটু থেকে উরু পর্যন্ত অংশ। এ ঘটনায় পতেঙ্গা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল কাদির বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ইতোমধ্যে ভুক্তভোগী হাসানের স্ত্রী ছেনোয়ারা বেগম (৫০) ও তাদের বড় ছেলে মোস্তাফিজুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই। গত ২৭ সেপ্টেম্বর অভিযুক্ত মোস্তাফিজুর রহমান চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদ্দাম হোসেনের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এতে তিনি বাবাকে হত্যার কারণ, কীভাবে হত্যা করা হয় এবং কীভাবে মরদেহ ফেলে দেওয়া হয় তার বর্ণনা দেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩
চট্টগ্রামে পুকুরে ডুবে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু
১ বছর আগে
চাঞ্চল্যকর মামলার তথ্য উদঘাটন করায় পিবিআই'র ভূয়সী প্রশংসা আইজিপির
দেশের বহুল আলোচিত কয়েকটি হত্যা মামলা সমাধানে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) সাফল্যের প্রশংসা করেছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।
পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) সদর দপ্তর পরিদর্শন এবং মামলার তদন্ত ও সার্বিক কার্যক্রম নিয়ে মতবিনিময়কালে আইজিপি বলেন, পিবিআই মামলা তদন্তে দক্ষতার নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
আরও পড়ুন: সকলের ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে পুলিশ দৃঢ় প্রতিজ্ঞ: আইজিপি
তিনি বলেন, পুলিশের বিভিন্ন তদন্ত সংস্থার মধ্যে প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ তৈরি হয়েছে, যার ফলে তদন্তের মান বৃদ্ধি পেয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে ৯৫ শতাংশ মামলার নিষ্পত্তি হচ্ছে।
পুলিশ প্রধান বলেন, পিবিআই উদ্ভাবনী ধারণা নিয়ে মামলাগুলো তদন্ত করছে। আইজিপি আশা প্রকাশ করেন, পিবিআই দীর্ঘদিন ধরে তদন্তে উচ্চমান বজায় রেখে জনগণের মধ্যে যে আস্থা তৈরি করেছে, ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত থাকবে।
পিবিআই প্রধান (অতিরিক্ত আইজিপি) বনজ কুমার মজুমদার মামলার তদন্ত ও সার্বিক কার্যক্রম উপস্থাপন করেন।
তিনি শিশু হত্যার কারণগুলো নিয়ে গবেষণার উপরও জোর দেন।
পিবিআই ২০১২ সালে ৯৭০ জন জনবল নিয়ে যাত্রা শুরু করে। ২০১৬ সালের ৫ জানুয়ারি বিধিমালা প্রণয়নের মাধ্যমে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করে পিবিআই।
বর্তমানে পিবিআই ২ হাজার ৩১ জনের জনবল নিয়ে হত্যা, ডাকাতি, জালিয়াতি, মানবপাচারসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধের তদন্ত করছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের আগে আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি আইজিপির
কেউ আইনশৃঙ্খলা ব্যাহত করার চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে: আইজিপি
১ বছর আগে
সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের মামলার অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল ২৩ আগস্ট
সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে সরকারি নথি ‘চুরির চেষ্টার’ অভিযোগে ‘অফিসিয়াল সিক্রেটস’ আইনে করা মামলায় অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ পিছিয়ে আগামী ২৩ আগস্ট ধার্য করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) মামলাটি অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ধার্য ছিল।
এদিন মামলার তদন্ত সংস্থা পিবিআই প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি।
এজন্য ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম সুলতান সোহাগ উদ্দিনের আদালত প্রতিবেদন দাখিলের নতুন এ তারিখ ঠিক করেন।
ডিবি পুলিশ তদন্ত শেষে গত বছর ১১ অক্টোবর রোজিনা ইসলামকে মামলা থেকে অব্যাহতির আবেদন করে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে।
আরও পড়ুন: অব্যাহতির পর রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে বাদীর নারাজি দেয়ায় বিএসআরএফ’র উদ্বেগ
গত ২৩ জানুয়ারি বাদীপক্ষের নারাজির আবেদন মঞ্জুর করে পিবিআইকে মামলাটি অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত।
২০২১ সালের ১৭ মে প্রথম আলোর সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে যান। স্বাস্থ্য সচিবের পিএস সাইফুল ইসলামের রুমে ফাইল থেকে নথি সরানোর অভিযোগে তাকে ওই রুমে আটকে রাখা হয়।
পরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে রোজিনা ইসলামকে পুলিশ স্বাস্থ্য সচিবের পিএসের রুম থেকে থেকে বের করে শাহবাগ থানায় নিয়ে যায়।
এরপর মধ্য রাতে তার বিরুদ্ধে অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টে মামলা করেন শিব্বির আহমেদ।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে আর্টিকেল ১৯
মন্ত্রী, সচিব বা রোজিনা ইসলাম কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নন: তথ্যমন্ত্রী
১ বছর আগে
বাবুলসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে করা ডিএসএ মামলা সাইবার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তরের নির্দেশ আদালতের
পুলিশের সাবেক এসপি বাবুল আক্তার, সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইনসহ চারজনের বিরুদ্ধে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) প্রধান বনজ কুমার মজুমদারের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলা বিচারের জন্য ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে বদলির আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার ঢাকার মহানগর হাকিম আশেক ইমামের আদালত এ আদেশ দেন।
এদিন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) অভিযোগপত্র আদালতে উপস্থাপন করা হয়।
এরপর আদালত মামলাটি পরবর্তী বিচারের জন্য ঢাকার সাইবারে ট্রাইব্যুনালে বদলির আদেশ দেন।
এর আগে, গত ৯ এপ্রিল মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ধানমন্ডি মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) মো. রবিউল ইসলাম বাবুল আকতার, ইলিয়াস হোসেনসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে মিতু হত্যা: সাবেক এসপি বাবুলসহ ৭ জনের বিচার কাজ শুরু
অভিযোগপত্রভুক্ত অপর দুই আসামি হলেন- বাবুল আক্তারের ভাই মো. হাবিবুর রহমান লাবু ও বাবা মো. আব্দুল ওয়াদুদ মিয়া।
আসামিদের মধ্যে ইলিয়াস হোসেন পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা।
সিএমএম আদালতে ধানমন্ডি থানার জেনারেল রেকর্ডিং অফিসার উপপরিদর্শক মাহফুজুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মিতু হত্যা মামলায় মিথ্যা ও অসত্য তথ্য সরবরাহ করা এবং তা প্রচারের অভিযোগে গত বছর ২৭ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় বাদী বনজ কুমার মজুমদারের পক্ষে ধানমন্ডি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন পিবিআই ঢাকা মেট্রো উত্তরের পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম।
মামলায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে অভিযোগ আনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে সাইবার মামলায় জামিন পেলেন বাবুল আক্তারের বাবা ও ভাই
জামিন পেলেন সাবেক এসপি বাবুল আক্তারের বাবা ও ভাই
১ বছর আগে
রহিমাকে অপহরণ করা হয়নি, মেয়ে অপহরণ নাটক সাজিয়েছে: পিবিআই
জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে খুলনার আলোচিত রহিমা বেগম ‘অপহরণ নাটক’ সাজানো হয়েছিল বলে তদন্তে জানতে পেরেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় খুলনার পুলিশ সুপার সৈয়দ মুশফিকুর রহমান পিবিআই কার্যালয়ে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান।
তিনি জানান, ইতোমধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন অনুমোদনের জন্য পিবিআইয়ের প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।
এছাড়া, সোমবার সকালে মহানগর হাকিম আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে।
পুলিশ সুপার সৈয়দ মুশফিকুর রহমান জানান, তদন্তে রহিমা বেগমকে অপহরণের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। বরং জমি সংক্রান্ত বিরোধে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে মরিয়ম মান্নানের নেতৃত্বে অপহরণের নাটক সাজানোর প্রমাণ মিলেছে।
তিনি জানান, মূলত রহিমা বেগম অপহরণ হননি, তিনি স্বেচ্ছায় আত্মগোপনে গিয়েছিলেন। তিনি ২৮ দিন আত্মগোপনে ছিলেন। এই ২৮ দিন তিনি বিভিন্ন স্থান পরিবর্তন করেছেন।
এছাড়া, গত বছর ২৭ অক্টোবর দিবাগত রাতে তিনি মহেশ্বরপাশার বাসা থেকে আত্মগোপন করার পরে ঢাকায় চলে যান। ঢাকায় কিছুদিন অবস্থান করার পর টপ টেন এর একটি ব্যাগে কিছু কাপড় ও ওষুধ দিয়ে মরিয়ম মান্নান তাকে বান্দরবান পাঠিয়ে দেয়। সেখানে কিছুদিন অবস্থান করার পর তিনি চলে যান ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারীর সৈয়দ গ্রামের জনৈক আবদুল কুদ্দুসের বাড়িতে।
পুলিশ সুপার জানান, সংবাদ পেয়ে ওই বাড়ি থেকে রহিমা বেগমকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করি। তাকে উদ্ধারের পর তিনি কোনো কথাই বলছিলেন না। পরে রহিমা কয়েকজন প্রতিবেশীর নাম উল্লেখ করে জানান, জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে তারা তাকে অপহরণ করেছে।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে অপহরণের পর শিশুকে হত্যা, আটক ১
মুক্তিপণের জন্য ক্রাইম পেট্রোলের কায়দায় নীরবকে অপহরণের পর হত্যা
১ বছর আগে
শিশু আয়াতের বিচ্ছিন্ন মাথা উদ্ধার
চট্টগ্রামে অপহৃত ও খুন হওয়া পাঁচ বছরের শিশু আয়াতের বিচ্ছিন্ন মাথা বন্দরনগরীর একটি খাল থেকে বৃহস্পতিবার সকালে উদ্ধার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
চট্টগ্রামের পিবিআই পরিদর্শক ইলিয়াস খান জানান, অভিযুক্ত আবিরের কাছ থেকে খবর পেয়ে তারা আকমল আলী রোডের ইপিজেড এলাকার একটি স্লুইস গেটের পাশের খাল থেকে মাথার অংশ উদ্ধার করা হয়।
তিনি বলেন, পিবিআইয়ের ২৫ জন সদস্যের দুটি দল গত তিন দিন ধরে আয়াতের দেহাবশেষ যেখানে ফেলা হয় সেখানে অনুসন্ধান করছে।
তিনি বলেন, 'আয়াতের মুখ বিকৃত হয়েছে, তাই শনাক্ত করা কঠিন, তবে এটি তার মাথা হওয়া উচিত।'এর আগে বুধবার চট্টগ্রাম নগরীর আকমল আলী সড়কের খাল থেকে আয়াতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।শিশু নিখোঁজ হওয়ার ১০ দিন পর ২৫ নভেম্বর আবির আলীকে (২০) আলিনা ইসলাম আয়াতকে অপহরণ ও হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার করে পিবিআই।
আরও পড়ুন: শিশু আয়াতকে ৬ টুকরা করে হত্যা, লাশ উদ্ধারে সাগরে অভিযান পিবিআই’র
ভুক্তভোগী পরিবারের প্রাক্তন ভাড়াটিয়া অভিযুক্ত আবির ১৫ নভেম্বর চট্টগ্রামের বন্দরটিলা এলাকায় আরবি পাঠের জন্য একটি মসজিদে যাওয়ার সময় শিশুটিকে মুক্তিপণের জন্য অপহরণ করে।
আবির মেয়েটিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে এবং পরে তার দেহ ছয় টুকরো করে।
পরে দেহের অঙ্গ দুটি ব্যাগে মুড়িয়ে শহরের কাট্টালী এলাকার সমুদ্র সৈকতে ফেলে দেন।
পুলিশ জানায়, আয়াতের বাবা সোহেল রানা নিখোঁজ হওয়ার পর স্থানীয় থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। দুই দিনের রিমান্ড শেষে সোমবার আবিরকে আরও সাত দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়। মঙ্গলবার আবিরের বাবা-মা আজহারুল ইসলাম ও আলেয়া বেগমকে তিন দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়।
আরও পড়ুন: শিশু আয়াতের দেহের খণ্ডাংশ উদ্ধার
চট্টগ্রামে শিশু আয়াত হত্যা: আসামি আবীর ফের ৭ দিনের রিমান্ডে
২ বছর আগে
শিশু আয়াতের দেহের খণ্ডাংশ উদ্ধার
চট্টগ্রাম নগরীর ইপিজেড এলাকায় অপহরণের পর হত্যা করে কেটে ছয় টুকরো করে সাগর ও খালে ফেলে দেয়া শিশু আয়াতের শরীরের খণ্ডিত দুটি অংশ উদ্ধার করেছে বলে দাবি করেছে মামলা তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
বুধবার দুপুরে নগরীর আকমল আলী রোডের সাগর পাড়ের একটি নালায় স্লুইচগেটের কাছে বিচ্ছিন্ন দুই পায়ের অংশ পাওয়া যায়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর পুলিশ সুপার নাইমা সুলতানা।
তিনি বলেন, ‘আজ ষষ্ঠদিনের মতো অভিযানে আয়াতের খণ্ডিত মাংসপিণ্ড আকমল আলী রোডের সাগর পাড়ে স্লুইসগেট এলাকায় পাওয়া গেছে। আমরা ঘটনাস্থলে যাচ্ছি। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।’
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে শিশু আয়াত হত্যা: আসামি আবীর ফের ৭ দিনের রিমান্ডে
উল্লেখ্য, গত ১৫ নভেম্বর ইপিজেড থানার বন্দরটিলার নয়ারহাট বিদ্যুৎ অফিস এলাকার বাসা থেকে পার্শ্ববর্তী মসজিদে আরবি পড়তে যাওয়ার সময় নিখোঁজ হয় আলিনা ইসলাম আয়াত (৫)। পরদিন এ ঘটনায় ইপিজেড থানায় নিখোঁজের ডায়েরি করেন তার বাবা সোহেল রানা। ইপিজেড থানার পাশাপাশি তদন্তে নামে পিবিআই।
নিখোঁজের ১০ দিনের মাথায় ২৪ নভেম্বর রাতে আবীর নামে একজনকে আটক করে পিবিআই। জিজ্ঞাসাবাদে আবীর জানায় মুক্তিপণের জন্য আয়াতকে অপহরণ করেছিল। আয়াত চিৎকার দেয়ায় তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এরপর লাশ ছয় টুকরো করে সাগর ও পাশ্ববর্তী খালে ফেলে দেয়। পরে আকমল আলী সড়কে তার মায়ের বাসার সামনে একটি ঝোঁপ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত বঁটি উদ্ধার করা হয়। এছাড়া আয়াতের বাসার পাশে কবরস্থানে তার পায়ের স্যান্ডেলও উদ্ধার করা হয়।
ইতোমধ্যে আবীরকে পিবিআই প্রথমে দুই দিন এবং দ্বিতীয় দফায় সাতদিন রিমান্ডে পেয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। গতকাল (২৯ নভেম্বর) তার মা-বাবা দুইজনকে তিনদিন করে রিমান্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আরও পড়ুন: শিশু আয়াতকে ৬ টুকরা করে হত্যা, লাশ উদ্ধারে সাগরে অভিযান পিবিআই’র
টুকরো করে শিশু হত্যা, অভিযুক্তের বাবা-মা ৩ দিনের রিমান্ডে
২ বছর আগে
পিবিআই এখনো আয়াতের খন্ডিত দেহের সন্ধান পায়নি
চট্টগ্রামে শিশু আলিনা ইসলাম আয়াতের খণ্ডিত দেহ এখনও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। শনিবার দ্বিতীয় দিনের মত কাট্টলী সাগড়পাড় এলাকা থেকে গ্রেপ্তার অভিযুক্ত আবীর আলীর (১৯) দেখানো স্থানগুলোতে তল্লাশি চালিয়েছে পিবিআই টিম।
তবে ওই স্থান থেকে গতকাল উদ্ধার করা হয়েছিল আয়াতের পোশাক ও জুতো। আয়াতের সে পোষাক বুকে জড়িয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন তার বাবা সোহেল রানা।
তিনি আহাজারি করে বলছিলেন-“কি অপরাধ করেছিল আমার নিষ্পাপ আয়াত আর বলেন, আমার মেয়ে কি পৃথিবীর আলোয় আর হাসবে না। রাঙাবে না আমার পৃথিবী”।
পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর পরিদর্শক ইলিয়াস খান বলেন, গ্রেপ্তার আবির আলীর দেখানো জায়গাগুলোতে আমরা তন্ন তন্ন করে খুঁজে দেখেছি। আয়াতের শরীরের টুকরোগুলো পাওয়া যায় কিনা। কিন্ত পাওয়া যায়নি। হয়তো সাগরের পানিতে সেগুলো ভেসে গেছে। তবে খুনের আলামত আমরা উদ্ধার করেছি। আয়াতের জুতা ও জামা পাওয়া গেছে।
তিনি বলেন, ঘটনার পর সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে ২৪ নভেম্বর বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে আকমল আলী সড়ক থেকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে সে আয়াতকে হত্যার কথা স্বীকার করে।শুধুমাত্র মুক্তিপণের উদ্দেশ্যে শিশু আয়াতকে অপহরণ করা হয়। মুক্তিপণ আদায়ের সুযোগ না পেয়ে ছয় বছর বয়সী এ শিশুর লাশকে ছয় টুকরা করার পর তা কাট্টলী সাগরপাড়ে ফেলে দেয়া হয় বলে সে স্বীকার করেছে। তাকে আরও ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করতে রিমান্ড চাওয়া হবে।
আরও পড়ুন: মিরসরাই ট্রাজেডি: আয়াতের পর এবার চলে গেলেন তাসমির হাসান
তিনি বলেন, আয়াতের বাবা সোহেল রানার অনেক টাকা আছে ভেবে মুক্তিপণের উদ্দেশ্যে ঘটনার দিন বিকালে আয়াতকে অপহরণ করে আবির আলী। পরে আয়াত চিৎকার করলে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। পরে আকমল আলী সড়কের বাসায় নিয়ে ছয় টুকরো করা হয়। তারপর কাট্টলীর সাগরপাড়ে ফেলে দেওয়া হয়।
পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর বিশেষ পুলিশ সুপার নাঈমা সুলতানা জানান, জিজ্ঞাসাবাদে আবীর জানিয়েছে, ভারতীয় টিভি সিরিয়াল ‘ক্রাইম পেট্রল’ও ‘সিআইডি’ তার পছন্দের সিরিয়াল। মূলত সেসব অনুষ্ঠান দেখেই মুক্তিপণ আদায়, লাশ গুম, আলামত নষ্ট সবকিছুই সেখান থেকে শিখেছে। এবং সে মোতাবেক আয়াতকে হত্যা করে লাশ ৬ টুকরো করেছে।
ইপিজেড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল করিম জানান, আজ শনিবার বলেন, আয়াত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। শিশু আয়াতের বাবা সোহেল রানা মামলাটির বাদী।তবে মামলাটি পিবিআই তদন্ত করবেন বলে জানান তিনি।
গত ১৫ নভেম্বর চট্টগ্রামের ইপিজেড থানার বন্দরটিলার এলাকার নয়ারহাট বিদ্যুৎ অফিস এলাকার বাসা থেকে পার্শ্ববর্তী মসজিদে আরবি পড়তে যাওয়ার সময় নিখোঁজ হয় আলিনা ইসলাম আয়াত। পরদিন শিশুর বাবা সোহেল রানা এ ঘটনায় ইপিজেড থানায় নিখোঁজের ডায়েরি করলেও কোন হদিস মিলেনি। অবশেষে নিখাঁজের ১০ দিন পর এ ঘটনার রহস্যের জট খুলে পিবিআই। এ ঘটনায় আয়াতের বাবার ডায়েরিকে মামলা হিসেবে নেয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: শিশু আয়াতকে ৬ টুকরা করে হত্যা, লাশ উদ্ধারে সাগরে অভিযান পিবিআই’র
২ বছর আগে