এর ফলে নদী গর্ভে বিলীন হওয়ার আশংকায় অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয়েছে স্থানীয় পাচঠাকুরী গ্রামের প্রায় অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল আলম জানান, বুধবার রাত ১০টার দিকে শিমলা ২নং স্পার বাঁধের প্রায় ১৫০ মিটার ধ্বসে যায়। বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত ধ্বস অব্যাহত থাকলেও তা ঠেকাতে সংশ্লিষ্ট পাউবো এখনও কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় মানুষ ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সরকার অসিম কুমার জানান, স্পার বাঁধটি ধ্বসে যাওয়ার কারনে ৫০টি বসতবাড়ি নদীতে বিলীন হওয়ার আশংকায় ইতোমধ্যেই অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয়েছে। প্রাথমিকভাবে এসব ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণ সহায়তা দেয়া হবে।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী একেএম রফিকুল ইসলাম জানান, সম্প্রতি স্পারটির সংস্কার করা স্থানসহ বাঁধের মাটির অংশের প্রায় ১৫০মিটার নদীতে ধ্বসে যাওয়া স্থানে জিওব্যাগ ফেলে সংস্কারের উদ্দ্যোগ নেয়া হয়েছে। দ্রুত কাজ শুরু করা হবে বলেও তিনি জানান।
উল্লেখ্য, ২০০০-২০০১ অর্থ বছরে ভাঙ্গন এড়াতে যমুনার গতিপথ পরিবর্তনের জন্য শিমলা এলাকায় এই স্পার বাঁধটি নির্মাণ করা হয়। এরপর বেশ কয়েকবার স্পারটি সংস্কারও করা হয়েছে। চলতি বছরের ৩০ মে যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধির কারণে স্পার বাঁধের স্যাংক (স্পারের মাটির অংশ) প্রায় ২১ মিটার ধ্বসে যায়। পরে সেখানে বালিভর্তি জিওব্যাগ দিয়ে সংস্কার করা হয়। এ অবস্থায় বুধবার রাতে পূর্বের সংস্কার করা স্থানসহ আবারও ১০০ মিটার বাঁধ ধ্বসে গেছে।