ভারতীয়দের বাধার মুখে সিলেটের শেওলা স্থলবন্দর ও জকিগঞ্জ শুল্কস্টেশন দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এছাড়া শুল্কায়ন জটিলতায় তামাবিল স্থলবন্দর দিয়ে পাথর ও চুনাপাথর আমদানিও বন্ধ রেখেছেন ব্যবসায়ীরা।
এতে করে সীমান্তের দুইপাড়ে আটকে আছে পণ্যবাহী ট্রাক। ফলে সীমান্তে দেখা দিয়েছে অচলাবস্থা, লোকসান গুনতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। তাই জটিলতা নিরসনে উভয় দেশের সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন তারা।
আমদানিকারকদের সূত্র জানায়, ১ ডিসেম্বর থেকে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগে ও ইসকনের বহিষ্কৃত নেতা চিন্ময়কে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে ভারতের করিমগঞ্জের সুতারকান্দি শুল্ক স্টেশনে মিছিল নিয়ে জড়ো হন ভারতীয়রা। সীমান্ত এলাকায় বিক্ষোভ করেন তারা। পরে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে তারা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করলে সুতারকান্দি শুল্ক স্টেশন দিয়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ হয়ে যায়।
এদিকে, পণ্য পরিমাপ-সংক্রান্ত জটিলতায় একই দিন থেকে ভারতের ডাউকি বর্ডার দিয়ে পাথর ও চুনাপাথর আমদানি বন্ধ করে দেন ব্যবসায়ীরা।
আরও পড়ুন: ১৬ দিন ধরে তামাবিল দিয়ে পাথর ও কয়লা আমদানি বন্ধ
সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সাবেক পরিচালক ও পাথর আমদানিকারক গ্রুপের সভাপতি আতিক হোসেন বলেন, ইসকন ইস্যুতে ভারতের সুতারকান্দি ও করিমগঞ্জ বর্ডার দিয়ে সব ধরনের আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। ভারতীয়দের বাধায় ভারত থেকে বাংলাদেশে কিংবা বাংলাদেশ থেকে ভারতে কোনো পণ্যবাহী গাড়ি ঢুকতে পারছে না।
তিনি বলেন, ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভারতের সুতারকান্দিতে পাথরসহ বিভিন্ন পণ্যবাহী অন্তত ২০০ ট্রাক এবং এপারে শেওলা শুল্ক স্টেশনে অর্ধশতাধিক ট্রাক আটকা পড়েছে। জকিগঞ্জের ওপারে ভারতের করিমগঞ্জে আটকা পড়েছে ফল ও কাঁচামালবোঝাই অর্ধশতাধিক ট্রাক। পণ্য খালাস না হওয়ায় ট্রাকে থাকা এসব পণ্য নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
আতিক হোসেন বলেন, ‘তামাবিল স্থলবন্দরে পণ্য পরিমাপ নিয়ে অসন্তোষের জেরে ১৭ দিন পণ্য আমদানি বন্ধ রয়েছে। তামাবিল ও শেওলা স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে যে পাথর আমদানি করা হয়, তা সরাসরি খনি থেকে ট্রাকে লোড করা হয়। ফলে পাথরের সঙ্গে মাটি ও বালি মিশ্রিত থাকে।’