তিনি বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন আজকে বিশ্বের জন্য হুমকি। বাংলাদেশ সেই হুমকির মধ্যে দশটি দেশের মধ্যে একটি। আমাদের সমুদ্রপৃষ্ঠের পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সমুদ্রের ঝড় জলোচ্ছ্বাস প্রকৃতিকে বিপর্যয়ের দিকে নিয়ে আসছে।’
‘প্রকৃতির এই বিরূপ বিপর্যয় থেকে আমাদের বাংলাদেশকে রক্ষা করতে হবে। কিছুদিন আগে আমাদের দেশে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল আঘাত হেনেছিল। তখন সুন্দরবন বাংলাদেশকে রক্ষা করেছে। সুন্দরবন না থাকলে আরও অনেক বেশি ক্ষতি হতো।’ যোগ করেন তিনি।
সিলেটে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) ২০১৯-২০ প্রথম বর্ষের নবীন বরণ অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এ সব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের উচিৎ জনসাধারণকে জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকারক দিকগুলো বোঝানো। অধিক গাছ নিধন বন্ধ করাসহ পরিবেশ ও বায়ু দূষণকারী পলিথিন, গাড়ির কালো ধোয়া পরিহার করতে হবে।’
এ সময় তিনি মুজিব বর্ষ উপলক্ষে আগামী ৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবসে সারাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ১ কোটি গাছ লাগানো হবে বলেও ঘোষণা দেন।
নবীন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে যেকয়টি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। যারা এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে তারা অত্যন্ত ভাগ্যবান। সততা, নিষ্ঠা, একাগ্রতা সহকারে উচ্চ শিক্ষা অর্জন করতে হবে।’
শাবি উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দীন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম, ভর্তি কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ বেলাল উদ্দিন, প্রক্টর অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমদ, ছাত্রকল্যাণ উপদেষ্টা অধ্যাপক রাশেদ তালুকদার, রেজিস্ট্রার ইসফাকুল হোসেনসহ বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও ছাত্র নেতারা।