বাংলাদেশ
দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার ‘সোনালী’ সুযোগ দেখছেন অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনার
বাংলাদেশের সাথে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে অস্ট্রেলিয়া ‘উদ্যমীভাবে কাজ করতে চায়’ উল্লেখ করে ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির হাইকমিশনার জেরেমি ব্রুয়ার বলেছেন, বৃহত্তর ক্ষেত্রে সহযোগিতা এবং সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার জন্য দুই দেশের ‘সোনালী’ সুযোগ রয়েছে।
সম্প্রতি দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সংক্রান্ত কাঠামোগত সমঝোতার (টিফা) প্রস্তাবিত সুযোগগুলো তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আপনি যদি বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া সম্পর্কের ভবিষ্যত সম্পর্কে আমার পূর্বাভাস জিজ্ঞাসা করেন-আমি আবারও বলি, ভবিষ্যতটি হবে সোনালী সময়।’
হাইকমিশনার অবশ্য বিশ্বব্যাপী উল্লেখযোগ্য যে চ্যালেঞ্জ রয়েছে যেগুলোকেও মোকাবিলা করা দরকার বলে স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, সেই সোনালী ভবিষ্যতের সুবিধা নিয়ে একসাথে এমনভাবে কাজ করা দরকার যা এই চ্যালেঞ্জগুলোকে ‘গঠনমূলকভাবে’ মোকাবিলা এবং দেশগুলোর কল্যাণে সহায়তা করে।
‘বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া সম্পর্ক: ভবিষ্যতের পূর্বাভাস’ শীর্ষক ভার্চুয়াল সংলাপে অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার তার মূল বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন।
শনিবার কসমস গ্রুপের জনহিতকর প্রতিষ্ঠান কসমস ফাউন্ডেশন আয়োজিত অ্যাম্বাসেডর লেকচার সিরিজের অংশ হিসেবে এ সংলাপের আয়োজন করে।
কসমস ফাউন্ডেশন অনেক আগে থেকেই বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতদের নিয়ে অ্যাম্বাসেডর লেকচার সিরিজের আয়োজন করে আসছে।
সংলাপে উদ্বোধনী বক্তব্য দেন কসমস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এনায়েতুল্লাহ খান। সভাপতিত্ব করেন প্রখ্যাত কূটনীতিক ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা ড. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী।
আরও পড়ুন: বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া টিফা চুক্তি স্বাক্ষর
হিলিতে শিশু ধষর্ণের অভিযোগ কিশোর আটক
দিনাজপুরের হিলিতে শনিবার পাঁচ বছরের এক শিশু কন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগে এক কিশোরকে আটক করেছে পুলিশ।
আটক রেজোয়ান (১৬) উপজেলার ঘনশ্যামপুর গ্রামের রেজাউলের ছেলে ও স্থানীয় একটি মাদরাসার ছাত্র।
আরও পড়ুন: মাগুরায় অন্তঃসত্ত্বাকে ধর্ষণের অভিযোগে আটক ১
থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, শনিবার দুপুর ৩টার দিকে রেজোয়ান প্রতিবেশি এক শিশুকে খেলার কথা বলে পার্শ্ববর্তী পান বরজে নিয়ে যায়। এসময় রেজোয়ান শিশুটিকে মুখ বেধে ধর্ষণ করার পর তাকে ফেলে পালিয়ে যায়। পরে শিশুটি রক্তাক্ত অবস্থায় বাড়িতে এসে তার মাকে ঘটনাটি জানায় এবং আশঙ্কাজনক দেখে তার মা স্থানীয়দের সহায়তায় প্রথমে উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করে। একপর্যায়ে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা শিশুটির উন্নত চিকিৎসার জন্য দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে। বর্তমানে সেখানে ভর্তি রয়েছে।
আরও পড়ুন: ৯৯৯ নম্বরে ফোন: ধর্ষণের অভিযোগে আটক ৩
তিনি জানান, শিশুটির বাবা থানায় ধর্ষণের অভিযোগ করলে পুলিশ সন্ধ্যায় রেজোয়ানকে তার বাড়ি থেকে আটক করে। এ ব্যাপারে থানায় মামলা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে আটক ৩
মিতু হত্যা: আদালতে ভোলার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি
চট্টগ্রামে চাঞ্চল্যকর মিতু হত্যা মামলার অন্যতম আসামি এহতেশামুল হক ভোলা ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। শনিবার (২৩ অক্টোবর) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. শফি উদ্দিনের আদালতে ভোলার জবানবন্দি নেয়া হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) তাকে বেনাপোল বাজার এলাকার দুর্গাপুর রোড এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
শনিবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পিবিআইয়ের চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার নাইমা সুলতানা। জবানবন্দি শেষে ভোলাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রো’র পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা বলেন, যশোরের বেনাপোল থেকে বৃহস্পতিবার রাতে ভোলাকে গ্রেপ্তারের পর শুক্রবার চট্টগ্রামে নিয়ে আসা হয়েছে। শনিবার বিকালে তাকে মিতু হত্যা মামলায় আদালতে তোলা হয়।
গত ১৪ অক্টোবর চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমানের আদালতে আসামিপক্ষ থেকে জামিনের আবেদন করা হলে আদালত নামঞ্জুর করেন। এর আগে গত ১৫ সেপ্টেম্বর আসামি এহতেশামুল হক ভোলাকে চার সপ্তাহের জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে জামিনের মেয়াদ শেষে তাকে বিচারিক (নিম্ন) আদালতে আত্মসমর্পণ করারও নির্দেশ দেয়া হয়েছে। নিহত মিতুর বাবার দায়ের করা মামলায় জামিন সংক্রান্ত বিষয়ে করা আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
চাঞ্চল্যকর মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় অস্ত্র সরবরাহকারী এহতেশামুল হক ভোলা। ২০১৬ সালের ২৭ জুন চট্টগ্রাম নগরীর বাকলিয়া থানা এলাকা থেকে ভোলাকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। পরে ভোলার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তার সহযোগী মনিরের হেফাজত থেকে মিতু হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় মিতু হত্যা ও অস্ত্রের দুই মামলায় ভোলাকে আসামি করা হয়। ভোলা নগরীর বাকলিয়া থানাধীন রাজাখালী এলাকায় মৃত সিরাজুল হকের ছেলে।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৫ জুন সকাল ৭টা ১৭ মিনিটে চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড়ে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় মোটরসাইকেলে করে তিন দুর্বৃত্ত মিতুকে ঘিরে ধরে। প্রথমে তারা তাকে গুলি করে। এরপর কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যায়। ওই সময় মিতুর স্বামী বাবুল আক্তার পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি পেয়ে পুলিশ সদর দপ্তরে যোগ দিয়ে ঢাকায় অবস্থান করছিলেন।
এ ঘটনায় নগরীর পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাতদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন বাবুল আক্তার। মামলাটি চট্টগ্রামের নগর গোয়েন্দা পুলিশের কাছে ৩ বছর ১১ মাস তদন্তে থাকার পর গত বছরের মে মাসে পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশনে (পিবিআই) হস্তান্তর করা হয়। মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা হলেন পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা।
পড়ুন: মিতু হত্যা: বেনাপোল থেকে ভোলা গ্রেপ্তার
তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে বাবুল আক্তারকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই। এরপর মিতু হত্যাকাণ্ডে বাবুল আক্তারকে প্রধান আসামি করে মোট ৮ জনের বিরুদ্ধে গত ১২ মে মিতুর বাবা মোশারফ হোসেন পাঁচলাইশ থানায় এজাহার দায়ের করেন।
এজাহারে সাবেক এসপি মিতুর স্বামী বাবুল আক্তার, কিলিং স্কোয়াডের সদস্য মো. কামরুল ইসলাম সিকদার ওরফে মুসা, এহতেশামুল হক ওরফে ভোলাইয়া, মো. মোতালেব মিয়া ওরফে ওয়াসিম, মো. আনোয়ার হোসেন, মো. খায়রুল ইসলাম ওরফে কসাই কালু, মো. সাইদুল ইসলাম সিকদার ওরফে সাকু মাইজ্যা ও শাহজাহান মিয়াকে আসামি করা হয়েছে। যদিও এর মধ্যে দুজন পুলিশের সঙ্গে 'বন্দুকযুদ্ধে' ইতোমধ্যে নিহত হারিয়েছেন এবং বর্তমানে জেলে আছে দুজন। পুলিশের মতে, নিখোঁজ রয়েছেন কিলিং স্কোয়াডের নেতৃত্ব দেয়া মুসা।
এছাড়া স্ত্রী হত্যা মামলার প্রধান আসামি বাবুল আক্তারকে পাঁচদিনের রিমান্ড নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পিবিআই। রিমান্ড শেষে প্রথমে আদালতে জবানবন্দি দেয়ার কথা থাকলেও পরে জবানবন্দি দেননি বাবুল। ২৯ মে থেকে বাবুল আক্তার ফেনী কারাগারে আছেন।
পড়ুন: চট্টগ্রামে মিতু হত্যা: আসামি ভোলার জামিন নামঞ্জুর
মিতু হত্যা: আসামি ভোলার জামিন
আগামী বছরই দেশের সাব-রেজিস্ট্রি অফিসগুলোতে ই-রেজিস্ট্রেশন চালু হবে
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, চলতি বছর দেশের ১৭টি জেলার সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে ই-রেজিস্ট্রেশনের পাইলট প্রকল্প বাস্তবায়ন চলছে। আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যে এই প্রকল্পের মূল্যায়ন প্রতিবেদন পাওয়া যাবে। মূল্যায়ন প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে আগামী বছর সারা দেশের সাব-রেজিস্ট্রি অফিসগুলোতে ই-রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া চালু করা হবে।শনিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ রেজিস্ট্রেশন সার্ভিস এসোসিয়েশন (বিআরএসএ) আয়োজিত সাব-রেজিস্ট্রি অফিসগুলোতে নব যোগদান করা কর্মকর্তাদের সংবর্ধনা ও মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার শুনানিতে হাইকোর্টের ৭ বিচারপতি বিব্রতবোধ করেছিলেন: আইনমন্ত্রীআইনমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে দেশ প্রযুক্তিতে অনেক দূর এগিয়ে গেছে। এই অবস্থায় রেজিস্ট্রি অফিসগুলোতে ডিজিটাইজেশন বা ই-রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া চালুর বিকল্প নেই। এই প্রক্রিয়া চালু হলে জনগণকে দ্রুত রেজিস্ট্রেশন সেবা দেয়া সম্ভব হবে। তিনি যোগ করেন, ই-রেজিস্ট্রেশনের পাশাপাশি প্রচলিত ব্যবস্থাও বহাল থাকবে। তাই ই-রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া চালু হলেও কোন নকলনবীশ বা দলিল লেখক কাজ হারাবেন না।
মন্ত্রী বলেন, ই-রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়ায় ফাইল হ্যাক বা ড্রপ কিংবা ক্রাশ হতে পারে। তাই প্রচলিত ব্যবস্থা বাতিল করা সঠিক হবে না। বুদ্ধি মত্তার কাজ হবেনা।সাব-রেজিস্ট্রারদের উদ্দেশ্যে আনিসুল হক বলেন, জনগণকে সঠিকভাবে সেবা না দিলে ধরে নেয়া হবে যে, আপনারা সঠিকভাবে দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করছেন না। তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, বাংলাদেশের সংবিধানে সুস্পষ্টভাবে বলা আছে, প্রজাতন্ত্রের সকল ক্ষমতার মালিক জনগণ। সেজন্য জনগণকে সেবা দেয়া নিশ্চিত করতে হবে। তিনি বলেন, যারা দুর্নীতি করবে তাদের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নেয়া হবে। এ বিষয়ে কেউ তাদের পক্ষে অবস্থান নিবেন না। দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
আরও পড়ুন: সার্চ কমিটির মাধ্যমেই গঠিত হবে ইসি: আইনমন্ত্রীআইনমন্ত্রী বলেন, আপনাদের দীর্ঘদিনের দাবী অনুযায়ী নিবন্ধন পরিদপ্তরকে অধিদপ্তরে উন্নীত করা হয়েছে। ৪৯১টি নতুন পদ সৃষ্টি করা হয়েছে। বদলির ক্ষেত্রে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা হয়েছে। সর্বস্তরের কর্মকর্তাদের দেশে-বিদেশে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় দেশের বিভিন্ন জেলায় জেলা রেজিস্ট্রার ও সাব-রেজিস্ট্রারের অফিস ভবন নির্মাণ করা হয়েছে।মন্ত্রী যোগ করেন, এক সময় বালাম বহির অভাবে জনগণকে মূল দলিল ফেরত পাওয়ার জন্য বছরের পর বছর অপেক্ষা করতে হতো। বালাম বহির সংকট সম্পূর্ণ দূর করা হয়েছে। নকল নবীশদের পারিশ্রমিক বৃদ্ধি করা হয়েছে। আগে নকল নবীশদের পারিশ্রমিক বছরের পর বছর বকেয়া থাকত। এখন তাদের পারিশ্রমিক নিয়মিত পরিশোধ করা হচ্ছে। দ্রুততম সময়ে জনগণকে রেজিস্ট্রেশন সেবা প্রদানের লক্ষ্যে প্রতিটি জেলা ও সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে কর্মকর্তা -কর্মচারী নিয়োগ দেয়া হয়েছে। চলতি ২০২১ সালেও পাবলিক সার্ভিস কমিশন কর্তৃক নন-ক্যাডার কর্মকর্তা হিসেবে সুপারিশ করা ৬৯ জনকে সাব-রেজিস্ট্রার পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।বিআরএসএ- এর সভাপতি মো. জিয়াউল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব মো. মইনুল কবির, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার, নিবন্ধন অধিদপ্তরের মহাপরির্শক শহীদুল আলম ঝিনুক, বিআরএসএ-এর মহাসচিব মো. জাহিদ হোসেন প্রমুখ বক্তব্য দেন।
সিলেটে ২ মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষে বৃদ্ধ খুন
সিলেটে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুই মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে আলাউদ্দিন ওরফে আলা নামের এক বৃদ্ধ মারা গেছেন। এ ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত আব্দুল হামিদসহ ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।শনিবার (২৩ অক্টোবর) বেলা ১২ টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। নিহত আলাউদ্দিন সিলেট সদর উপজেলার এক নং জালালাবাদ ইউনিয়নের আলীনগর গ্রামের মৃত আব্দুস সাত্তারের ছেলে।
আরও পড়ুন: ইউপি নির্বাচন: চেয়ারম্যান পদে দুই ভাইয়ের ভোটযুদ্ধবিষয়টি নিশ্চিত করে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (মিডিয়া) বিএম আশরাফ উল্লাহ তাহের জানান, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মেম্বার প্রার্থী গোলাম রব্বানী ও আব্দুল হামিদের লোকজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এর এক পর্যায়ে দুপক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে আলাউদ্দিন মারাত্মক জখম হয়। পরে স্থানীয়রা সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় উভয় পক্ষের আরও কয়েকজন আহত হয়ে ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আরও পড়ুন: ইউপি নির্বাচন: ভোলায় গুলিতে যুবক নিহত
মাত্র দুই মিনিটেই মুহিবুল্লাহকে হত্যা, কিলিং মিশনে ছিল ৫ জন
রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর শীর্ষ নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যা মিশনে আজিজুল হকসহ পাঁচজন সরাসরি অংশ নেয়। তাদের তিন জনের কাছে অস্ত্র ছিল। মাত্র দুই মিনিটে কিলিং মিশন শেষ করা হয়। শনিবার সন্ধ্যায় কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম জেরিন সুলতানার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে আজিজুল এ তথ্য জানায়।
শনিবার ভোরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কক্সবাজারের ১৪ এপিবিএন পুলিশ তাকে রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে গ্রেপ্তার করে। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ আরও তিন রোহিঙ্গাকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের পর পুলিশের কাছে তিনি মুহিবুল্লাহ হত্যায় সরাসরি অংশ নেয় বলে স্বীকার করে। এর পরই তাকে এপিবিএন পুলিশ উখিয়া থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। পরে তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে রাজি হলে পুলিশ শনিবার বিকাল ৫টায় কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম জেরিন সুলতানার আদালতে নিয়ে আসে। প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে আদালতের বিচারক জেরিন সুলতানা আজিজুল হকের জবানবন্দি নেন। পরে তাকে জেল হাজতে পাঠিয়ে দেন।
আরও পড়ুন: মুহিবুল্লাহ হত্যা: আরও তিন জনের ৩ দিনের রিমান্ড
মুহিবুল্লাহ হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই কার্তিক চন্দ্র জানান, গ্রেপ্তার আসামি আজিজুল হক মুহিবুল্লাহ হত্যায় সরাসরি অংশ নিয়েছে বলে আদালতে স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে।
আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে আজিজুল জানায়, গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে উখিয়া কুতুপালং লম্বাশিয়া ১ ইস্ট নম্বর ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের শীর্ষ নেতা মুহিবুল্লাহর নিজ অফিসে তার সহকর্মীদের সাথে আলাপচারিতাকালে তাকে হত্যার মিশনে যে পাঁচজন রোহিঙ্গা অংশ নিয়েছিল তাদের মধ্যে আজিজুল হক নিজেও অংশ নেয় এবং তাদের তিন জনের কাছে অস্ত্র ছিল। পাঁচজনের মধ্যে তারা তিনজন মুহিবুল্লাহর অফিসে ঢুকে মুহিবুল্লাহকে গুলি করে। অপর দুই জন মুহিবুল্লাহর অফিসের বাইরে পাহারায় ছিল। মাত্র দুই মিনিটে হত্যা মিশন শেষ করে।
আরও পড়ুন: মুহিবুল্লাহ হত্যায় জড়িত কাউকে ছাড় দেয়া হবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মাদরাসায় হামলার ঘটনায় আটক ৮
কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অবস্থিত 'দারুল উলুম নাদওয়াতুল ওলামা আল-ইসলামিয়াহ' মাদরাসায় হামলায় ছয়জন নিহতের ঘটনায় এ পর্যন্ত আটজনকে আটক করেছে এপিবিএন পুলিশ। শুক্রবার রাতে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয় বলে জানিয়েছেন ৮ এপিবিএন এর অধিনায়ক পুলিশ সুপার শিহাব কায়সার।
এর আগে শুক্রবার ভোরে একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলিসহ জসিম নামে এক রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়।
পুলিশ সুপার জানান, শুক্রবার রাতভর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অভিযান চালানো হয়। তবে আটকদের পরিচয় তিনি জানাননি।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত ৬
অপর দিকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ছয়জন নিহতের ঘটনায় উখিয়া থানায় এখনও মামলা হয়নি।
এপিবিএন এর অধিনায়ক শিহাব কায়সার জানান, শুক্রবার মধ্য রাতে নিহত মাদরাসা শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের নামাজে জানাজা ও দাফন সম্পন্ন হয়।
এদিকে ঘটনাস্হল থেকে পাওয়া খবরে জানা গেছে, শুক্রবার ভোর রাতে বালুখালী ১৮ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এইচ ব্লকে অবস্থিত দারুল উলুম নাদওয়াতুল ওলামা আল ইসলামিয়াহ মাদরাসায় রোহিঙ্গা দুষ্কৃতকারীরা হামলা চালালে মাদরাসা শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা পাশের মসজিদে গিয়ে আশ্রয় নেয়। হামলাকারীদের হাত থেকে মসজিদে আশ্রয় নিয়েও রেহাই পায়নি। হামলাকারী রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা মসজিদে আশ্রয় নেয়া দুই জনকে হত্যা করে।
আরও পড়ুন: প্রত্যাবাসন ঠেকাতেই রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হত্যাকাণ্ড: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
শুক্রবার (২২ অক্টোবর) ভোর রাত ৪টার দিকে কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প-১৮ এর এইচ-৫২ ব্লকে অবস্থিত 'দারুল উলুম নাদওয়াতুল ওলামা আল-ইসলামিয়াহ' মাদরাসা এ হামলার ঘটনা ঘটে। এর আগে পুলিশ উক্ত ক্যাম্পে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের কথা বলা হলেও পরে ক্যাম্পে দায়িত্বরত এপিবিএন পুলিশ মাদ্রাসায় হামলার কথা নিশ্চিত করেন।
নিহতরা হলেন- রোহিঙ্গা ক্যাম্প-১২, ব্লক-জে-৫ এর বাসিন্দা হাফেজ ও মাদরাসা শিক্ষক মো. ইদ্রীস (৩২), ক্যাম্প-৯ ব্লক-১৯ এর মৃত মুফতি হাবিবুল্লাহর ছেলে ইব্রাহীম হোসেন (২৪), ক্যাম্প-১৮, ব্লক-এইচ -৫২ এর নুরুল ইসলামের ছেলে মাদ্রাসার ছাত্র আজিজুল হক (২২), একই ক্যাম্পের ভলান্টিয়ার আবুল হোসেনের ছেলে মো. আমীন (৩২)। এছাড়াও রোহিঙ্গা ক্যাম্পের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ‘এফডিএমএন’ ক্যাম্প-১৮, ব্লক-এফ-২২ এর মোহাম্মদ নবীর ছেলে মাদ্রাসা শিক্ষক নূর আলম ওরফে হালিম (৪৫), এফডিএমএন ক্যাম্প-২৪এর রহিম উল্লাহর ছেলে মাদরাসা শিক্ষক হামিদুল্লাহ।
আরও পড়ুন: উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাহাড় ধসে শিশুসহ নিহত ৫
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত আট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন এপিবিএন এর অধিনায়ক পুলিশ সুপার শিহাব কায়সার জানান, শুক্রবার রাত আনুমানিক ৪টার দিকে ‘এফডিএমএন’ ক্যাম্প-১৮ এইচ-৫২ ব্লকে অবস্থিত 'দারুল উলুম নাদওয়াতুল ওলামা আল-ইসলামিয়াহ' মাদরাসায় রোহিঙ্গা দুষ্কৃতিকারীরা হামলা চালায়। উক্ত ঘটনা জানতে পেরে ময়নারঘোনা পুলিশ ক্যাম্প-১২ এর পুলিশ সদস্যরা তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধারের পর চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠায়। হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও দুই জন মারা যায়। এসময় পুলিশ হামলাকারীদের একজনকে একটি দেশীয় লোডেড ওয়ান শুটারগান, ছয় রাউন্ড গুলি ও একটি ছুরিসহ হাতেনাতে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। এ ঘটনায় ময়নারঘোনা পুলিশ ক্যাম্প-১২ এর পুলিশ সদস্যরা 'মদুতুল উম্মা' মাদরাসা ও আশপাশের এলাকায় ব্লকরেইড পরিচালনা করে আসছে এবং অন্যান্য ক্যাম্প এলাকায়ও একই সাথে ব্লক রেইড পরিচালনা করা হচ্ছে।
‘ইশো’র নতুন ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর সাকিব-বাঁধন
ট্রেন্ডী ফার্নিচার ও লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড ইশো’র নতুন ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হলেন দেশের অন্যতম জনপ্রিয় দুজন তারকা বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান ও অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন।
ইশো’র প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক রায়ানা হোসেন বলেন, ‘সাকিব ও বাঁধন-কে পাশে পেয়ে আমরা আনন্দিত। আমাদের ভিশন ও ব্র্যান্ডের প্রতি তাঁরা দুজনই আস্থাশীল, যা আনন্দের মাত্রা আরও বাড়িয়ে তুলেছে। উভয় তারকাই তাদের ব্যক্তিগত ক্যারিয়ারে ট্রেন্ড-সেটার হিসেবে পরিচিত। তাই এই অংশীদারিত্বের মাধ্যমে দেশের প্রতিটি ঘরে আমাদের ইশো পণ্য পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্য বাস্তবায়িত হবে বলে আমি আশাবাদী।’
আরও পড়ুন: ডেকো ইশো গ্রুপের সঙ্গে ফসল ডট কমের চুক্তি স্বাক্ষর
সাকিব আল হাসান বলেন,‘স্বল্পসময়ের মধ্যেই ইশো অনলাইন বিক্রয়ে দেশের এক নাম্বার ফার্নিচার ব্র্যান্ডে পরিণত হয়েছে, যা থেকে বোঝা যায় তাঁরা কেন অনন্য এবং তাদের ভবিষ্যৎ কেমন হবে। আমি নিজেও ‘ইশো’র আসবাবপত্র ও নকশার একজন ভক্ত। তাই পছন্দের ব্র্যান্ডের সাথে যুক্ত হতে পেরে বিশেষভাবে আনন্দিত।’ তিনি আরও বলেন, আমি যেমন সর্বদা সেরার তালিকায় থাকতে স্বচেষ্ট থাকি, তেমনি ইশোও দেশের সেরা ফার্নিচার ব্র্যান্ড হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করে তুলতে সর্বদা স্বচেষ্ট।
আজমেরী হক বাধন বলেন, ‘ইশো’র সাথে যুক্ত হতে পেরে আমি আনন্দিত এবং এর কিছু কারণও রয়েছে। প্রথমত, তাদের পণ্য, যা অন্যকোনো ব্র্যান্ডের নেই ও ব্যক্তিগতভাবে আমি পছন্দ করি। দ্বিতীয়ত, ‘ইশো’র প্রতিষ্ঠাতা, যিনি শুধু ব্র্যান্ডটি প্রতিষ্ঠার জন্যই নয় বরং পুরুষ শাসিত এই শিল্পে নিজের পরিচয় প্রতিষ্ঠা করতে দেশে ফিরেছেন এবং সফলও হয়েছেন। ইশো দেশের মানুষের আসবাবপত্র বাছাইয়ে পছন্দ ও রুচি পরিবর্তনে সক্ষম হয়েছে।
আরও পড়ুন: আইসিসির জুলাই মাসের সেরা খেলোয়াড় সাকিব
ঘরে বসেই করা যাবে আয়কর রিটার্ন ফরম পূরণ
আয়কর রিটার্ন দাখিল সহজতর করতে ডিজিট্যাক্স নামক একটি ওয়েব অ্যাপলিকেশন নিয়ে এসেছে দেশ ইউনিভার্সেল নামক একটি প্রতিষ্ঠান। শনিবার রাজধানীর পল্টনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ)-এর কার্যালয়ে ডিজিট্যাক্সের এ অনলাইন ট্যাক্স অ্যাপলিকেশনটি উদ্বোধন করেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য (করনীতি) মো. আলমগীর হোসেন।
এর মাধ্যমে ব্যক্তিগত আয়কর রিটার্ন ফরম ও সম্পদের হিসাব-নিকাশ এখন অনলাইনে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে পূরণ করা যাবে। ঘরে বসেই করা যাবে আয়কর পরিশোধ ও রিটার্ন ফাইল দাখিল। বাসায় বসেই নেয়া যাবে আয়কর সংক্রান্ত যেকোনো সেবাও।
ডিজিট্যাক্সের মূল ফিচার বর্ননা করে প্রতিষ্ঠানটির টিম মেম্বার সৈয়দা নুসরাত হায়দার বলেন, আমাদের দেশে বিভিন্ন লেভেলের টেক্স পেয়ার রয়েছে, এর মধ্যে অধিকাংশই আয়কর ক্যালকুলেশন এর নিয়মাবলী ও আইন কানুন যথাযথভাবে জানেন না। ফলে সুচারুভাবে রিটার্ন প্রস্তুত করতে পারেন না। এই সমস্যা সমাধানের জন্য আমরা ব্যবহারকারীর প্রয়োজন অনুযায়ী নির্দিষ্ট খাতে ইনপুট দিয়ে সহজেই রিটার্ন প্রস্তুত করতে পারেন সে ব্যবস্থা নিয়ে এসেছি। আমাদের সিস্টেমে রয়েছে আইন অনুযায়ী স্বয়ংক্রিয় আয়কর গণনা পদ্ধতি যাতে করে ব্যবহারকারীরা সহজেই আয়কর রিটার্ন প্রস্তুত করতে পারেন। ব্যবহারকারীদের সুবিধার্থে, বাংলা ভাষায়ও সফটওয়ারটি ব্যবহারের পদ্ধতি রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মির্জা ফখরুলই ভালো জানেন কুমিল্লার ঘটনা কিভাবে ঘটেছে: তথ্যমন্ত্রী
করদাতা স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে রিটার্ন পূরণ করে নিজে আয়কর অফিসে জমা দিতে পারেন অথবা গ্রাহক যদি চান, তবে ডিজিট্যাক্সের পেশাদার আইনজীবীর মাধ্যমে রিটার্ন জমা দিতে পারবেন।
ডিজিট্যাক্সের সিস্টেমটি এনবিআরের সাথে ইন্টিগ্রেট করতে পারলে ভবিষ্যতে তাদের মাধ্যমেই করদাতারা অনলাইনে তার রিটার্ন সাবমিট করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন সৈয়দা নুসরাত হায়দার। এতে করে মেনুয়াল পেপার বেইজ সাবমিশন প্রয়োজন হবে না এবং সরকারও ডাটা এন্ট্রি ছাড়াই রিয়েল টাইম আপডেট পাবে বলে জানান তিনি।
করদাতার ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা বিষয়ে তিনি বলেন, প্রত্যেক করদাতার ব্যক্তিগত আইডি ও পাসওয়ার্ড থাকবে। তিনি ছাড়া আর কেউ এ তথ্য দেখতে পাবেন না। করদাতা তার তথ্য সেইভ করে রেখে যেকোনো সময় তা আবার এডিট করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: কুমিল্লাসহ সব বিচ্ছিন্ন ঘটনা উদ্দেশ্যমূলক: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি বলেন, সরকার একটি বৃহত্তর জনগোষ্ঠীকে আয়করের আওতায় আনার জন্য এরইমধ্যে অনেক ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে। সরকারের এই উদ্যোগের সাথে ব্যক্তি পর্যায়ে আমরা কাজ করার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছি। এর অংশ হিসেবে আমরা এই সফটওয়্যার টি ডেভলপ করেছি। ভবিষ্যতে সরকারের সাথে ইন্টিগ্রেটেড হয়ে একসাথে কাজ করতে পারবো এটাই আমাদের লক্ষ্য।
আয়কর আইনজীবিরাও এর মাধ্যমে তাদের ক্লায়েন্টদের কর সেবা দিতে পারবেন বলে জানিয়েছেন সৈয়দা নুসরাত হায়দার।
অ্যাপলিকেশনটি উদ্ভোধন করে এনবিআর সদস্য আলমগীর হোসেন বলেন, মানুষের মধ্যে কর দেয়ার আগ্রহ তৈরি হয়েছে। করদাতার সংখ্যাও বাড়ছে। এতো বিপুল সংখ্যক করদাতাকে প্রচলিত পদ্ধতিতে করসেবা দেয়া সম্ভব নয়। করদাতাকে সেবা দিতে সব কিছু অনলাইন করা ও রিটার্ন দাখিল স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতি করার বিকল্প নেই। এনবিআর অনেক আগেই এ উদ্যোগটি নিয়েছে। অনলাইনের মাধ্যমে রিটার্ন ফরম পূরণ, দাখিল ও পেমেন্ট সিস্টেম চালু করছি। বেসরকারিভাবে ডিজিট্যাক্সের এগিয়ে আসা কর সেবাকে ডিজিটাল করার উদ্যোগ আরও সহজতর হবে।
তিনি বলেন, রিটার্ন দাখিল অনলাইন করার পাশাপাশি এক নভেম্বর থেকে আমরা আয়কর মাস পালন করছি। করদাতারা স্বাচ্ছন্দে রিটার্ন দাখিল করতে পারবেন।
আইসিএবির প্রেসিডেন্ট মাহমুদুল হাসান খসরু বলেন, আয়কর আইন হলো পৃথিবীর সবচেয়ে কঠিনতম একটি আইন। এটি প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হয়। এ আইন নিয়ে এতো বড় উদ্যোগ নেয়ায় ডিজিট্যাক্স প্রশংসার দাবি রাখে।
তিনি বলেন, ডিজিট্যাক্সের এ উদ্যোগটি করদাতাদের সহায়তা করবে। এর ফলে বিপুল মানুষকে রিটার্ন দাখিলে আগ্রহী করা যাবে। সরকারও রাজস্ব পাবে।
এর আগে শুভেচ্ছা বক্তব্যে ডিজিট্যাক্সের এডভাইজার ও দেশ ইউনিভা্র্সেল নির্বাহী পরিচালক মোসারাত নাইমা বলেন, ডিজিট্যাক্স একটি স্বয়ংক্রিয় ট্যাক্স রিটার্ন ফরম পূরণের ওয়েব অ্যাপলিকেশন। রেজিট্রেশন করার পর করদাতা তার আয়ের তথ্য দিলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কর গণনা হয়ে যাবে।
সংখ্যালঘুদের নিয়ে কাজের জন্য দেয়া হবে ‘জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড’
দেশ ও মানুষের কল্যাণে যেসব তরুণ উদ্যোক্তা ও সংগঠন কাজ করে যাচ্ছে, পঞ্চমবারের মত তাদের ‘জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড’ দিতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগের গবেষণা উইং সিআরআইয়ের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ইয়ং বাংলা।
ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের নিয়ে যেসব সংগঠন কাজ করছে তাদেরকে দেয়া হবে এই ‘জয় বাংলা ইয়ূথ অ্যাওয়ার্ড’।এছাড়া স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে স্বাধীনতাত্তোর বাংলাদেশ গঠনে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ডে এবারই প্রথমবারের মতো দেয়া হবে আজীবন সম্মাননা পুরষ্কার।
দেশে ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু, হিজরা, দলিত ও অনগ্রসর সমাজকে নিয়ে কাজ করে এমন সংগঠনসহ ৩০টি সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানকে এ পুরস্কার দিতে ইতোমধ্যে অনলাইনে নিবন্ধন চলছে বলে সিআরআইয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘জয় বাংলা’ বাংলাদেশের জাতীয় স্লোগান হবে: হাইকোর্ট
একমাস ধরে চলা নিবন্ধন রবিবার শেষ হচ্ছে বলে সিআরআইয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপিতে আরও বলা হয়েছে,দেশের প্রতি তরুণদের দায়বদ্ধতা ও দায়িত্ব পালনে নেয়া উদ্যোগগুলোকে স্বাগত জানাতে পঞ্চমবারের মতো ফিরে এসেছে ‘জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড।
সম্প্রতি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর সাম্প্রদায়িক হামলার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিবাদ ছাড়াও মাঠপর্যায়ে রাস্তায় নেমে ধর্মীয় সহিংসতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছে বহু যুবক ও যুব সংগঠন।
আ্যাওয়ার্ডে অংশ নিতে আগামী রবিবারের মধ্যে যুব ও যুব সংগঠনগুলোকে আবেদন করার আহ্বান জানিয়েছে ইয়ং বাংলা। ইয়াং বাংলার ওয়েবসাইটে (http://jbya.youngbangla.org) এ পুরস্কারের জন্য আবেদনের করা যাবে।
আরও পড়ুন: ঢাকা ডকল্যাবে কসমস ফাউন্ডেশন পুরস্কার
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়,জমা পড়া আবেদনগুলো ২৪ অক্টোবরের পর বাছাই করা হবে। পরে বাছাই করা সংগঠনগুলোর কাজ ও সমাজে তার প্রভাব দেখার জন্য মাঠ পর্যায়ে পর্যবেক্ষণে যাবে ইয়াং বাংলা টিম। সেখান থেকে শীর্ষ ৩০ সংগঠনকে বেছে নেয়া হবে।
সামাজিক অন্তর্ভূক্তি ও সম্প্রদায়ভিত্তিক উন্নয়নে দুটি বৃহৎ ক্যাটগরিতে ১০টি পুরষ্কার দেয়া হবে।
সাংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সীদের সংগঠন,যে সংগঠন নারীর ক্ষমতায়ন, শিশু অধিকার, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের ক্ষমতায়ন, পিছিয়ে পড়া মানুষের ক্ষমতায়ন,যুব উন্নয়ন,অতি দরিদ্র মানুষের ক্ষমতায়নে ভূমিকা রেখেছে তারা ‘জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ডের’ জন্য আবেদন করতে পারবেন।
এছাড়া যেসব যুব সংগঠন তাদের কার্যক্রমের মধ্যে দিয়ে কোন সম্প্রদায়ের উন্নতির জন্য কাজ করছে। ‘ইন্টিগ্রেটেড কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট’ এর অধীনে তারাও আবেদন করতে পারে।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে শিশুদের জন্য শত পুরস্কার
এতে ছয়টি বিষয়ে আবেদনের সুযোগ রাখা হয়েছে,মাদক বিরোধী সচেতনতা অভিযান, পরিবেশ রক্ষা এবং জলবায়ু পরিবর্তন রোধে কার্যক্রম,দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস,জরুরি প্রতিক্রিয়া, স্বাস্থ্যসেবা ও সচেতনতা,শিক্ষা ও সামাজিক - সাংস্কৃতিক উদ্যোগ।
এছাড়া উন্নয়ন কর্মসূচি ও প্রকল্প,জননীতিতে গবেষণা ও উদ্ভাবন,উদ্যোক্তা ও সৃজনশীলতা এই চার নীতিতে দেয়া হবে আজীবন সম্মাননা।