দেশ ও মানুষের কল্যাণে যেসব তরুণ উদ্যোক্তা ও সংগঠন কাজ করে যাচ্ছে, পঞ্চমবারের মত তাদের ‘জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড’ দিতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগের গবেষণা উইং সিআরআইয়ের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ইয়ং বাংলা।
ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের নিয়ে যেসব সংগঠন কাজ করছে তাদেরকে দেয়া হবে এই ‘জয় বাংলা ইয়ূথ অ্যাওয়ার্ড’।এছাড়া স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে স্বাধীনতাত্তোর বাংলাদেশ গঠনে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ডে এবারই প্রথমবারের মতো দেয়া হবে আজীবন সম্মাননা পুরষ্কার।
দেশে ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু, হিজরা, দলিত ও অনগ্রসর সমাজকে নিয়ে কাজ করে এমন সংগঠনসহ ৩০টি সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানকে এ পুরস্কার দিতে ইতোমধ্যে অনলাইনে নিবন্ধন চলছে বলে সিআরআইয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘জয় বাংলা’ বাংলাদেশের জাতীয় স্লোগান হবে: হাইকোর্ট
একমাস ধরে চলা নিবন্ধন রবিবার শেষ হচ্ছে বলে সিআরআইয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপিতে আরও বলা হয়েছে,দেশের প্রতি তরুণদের দায়বদ্ধতা ও দায়িত্ব পালনে নেয়া উদ্যোগগুলোকে স্বাগত জানাতে পঞ্চমবারের মতো ফিরে এসেছে ‘জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড।
সম্প্রতি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর সাম্প্রদায়িক হামলার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিবাদ ছাড়াও মাঠপর্যায়ে রাস্তায় নেমে ধর্মীয় সহিংসতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছে বহু যুবক ও যুব সংগঠন।
আ্যাওয়ার্ডে অংশ নিতে আগামী রবিবারের মধ্যে যুব ও যুব সংগঠনগুলোকে আবেদন করার আহ্বান জানিয়েছে ইয়ং বাংলা। ইয়াং বাংলার ওয়েবসাইটে (http://jbya.youngbangla.org) এ পুরস্কারের জন্য আবেদনের করা যাবে।
আরও পড়ুন: ঢাকা ডকল্যাবে কসমস ফাউন্ডেশন পুরস্কার
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়,জমা পড়া আবেদনগুলো ২৪ অক্টোবরের পর বাছাই করা হবে। পরে বাছাই করা সংগঠনগুলোর কাজ ও সমাজে তার প্রভাব দেখার জন্য মাঠ পর্যায়ে পর্যবেক্ষণে যাবে ইয়াং বাংলা টিম। সেখান থেকে শীর্ষ ৩০ সংগঠনকে বেছে নেয়া হবে।
সামাজিক অন্তর্ভূক্তি ও সম্প্রদায়ভিত্তিক উন্নয়নে দুটি বৃহৎ ক্যাটগরিতে ১০টি পুরষ্কার দেয়া হবে।
সাংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সীদের সংগঠন,যে সংগঠন নারীর ক্ষমতায়ন, শিশু অধিকার, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের ক্ষমতায়ন, পিছিয়ে পড়া মানুষের ক্ষমতায়ন,যুব উন্নয়ন,অতি দরিদ্র মানুষের ক্ষমতায়নে ভূমিকা রেখেছে তারা ‘জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ডের’ জন্য আবেদন করতে পারবেন।
এছাড়া যেসব যুব সংগঠন তাদের কার্যক্রমের মধ্যে দিয়ে কোন সম্প্রদায়ের উন্নতির জন্য কাজ করছে। ‘ইন্টিগ্রেটেড কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট’ এর অধীনে তারাও আবেদন করতে পারে।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে শিশুদের জন্য শত পুরস্কার
এতে ছয়টি বিষয়ে আবেদনের সুযোগ রাখা হয়েছে,মাদক বিরোধী সচেতনতা অভিযান, পরিবেশ রক্ষা এবং জলবায়ু পরিবর্তন রোধে কার্যক্রম,দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস,জরুরি প্রতিক্রিয়া, স্বাস্থ্যসেবা ও সচেতনতা,শিক্ষা ও সামাজিক - সাংস্কৃতিক উদ্যোগ।
এছাড়া উন্নয়ন কর্মসূচি ও প্রকল্প,জননীতিতে গবেষণা ও উদ্ভাবন,উদ্যোক্তা ও সৃজনশীলতা এই চার নীতিতে দেয়া হবে আজীবন সম্মাননা।