বাংলাদেশ
চলে গেলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত আলোকচিত্রী গোলাম মোস্তাফা
চলে গেলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত আলোকচিত্রী গোলাম মোস্তাফা । শুক্রবার সকালে নিজ গৃহে ৮১ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন এই গুণী স্থিরচিত্রগ্রাহক।
গোলাম মোস্তাফা ২০১৮ সালে একুশে পদক এবং ২০১৬ সালে শিল্পকলা পদকে ভূষিত হন।
তিনি ১৯৬৪ সালে বাংলাদেশ টেলিভিশনের যাত্রার শুরু থেকে সম্মুখসারীর চিত্রগ্রাহক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন । তিনি দীর্ঘ ৩০ বছর বিটিভির সাথে ছিলেন এবং অবসরে যাওয়ার আগে প্রায় ৪২জন চিত্রগ্রাহক ধারণের মত অবকাঠামো তৈরি করে রেখে যান।
আরও পড়ুনঃ চলে গেলেন কিংবদন্তি অভিনেতা দিলীপ কুমার
গোলাম মোস্তাফা মৃত্যুর আগ পর্যন্ত বাংলাদেশ টেলিভিশনে পরিচালক, স্থিরচিত্রগ্রাহক এবং নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্কিটেকচারাল বিভাগে গেস্ট লেকচারার হিসেবে দায়িত্ব পালন করে গেছেন।
মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, পুত্র, কন্যা, দুই নাতি এবং তিন বোনসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে যান।
ঢাকার আজিমপুর গোরস্থানে (নতুন) তাঁকে সমাহিত করা হবে।
নারায়ণগঞ্জে জুস কারখানায় ভয়াবহ আগুন, ৫২ লাশ উদ্ধার
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সেজান জুস কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কমপক্ষে ৫২ লাশ উদ্ধার হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস বিভাগ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। শুক্রবার দুপুরে পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) হাবিবুর রহমান জানান, ভবনটির পঞ্চম ও ষষ্ঠ তলায় উদ্ধার কাজ চলছে। এ ঘটনায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
আরও পড়ুনঃ মগবাজার বিস্ফোরণ: মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ১১
বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার ভুলতা কর্ণগোপ এলাকায় হাশেম ফুডস অ্যান্ড বেভারেজ গ্রুপের এই কারখানায় আগুন লাগে। রাতে দুইজনের লাশ উদ্ধার করা হয় এবং একজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এদিকে কারখানার অনেক শ্রমিক নিখোঁজ থাকায় তাদের স্বজনরা ছবি নিয়ে ঘটনাস্থলে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করেন বলে জানা গেছে।
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারি পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন জানান, ধ্বংসস্তুপের ভিতর থেকে শুক্রবার ৪৯ টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এছাড়া আগের দিন এ ঘটনায় আরো ৩ জন মারা যান। কী কারণে আগুন লেগেছে তা তদন্তের পর জানা যাবে। ধ্বংসস্তুপের ভিতরে আরও লাশ থাকতে পারে বলে তিনি আশঙ্কা করেন। আরেফিন আরো জানান, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসলেও ছয়তলার কিছু কিছু জায়গায় আগুন জ্বলছিল। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
এর আগে আগুন লাগার পরপরই মিনা আক্তার (৪০) ও স্বপ্না রানী নামে দুই শ্রমিকের লাশ কারখানা থেকে উদ্ধার করা হয়। পরে মুরসালিন (২২) নামে এক কর্মী রাত ১১ টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তিনি আগুন লাগার পর তিনতলা থেকে লাফিয়ে পড়ে আহত হয়েছিলেন।
আরও পড়ুনঃ মগবাজার বিস্ফোরণ: বাসযাত্রী সুভাষের মৃত্যু
ফায়ার সার্ভিস কন্ট্রোল রুমের ডিউটি অফিসার কামরুল আহসান জানান, বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টার দিকে সাততলা ভবনে আগুনের লেলিহান শিখা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং ফায়ার সার্ভিসের ১৮টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। আহতদের মধ্যে ১০ জনকে ঢামেক হাসপাতালে এবং ১৬ জনকে রূপগঞ্জ ইউএস বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
ইউএস বাংলা মেডিকেল কলেজের কর্তব্যরত চিকিৎসক মো. শাহাদাত হোসেন দুই শ্রমিকের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া জানান, ধোঁয়ার কারণে শ্বাসকষ্ট হওয়ায় আহতদের মধ্যে তিনজনকে ঢামেকের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি হওয়া আহতদের মধ্যে যাদের পরিচয় জানা গেছে তাঁরা হলেন: নাহিদ (২৩), মনজুরুল ইসলাম (২৫), মহসিন হোসেন (৩২), আবু বকর সিদ্দিক (৪০), আমেনা বেগম (৩২), ফাতেমা আক্তার (২৩), মহসিন (২ ৭) ও মাজেদা
উদ্বোধনের দুই দিন পেরোতেই ধসে পড়ছে পানির পাম্প ভবন
প্রায় কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত পানির পাম্পটি উদ্বোধনের দুই দিনের মধ্যে ধসে পড়তে শুরু করেছে। ইতোমধ্যে পাম্প হাউজ ঘরের মেঝের অনেকটা অংশ ধসে পড়েছে। দেওয়ালে ফাটল দেখা দিয়েছে। পানির লাইন স্বাভাবিক থাকলেও ভবনের নিচে সুড়ঙ্গ তৈরি হওয়ায় লাইনটিও ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর পৌরসভা এলাকার নওদাগা পাড়ায় এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানায়, গত ৪ জুলাই (রবিবার) দুপুরে পৌরসভার মেয়র মো. সহিদুজ্জামান সেলিম এই পাম্পের পানি সরবরাহ কাজের উদ্বোধন করেন। এ সময় পৌর মেয়রের সাথে স্থানীয় ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. রকিব উদ্দিনসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু উদ্বোধনের পর দেখা গেলো পাম্প ভবনটি ধসে পড়ছে।
আরও পড়ুন: বন্যার আশঙ্কা: কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত
সংশ্লিষ্ট দপ্তরে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কোটচাঁদপুর পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড নওদাগা ও কাশিপুর এলাকার নাগরিকদের জন্য গভীর নলকূপটি স্থাপন করা হয়।
কোটচাঁদপুর জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল দপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. জিল্লুর রহমান জানান, পাম্পটির কাজ শুরু হয় ২০১৭ সালের শেষ দিকে। পানির লাইনের কাজের জন্য প্রায় ৬০ লাখ আর ভবনের জন্য প্রায় ২৫ লাখ টাকা বরাদ্ধ করা হয়। কিন্তু কাজটি ত্রুটিপূর্ণ হয়েছে বলে মনে হচ্ছে।
স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. রকিব উদ্দিন জানান, পাম্পটি তার নির্বাচনী এলাকায় বসানো হয়েছে। এই পাম্পের মাধ্যমে নওদাগা, কাশিপুর ও শহরের কিছু অংশের গ্রাহকরা পানি পাবেন
তিনি জানান, পাম্পটি এলাকার মানুষের কল্যাণে নির্মিত হলেও উদ্বোধনের পরই ধসে পড়ে। এতে পাম্পটি মানুষের উপকারে আসবে কিনা তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।
নওদাগা গ্রামের মাহাতাব আলী জানান, দুই বছরের বেশি সময় ধরে এই পাম্পটি তৈরি করা হয়েছে। এরপর গত রবিবার দুপুরে চালু করার পরদিনই দেখা যায় পাম্প ভবনের নিচের অংশ থেকে মাটি ধসে পড়েছে। সেখানে সুড়ঙ্গ তৈরি হয়েছে।
কোটচাঁদপুর পৌরসভার উপসহকারী প্রকৌশলী গোলাম মোস্তফা জানান, কাজটি দেখভাল করেছেন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ। তারা মাঝে মধ্যে খোঁজখবর নিয়েছেন। এখন এই পরিস্থিতিতে তারা প্রকল্প বাস্তবায়নকারী বিভাগকে দ্রুত দেখার জন্য জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: বাড়ছে পানি, ফরিদপুরে নদী ভাঙন শুরু
পৌরসভার মেয়র মো. সহিদুজ্জামান সেলিম জানিয়েছেন, ঠিকাদাররা এই কাজের বিল নিয়ে গেছেন। তারপরও তারা কাজটি মেরামতের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগকে বলেছেন।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের স্থানীয় উপসহকারী প্রকৌশলী মো.জিল্লুর রহমান জানান, তারা ঠিকাদারের সাথে যোগাযোগ করেছেন। মেরামত করে দিতে সম্মত হয়েছেন।
জলবায়ু পরিবর্তনে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোকে রক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর পাঁচ প্রস্তাব
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নত দেশগুলোর প্রতি জলবায়ু পরিবর্তনে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোকে রক্ষায় সবুজ পুনরুদ্ধারসহ পাঁচ দফা প্রস্তাব দিয়েছেন। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব এই দেশগুলোকে বিপর্যয়ের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাচ্ছে বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, উন্নত দেশগুলোর উচিত সিভিএফ-ভি ২০ দেশেগুলোর সবুজ পুনরুদ্ধারে সহযোগিতা দেয়া।
প্রধানমন্ত্রী জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি মোকাবিলায় প্রথম ভি২০ ক্লাইমেট ভালনারেবল ফাইন্যান্স সামিট-এ এই পাঁচ দফা প্রস্তাব দেন। বৃহস্পতিবার ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের (সিভিএফ) সভাপতি শেখ হাসিনা তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি এই সম্মেলনের উদ্বোধন করেন।
আরও পড়ুন: যুক্তরাজ্যকে জলবায়ু ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর পাশে চায় ঢাকা
প্রথম প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতিটি দেশকে অবশ্যই বৈশ্বিক তাপমাত্রা ১.৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের নিচে রাখতে গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণ রোধে উচ্চাকাঙ্ক্ষী লক্ষ্য অনুসরণ করতে হবে।
দ্বিতীয় প্রস্তাবে তিনি বলেন, উন্নত দেশগুলোর উচিত সিভিএফ-ভি ২০ দেশের সবুজ পুনরুদ্ধারের সুবিধার্থে মূলধন ব্যয় কমাতে এবং বেসরকারি খাতের অংশগ্রহণকে উৎসাহিত করতে ঐকান্তিকভাবে সমর্থন করা।
আরও পড়ুন: জলবায়ু সমস্যা নিরসনে কমনওয়েলথের প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
তৃতীয় প্রস্তাবে তিনি বলেন, তহবিলের প্রবাহ অবশ্যই অনুমানযোগ্য, ভারসাম্যপূর্ণ, উদ্ভাবনী এবং বর্ধনশীল হতে হবে। উন্নয়নে অংশীদার এবং আন্তর্জাতিক আর্থিক সংস্থাগুলোর তহবিল বরাদ্দ ও বিতরণের একটি ব্যবহার-বান্ধব প্রক্রিয়া গ্রহণ করা উচিত। বিভিন্ন জলবায়ু তহবিলের মধ্যে অবশ্যই সমন্বয় থাকতে হবে।
চতুর্থ প্রস্তাবে শেখ হাসিনা বলেন, ধনী দেশগুলোকে অবশ্যই জলবায়ু পরিবর্তনের বিপর্যয় রক্ষায় বিদ্যমান অর্থনৈতিক বৈষম্য কমিয়ে সিভিএফ-ভি ২০ দেশগুলোকে সহায়তা করতে হবে। সিভিএফ দেশগুলোর জন্য স্মার্ট বীমা প্রিমিয়াম ভর্তুকি এবং বীমাকৃত পণ্যগুলোকে মূলধনে রূপান্তরের জন্য আর্থিক সহায়তার প্রয়োজন।
পঞ্চম প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতিটি ক্ষতিগ্রস্ত দেশ আমাদের 'মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা'র মতো একটি 'জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা' গ্রহণের জন্য সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করতে পারে। আমাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সর্বাত্মক সহায়তা দেওয়ার জন্য আমি অনুরোধ করছি।
আরও পড়ুন: জলবায়ু অভিযোজন: ১০০ বিলিয়ন ডলার তহবিলের ব্যাপারে আশাবাদী বাংলাদেশ
প্রধানমন্ত্রী তার বক্তৃতায় বলেন, পৃথিবী ভয়াবহ অবস্থায় রয়েছে। আমাদের অবশ্যই আমাদের কাজে বিচারবুদ্ধিসম্পন্ন হতে হবে। আসুন আমরা একটি জলবায়ু সহনশীল বিশ্ব তৈরি করতে একসঙ্গে কাজ করি। তিনি জলবায়ু সমৃদ্ধির জন্য উদ্ভাবনী অর্থায়নের উৎস খুঁজতে অর্থমন্ত্রী, উন্নয়ন অংশীদার, আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং বহুপক্ষীয় উন্নয়ন ব্যাংকগুলোর প্রতি আহবান জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, মূলত গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমণের কারণেই জলবায়ু পরিবর্তনের বিপর্যয়মূলক প্রভাব বিশ্বজুড়ে প্রকটভাবে দৃশ্যমান। আমাদের এবং আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মের বেঁচে থাকার জন্য অবশ্যই জলবায়ু বিপর্যয় ঠেকাতে হবে। সিভিএফের সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, সিভিএফ-ভি২০ গ্রুপের ৪৮ সদস্য রাষ্ট্রের মাধ্যমে বৈশ্বিক নিঃসরণের মাত্র ৫শতাংশ নির্গত হয়। কিন্তু এসব দেশের মানুষরাই মনুষ্যসৃষ্ট এই দুর্যোগে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত।
পানিতে ডুবে ১৮ মাসে ১৪০২ মৃত্যু, ৮৩ শতাংশই শিশু
২০২০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২১ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত ৮৭৫টি ঘটনায় সারাদেশে ১১৬৪ শিশুসহ মোট ১৪০২ জন ব্যক্তি পানিতে ডুবে মারা যায়। মৃতদের ৮৩ শতাংশই শিশু।
গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটরের (জিএইচএআই) সহযোগিতায় জাতীয় পর্যায়ের গণমাধ্যম ও স্থানীয় পর্যায়ের অনলাইন নিউজ পোর্টালে প্রকাশিত ঘটনা থেকে পানিতে ডুবে মৃত্যুর এসব তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ বন্যার পানিতে পড়ে দেড় বছরের শিশুর মৃত্যু
এই সময়ে পানিতে ডুবে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু ঘটনা ঘটে ঢাকা বিভাগে ৩২২ জন। সবচেয়ে কম মৃত্যু ছিল সিলেট বিভাগে ৬৮ জন।
নেত্রকোনা জেলায় গত ১৮ মাসে সবচেয়ে বেশি মানুষ পানিতে ডুবে মারা যায় ৬৬ জন। তবে বান্দরবান, শরীয়তপুর ও নড়াইল এ তিনটি জেলায় কারো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুনঃ কুড়িগ্রামে বন্যার পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
প্রতিবেদন অনুযায়ী, চার বছর বা কম বয়সী ৫১৪ জন, ৫ থেকে ৯ বছর বয়সী ৪৪৮ জন, ৯-১৪ বছরের ১৫৭ জন এবং ১৫-১৮ বছরের ৪৫ জন। ২৩৮ জনের বয়স ১৮ বছরের বেশি।
একাধিক স্বজন হারিয়েছে ৯৭টি পরিবার।
এ সময়ে ৯৭টি পরিবারের ২৩৮ জন সদস্য পানিতে ডুবে মারা যায়।
আরও পড়ুনঃ কুড়িগ্রামে বন্যার পানিতে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু
পানিতে ডুবে নিহতদের মধ্যে ৫০৬ জন নারী। এদের মধ্যে কন্যা শিশু ৪৫০ জন। পুরুষ মারা যায় ৮৯০ জন, যাদের মধ্যে ৭০৮ জন শিশু।
গত ১৮ মাসে ২০২০ সালের জুন থেকে অক্টোবর মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ সংখ্যক ৫৭৭ জন মানুষ পানিতে ডুবে মারা যায়। সবচেয়ে বেশি মৃত্যু ঘটে আগস্ট মাসে ১৭১ জন।
গবেষণায় বলা হয় পরিবারের সদস্যদের যথাযথ নজরাদারি না থাকায় সবচেয়ে বেশি সংখ্যক পানিতে ডোবার ঘটনা ঘটে। অধিকাংশ শিশু বড়দের অগোচরে বাড়ি সংলগ্ন পুকুর বা অন্য জলাশয়ে চলে যায় এবং দুর্ঘটনার শিকার হয়।
আরও পড়ুনঃ পুকুরে গোসল করতে নেমে কুষ্টিয়ায় দুই ভাইয়ের মৃত্যু
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ২০১৪ সালের বৈশ্বিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশে ৫ বছরের কম বয়সী শিশুমৃত্যুর ৪৩ শতাংশের কারণ পানিতে ডুবে মারা যাওয়া। যুক্তরাষ্ট্রের ইনস্টিটিউট অফ হেল্থ মেট্রিক্স অ্যান্ড ইভালুয়েশনের (আইএইচএমই) ২০১৭ সালে প্রকাশিত গ্লোবাল বারডেন অব ডিজিজ স্টাডি শীর্ষক প্রতিবেদনে বাংলাদেশে ২০১৭ সালে ১৪ হাজার ২৯ জন মানুষ পানিতে ডুবে মারা যায়। এ রিপোর্ট অনুযায়ী পানিতে ডুবে মৃত্যুর দিক থেকে কমনওয়েলথ দেশসমূহের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান পঞ্চম।
সরকারের সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়নে সমন্বয়ের দায়িত্ব সচিবদের
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড.হাছান মাহমুদ বলেছেন, সরকারের সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়নে সমন্বয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে সচিবদের। দায়িত্বাধীন জেলায় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে সমন্বয় করেই কাজ করছেন তারা।
করোনায় একদিনে আরও ১৯৯ প্রাণহানি, শনাক্ত ১১৬৫১
সারাদেশে করোনায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৯৯ জন প্রাণ হারিয়েছেন, যা একদিনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এর আগে বুধবার আগের ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ২০১ জন। এনিয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ১৫ হাজার ৭৯২ জনে।
বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, একদিনে আরও ১১ হাজার ৬৫১ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এনিয়ে মোট শনাক্ত ৯ লাখ ৮৯ হাজার ২১৯ জনে দাঁড়িয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩৬ হাজার ৮৫০টি। শনাক্তের হার ৩১.৬২ শতাংশ। মৃতদের মধ্যে ১৩৩ জন পুরুষ এবং ৬৬ জন নারী।
আরও পড়ুন: অক্সিজেন ও করোনা রোগীদের শয্যা বাড়াতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশ
নতুন করে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৫ হাজার ৮৪৪ জন। মোট সুস্থ হয়েছেন ৮ লাখ ৫৬ হাজার ৩৪৬ জন। সুস্থতার হার ৮৬.৫৭ শতাংশ। মৃত্যুর হার ১.৬০ শতাংশ।
অক্সিজেন ও করোনা রোগীদের শয্যা বাড়াতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশ
এদিকে, সারাদেশের হাসপাতালে অক্সিজেন সরবরাহ এবং করোনা রোগীদের শয্যা বাড়ানোর জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় (পিএমও)।
বৃহস্পতিবার করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবরোধে জণগনের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় জরুরি করণীয় ও চলমান কার্যক্রম সমন্বয়ের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে সকল বিভাগ ও জেলার সাথে ভিডিও কনফরেন্সিংয়ের মাধ্যমে এই নির্দেশনা দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: কোভিড-১৯: খুলনা বিভাগে একদিনে মৃত্যু ৫১
প্রধানমন্ত্রী মূখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস কোভিড-১৯ এর উপসর্গযুক্ত ব্যক্তিদের অবশ্যই ঘরে থাকার এবং প্রয়োজনে স্থানীয় প্রশাসন কর্তৃক আইসোলেশন নিশ্চিত করার নির্দেশ দেন।
বিশ্ব পরিস্থিতি
বিশ্বব্যাপী প্রতিদিনই মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। যুক্তরাষ্ট্রের জনস্ হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা ৪০ লাখ ৬৪১ জন।
এছাড়া একই সময়ে আক্রান্তের সংখ্যা ১৮ কোটি ৫০ লাখ ১৮ হাজার ৯৩৬ জনে দাঁড়িয়েছে।
এ পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে মোট ৩৩২ কোটি ২০ লাখ ২৮ হাজার ৮২৬ ডোজ করোনার টিকা প্রদান করা হয়েছে।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ আমেরিকায় এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা ৩ কোটি ৩৭ লাখ ৬৯ হাজার ৮২৯ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে ৬ লাখ ৬ হাজার ২১৫ জন।
আরও পড়ুন: বিশ্বে করোনায় মোট মৃত্যু ৪০ লাখ ছাড়াল
দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ২৮ হাজার ৫৪০ জনে। দেশটিতে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ১ কোটি ৮৯ লাখ ৯ হাজার ৩৭ জন। মৃত্যুর দিক দিয়ে দেশটির অবস্থান দ্বিতীয়।
এদিকে বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশ ভারতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩ কোটি ৬ লাখ ৬৩ হাজার ৬৬৫ জন। একই সময়ে মৃত্যু সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৪ হাজার ২১১ জনে।
নতুন ৩৬ ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে
গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ৩৬ ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। বুধবার সকাল ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত এসব রোগী দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম এ তথ্য জানিয়েছে।
আরও পড়ুনঃ একদিনে ৩৯ ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি
এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে বর্তমানে ১৫১ জন রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। তাদের মধ্যে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে ১৪৯ এবং ঢাকার বাইরে দুজন ভর্তি আছেন বলে কন্ট্রোল রুম থেকে জানানো হয়েছে।
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, নতুন বছরে এখন পর্যন্ত ৬০১ জন ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। অন্যদিকে, চিকিৎসা শেষে ৪৫০ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। তাদের মধ্যে কেউ এখনও মারা যাননি।
আরও পড়ুনঃ ডেঙ্গু: ২৪ ঘণ্টায় ৩১ নতুন রোগী হাসাপাতালে
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২০ সালে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে (আইইডিসিআর) ডেঙ্গু সন্দেহে ১২টি মৃত্যুর তথ্য পাঠানো হয়েছে। আইইডিসিআর ৯টি ঘটনার পর্যালোচনা সমাপ্ত করে সাতটি মৃত্যু ডেঙ্গুজনিত বলে নিশ্চিত করেছে।
২০১৯ সালে দেশে ডেঙ্গুর ভয়াবহ প্রাদুর্ভাব দেখা দেয় এবং সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে মশাবাহিত এ রোগে তখন ১৭৯ জন মারা যান।
ডেঙ্গু জ্বর
ডেঙ্গু জ্বরের উৎপত্তি ডেঙ্গু ভাইরাস দ্বারা এবং এই ভাইরাস বাহিত এডিস ইজিপ্টাই নামক মশার কামড়ে। স্বল্প ক্ষেত্রে অসুখটি প্রাণঘাতী ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভারে পরিণত হয়। যার ফলে রক্তপাত, রক্ত অনুচক্রিকার কম মাত্রা এবং রক্ত প্লাজমার নিঃসরণ অথবা ডেঙ্গু শক সিনড্রোমে রূপ নেয়। যেখানে রক্তচাপ বিপজ্জনক মাত্রায় কম থাকে।
আরও পড়ুনঃ ডেঙ্গু আক্রান্ত নতুন ২১ রোগী হাসপাতালে ভর্তি
ডেঙ্গু ছড়ায় এডিস মশার কারণে। ডেঙ্গু জ্বরের জীবাণুবাহী মশা কোনো ব্যক্তিকে কামড়ালে সেই ব্যক্তি চার থেকে ছয় দিনের মধ্যে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হন। এবার এ আক্রান্ত ব্যক্তিকে কোনো জীবাণুবিহীন এডিস মশা কামড়ালে সেই মশাটিও ডেঙ্গু জ্বরের জীবাণুবাহী মশায় পরিণত হয়। এভাবে একজন থেকে অন্যজনে মশার মাধ্যমে ডেঙ্গু ছড়িয়ে থাকে।
ডেঙ্গুতে সাধারণত তীব্র জ্বর এবং সেই সাথে শরীরে প্রচণ্ড ব্যথা হয়। জ্বর ১০৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত হয়। শরীরে বিশেষ করে হাড়, কোমর, পিঠসহ অস্থিসন্ধি ও মাংসপেশিতে তীব্র ব্যথা হয়। এ ছাড়া মাথাব্যথা ও চোখের পেছনে ব্যথা হয়। গায়ে রেশ হতে পারে। এর সাথে বমি বমি ভাব হতে পারে।
ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধ
ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধের মূল মন্ত্রই হল এডিস মশার বিস্তার রোধ এবং এই মশা যেন কামড়াতে না পারে, তার ব্যবস্থা করা। বাড়ির আশপাশের ঝোপঝাড়, জঙ্গল, জলাশয় ইত্যাদি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। যেহেতু এডিস মশা মূলত এমন বস্তুর মধ্যে ডিম পাড়ে যেখানে স্বচ্ছ পানি জমে থাকে, তাই ফুলদানি, ডাবের খোসা, পরিত্যক্ত টায়ার ইত্যাদি সরিয়ে ফেলতে হবে। ব্যবহৃত জিনিস যেমন মুখ খোলা পানির ট্যাংক, ফুলের টব ইত্যাদিতে যেন পানি জমে না থাকে, সে ব্যবস্থা করতে হবে।
এডিস মশা সাধারণত সকাল ও সন্ধ্যায় কামড়ায়। তবে অন্য সময়ও কামড়াতে পারে। তাই দিনে ঘরের চারদিকে দরজা জানালায় নেট লাগাতে হবে। দিনে ঘুমালে মশারি টাঙিয়ে অথবা কয়েল জ্বালিয়ে ঘুমাতে হবে।
অক্সিজেন ও করোনা রোগীদের শয্যা বাড়াতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশ
সারাদেশের হাসপাতালে অক্সিজেন সরবরাহ এবং করোনা রোগীদের শয্যা বাড়ানোর জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় (পিএমও)।
বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) সারাদেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবরোধে জণগনের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় জরুরি করণীয় ও চলমান কার্যক্রম সমন্বয়ের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে সকল বিভাগ ও জেলার সাথে ভিডিও কনফরেন্সিংয়ের মাধ্যমে এই নির্দেশনা দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: কোভিড-১৯: খুলনা বিভাগে একদিনে মৃত্যু ৫১
প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস কোভিড -১৯ এর উপসর্গযুক্ত ব্যক্তিদের অবশ্যই ঘরে থাকার এবং প্রয়োজনে স্থানীয় প্রশাসন কর্তৃক আইসোলেশন নিশ্চিত করার নির্দেশ দেন।
ড. আহমদ কায়কাউস সভার সভাপতিত্ব করেন।
আরও পড়ুন: রাজশাহী মেডিকেলে করোনায় আরও ১৮ মৃত্যু
স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়া এবং প্রধানমন্ত্রীর সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জে করোনায় প্রাণ গেল ২ জনের, শনাক্ত ৬৭
তামাকবিরোধী সাংবাদিকতায় ফেলোশিপ পেলেন ৪ গণমাধ্যমকর্মী
বাংলাদেশে তামাকবিরোধী সাংবাদিকতায় ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের ফেলোশিপ পেলেন চার গণমাধ্যমকর্মী।
ফেলোপিশপ প্রাপ্ত সাংবাদিকরা হলেন, মাসুদ রুমী (কালের কণ্ঠ), ডলার মেহেদী (৭১ টিভি), জান্নাতুল ফেরদৌস পান্না (আমাদের নতুন সময়) এবং মো. আখতারুজ্জামান (আমাদের অর্থনীতি)।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জে সেরা সাংবাদিকের পুরস্কার পেলেন মিহির
বুধবার এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের পক্ষ থেকে ফেলোশিপ প্রাপ্ত চারজন গণমাধ্যমকর্মীর নাম ঘোষণা করা হয়। ‘ক্যাম্পেইন ফর টোবাকো ফ্রি কিডস বাংলাদেশের’ লিড পলিসি অ্যাডভাইজার মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে সাংবাদিক ফেলোশিপের বিজয়ী ঘোষণা এবং পুরষ্কার প্রদানের ভার্চুয়াল এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মকবুল হোসেন ও বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য ও ওয়াশ সেক্টরের পরিচালক ইকবাল মাসুদ। এছাড়া অতিথি হিসেবে ফেলোশিপ প্রাপ্তদের অভিনন্দন জানিয়ে বক্তব্য রাখেন ইকোনমিক রিপোর্টাস ফোরামের সাধারণ সম্পাদক এসএম রাশেদুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: অসুস্থ ইউএনবির সাংবাদিক বিষ্ণু প্রসাদের খোঁজ নিতে গেলেন বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক
ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের মিডিয়া ম্যানেজার রেজাউর রহমান রিজভীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে ফেলোশিপের ওপর বিশেষ প্রেজেন্টশন উপস্থাপন করেন তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের সমন্বয়ক মোঃ শরিফুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে ফেলোশিপ প্রাপ্ত চার গণমাধ্যমকর্মী ছাড়াও অংশগ্রহণকারী অন্যান্য গণমাধ্যমকর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন।