২০২০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২১ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত ৮৭৫টি ঘটনায় সারাদেশে ১১৬৪ শিশুসহ মোট ১৪০২ জন ব্যক্তি পানিতে ডুবে মারা যায়। মৃতদের ৮৩ শতাংশই শিশু।
গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটরের (জিএইচএআই) সহযোগিতায় জাতীয় পর্যায়ের গণমাধ্যম ও স্থানীয় পর্যায়ের অনলাইন নিউজ পোর্টালে প্রকাশিত ঘটনা থেকে পানিতে ডুবে মৃত্যুর এসব তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ বন্যার পানিতে পড়ে দেড় বছরের শিশুর মৃত্যু
এই সময়ে পানিতে ডুবে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু ঘটনা ঘটে ঢাকা বিভাগে ৩২২ জন। সবচেয়ে কম মৃত্যু ছিল সিলেট বিভাগে ৬৮ জন।
নেত্রকোনা জেলায় গত ১৮ মাসে সবচেয়ে বেশি মানুষ পানিতে ডুবে মারা যায় ৬৬ জন। তবে বান্দরবান, শরীয়তপুর ও নড়াইল এ তিনটি জেলায় কারো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুনঃ কুড়িগ্রামে বন্যার পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
প্রতিবেদন অনুযায়ী, চার বছর বা কম বয়সী ৫১৪ জন, ৫ থেকে ৯ বছর বয়সী ৪৪৮ জন, ৯-১৪ বছরের ১৫৭ জন এবং ১৫-১৮ বছরের ৪৫ জন। ২৩৮ জনের বয়স ১৮ বছরের বেশি।
একাধিক স্বজন হারিয়েছে ৯৭টি পরিবার।
এ সময়ে ৯৭টি পরিবারের ২৩৮ জন সদস্য পানিতে ডুবে মারা যায়।
আরও পড়ুনঃ কুড়িগ্রামে বন্যার পানিতে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু
পানিতে ডুবে নিহতদের মধ্যে ৫০৬ জন নারী। এদের মধ্যে কন্যা শিশু ৪৫০ জন। পুরুষ মারা যায় ৮৯০ জন, যাদের মধ্যে ৭০৮ জন শিশু।
গত ১৮ মাসে ২০২০ সালের জুন থেকে অক্টোবর মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ সংখ্যক ৫৭৭ জন মানুষ পানিতে ডুবে মারা যায়। সবচেয়ে বেশি মৃত্যু ঘটে আগস্ট মাসে ১৭১ জন।
গবেষণায় বলা হয় পরিবারের সদস্যদের যথাযথ নজরাদারি না থাকায় সবচেয়ে বেশি সংখ্যক পানিতে ডোবার ঘটনা ঘটে। অধিকাংশ শিশু বড়দের অগোচরে বাড়ি সংলগ্ন পুকুর বা অন্য জলাশয়ে চলে যায় এবং দুর্ঘটনার শিকার হয়।
আরও পড়ুনঃ পুকুরে গোসল করতে নেমে কুষ্টিয়ায় দুই ভাইয়ের মৃত্যু
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ২০১৪ সালের বৈশ্বিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশে ৫ বছরের কম বয়সী শিশুমৃত্যুর ৪৩ শতাংশের কারণ পানিতে ডুবে মারা যাওয়া। যুক্তরাষ্ট্রের ইনস্টিটিউট অফ হেল্থ মেট্রিক্স অ্যান্ড ইভালুয়েশনের (আইএইচএমই) ২০১৭ সালে প্রকাশিত গ্লোবাল বারডেন অব ডিজিজ স্টাডি শীর্ষক প্রতিবেদনে বাংলাদেশে ২০১৭ সালে ১৪ হাজার ২৯ জন মানুষ পানিতে ডুবে মারা যায়। এ রিপোর্ট অনুযায়ী পানিতে ডুবে মৃত্যুর দিক থেকে কমনওয়েলথ দেশসমূহের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান পঞ্চম।