রাজনীতি
গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে বিএনপির ৩ দিনের কর্মসূচি
নতুন করে গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে মঙ্গলবার তিন দিনের বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি।
দলটি অবিলম্বে গ্যাসের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম কমানোর পদক্ষেপ নেয়ার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছে।
কর্মসূচির অংশ হিসেবে আগামী ৯ জুন ঢাকা মহানগরসহ সকল মহানগর এবং ১১ জুন জেলা সদরে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করবে।
এছাড়া ১৩ জুন উপজেলা পর্যায়ে প্রতিবাদ সমাবেশ পালন করবে।
গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কর্মসূচির ঘোষণা দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, গ্যাসসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে এবং মূল্য হ্রাসের দাবিতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সভায় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। দলের সব অঙ্গসংগঠনগুলোও এই কর্মসূচি পালন করবে।
ফখরুল বলেন, নতুন গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রভাবে নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পণ্যের দাম এখন আরও বাড়বে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, রান্নার চুলার গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি, সার কারখানা ও শিল্প কারখানায় ব্যবহৃত গ্যাসের দাম বৃদ্ধি, বিদ্যুৎকেন্দ্রে সরবরাহ করা গ্যাস কৃষি ও শিল্প উৎপাদনের পাশাপাশি বিদ্যুৎ সরবরাহে ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি পাবে।
তিনি বলেন, ‘প্রতিটি পণ্যের দাম আরও বাড়বে। জনগণের পক্ষে এই খরচ বহন করা কোনোভাবেই সম্ভব হবে না। স্থায়ী কমিটির বৈঠকে গ্যাসের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত অবিলম্বে প্রত্যাহার করে আগের দামে ফিরে আসার দাবি জানানো হয়েছে।’
এর আগে রবিবার দেশে খুচরা গ্রাহক পর্যায়ে গ্যাসের দাম গড়ে ২২ দশমিক ৭৮ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে এবং নতুন দাম ১ জুন থেকে কার্যকর হবে।
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবু ফারুক এক ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে কমিশনের এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।
ঘোষণা অনুযায়ী, গ্যাসের দাম গড়ে ঘনমিটার প্রতি ৯ দশমিক ৭০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১১ দশমিক ৯১ টাকা করা হয়েছে।
সিএনজি (কম্প্রেসড ন্যাচারাল গ্যাস) ব্যবহারকারী ছাড়া অন্য সব গ্রাহককে প্রাকৃতিক গ্যাসের জন্য বেশি মূল্য দিতে হবে।
পড়ুন: গ্যাসের দাম গড়ে প্রায় ২৩ শতাংশ বাড়ল
সীতাকুণ্ডে অগ্নিকাণ্ডের নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি বিএনপির
সীতাকুণ্ডে বিএম কন্টেইনার ডিপোতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দায়ীদের চিহ্নিত করতে সরকারের কাছে একটি নিরপেক্ষ তদন্ত কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি ঘটনাটি খতিয়ে দেখতে এবং এর জন্য যারা দায়ী তাদের খুঁজে বের করার জন্য অবিলম্বে একটি স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠন করা উচিত।’
সোমবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ফখরুল এসব কথা বলেন।
অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের পরিবারকে পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ এবং আহতদের যথাযথ চিকিৎসা নিশ্চিত করতে সরকারের কাছে দাবি জানান তিনি।
একই সঙ্গে দেশের সব কন্টেইনার ডিপোতে ‘নজরদারি ব্যবস্থা’ চালু করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান বিএনপি নেতা।
এক প্রশ্নের জবাবে ফখরুল বলেন, আমরা অবাধ ও নিরপেক্ষ তদন্ত চাই।
পড়ুন: সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণে মৃতের সংখ্যা ৪১: প্রশাসন
সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই সরকার জনগণের কল্যাণে কিছু করে না, তাদের নিরাপত্তার কথাও ভাবে না।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের মূল লক্ষ্য হচ্ছে ‘তথাকথিত অবকাঠামো নির্মাণের নামে নিজেদের পকেট ভারি করা এবং দুর্নীতি করা।’
চট্টগ্রাম অগ্নিকাণ্ডের পর দেশের পোশাক খাত ও অর্থনীতিতে কী প্রভাব পড়েছে-এমন প্রশ্নের জবাবে বিএনপি নেতা বলেন, ‘অবশ্যই এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।’
তাজরীন কারখানায় অগ্নিকাণ্ড ও রানা প্লাজা ধসের পর দেশের পোশাক খাতের অবস্থা ভালো ছিল না। ক্রেতা ও পোশাক উৎপাদনকারী ও মালিকদের অব্যাহত প্রচেষ্টায় সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পরিস্থিতির উন্নতি হলেও নিরাপত্তার বিষয়টি উপেক্ষিতই থেকে গেছে বলে জানান তিনি।
এর জন্য সরকারকে দায়ী করেন ফখরুল।
তিনি বলেন, চট্টগ্রামে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর সরকারের উচিত ‘জাতীয় শোক দিবস’ ঘোষণা করা।
আওয়ামী লীগ এখন লুটপাট, দুর্নীতি ও অর্থপাচারে লিপ্ত। তারা শুধু জনগণের আশা নষ্ট করছে, পদ্মা সেতু ছাড়া আর কিছুই নেই।
এদিকে, সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়িতে ভয়াবহ আগুন ও কন্টেইনার বিস্ফোরণে মৃতের সংখ্যা ৫০ নয় ৪১ বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন।
বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা থাকায় মারা যাওয়া ব্যাক্তিদের একজনকে একাধিকবার গণনায় আনার ফলে ভুল হয়েছে বলে জানান জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান।
তিনি বলেন, ‘একই মরদেহ দুবার কাউন্ট হয়েছে। পরে সবগুলো মরদেহ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে আসার পর প্রকৃত সংখ্যা ৪১ জন পাওয়া গেছে। গণনার ভুলে লাশের সংখ্যা বেড়ে গেছে। মূলত এখন পর্যন্ত ৪১টি মরদেহ পাওয়া গেছে।’
পড়ুন: পদ্মা সেতু উদ্বোধনের আনন্দ ম্লান করতে নাশকতা কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে: তথ্যমন্ত্রী
পদ্মা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর নিয়ে বিএনপি মিথ্যাচার করছে: ওবায়দুল কাদের
পদ্মা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর বেগম জিয়া করেছেন, বিএনপি মহাসচিব স্বপ্নে দেখেই এমন কাল্পনিক বক্তব্য দিয়েছেন বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপি নেতারা ইদানীং এমন অনেক দিবাস্বপ্ন দেখছেন, এটিও সেই দিবাস্বপ্নেরই অংশ।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সোমবার সকালে তাঁর বাসভবনে বিএনপি নেতাদের এমন কাল্পনিক বক্তব্যের জবাবে এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, পদ্মা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর নিয়ে ফখরুল সাহেবের এ বক্তব্য বছরের সেরা আবিষ্কার।
মিথ্যাচার বিএনপির ধর্ম এটা সবাই জানে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, তবে দিনে দুপুরে নির্জলা মিথ্যাচারের একটি নতুন রেকর্ড।
মাওয়া ও পদ্মার অপরপ্রান্তে ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করেছেন বেগম জিয়া, মির্জা ফখরুলের এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তাঁর কাছে জানতে চেয়ে বলেন, কবে, কখন এ ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন? নব আবিস্কৃত সেই ভিত্তিপ্রস্তরের ছবি দেখতে চাই।
ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রকৃতপক্ষে দেশরত্ন শেখ হাসিনাই ২০০১ সালের ৪ জুলাই পদ্মা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন, যা ইতিহাসের অংশ।
তখনকার গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত এবং এই সেতুর ভিত্তিপ্রস্তরের ছবিও পত্র- পত্রিকায় প্রকাশিত হয়,যা এখনো সংগৃহিত আছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি নেতারা যা বলছেন তাতে মনে হয় কয়েকদিন পরে হয়তো বলবেন পদ্মা সেতু জিয়াউর রহমানের স্বপ্ন।
তিনি বলেন, বিএনপির কাজই হলো গোয়েবলসীয় কায়দায় নিরেট মিথ্যাচারকে বারবার উচ্চারণ করে সত্যে রূপদানের অপচেষ্টা মাত্র।
পদ্মা সেতু নিয়ে বিএনপির অতীত ষড়যন্ত্র অব্যাহত মিথ্যাচার এবং গুজব এ সেতুর নির্মাণকে কোনভাবেই বন্ধ করতে পারেনি জানিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, পদ্মার বুকে দেশরত্ন শেখ হাসিনার সাহসী নিজস্ব অর্থায়নে গৌরবের এবং সক্ষমতার সেতু নির্মিত হওয়ায় বিএনপি নেতারা অন্তর্দহনে দগ্ধ হচ্ছেন।
বিএনপি নিজেরা তো কিছুই করেইনি এখন দেশের উন্নয়নে তাদের গাত্রদাহ হয় দাবি করে সেতুমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতুকে ঘিরে তাদের নানান অপপ্রচারের সাথে এখন যুক্ত হলো বেগম জিয়ার ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধনের রূপকথার গল্প।
তিনি বলেন, এ গল্প সত্যের অপলাপ ছাড়া আর কিছু নয়।
পড়ুন: পদ্মা সেতু: উদ্বোধনের অপেক্ষায় খুলনাবাসী
পদ্মা সেতু উদ্বোধনের সময় খালেদা জিয়াকে দাওয়াত দিতে আইনি বাধা নেই: আইনমন্ত্রী
সীতাকুণ্ডে অগ্নিকাণ্ড ভঙ্গুর রাষ্ট্রব্যবস্থার বহিঃপ্রকাশ: ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড বাংলাদেশের অত্যন্ত ভঙ্গুর রাষ্ট্রব্যবস্থার প্রকাশ করেছে।
তিনি বলেন, ‘সেখানে কোনো নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। আমি এটা ভেবে শঙ্কিত যে, বলা হচ্ছে দেশ সিঙ্গাপুরের মতো আধুনিক হয়ে যাচ্ছে। দেশে মানুষের জীবনের ন্যূনতম নিরাপত্তা নেই। এই সরকার উন্নয়নের নামে চুরি করে টাকা কামাচ্ছে।’
রবিবার ঠাকুরগাঁওয়ে স্থানীয় প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল।
তিনি বলেন, কনটেইনার ডিপোতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেই। ‘আগুন বা অন্য কোনো দুর্ঘটনা রোধ করার জন্য কোন নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেই।’
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৯
মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার আহতদের যথাযথ চিকিৎসা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে। ‘আওয়ামী লীগ সরকার একটি আধুনিক কনটেইনার ডিপো নির্মাণে ব্যর্থ যা দেশের উন্নয়নের জন্য প্রকৃত অর্থে প্রয়োজনীয়।’
শনিবার রাতে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ৪৯ জন নিহত এবং ২০০ জনের বেশি আহত হয়েছেন।
এদিকে রাজধানীতে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে জারি করা এক বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল এ অগ্নিকাণ্ডে ব্যাপক প্রাণহানির ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
তিনি বলেন, এই ‘অবৈধ’ সরকারের সীমাহীন ব্যর্থতায় অগ্নিকাণ্ড ও বিভিন্ন দুর্ঘটনার মতো দুর্যোগ দিন দিন বাড়ছে।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডের বিস্ফোরণ নাশকতা কি না, খতিয়ে দেখা হবে: হাছান মাহমুদ
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘এই সরকারের জনগণের কাছে কোনো জবাবদিহিতা নেই। তাই যতই দুর্ঘটনা ঘটুক, যতই প্রাণহানি ঘটুক না কেন, তারা চোখ বুজে থাকে। তাদের কাছে মানুষের জীবনের কোনো মূল্য নেই।’
তিনি অভিযোগ করে বলেন, প্রতিটি মর্মান্তিক ঘটনার সঙ্গে ক্ষমতাসীন দলের লোকজনই কোনো না কোনোভাবে জড়িত। ‘সরকার যদি সঠিকভাবে ঘটনার তদন্ত করে শুরু থেকেই অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনতো তাহলে এমন ঘটনা বারবার ঘটতো না।’
পদ্মা সেতু উদ্বোধনের সময় খালেদা জিয়াকে দাওয়াত দিতে আইনি বাধা নেই: আইনমন্ত্রী
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে পদ্মা সেতু উদ্বোধনের সময় দাওয়াত দিতে আইনি কোন বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক।
তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়ার ব্যাপারে দুটি শর্ত আছে, তা হলো তিনি বাংলাদেশের ভিতরে চিকিৎসা গ্রহণ করবেন আর বিদেশে যেতে পারবেন না। সে কারণে পদ্মা সেতু উদ্বোধনের সময় তাকে দাওয়াত দিতে আইনি কোন বাধা নেই।’
রবিবার ঢাকায় বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট/চিফ মেট্রোপলিটান ম্যাজিস্ট্রেটগণের জন্য আয়োজিত ১৪৬তম রিফ্রেসার কোর্সের উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, সরকার খালেদা জিয়াকে পদ্মা সেতু উদ্বোধনের সময় দাওয়াত দেবে। এ বিষয়ে আইনি কোন বাধা নেই বলে তিনি সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীকে আজ সকালে জানিয়েছেন।
পড়ুন: পরীক্ষামূলক বাতি জ্বললো পদ্মা সেতুতে
আনিসুল হক বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার বিদ্বেষের বশীভূত হয়ে কারও প্রতি কোন ‘একশন’ নেন না। ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে খালেদা জিয়া ও তার পুত্রদ্বয়ের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা দেয়া হয়েছিল। সেগুলো দুদকের তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সম্পন্ন হয়েছে। তারা যদি এটা বলে যে, আওয়ামী লীগ সরকার এই মামলাগুলো করেছে, তাহলে আমার মনে হয় যে, তারা শুধুশুধু জনগণ যেটা বিশ্বাস করে তাদের দুর্নীতির ব্যাপারে, সেটাকে অন্যদিকে প্রবাহিত করার জন্য আওয়ীমী লীগ সরকারকে দোষারোপ করছে। তাদের দোষারোপ করাটা ভিত্তিহীন।
তিনি বলেন, দুদক একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান। ২০০৪ সালের আইনের পরে ২০০৬ সাল পর্যন্ত দুদককে চেয়ার টেবিলও দেয়নি বিএনপি সরকার। ২০০৭ সালে এটাকে প্রকৃত কার্যকর করা হয়েছে।
বিচার বিভাগের বাজেট বাড়ানো প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যুক্তিসংগত যে কোন প্রয়োজনে অর্থ দিতে অর্থ মন্ত্রণালয় কার্পণ্য করবে না। জাতীয় বাজেটে আইন মন্ত্রণালয়কে যে টাকা দেয়া হয় তা আগে কোন সরকার দেয়নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারই প্রথম বিচারকদের প্রশিক্ষণের জন্য অর্থ বরাদ্দ দিয়েছে। সুপ্রিম কোর্টে ই-জুডিসিয়ারি প্রকল্পের একটি অংশ বাস্তবায়নের জন্য ২১৭ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। এটা আইন মন্ত্রণালয়ের নামে বরাদ্দকৃত মূল বাজেটের বাইরে।
এর আগে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, বাক স্বাধীনতা ও সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা বন্ধ করার জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করা হয়নি। সাইবার ক্রাইম প্রতিরোধ করার জন্য এই আইন করা হয়েছে।
বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার, কোর্স পরিচালক মীর মো. এমতাজুল হক বক্তব্য দেন।
পড়ুন: পদ্মা সেতুর উদ্বোধন: হাতিরঝিলে লেজার শো, ৬৪ জেলায় উদযাপন
অস্তিত্বহীন দলের সঙ্গে বৈঠক বিএনপির রাজনৈতিক দেউলিয়াত্ব: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি ইদানিং যে সমস্ত দলের সঙ্গে বৈঠক করছে, বাস্তবে তাদের কোনো অস্তিত্ব নেই। এতে তারা সংবাদ পরিবেশন করছে মাত্র আর এর ফলে বিএনপির রাজনৈতিক দেউলিয়াত্বই প্রকাশ পাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল সাহেব দেশে পণ্যের মূল্য নিয়ে কথা বলছেন। অপরদিকে সাত সমুদ্র তেরো নদীর ওপার থেকে তাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ব্যবসায়ীদের ফোন করে পণ্য মজুদ করো, দাম বাড়াও, দেশে পণ্যের সঙ্কট সৃষ্টি করো বলে নির্দেশনা দিচ্ছেন। তাদের ঘরানার ব্যবসায়ীরাসহ অন্যান্য কিছু ব্যবসায়ীও এই বার্তা পেয়ে উৎসাহিত হচ্ছে।’
শুক্রবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে চট্টগ্রাম উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী মহিলা লীগ আয়োজিত ‘আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে মানববন্ধনে’ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপির মুখে অর্থ পাচার নিয়ে কথা মানায় না: তথ্যমন্ত্রী
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘দেশে নানা ধরণের পার্টি আছে। রাতের বেলা মানুষ গুম করে এমন একটা পার্টি, মরিচের গুঁড়া মারে সেটা একটা পার্টি, রাতের বেলা মলম মেখে দেয় সেটাও একটা পার্টি। সভাপতি থাকলে সেক্রেটারি নেই সেধরণের পার্টিও আছে। প্রতিদিন বিএনপি যেসব দলের সঙ্গে বৈঠক করছে, সেসব দল যে দেশে আছে, তা এসব বৈঠকের পরই মানুষ জানতে পারে।’
‘বিএনপি নাকি ডান-বাম সবার ঐক্য প্রতিষ্ঠা করবে’- মন্তব্য করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে তারা ডান-বাম-অতিডান-অতিবাম সবার ঐক্য করেছিলেন। ঐক্যবদ্ধ নির্বাচনও করেছিলেন। ফলাফল বিএনপির ঘরে মাত্র পাঁচটি আসন। সুতরাং এইবারও সর্বোচ্চ সংখ্যক দলের সঙ্গে মিটিং করেও গতবারের চেয়ে বেশি ভালো ফল হবে বলে জনগণ মনে করে না।’
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান বলেন, ‘নানা বিভ্রান্তি ছড়িয়ে বিএনপির ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে, কিন্তু নির্বাচন পর্যন্ত আমরা মাঠে থাকবো। যদি তারা আবার বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালায় তাহলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে কঠোর হস্তে তাদের প্রতিহত করবো। গণমানুষ ও খেটে খাওয়া মানুষের দল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা রাজপথে সব সময় ছিল, আছে। ঢাক ও চট্টগ্রামে আমাদের আওয়ামী মহিলা লীগ ও যুব মহিলা লীগের কর্মীরা মাঠে নেমেছে। বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীদের প্রতিহত করার জন্য আমাদের নারী কর্মীরাই যথেষ্ট।’
চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী মহিলা লীগের সভাপতি দিলওয়ারা ইউসুফের সভাপতিত্বে ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীমা হারুন লুবনার সঞ্চালনায় মানব বন্ধনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এম এ সালাম, সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান, দক্ষিণ জেলার সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান প্রমুখ।
আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কার মতো বিএনপি নেতারা আগেই পালিয়ে গেছেন: তথ্যমন্ত্রী
পদ্মা সেতু হওয়ার পর ড. ইউনুসদের মুখে কথা নেই: তথ্যমন্ত্রী
মূল্যবৃদ্ধি: আ.লীগকে ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ থেকে শিক্ষা নিতে বলল বিএনপি
খাদ্যশস্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দামের ঊর্ধ্বগতির মধ্যে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ক্ষমতাসীন দলকে ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ থেকে শিক্ষা নিয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে বলেছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি ওবায়দুল কাদের সাহেবকে (আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক) সতর্ক করতে চাই, আপনারা ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেন না। ১৯৭৪ সালে খাদ্যশস্যের দাম বাড়লে দুর্ভিক্ষ হয়েছিল।’
জিয়াউর রহমানের ৪১তম মৃত্যুবার্ষিকী ও জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) প্রতিষ্ঠাতা শফিউল আলম প্রধানের পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে শুক্রবার দলটি জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এ আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: কৃত্রিম সংকট তৈরি করে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ানো হচ্ছে: বিএনপি
বিএনপির এই নেতা বলেন, এখন আবার খাদ্যশস্যের দাম বাড়ছে এবং জনগণকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘এই সময়ে আপনি দেয়ালের লেখা পড়ছেন না এবং প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিচ্ছেন না। এখন এসব পরস্পর বিরোধী কথা বলার এবং অপ্রত্যাশিত মন্তব্য করার কোন মানে নেই।’
সম্ভাব্য জনরোষ এড়াতে সরকারকে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফিরে গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টির আহ্বান জানান ফখরুল। তিনি বলেন, ‘জনগকে কথা বলতে দিন এবং তাদের অধিকার প্রয়োগ করতে দিন। অন্যথায় আপনাদের এর পরিণতি ভোগ করতে হবে। আপনারা আমাদের ভয়ানক পরিণতির হুমকি দিচ্ছেন, কিন্তু আপনারা অতীতে এমন পরিণতি দেখেছেন।’
আরও পড়ুন: জনকল্যাণকর রাজনীতির পথে ফিরে আসুন: বিএনপিকে কাদের
জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দেয়া, হত্যা, গুম ও মিথ্যা মামলা দায়ের বন্ধ এবং বেগম খালেদা জিয়াকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘অন্যথায় আপনারা কখনই স্বস্তি পাবেন না... আমরা জানি তারা (আ.লীগ) এতে কর্ণপাত করবে না এবং সে কারণেই তাদের পতন অনিবার্য।’
কৃত্রিম সংকট তৈরি করে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ানো হচ্ছে: বিএনপি
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করে বলেছেন, কৃত্রিম সংকট তৈরি করে চাল ও বিভিন্ন নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে দেয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকারের সমস্যা হল তারা সবকিছুর মধ্যেই একটা অবৈধ মুনাফা চায়। জনগণের সবচেয়ে প্রয়োজন যে খাদ্য, সেই খাদ্যকেও জিম্মি করে তারা মুনাফা লুটতে চায়।’
বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হাসপাতালে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশ যে দুর্ভিক্ষের সম্মুখীন হয়েছিল তা খাদ্য সংকট নয়, দুঃশাসন ও দুর্নীতির কারণে হয়েছিল। একইভাবে তারা এখন মানুষের অনেক প্রয়োজনীয় খাদ্যশস্য মজুদ করছে। তারা বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম বাড়াচ্ছে।
আরও পড়ুন: আ’লীগের লুটেরাদের কারসাজিতে চালের দাম বাড়ছে: বিএনপি
২৪ মে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের হামলায় গুরুতর আহত জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি রাশেদ ইকবাল খান, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু আফসান মোহাম্মদ ইয়াহিয়া এবং ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার নেতা শাহাবুদ্দিন শিহাবকে দেখতে রাজধানীর বাসাবো এলাকার হেলথ এইড ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড হাসপাতালে যান ফখরুল।
তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, চালের পাশাপাশি গম, আটা, দুধ ও রুটির দাম বেড়েছে।
বিএনপি নেতা বলেন, আমাদের গরীব মানুষ কি করবে? রিকশাচালকদের অধিকাংশই ফুটপাতের দোকান থেকে একটি কলা ও রুটি খায়। সেই রুটির দাম বেড়েছে দ্বিগুণ। চালের দাম কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়েছে।
আরও পড়ুন: ভয়-ভীতি আমাদের দমন করতে পারবে না: ফখরুল
তিনি বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় ও খাদ্যদ্রব্যের দাম বাড়ানোর ক্ষেত্রে সরকার নিজেই সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করছে। এর পিছনে রয়েছে তাদের অশুভ কৌশল।
ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের ভালোবাসায় নয়, সন্ত্রাসের আশ্রয় নিয়ে ক্ষমতায় থাকতে চায়। এটাই তাদের মৌলিক চরিত্র।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ক্ষমতাসীন দল এখন তাদের অধীনে আগামী নির্বাচন করে ক্ষমতা আঁকড়ে ধরার চেষ্টা করছে, মানুষকে আতঙ্কিত ও ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। বাংলাদেশের জনগণ এবার তাদের সুযোগ দেবে না।
আরও পড়ুন: অর্থপাচারকারীদের জন্য সরকারের দায়মুক্তির পরিকল্পনার সমালোচনা বিএনপির
আ’লীগের লুটেরাদের কারসাজিতে চালের দাম বাড়ছে: বিএনপি
ক্ষমতাসীন দলের ‘লুটেরাদের কারসাজির’ কারণে ফের চালের দাম বাড়ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘চালের দাম আবার বাড়তে শুরু করেছে। বোরো ধানের ভরা মৌসুমে চালের দাম কমে আসার কথা। কিন্তু আবারও দাম বাড়ছে। তারা কারসাজি করছে।’
বুধবার এক সেমিনারে ফখরুল বলেন, আওয়ামী চোর-লুটেরাদের ষড়যন্ত্রে দাম বাড়ছে। তাদের লক্ষ্য সাধারণ মানুষের পকেট কেটে টাকা নিয়ে যাওয়া।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘বাংলাদেশের কৃষি বিপ্লব: শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়ার নীতি ও কর্মসূচি’ শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী কৃষক দল।
সেমিনারে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক গোলাম হাফিজ কেনেডি কৃষির উন্নয়নে জিয়ার গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
দেশের ইতিহাস থেকে জিয়াউর রহমানের নাম মুছে ফেলার জন্য ক্ষমতাসীন দলের নেতারা প্রায়ই জিয়াউর রহমানকে নিয়ে অশালীন মন্তব্য করে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ফখরুল।
তিনি বলেন, ‘তথ্যমন্ত্রী গতকাল (মঙ্গলবার) বলেছেন, জিয়া একজন বিশ্বাসঘাতক ও খুনি। আমি জানি না তিনি (মন্ত্রী) সেই সময়ে জন্মেছিলেন কি না।’
বিএনপি নেতা আরও বলেন, তথ্যমন্ত্রীর মন্তব্যে তার সংস্কৃতির পরিচয় পাওয়া যায়। আমরা কখনই তাদের নেতাদের অবমূল্যায়ন করি না। জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়া আমাদের এই সংস্কৃতি শিখিয়েছেন।
তিনি অভিযোগ করেন বলেন, ক্ষমতাসীন দলের নেতারা সব সময় বিএনপি ও জাতীয় নেতাদের নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেন। ওবায়দুল কাদের (আ.লীগ সাধারণ সম্পাদক) গতকাল (মঙ্গলবার) যেভাবে হুমকি দিয়েছেন, এটা রাজনীতির ভাষা নয় এবং এটা গণতন্ত্রের ভাষা নয়।
দেশের বর্তমান পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য সারাদেশের কৃষকদের ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলনে নামতে কৃষকদল নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান ফখরুল।
পড়ুন: জনকল্যাণকর রাজনীতির পথে ফিরে আসুন: বিএনপিকে কাদের
গণসংহতি আন্দোলনের সঙ্গে বিএনপির সংলাপ
জনকল্যাণকর রাজনীতির পথে ফিরে আসুন: বিএনপিকে কাদের
অগণতান্ত্রিক পন্থা পরিহার করে জনকল্যাণকর রাজনীতির পথে ফিরে আসতে বিএনপি নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
বুধবার (০১ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র এবং গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে ধ্বংসের অপচেষ্টা না করে নির্বাচনে অংশগ্রহণের প্রস্তুতি নিন। অন্যথায় বরাবরের মতো আবারও জনগণ দ্বারা প্রত্যাখ্যাত হবেন।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, যারা একাধিকবার গণঅভ্যুত্থান ও গণআন্দোলনের মুখে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হয়েছিল তাদের মুখে গণঅভ্যুত্থানের কথা মানায় না।
গণধিকৃত ও গণশত্রুরা রাজনীতির মাঠে জনগণের কল্যাণে কখনোই কিছু করে না উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, গণবিরোধী এসব শক্তির স্বরূপ জাতির সামনে ইতোমধ্যেই উন্মোচিত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা জনগণকে এই অশুভ শক্তির ছায়া থেকে দূরে রাখতে চাই।
পড়ুন: বিএনপি ঈর্ষান্বিত হয়ে মেগা প্রকল্প নিয়ে মিথ্যাচার করছে: কাদের
বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পরে দেশের সংবিধান ও গণতন্ত্রকে ভূলুণ্ঠিত করে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমান দেশে তথাকথিত বহুদলীয় গণতন্ত্র চালু করেছিলেন বলে বিএনপি নেতৃবৃন্দ মন্তব্য করে থাকেন এমনটা জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, মূলত জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধবিরোধী ও সাম্প্রদায়িক শক্তিকে রাজনীতি করার লাইসেন্স প্রদানের পাশাপাশি প্যাড সর্বস্ব রাজনৈতিক দল ও দলছুট রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে নিয়ে বহুদলীয় গণতন্ত্রের নামে রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নের মাধ্যমে কারফিউ গণতন্ত্র চালু করে জাতির সাথে তামাশা করেছিল।
তিনি বলেন, তারই ধারাবাহিকতায় আজও বিএনপি মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শক্তি, স্বাধীনতাবিরোধী রাজনৈতিক দল ও দলছুট নেতাদের নিয়ে তথাকথিত বহুদলীয় প্লাটফর্ম তৈরি করার পাঁয়তারা করছে।
দুর্নীতিবাজ নেতৃত্বকে মুক্ত করার নামে তথাকথিত আন্দোলনের এই প্লাটফর্ম মূলত দেশের গণতন্ত্র এবং জনগণের শান্তি ও নিরাপত্তা বিঘ্নিত করার প্লাটফর্ম বলেও মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
ওবায়দুল কাদের বলেন, সরকার সুনির্দিষ্ট কোন মামলা ছাড়া কাউকে আটক করে রাখে নাই এবং স্বাধীন বিচার বিভাগ দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছে।
বঙ্গবন্ধু কন্যা আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর বলেই গ্রেনেডের বিপরীতে গ্রেনেড ব্যবহার করেননি উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, এমনকি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত খালেদা জিয়াকে তাঁর নিজের বাসায় রেখে উন্নত চিকিৎসা গ্রহণের সুযোগ করে দিয়েছেন।
তিনি বলেন, অথচ বিএনপি সরাসরি আইন ও সংবিধানকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মাস্টার মাইন্ড দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি তারেক রহমানের নির্দেশনা অনুযায়ী নতুন যে প্লাটফর্ম তৈরির পাঁয়তারা করছে তা দেশ ও জাতির বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রেরই অংশ বলে জনগণ মনে করেন।
পড়ুন: গণসংহতি আন্দোলনের সঙ্গে বিএনপির সংলাপ